Halloween Costume ideas 2015
June 2025
অপরাধ অর্থ ও বাণিজ্য আওয়ামী লীগ আদালত আন্তর্জাতিক উত্তরা পূর্ব থানা কাঁচপুর খেলাধুলা গজারিয়া গণমাধ্যম চট্টগ্রাম জাতীয় জামপুর জামায়াত ঢাকা তথ্যপ্রযুক্তি থানা প্রশাসন দাউদকান্দি ধর্ম নরসিংদী নারায়ণগঞ্জ নোয়াখালী নোয়াগাও পর্যটন ও পরিবেশ পিরোজপুর পৌরসভা ফতুল্লা বন্দর বরগুনা বারদী বিএনপি বিনোদন বৈদ্যের বাজার ভারত ভুলতা মুন্সিগঞ্জ মোগরাপাড়া রাজনীতি রাজনীতি. রাজনীতি. বিএনপি রাজনীতি.মোগরাপাড়া রাজশাহী রূপগঞ্জ র‌্যাব র‌্যাব-11 শম্ভুপুরা শিক্ষা শিক্ষা ও সংস্কৃতি সন্মান্দি সংস্কৃতি সাদীপুর সাভার সারাদেশ সিদ্ধিরগঞ্জ সিভিল প্রশাসন সিলেট সোনারগাঁও স্বাস্থ্য কথা


সোনারগাঁও দর্পণ : 

সোনারগাঁওয়ে মোগরাপাড়া এইচ.জি.জি.এস স্মৃতি সরকারি বিদ্যায়তনের এসএসসি- '৯৪ ব্যাচের চতুর্থ পুনর্মিলনী-২০২৫ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (২৮ জুন) বেলা ১১টা থেকে দিনব্যাপী উপজেলার মোগরাপাড়া ইউনিয়নের ভিন্নীপাড়ায় আনিরা ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড চত্ত্বরে প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান ও ৯৪ ব্যাচের বন্ধু আশরাফ উদ্দিনের একান্ত পৃষ্ঠপোষকতায় অনুষ্ঠানটি সম্পন্ন হয়। 

অনুষ্ঠানে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ের ঐতিহ্যবাহী প্রাচীন বিদ্যাপীঠ মোগরাপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ৯৪ ব্যাচের মোট  ১১৭ জন বন্ধুর পরিবারের পাঁচ শতাধিক সদস্য উপস্থিত ছিলেন। 

পবিত্র কুরআন তেলওয়াতের মাধ্যমে শুরু হওয়া অনুষ্ঠানে 

প্রিয় বন্ধুদের বেজ ও ফুল দিয়ে বরণ করা হয়। পরে স্বাগত বক্তব্য, ফটোসেশান, স্মৃতিচারণ, মুক্ত আলোচনা ও প্রীতিভোজ, বিকালের নাস্তা, আইসক্রিম ছাড়াও বর্ণাঢ্য নানা আয়োজনে ভিন্নমাত্রা যোগ করে কনসার্ট 

আয়োজক এসএসসি- '৯৪ ব্যাচের শিক্ষার্থী ও আনিরা ইন্টারন্যাশনালের চেয়ারম্যান মোঃ আশরাফ উদ্দিন চতুর্থ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানটি এসএসসি- '৯৪ ব্যাচের সকলের জন্য উৎসর্গ করে আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের একজন চেয়ারম্যান পদ প্রার্থী হিসাবে প্রিয় '৯৪ ব্যাচের বন্ধুদের ঐক্যবদ্ধ সহযোগিতা কামনা করেন। 

পুণর্মিলনির শেষ পর্বে লটারির মাধ্যমে বিতরণ করা পুরষ্কারে প্রথম পুরষ্কার বিজয়ী হিসাবে এসি পান মনি আক্তার।

দ্বিতীয় পুরষ্কার ৪৩" এলইডি টিভি পান মোর্শদা এবং তৃতীয় পুরষ্কার হিসেবে মাইক্রোওভেন পান আফরোজা।

অপরদিকে,  ৪র্থ থেকে ১০ম পুরষ্কার হিসেবে বিজয়ীরা সবাই একটি করে স্মার্ট মোবাইল ফোন পেয়েছেন। 

নিশ্চিত উপহার হিসেবে উপস্থিত সকল বন্ধুদের দেয়া হয় ফ্রাইপেন ও মগ।

অনুষ্ঠানটি কামাল মোল্লার সঞ্চালনায় এবং একদল প্রাণচঞ্চল বন্ধুর সহযোগিতায় সুষ্ঠুভাবে সফল হওয়ায় সকলকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষনা করেন।



সোনারগাঁও দর্পণ :

পোশাক প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান টোটাল ফ্যাশন লিমিটেড এর শ্রমিকদের বকেয়া বেতন পরিশোধের দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে। বুধবার (২৫ জুন) নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলার লাঙ্গলবন্ধ এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে বেলা ১১টার দিকে অবস্থান নিয়ে এ অবরোধ করে তারা। 



স্থানীয় সূত্র জানায়, টোটাল ফ্যাশন এর শ্রমিকরা তাদের ১০ বছরের কর্মজীবনে জনপ্রতি সার্ভিস চার্জ প্রায় লাখ টাকা ছাড়াও ২/৩ মাসের বেতন বকেয়া রয়েছে। এ সকল কোন হিসাব না চুকিয়ে প্রতিষ্ঠানটির মালিক পক্ষ তাদের আয়ের একমাত্র স্থানটি অন্যত্র বিক্রি করার পায়তারা করছে। ফলে বেলা ১১টার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের লাঙ্গলবন্ধ এলাকায় অবস্থান নিয়ে অবরোধের সৃষ্টি করে। এতে বেরা ১টা পর্যন্ত মহাসড়কে উভয় পাশে সবধরণের যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। 

ফলে, লাঙ্গলবন্ধ থেকে মদনপুর এবং মেঘনা ঘাট পর্যন্ত দীর্ঘ যানজটের কবলে পরে হাজার হাজার যাত্রী ও পথচারী। 


পরে কাঁচপুর ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রতিষ্ঠানটির কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে বিষয়টি সমাধানের আশ^াস দিলে বিক্ষুব্দ শ্রমিকরা অবরোধ তুলে নিয়ে সড়কে যানচলাচল স্বাভাবিক হয়।

প্রতিষ্ঠানটির ম্যানেজার (এডমিন) কবির হোসেন জানান, প্রতিষ্ঠানটির অবস্থা ভালো না তথ্য ঠিক কিন্তু কষ্ট হলেও প্রতিষ্ঠানটি চালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। অন্যত্র বিক্রি বা বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে তথ্যটি সঠিক নয়। এছাড়া আগামী ১০ জুলাইয়ের মধ্যে বকেয়া বেতন পরিশোধের চেষ্টা করা হচ্ছে। 



সোনারগাঁও দর্পণ :

নৌ-চাঁদাবাজদের সাথে চাঁদাবাজী করতে গিয়ে দুই গণমাধ্যমকর্মীসহ মোট ১১ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে কিশোরগঞ্জ জেলার কমলগজ উপজেলার ছলিমগঞ্জ মেঘনা নদী থেকে গ্রেফতার করা হয়।

আটককৃতরা হলো, নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও উপজেলার কান্দারগাঁও এলাকার মৃত মন্তাজ উদ্দিনের ছেলে যুবলীগ নেতা জাকির হোসেন ওরফে পলিথিন জাকিরের ভাই আল-আমিন (৪০), একই উপজেলার বৈদ্দ্যেরবাজার ইউনিয়নের হাড়িয়া বৌদ্ধপাড়া গ্রামের জসিম উদ্দিনের ছেলে সোহাগ মিয়া (৩২), একই এলাকার বজলুল হক বেপারীর ছেলে জামাল হোসেন (৩৫), পিরোজপুর ইউনিয়নের ঝাউচর গ্রামের আক্কেল আলীর ছেলে আরিফ (৩৮), একই ইউনিয়নের প্রতাবের চর গ্রামের মৃত আব্দুল হক মোল্লার ছেলে হাসান বশির (৪৬), একই গ্রামের মৃত হযরত আলীর ছেলে আলী নুর (৪০), একই এলাকার মৃত শাহজাহানের ছেলে তোফাজ্জল হোসেন (৪২), পিরোজপুর ইউনিয়নের কাদিরগঞ্জ গ্রামের মৃত ফজলুল হকের ছেলে দুলাল হোসেন (৫৬) এবং কুমিল্লা জেলার বরুড়া উপজেলার সাতবাড়িয়া এলাতার মৃত দেলোয়ারের ছেলে শামসুল আলম (৩০)।

এছাড়া সোনারগাঁও উপজেলার বিশেষ পেশায় কাজ করা দুইজন সাংবাদিককেও তাদের সাথে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। 

সূত্র দাবি করেছে, নৌ-চাঁদাবাজ দলটি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বিভিন্ন বাহিনীর কিছু দুর্নীতিবাজ ব্যক্তির সাথে আঁতাত করে দীর্ঘদিন ধরে মেঘনা নদীর আড়াইহাজার, সোনারগাঁও এবং গজারিয়া উপজেলার বিভিন্ন স্থানে চাঁদাবাজী করে আসছিল। চাঁদাবাজ দলটি আজ ভোরের দিকে সোনারগাঁও থেকে চাঁদা তোলার উদ্দেশ্যে বের হয়। হঠাৎ তারা আড়াইহাজারের খাঁককান্দা এলাকা থেকে কিছুটা দুরে তাদের অজান্তেুই কিশোরগঞ্জ জেলাধীন ছলিমগঞ্জ এলাকার মেঘনা নীতে প্রবেশ করে। 

এ সময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ছলিমগঞ্জ নৌ পুলিশের একটি  টহল দল তাদেরকে হাতেনাতে আটক করে। আটকের সময় তাদের ব্যবহৃত ট্রলার এবং বেশ কিছু নগদ টাকা জব্দ করা হয়। পরে চাঁদাবাজী মামলার পর আটককৃতদের গ্রেফতার দেখানো হয়। 

এদিকে, সোনারগাঁও উপজেলা বিএনপির একজন নেতা টাকা নিয়ে আটককৃতদের ছাড়িয়ে আনতে কিশোরগঞ্জ যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। তবে, কোন কাজ না হওয়ায় তাকে খালি হাতেই আসতে হয়েছে বলে সূত্রটি দাবি করে।

এ ব্যাপারে ছলিমগঞ্জ নৌ-পুলিশের সাথে যোগাযোগ করা হলে ১১জন আটকের কথা স্বীকার করেন এবং বিস্তারিত পরে বলতে পারবেন বলে জানান।

অপরদিকে, চাঁদাবাদ দলটির মুল হোতা আল আমিনের মোবাইল নাম্বারে ফোন করলে ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।



সোনারগাঁও দর্পণ :

দুই যুবককে অপহরণের পর মুক্তিপন আদায়ের নির্যাতনের অভিযোগে ৫ যুবককে গ্রেফতার করেছে সোনারগাঁও থানা পুলিশ। উপজেলার ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কের দড়িকান্দি এলাকা থেকে  সোমবার (২৩ জুন) রাতে তাদের গ্রেফতার করা হয়। পরে মঙ্গলবার (২৪ জুন) দুপুরে আদালতে পাঠানো হয়।

গ্রেফতারকৃতরা হলো, সোনারগাঁও উপজেলার সনমান্দি ইউনিয়নের কুমারচরের স্বাধীন মিয়া, ভাটিরচর এলাকার ফয়সাল, নাজিরপুর এলাকার রব্বানী হোসেন মুন্না, বন্দর উপজেলার ছোট বাগ গ্রামের সাজ্জাদ হোসেন এবং মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার চর বাউশিয়া গ্রামের রাশেদ ওরফে রাসেল। 

এর আগে, অপহরণ পরবর্তী নির্যাতনের অভিযোগ এনে ভুক্তভোগীর বড় বোন রেখা আক্তার বাদী হয়ে থানায় মামলা করেন।

মামলার এজাহার থেকে জানাগেছে, কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি উপজেলার ময়নামতি মিরপুর গ্রামের ফিরোজ মিয়ার ছেলে শাকিল ও তার বন্ধু মৌলরদী গ্রামের কবির হোসেনের ছেলে শাওন রবিবার (২২ জুন) বিকালে বালু ব্যবসার কাজে মোটরসাইকেলে করে সোনারগাঁও উপজেলাধীন ঢাকা-চট্টগ্রাম মগাসড়কের দড়িকান্দি এলাকায় যায়। সেখানে অজ্ঞাত ৪/৫ জন যুবক শান্ত ও শাওনকে জোর করে অপরহরণ করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে আটকে রাখে এবং নির্যাতন করে। এ সময় তাদের সাথে থাকা ১ লাখ ৪৬ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়। 

পরবর্তীতে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে আটক রাখা যুবকদের পরিবারের কাছ থেকে তিনি লাখ টাকা মুক্তিপন দাবি করে। পরবর্তীতে ওই দুই যুবকের পরিবার দুই দফায় ২৫ হাজার টাকা বিকাশের মাধ্যমে পাঠায়। পরের দিন রাত ১১টার দিকে দড়িকান্দি এলাকার স্থানীয় জনতা বিষয়টি টের পেয়ে স্বাধীন ও ফয়সাল নামে দুই অপহরণকারীকে আটক করে পুলিশে দেয়। 

পরে পুলিশ আটককৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করলে তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ওই রাতেই বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে রাব্বানি হোসেন মুন্না, সাজ্জাদ হোসেন এবং রাশেদ ওরফে রাসেলকে গ্রেফতার করে। 

এ বিষয়ে সোনারগাঁও থানার ওসি (তদন্ত) রাশেদুল হাসান খান বলেন, দুই যুবককে অপরহরণ পরবর্তী মুক্তিপন আদায়ে নির্যাতনের অভিযোগে গ্রেফতারকৃতদের আদালতে পাঠানো হয়েছে। 



সোনারগাঁও দর্পণ :

এক সৌদী প্রবাসীর কাছ থেকে চাঁদা না পেয়ে ওই প্রবাসীকে আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে গুলি করে হত্যার হুমকী দেওয়া ওয়ার্ড বিএনপি নেতা শাহাজাহানকে গ্রেফতার করেছে সোনারগাঁও থানা পুলিশ। রবিবার (২২ জুন) রাতে উপজেলার সাদিপুর ইউনিয়নের আমগাঁও এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃত শাহজাহান সাদিপুর ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি। 

এরআগে, সোহরাব হোসেন নামে আমগাঁও এলাকার এক সৌদি প্রবাসী তার নিজ বাড়ির পাশে একটি পুকুর মাছ চাষের উপযোগি করেন। এদিকে, সাদিপুর ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি শাহাজাহান তার লোকজন নিয়ে সোহরাব ওইখানে ব্যবসা করতে হলে শাহজাহানকে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দিতে হবে বলে জানান। সোহরাব এমন প্রস্তাব প্রত্যাখান করায় চটে যায় শাহজাহান। পরে ওই দিনই (রবিবার) শাহজাহান ভুইয়ার নেতৃত্বে আলিফ ভুইয়া ও ফারজানা করিমসহ ১০ থেকে ১২ জনের একটি সন্ত্রাসী দল সোহরাবকে মারধর করে। 


এ সময় বিএনপি নেতা শাহজাহান তার হাতে থাকা একটি একনল বিশিষ্ট বন্দুক থেকে একটি ফাঁকা গুলি করে এবং চাঁদা না পেলে সোহরাবকে হত্যার হুমকী দেয়। এমনকি সোহরাবের স্ত্রী ফাহমিদা পারভীন স্বামীকে বাঁচাতে এগিয়ে গেলে তাকেও শারীরিক নির্যাতনে আহত করা হয়। 

ওই ঘটনার ভিডিও ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পরলে এ নিয়ে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দেয়। এদিকে, ভুক্তভোগী সোহরাব থানায় অভিযোগ করলে পুলিশ আমগাঁও এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে। 

সোনারগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মফিজুর রহমান বলেন, অভিযুক্ত বিএনপি নেতাকে অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার বন্দুকটির লাইসেন্স থাকলেও আইন লঙ্ঘন করায় বন্দুকটি জব্দ করা হবে। 



সোনারগাঁও দর্পণ :

জমি নিয়ে ভাইয়ের সাথে ভাইয়ের দ্বন্দ্বের বলি হলো নিরাপরাধ শ্রমিক খোরশেদ আলম। দৈনিক মজুরিতে কাজ করার সময় মালিকের প্রতিপক্ষের নির্মম বর্বরতার শিকার হয়েছেন তিনি। মামলাবাজ ও লোভী ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত আব্দুর রউফ মোল্লা (৮০) ও তার মেয়ে মুনিরা আক্তার মুন্নি (৪২) ছাঁদের উপর থেকে শ্রমিকের শরীরে গরম পানি ঢেলে ঝলসে দিয়েছে। রবিবার (২২ জুন) বেলা ১১টার দিকে সোনারগাঁও উপজেলার পৌরসভা এলাকার অর্জুন্দি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পরে রাত সাড়ে ৯টার দিকে দরপত গ্রামবাসী পলাতক রউফ মোল্লাকে আটক করে থানা পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে। 

এ ব্যাপারে আহত খোরশেদের ছোট ভাই থানায় তার ভাইকে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ এনে মামলা করেছেন। 

মামলার অভিযোগে বাদী উল্লেখ করেন, তার বাড়ি পৌরসভার দরপত এলাকায়। তার বড় ভাই খোরশেদ আলম দিনমজুর হিসেবে অর্জুন্দি গ্রামের মৃত তমিজ উদ্দিনের ছোট ছেলে পনির মোল্লার বাড়িতে দিন-মজুর হিসেবে কাজ করতে যায়। পনির মোল্লার বাড়ির সীমানা পিলার দেওয়ার কাজ কারর সময় পনির মোল্লার বড় ভাই আব্দুর রউফ মোল্লা ও তার মেয়ে মুনিরা আক্তার তাদের ছাঁদ থেকে ফুটন্ত গরম পানি তার ভাই খোরশেদ মোল্লার উপর ঢেলে দিয়ে হত্যার চেষ্টা চালায়। এতে খোরশেদের মুখমন্ডলসহ প্রায় পুরো শরীর ঝঁলসে যায়। এ সময় তার আর্তচিৎকারে আশেপাশের লোকজন ছুটে গিয়ে আহত শ্রমিককে উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার জাতীয় বার্ণ এন্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নিয়ে যায়। বর্তমানে সেখানেই আশঙ্কাজনক অবস্থায় তিনি চিকিৎসাধীন আছেন।

এদিকে, এ ঘটনার পর থানায় অভিযোগ হলে আব্দুর রউফ মোল্লা তার মেয়েকে নিয়ে অর্জুন্দির পাশবর্তী গ্রাম দরপত এলাকায় তার ভায়রা জানু মিয়ার বাড়িতে আত্মগোপনে থাকেন। পরে দরপত এলাকার মানুষ টের পেয়ে তাকে রাত ৮টার দিকে দরপত ঈদগাঁহ বাজারে আটক করে। পরে রাত ৯টার দিকে পুলিশের কাছে তুলে দেয়।

এলাকাবাসী জানায়, আব্দুর রউফ মোল্লা সাথে জমি নিয়ে তার ভাইদের সাথে প্রায় দ্বন্দ্ব হয়। এমন কি তিনি নিজের বাবা বেঁচে থাকতে তার বাবাকেও জমির জন্য মেরে ফেলার চেষ্টা করেন। এ ঘটনার সময়  আব্দুর রউফ মোল্লা উপজেলায় কোন কাজে অবস্থান করছিলেন। বাড়ি থেকে তাকে ফোনে সীমানা দেওয়ার কাজ চলছে জানানো হয়। তখন তিনি উপজেলা থেকেই টেলিফোনে তার স্ত্রীকে দুই হাড়ি গরম পানি করতে বলেন। পরে বাড়ি গিয়ে তিনি ও তার মেয়ে এ কাণ্ড ঘটায়।

এ ব্যাপারে সোনারগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মফিজুল রহমান বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 



সোনারগাঁও দর্পণ :  

আধিপত্য বিস্তার নিয়ে অটোস্ট্যান্ড দখলকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই গ্রপের সংঘর্ষে আব্দুল কুদ্দুস (৬০) এবং মেহেদী (৩৮) নামে দুই জন নিহত হয়েছেন। শনিবার (২১জুন) রাতে আনুমানিক সাড়ে ৯টার দিকে নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলা শাহী মসজিদ এলাকায় এবং একই দিন গভীর রাতে সিরাজউদ্দৌল্লা ক্লাবের সামনে ঘটনা দুটি ঘটে। 

নিহত কুদ্দুস বন্দর উপজেলার হাফেজীবাগ এলাকার মৃত সাদেক আলীর ছেলে এবং রনি-জাফর গ্রুপের সমর্থক। অপরদিকে, নিহত মেহেদী সালেহ নগর এলাকার জলিল মুন্সির ছেলে এবং বাবু-মেহেদী গ্রুপের সমর্থক। 

স্থানীয় সূত্র জানায়, বন্দর রেললাইন অটোস্ট্যান্ড দখলকে কেন্দ্র করে বেশ কিছু দিন ধরেই বন্দর সিটি করপোরেশন এলাকার ২২ নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ও মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক আবুল কাউসার আশার অনুসারী রনি-জাফর গ্রুপের সাথে ২১ নম্বর ওয়ার্ড এর সাবেক কাউন্সিলর ও মহানগর বিএনপি নেতা হান্নান সরকারের অনুসারী ও সমর্থক বাবু-মেহেদী গ্রুপের দ্বন্দ্ব চলছিল। 

উভয় গ্রুপ ধারালো ও দেশীয় অস্ত্র-লাঠিশোটা নিয়ে দফায়-দফায় মহড়া দিচ্ছিল। যা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরালও হয়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্বে থাকা বিভিন্ন বাহিনী এ দ্বন্দ্ব নিরসনে এলাকায় একাধিকবার অভিযানও টরিচালনা করে। তারপরও নিজেদের আধিপত্য বজায় রাখতে শুক্রবার প্রথম উভয় গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে। 

ওই ঘটনায় ৮/১০ জন আহত হয়। এরই রেশ ধরে, শরিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে বাবু-মেহেদী গ্রুপের সদস্যরা রনি-জাফর গ্রুপের সমর্থক আব্দুল কুদ্দুসকে ধাঁরালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে আহত করে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় কুদ্দুসকে স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে দায়িত্বে থাকা চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এদিকে, আব্দুল কুদ্দুসের মৃত্যুর খবর এলাকায় পৌঁছালে নিহত কুদ্দুসের আত্মীয়-স্বজন ও রনি-জাফর গ্রুপের সদস্যরা রেললাইন এলাকায় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখায়। পরে শনিবার দিবাগত রাত ১টার দিকে বন্দর সিরাজউদ্দৌলা ক্লাব মাঠ দিয়ে মেহেদী ও তার লোকজন যাওয়ার সময় রনি-জাফর গ্রুপের লোকজন মেহেদীকে ধাওয়া দিয়ে ধরে গণপিটুনি ও ছুরিকাঘাতে আহত করে। আহত অবস্থায় স্থানীয়রা খানপুর তিনশ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে। 

 এ বিষয়ে বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা লিয়াকত আলী বলেন, নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পরিস্থিতি বর্তমানে শান্ত রয়েছে। এ বিষয়ে পরবর্তী আইনি কার্যক্রম চলমান রয়েছে। 



সোনারগাঁও দর্পণ :

প্রাইভেট পড়াতে গিয়ে ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে শিশির হালদার নামে এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে ভুক্তভোগী ছাত্রীর বাবা থানায় অভিযোগ করেছে। যেখানে তার মেয়ে গর্ভবতী বলে দাবি করেন। ঘটনাটি সোনারগাঁও উপজেলার কাঁচপুর ইউনিয়নের সোনাপুর গ্রামের।

অভিযোগে ভুক্তভোগীর বাবা অভিযোগ করেন, তার মেয়ে স্থানীয় একটি স্কুলে এইচএসসি’তে লেখাপড়া করে। সোনাপুর এলাকার কমল হালদারের ছেলে শিশির হালদার তার স্কুল পড়–য়া মেয়েকে বাড়িতে এসে প্রাইভেট পড়াতো। প্রাইভেট পড়ানোর ফাঁকে বিভিন্ন সময় শিশির হালদার ফুসলাইয়া তার মেয়েকে বিয়ের প্রলোভন দেখায়। এক পর্যায় তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। প্রেমের সুযোগে শিশির তার মেয়ের সাথে বিভিন্ন সময় শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলে। এক পর্যায় তার মেয়ে গর্ভবতী হয়ে গেলে শিশিরকে বিয়ের প্রস্তাব দেওয়া হয়। বিপরীতে শিশির ওষুধের মাধ্যমে বাচ্চা নষ্ট করে ফেলে। 

বিষয়টি শিশিরের পরিবারকে জানালে শিশিরের বাবা কমল হালদার ও ছোট ভাই পিয়াস হালদার ওই ভক্তভোগী ছাত্রীর পরিবারের সদস্যদের মারধর করে হত্যার হুমকী দেয়। 

এ বিষয়ে সোনারগাঁও থানার অফিসার ইনচার্জ মফিজুর রহমান জানান, এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেয়েছেন। তদন্ত করে আইননানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। 



সোনারগাঁও দর্পণ :

সোনারগাঁওয়ে অজ্ঞাত এক নারীর মরদেহ আবিস্কার করেছে স্থানীয় জনতা। বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) আনুমানিক রাত ১০টার দিকে উপজেলার মোগরাপাড়া ইউনিয়নের সাদিপুর এলাকায় হাইওয়ের ইউলুপের কাছে ব্রাক ব্যাংকের সামনের সড়কে মরদেহটি পাওয়া যায়। 

এ ব্যাপারে স্থানীয়রা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে বেশ কিছু ফিডে এ সংক্রান্ত ভিডিও এবং ছবি প্রচার করে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে খবর পাওয়ার পর স্থানীয়ভাবে যোগাযোগ করলে সূত্র জানায়, পথচারীরা যাতায়াতের সময় দিনের বেলায় একটি পলিথিনে মোড়ানো প্যাকেট দেখতে পায়। কিন্তু প্যাকেটটি কোন ব্যক্তির প্রয়োজনীয় কিছু হবে ভেবে সেই প্যাকেটের বিষয়ে কেউ মাথা ঘামায়নি। তবে, দিন গড়িয়ে সন্ধ্যা এবং রাত আনুমানিক ১০টার দিকে স্থানীয়রা কৌতুহল বশত পলিথিন প্যাকেটটি খুললে তার ভিতরে আনুমানিক ৩৫ বছর মধ্যবয়সী এক নারীর মরদেহ দেখতে পায়। যার পড়নে লাল রংয়ের ছেলোয়ার কামিজ ছিল বলে জানান।

স্থানীয়রা জানায়, ওই নারীর নাক দিয়ে রক্ত বের হওয়ার চিহৃ দেখা গেছে। তাদের ধারণা, তাকে অন্য কোথাও থেকে হত্যার পর  লাশ ওই স্থানে ফেলে রেখা হয়েছে। 

স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দিলেও এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ঘটনাস্থলে পুলিশকে যেতে দেখা যায়নি বলে সূত্রটি দাবি করে।

এদিকে, অজ্ঞাত নারীর পরিচয় পেতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশি বেশি শেয়ার করার অনুরোধ জানিয়েছেন নেটিজনরা।



সোনারগাঁও দর্পণ : 

পুলিশকে সাথে নিয়ে বিএনপি নেতার অব্যাহত চাঁদাবাজী ও মামলাবাজীর প্রতিবাদে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে এলাকাবাসী। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলার  বারদী ইউনিয়নের মান্দারপাড়াসহ আশে পাশের গ্রামের কয়েকশত নারী-পুরুষ মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করে।

মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীরা অভিযোগ করেন, গত ৫ আগষ্ট আওয়ামী সরকারের পতনের পর উপজেলা বিএনপির প্রচার সম্পাদক ও উপজেলা বিএনপি সভাপতি আজহারুল ইসলাম মান্নানের কথিত পিএস সেলিম হোসেন দীপু ও তার লোকজন এলাকার সাধারণ মানুষদেরকে মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে হয়রানি করে আসছে। এছাড়া এলাকায় থাকতে হলে সেলিম হোসেন দিপুকে তার চাহিদা মতো টাকা দিতে হবে দাবি করে। না দিলে পুলিশের সাথে আঁতাত করে বিভিন্ন মামলায় জড়ানো হবে বলে হুমকী দেয়। এছাড়াও থানায় দায়েরকৃত মামলা থেকে নাম বাদ দেয়ার কথা বলে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়েছে সেলিম হোসেন দিপু।

এলাকাবাসী জানায়, সেলিম ও তার লোকজন যখন তখন ভুক্তভোগীদের বাড়ি-ঘরে উপস্থিত হয়ে র‌্যাব, পুলিশ ও ডিবি সদস্যদের দিয়ে ভয় দেখায়। তাদের অন্যায় কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে যে মুখ খুলবে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে কারাগারে পাঠানো হবে বলে হুমকি দেয়। 

মানববন্ধনে অংশ নেওয়া গ্রামবাসীর প্রত্যাশা, সেলিমের ধারাবাহিক অত্যাচারে অতিষ্ঠের প্রতিকার চেয়ে তারা এ কর্মসূচী পালন করতে বাধ্য হয়েছেন। তারপরও যদি প্রতিকার না পান তাহলে তারা আরও কঠোর কর্মসূচী পালন করবে বলে হুশিয়ারী দেন।

এ সময় তারা সেলিমের বিভিন্ন অনৈতিক কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে শ্লোগান দেয়।

এ ব্যাপারে সেলিম হোসেন দীপুর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, একটি বেসরকারি টেলিভিশনে স্থানীয় ডাকাত, চোর ও মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কথা বলায় তার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ এনে সম্পূর্ন পরিকল্পিতভাবে এ মানববন্ধন করা হয়েছে। 

তবে, সুনির্দিষ্টভাবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারীবাহিনীর কোন সদস্যের নাম উল্লেখ না করায় সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

এ সোনারগাঁও উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোশারফ হোসেন বলেন, মানববন্ধন করার বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে মানববন্ধন হয়ে থাকলে বিষয়টি দুঃখজনক। এছাড়া, আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কড়া বার্তা, বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের কোন নেতাকর্মী যদি দলের নাম ভাঙিয়ে কোন অনৈতিক কাজ করে তাহলে অভিযোগের প্রমাণ পেলে সাংগঠনিক কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 



সোনারগাঁও দর্পণ :

গলাকেটে যুবক হত্যার ক্লুলেজ ঘটনায় দু’জনকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১১’র সদস্যরা। মঙ্গলবার (১৭ জুন) হত্যার ২৪ ঘন্টার মধ্যে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার দিঘি বরাবো এলাকা থেকে রাতে তাদের গ্রেফতার করা হয়। 

গ্রেফতারকৃতরা হলো-রূপগঞ্জ উপজেলার ইউনুস প্রধানের ছেলে ইসমাইল প্রধান (২৪) এবং মনির হোসেনের ছেলে ওসমান গনি (২৩)। 

বুধবার (১৮ জুন) র‌্যাব-১১ এর এপস অফিসার মো. গোলাম মোর্শেদ স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। 

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে র‌্যাব উল্লেখ করেন, মঙ্গলবার সকালে সোনারগাঁও উপজেলার ভারগাঁও এলাকার ওলামারগর খালপাড় বেড়িবাঁধের পূর্ব পাশে স্থানীয়দের তথ্যের ভিত্তিতে তালতলা তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ যুবকের যে গলাকাঁটা মরদেহ উদ্ধার করে সেই হত্যাকান্ডের খবর পাওয়ার পরপরই তাৎক্ষণিক র‌্যাব ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। পরবর্তীতে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় র‌্যাব এই নৃশংস, নির্মম ও ক্লুলেস হত্যার সাথে জড়িত দুইজনকে আটক করতে সক্ষম হয়। আটককৃতরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। পরবর্তী আইনানুগ কার্যক্রমের জন্য আটককৃতদের সোনারগাঁও থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। 

সোনারগাঁও থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মফিজুল রহমান জানান, লাশ উদ্ধারের ঘটনায় থানায় একটি মামলা হয়েছে। র‌্যাব ইতোমধ্যে ঘটনার সাথে জড়িত দুইজনকে থানায় হস্তান্তর করেছে। তাদের ওই মামলায় গ্রেফতার দেখনো হবে। 

এরআগে, মঙ্গলবার (১৭ জুন) সকালে সোনারগাঁও উপজেলার সাদীপুর ইউনিয়নের ভারগাঁও এলাকার ওলামানগর খালপাড় বেড়িবাঁধের পাশে রতন (৪০) নামে এক যুবকের গলাকাঁটা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত রতন কাঁচপুর ইউনিয়নের নাওড়াভিটা এলাকার দেলোয়ারের বাড়ির ভাড়াটিয়া মালেক মোল্লার ছেলে। সে স্থানীয় একটি ওয়ার্কশপে কাজ করতো। 



সোনারগাঁও দর্পণ :

বিএনপির কোন নেতাকর্মীকে টাকার কাছে রাজনৈতিক ক্যারিয়ার বিক্রি না করার আহবান জানিয়ে বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপি আহবায়ক অধ্যাপক মামুন মাহমুদ বলেছেন, কোন ফ্যাসিবাদ যেন বিএনপির সদস্য হতে পারে। আওয়ামী লীগের অনেক দোসর আছে যারা ৫ আগস্টের পর বিএনপির ট্যাগ লাগিয়েছে। যারা অনেকেই টাকার বিনিময়ে বিএনপির কোন না কোন সংগঠনের সদস্য হতে চাইবে। তাই আমি স্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই, লাখ টাকার লোভে পরে কেই ৩০ বছর ৪০ বছরের রাজনৈতিক ক্যারিয়ার বিক্রি করে দিবেন না।

বুধবার (১৮ জুন) দুপুরে সোনারগাঁও উপজেলা অডিটরিয়ামে উপজেলা বিএনপি আয়োজিত বিএনপির প্রাথমিক সদস্য সবায়ন ও সদস্য ফরম বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। 

ফরমে কোন ফ্যাসিবাদের নাম থাকলে ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড সভাপতি-সম্পাদককে বহিস্কারের হুমকি দিয়ে অধ্যাপক মামুন আরও বলেন, সদস্য সংগ্রহ ফরমে আমাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার স্বাক্ষর রয়েছে। তাই, কোন আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি বা সুবিধাবাদীদের এ ফরম দেওয়া যাবেনা। তাদের অন্তর্ভুক্ত করা যাবেনা। যদি অন্তর্ভুক্ত করা হয় তাহলে নেত্রী যে ৬ বছল কারাভোগ করেছেন, সেই ত্যাগের সাথে বেঈমানী করা হবে। আমি আশা করি, এমন ব্যক্তির নাম অন্তর্ভুক্ত করা হবেনা যারা, আমাদের নেতাকর্মীর উপর হামলা করেছে, মিথ্যা মামলা দিয়েছে, আমাদের নেতাকর্মীদের পুলিশ দিয়ে ধরিয়ে দিয়েছে তাদের নাম অন্তর্ভুক্ত হবেনা। 

উপজেলা বিএনপির সভাপতি আজহারুল ইসলাম মান্নানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মোশারফ হোসেনের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক মাশুকুল ইসলাম রাজিব। 

অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সহ সভাপতি কাজী নজরুল ইসলাম টিটু, সহ সভাপতি শাহজাহান মিয়া, রফিকুল ইসলাম বিডিআর, সেলিম হক রুমি, হুমায়ুন কবির রফিক, সাদিকুর রহমান সেন্টুসহ অনেকে। 

পরে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন পর্যায়ের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের কাছে সদস্য সংগ্রহ ফরম বিতরণ করা হয়।


সোনারগাঁও দর্পণ : 

সোনারগাঁওয়ে রতন (৪০) নামে এক ব্যক্তির গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (১৭ জুন) সকালে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলার সাদিপুর ইউনিয়নের বারগাঁও এলাকায় বেরিবাঁধে সড়কের ঢালু স্থান থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। নিহত রতন কাঁচপুর ইউনিয়নের সেনপাড়া গ্রামে বসবাস করতেন এবং স্থানীয় একটি ওয়ার্কশপে কাজ করতেন। 

তালতলা পুলিশ ফাঁড়ি পুলিশ জানায়, সাদিপুর ইউনিয়নের বারগাঁও ওলামানগর নামক স্থানে সড়কের পাশে এক ব্যক্তির মরদেহ দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা পুলিশকে জানায়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে গলাকাটা অবস্থায় মরদেহটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। 

সোনারগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মফিজুল ইসলাম জানান, অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা অন্য কোন স্থানে হত্যার পর এলাকাবাসী জানায় অন্য কোথাও হত্যার পর লাশটি ওই স্থানে ফেলে রেখে যায়। নিহত রতন কাঁচপুর এলাকার মালেক মোল্লার ছেলে। পরিবার নিয়ে নাওড়া ভিটা এলাকার দোলোয়ারের বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। লাশটি ময়না তদন্তের জন্য জেলা হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে হত্যা সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যাবে। 



সোনারগাঁও দর্পণ :

মসজিদ কমিটির সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বি হওয়ায়, প্রতিপক্ষ তাজুর হাত ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ইকবাল নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। এমন কি ভুক্তভোগী কোন রাজনীতির সাথে জড়িত না থাকলেও শুধুমাত্র হয়রানী করতে যুবলীগের নেতা বানিয়ে প্রচার করছে একই এলাকার তাইজউদ্দিনের ছেলে ইকবাল হোসেন। ঘটনাটি সোনারগাঁও উপজেলার মোগরাপাড়া ইউনিয়নের কাবিলগঞ্জ গ্রামের। 

ভুক্তভোগী তাজুল ইসলাম জানান, গত ১৫ জুন বিকাল সাড়ে ৬টার দিকে তাজুল ইসলাম কাবিলগঞ্জ গ্রামের জুয়েল ও রাকিব নামে দুই ভাইয়ের প্রবাসী জীবন ব্যবস্থার খোঁজ-খবর নিচ্ছিলেন প্রবাসীদের ভাই মাসুমের কাছ থেকে। এ সময় একই গ্রামের মৃত তাইজুদ্দিনের ছেলে ইকবাল তার বাড়ির সামনে গিয়ে তাজুল-ইকবালের বাবা তাইজুদ্দিনকে গালাগালি করছে এমন মিথ্যা অপবাদ তুলে তাজুলকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করতে থাকে। তাজুল ইকবালের সামনে গিয়ে তাজুলকে অকথ্য ভাষায় গালমন্দের কারণ জানতে চাইলে দু’জনের মধ্যে কথা-কাটাকাটি পরবর্তী হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। 

এ সময় ইকবাল তার হাতে থাকা এসএস পাইপ দিয়ে তাজুলের মাথায় জোরে আঁঘাত করলে তাজুল ইসলাম তাজু সে আঁঘাত হাঁত দিয়ে ফেরাতে গেলে তাজুর হাঁতটি ভেঙে যায়।

তাজুল ইসলাম তাজু জানায়, তাদের গ্রামের মসজিদের একটি জমি নিয়ে তাজুদের সাথে ইকবালদের দীর্ঘ দিন ধরে বিরোধ চলছিল। এছাড়া, সম্প্রতি গ্রাম পঞ্চায়েতের সিদ্ধান্তে তাদের গ্রামে একটি মসজিদ নির্মাণের দেখবাল করেছে তাজুল। সেই মসজিদের হিসাব-নিকাশও কাজ শেষে পঞ্চায়েতের কাছে বুঝিয়ে দিয়ে সে তাজুল সরে আসে। কিছুদিন আগে ইকবালের বাবা মারা যাওয়ায় মসজিদের সভাপতির পদটি খালি হয়। তাজু জানায়, ইকবালের ইচ্ছা তার বাবার স্থানটিতে ইকবাল বসবে। কিন্তু তার বয়স কম হওয়ায় এবং এলাকার বিতর্কিত থাকায় তার চেয়ে যোগ্য ব্যক্তিকে সভাপতি করতে বেশিরভাগ মানুষ ইকবালের বিরোধীতা করে। 

এদিকে, তাজু ইকবালের বিরুদ্ধে মুসল্লীদের লেলিয়ে দেওয়ার অভিযোগ তুলেন এবং মসজিদের জমি ইকবালরা দিয়েছে দাবি করেন। 

তাজু জানায়, সমাজের সকলেই জানেন-মসজিদের জমি এককভাবে ইকবালের বাবা তাইজউদ্দিন দেননি। সে জমি তাইজুদ্দিন, তাজু-তার ভাই সাজু এবং তাদের চাচাতো ভাইরা দান করেছেন। এখনো মসজিদের জমিটি মসজিদের নামেও দেওয়া হয়নি। এরমধ্যে ইকবালের বাবা মারা যাওয়ার পর থেকে মসজিদ কমিটির সভাপতি হওয়ার জন্য ইকবাল উঠে পড়ে লেগেছে। তাজুলের প্রশ্ন, একটি মসজিদের সভাপতি হওয়ার জন্য মারামারি কেন করতে হবে ? মারামারি করে সভাপতি হওয়ার পিছনে অবশ্যই কোন খারাপ উদ্দেশ্য আছে বলে তিনি দাবি করেন। 

তাজুল আরও বলেন, আমি জীবনে কোন রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলাম না। আমি রাজনীতির সাথে জড়িত কোন প্রমাণ কেউ দেখাতে পারলে যেকোন বিচার মাথা পেতে নিব। অথচ, আমি যুবলীগের নেতা এমন মিথ্যা তথ্য প্রচার করছে প্রতিপক্ষ। 

তার দাবি, শুধুমাত্র তাকে হয়রানি করতেই যুবলীগের এমন মিথ্যা ট্যাগ লাগিয়ে প্রচার করা হচ্ছে। তিনি ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত পূর্বক ন্যায় বিচার প্রত্যাশা করেন। 



সোনারগাঁও দর্পণ :

দৈনিক ইনকিলাব পত্রিকার নারায়ণগঞ্জ জেলা সংবাদদাতা ও সোনারগাঁও প্রেস ক্লাবের সহ সভাপতি মোক্তার হোসেন মোল্লার মা হাজী সাফিয়া খাতুন (৯৮) এর জানাজা সম্পন্ন হয়েছে। শনিবার (১৪ জূন) উপজেলার পিরোজপুর সামাজিক কবরস্থানে বেলা ১১টা ৪৫ মিনিটের দিকে দাফন কাজ শেষ হয়।

এর আগে, আজ শনিবার  (১৪ জূন) ভোর ৫ টার কিছু পরে বার্ধক্যজনিত কারণে তার মৃত্যু হয় (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মৃত্যুকালে তিনি তিন ছেলে, পাঁচ মেয়ে, নাতি, নাতনিসহ অনেক আত্মীয়-স্বজন, শুভাকাঙ্খী ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।

পরে বেলা ১১টায় সোনারগাঁ উপজেলার  পিরোজপুর গ্রামের নিজ বাড়িতে মরহুমার নামাজের জানাজায় নিজ গ্রামসহ আশপাশের গ্রামের বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ, স্থানীয় বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠনের সদস্য, রাজনৈতিক ব্যক্তিসহ শতশত মানুষ জানাজায় অংশ নেন।

এদিকে, সাংবাদিক মোক্তার হোসেন মোল্লার মায়ের মৃত্যুতে তাৎক্ষণিক শোক প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় শুরা সদস্য ও আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলটি থেকে সোনারগাঁও আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী ড. ইকবাল হোসাইন ভূইয়া তার নিজ ফেসবুক আইডিতে শোক প্রকাশ করেছেন।



সোনারগাঁও দর্পণ :

হাতকড়াসহ রিপন (২৬) নামে আওয়ামী লীগের ওয়ারেন্টভুক্ত এক নেতাকে পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়েছে স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মী শান্ত খান ওরফে বেয়াদব শান্ত। নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলার সাদিপুর ইউনিয়নের লঙ্করবাড়ি এলাকায় শুক্রবার (১৩ জুন) বিকালে এ ঘটনা ঘটে। 

স্থানীয়রা জানায়, লঙ্করবাড়ি এলাকার আলী হোসেনের ছেলে রিপন স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মী অভিযুক্ত শান্তর মামা। রিপন আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। ২০২০ সালের দিকে আওয়ামী লীগ ক্ষমতা থাকাকালীণ পুলিশের কাছ থেকে কাজিপাড়া গ্রামের বাসিন্দা অপর যুবলীগ নেতা ও মাদক ব্যবসায়ী আমিন উদ্দিনকে জোর পূর্বক ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগে দায়ের করা মামলার ওয়ারেন্ট ছিল রিপনের বিরুদ্ধে। র‌্যাব ওই মামলায় তাকে গ্রেফতারও করে।  

সোনারগাঁও জামপুর ইউনিয়নে অবস্থিত তালতলা কেন্দ্রের এএসআই সেলিম মিয়া জানান, রিপন ওয়ারেন্টভুক্ত আসামী। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাকে আমরা গ্রেফতার করি। আসামীকে হাঁতকড়া পড়িয়ে থানায় নিয়ে যাওয়ার সময় শান্ত তার লোকজন নিয়ে দলীয় প্রভাখাটিয়ে আসামীকে আমাদের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেয় এবং আমাদের ওপর হামলার চেষ্টা করে। বিষয়টি থানাকে অবহিত করা হয়েছে। 

এ বিষয়ে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি সালাউদ্দিন সালুর মোবাইলে ফোন দিলে তিনি কোন সাড়া দেননি। 

সোনারগাঁও থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ হাফিজুর রহমান বলেন, হাঁতকড়া নিয়ে পালানোর তথ্যটি সঠিক নয়। আসামী জামিনে আছে দাবি করে কাল ক্ষেপন করার এক পর্যায় রিকল (জামিন আদেশ) না দেখিয়েই আসামীকে নিয়ে গেছে। আসামীকে ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে। 



সোনারগাঁও দর্পণ :

সোনারগাঁওয়ে অন্যতম প্রাচীন স্থাপত্যকীর্তি কোম্পানিকা সেতু (স্থানীয়ভাবে পিঠাওয়ালীর পুল) রক্ষার দাবিতে মানববন্ধন করেছে। শুক্রবার (১৩ জুন) সকালে ‘সোনারগাঁওয়ের ইতিহাস-ঐতিহ্য ও প্রত্মসম্পদ সংরক্ষণ কমিটি’র উদ্যোগে পিঠাওয়ালীর ব্রীজ এর পাদদেশে এ কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, প্রাচীন বাংলার রাজধানী সোনারগাঁওয়ের আনাচে-কাঁনাচে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা প্রত্মসম্পদের অন্যতম কোম্পানিকা সেতু বা পিঠাওয়ালীর পুল। এ প্রাচীন সেতুটি যথাযথ সংরক্ষণের অভাবে অযত্নে অবহেলায় এখন ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে। স্থানীয় একটি কুচক্রি মহল সেতুটি যেন ধীরে ধীরে ভেঙ্গে ফেলা হয় সেই নোংরা খেলায় লিপ্ত। ফলে সেতুটির দুই প্রান্তে বিকল্প সড়ক তৈরি করা হলেও সেতুটি দিয়ে ভারি যানবাহন চলাচল অব্যাহত রয়েছে। সেজন্য সেতুটি বর্তমানে ঝুঁকির মুখে রয়েছে। সেতুটির বেশির ভাগ অংশ ইতিমধ্যে ধ্বসে পড়েছে। তাই অবিলম্বে এ প্রত্মসম্পদকে সংস্কারের মাধ্যমে সংরক্ষণ করার জন্য প্রশাসনের কাছে জোর দাবী জানান বক্তারা।

মানববন্ধনে সোনারগাঁওয়ের ইতিহাস-ঐতিহ্য ও প্রত্মসম্পদ সংরক্ষণ কমিটির আহ্বায়ক কবি শাহেদ কায়েসের সভাপতিত্বে ও যুগ্ম আহ্বায়ক সাংবাদিক মিজানুর রহমান মামুনের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, কবি রহমান মুজিব, সোনারগাঁ প্রেস ক্লাবের সহ-সভাপতি ফজলে রাব্বী সোহেল, সোনারগাঁয়ের ইতিহাস-ঐতিহ্য ও প্রত্মসম্পদ সংরক্ষণ কমিটি’র সদস্য সচিব লেখক ও সাংবাদিক রবিউল হুসাইন, সংস্কৃতিকর্মী ও ব্যাংকার মতিউর রহমান, সোনারগাঁও সাহিত্য নিকেতনের সভাপতি আসমা আখতারী, অর্থ সম্পাদক সেলিম আহমেদ প্রধান, সাংগঠনিক সম্পাদক মোফাখ্খার সাগর, শিক্ষা ও গবেষণা সম্পাদক মোয়াজ্জেনুল হক, ব্যাবসায়ী মোঃ মহিউদ্দিন, সোনারগাঁও সাহিত্য নিকেতনের তথ্য ও প্রযুক্তি সম্পাদক এরশাদ হুসাইন অন্য, নির্বাহী সদস্য রোকেয়া আক্তার বেবী, শিক্ষিকা শামীমা নাসরিন ও সংগঠক খাদিজা আক্তার।

এসময় অন্যদের মধ্যে সাংবাদিক ইমরান হোসেন, রাসেল আহমেদ ও ইসকান্দার আলী আলভী প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।



সোনারগাঁও দর্পণ :

একটি ফাজিল মাদ্রাসার নবনিযুক্ত সভাপতির বিরুদ্ধে পরিকল্পিত মিথ্যাচার ও ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন হয়েছে। বুধবার (১১ জুন) সকালে মোগরাপাড়ার হাবিবপুরে অবস্থিত স্থানীয় জামায়াতের অস্থায়ী কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলন করেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় শুরা সদস্য ও দলটির নারায়লগঞ্জ-৩ সোনারগাঁও আসনের সম্ভাব্য সংসদ সদস্য প্রার্থী অধ্যক্ষ ড. ইকবাল হোসেন ভূইয়া। 

সম্মেলনে তিনি বলেন, ইসলামী আরবি বিশ^বিদ্যালয় সোনারগাঁও উপজেলার একমাত্র ফাজিল মাদ্রাসা “কলতাপাড়া ফাযিল মাদ্রাসার সভাপতি হিসেবে তাঁকে যোগ্য মনে করেছেন বিধায় তিনি সভাপতি হয়েছেন। এখানে তার ব্যক্তিগত বা তার জানামতে রাজনৈতিকভাবে কারো কোন হাত নেই। 

তিনি অভিযোগ করেন, ড, ইকবাল সভাপতি হওয়ার পর মাদ্রাসাটির শিক্ষক ইব্রাহিম ও একটি গোষ্ঠি তার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার ছড়াচ্ছে। 

ড.ইকবাল বলেন, কলতাপাড়া ফাযিল মাদ্রাসাটি দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্নভাবে অবহেলিত হচ্ছে। উপজেলার একমাত্র ফাজিল মাদ্রাসা হওয়ার পরও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির সভাপতি হওয়ার পর মাদ্রাসাটিকে আলিম পরীক্ষার কেন্দ্র করা হয়েছে। পাশাপাশি কামিল মান করার আবেদন করা হয়েছে। তিনি প্রত্যাশা করেন, যথাযথ কর্তৃপক্ষ সম্প্রতি পরিদর্শন শেষ করে এই প্রতিষ্ঠানটিকে কামিল মান করে দিবেন। এছাড়া, প্রতিষ্ঠানটির বেশ কিছু শিক্ষক আগে অনিয়মিত ছিলেন। এখন তারা নিয়মিত। মাদ্রাসায় সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ওই অনিয়মিত শিক্ষকদের থাকাতে বাধ্য করা হয়েছে। ফলে শিক্ষার মানও উন্নত হয়েছে।

ড. ইকবাল অভিযোগ করেন, একটি মহল আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে গত সোমবার (৯ জুন) মানববন্ধন করেছেন। এতে তার সামাজিক ও রাজনৈতিকভাবে খুব মানহানি হয়েছে। তবে, যারা এ কাজ করেছে তাদের বিরুদ্ধে তিনি আইনি পদক্ষেপ নিবেন বলে জানান। 

সংবাদ সম্মেলনে জামায়াতে ইসলামীর সোনারগাঁও শাখার বিভিন্ন শ্রেণির নেতারা উপস্থিত ছিলেন। 


সোনারগাঁও দর্পণ :

১ লাখ ৩৫ হাজার টাকাসহ একটি অটোরিক্সা ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার (১০ জুন) সকাল ১০টার দিকে উপজেলার মোগরাপাড়া ইউনিয়নের ঋষিপাড়া নামক স্থানে এ ঘটনা ঘটে। এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী অটোচালক রেজাউল রহমান সোনারগাঁও থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

থানায় দায়ের করা অভিযোগ থেকে জানাগেছে, ইউনিয়নের কাবিলগঞ্জ গ্রামের ইমান আলীর ছেলে রেজাউল একই গ্রামের শামীম নামে এক সুতা ব্যবসায়ীর ব্যবসার টাকা বিভিন্ন সময় নানা স্থান থেকে বহন করে আনা-নেয়ার কাজ করতেন। এরই ধারাবাহিকতায় ব্যবসায়ী শামীম মঙ্গলবার সকাল আটটার দিকে তাকে ফোন করে রেজাউলকে বন্দর থানার লক্ষণখোলা এলাকা থেকে অপর ব্যবসায়ী রুহুল আমিনের কাছ থেকে আনতে বলেন। 

রেজাউল রুহুলন আমিনের কাছ থেকে শামীমকে দেওয়া ১ লাখ ৩৫ হাজার টাকা নিয়ে বাড়ি ফেরার সময় সোনারগাঁও থানার ঋষিপাড়া ব্রীজের পশ্চিম পাশে পৌঁছালে তবলপাড়া এলাকার হোসেনের ছেলে রাজিব (৪০), আনিছ (৩৮) এবং নজরুল, একই এলাকার জাকির (৪২) এবং অজ্ঞাত ৩ থেকে ৪ জনসহ ১০/১১ জনের একটি দল ধাঁরালো রামদা, চাপাতি, চাকু, ছুরিসহ দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্রে সজ্জিত হয়ে তার অটোগাড়ীর গতিরোধ করে তাকে জোর করে গাড়ী থেকে নামিয়ে এলোপাথাড়ীভাবে হামলা করে। 

এ সময় তার সাথে থাকা নগদ ১ লাখ ৩৫ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়। এ সময় রেজাউল বাঁধা দিতে গেলে ছিনতাইকারীরা চাকু দিয়ে তার মুখে আঘাত করে। এতে সে রক্তাক্ত আহত হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। পরে ছিনতাইকারীরা তার কাছ থেকে ছিনিয়ে নেওয়া টাকাসহ অটোরিক্সা নিয়ে দ্রæত পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় তিনি  সোনারগাঁও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা নেন। 

এ ব্যাপারে সোনারগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বলেন, অভিযোগ দিয়ে থাকলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 



সোনারগাঁও দর্পণ :

পূর্বশত্রæতার জের ধরে প্রতিপক্ষের বাড়িতে হামলা,ভাঙচুর,স্বর্ণালঙ্কার লুটপাট পরবর্তী এক নারীর শ্লীলতাহানীর চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার বৈদ্যের বাজার ইউনিয়নের মামরকপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিলু নামে এক নারী রবিবার (৯জুন) সোনারগাঁও থানায় এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

থানায় দায়ের করা অভিযোগ থেকে জানাগেছে, জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে রবিবার অভিযোগকারীর নিলুর প্রতিবেশী আব্দুল কাদের, জুয়েল, শরীফ, তুহিন, আব্দুস সাত্তার,ইয়াসিন, আমানুল্লাহ, কবির, শামীম, হাসেম, সাইদুল এবং তাদের আরও  থেকে ৬ জন অজ্ঞাত সহযোগিরা দেশীয় এবং ধাঁরালো অস্ত্র-সস্ত্রে সজ্জিত হয়ে তাদের বাড়ি-ঘরে হামলা চালায়। এ সময় হামলাকারীরা তাদের ঘরে থাকা বিভিন্ন দরজা ও জানালার কাঁচ ও আসবাবপত্র ভাংচুর করে। এ সময় বাঁধা দিতে গেলে অভিযোগকারীর ভাই সানাউল্লাহ, খোরশেদ আলম, মোশারফ হোসেন, তোফাজ্জল হোসেন এবং জানে আলমসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের এলোপাথারি কুপিয়ে রক্তাক্ত আহত করে।

হামলাকারীরা হামলার সময় অভিযোগকারীর বোনের গলায় থাকা প্রায় দুই লাখ টাকা দামের একটি স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নেয় এবং চেইন ছিনিয়ে নেওয়ার সময় তার বোনের শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে। তাদের ডাকচিৎকারে আশাপাশের লোকজন এগিয়ে গেলে হামলাকারীরা দৌড়ে পালিয়ে যায়। 

পরে স্থানীয়রা আহত সাতজনকে উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্স এবং পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় পাঁচজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। 

এ বিষয়ে অভিযোগের তদন্ত শেষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন সোনারগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মফিজুল ইসলাম।



সোনারগাঁও দর্পণ :

‘সোনারগাঁও দর্পণ’ এ প্রকাশিত সংবাদের আংশবিশেষ সত্য নয় বলে দাবি করেছেন সংবাদে উল্লেখিত অন্যতম অভিযুক্ত মনির মেম্বার। “সোনারগাঁওয়ে প্রভাব বিস্তার করতে নিরীহ যুবককে কুপিয়ে হত্যা চেষ্টা” শিরোনামে গত ৮ জুন 'সোনারগাঁও দর্পণ' অনলাইন পোর্টালে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। সে সংবাদে উল্লেখিত বিভিন্ন তথ্যের মধ্যে দুটি বিষয়ে দ্বিমত পোষণ করে মৌখিকভাবে তথ্যগত ভুল হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি। 

গত ৮জুন রাতে প্রতিবেদকের মোবাইল নাম্বারে ফোন করে তথ্যগত ভুলের কথা জানান মনির মেম্বার। আর সেই কথোপকথন প্রতিবেদকের কাছে সংরক্ষিত রয়েছে।

প্রতিবেদককে তিনি বলেন, প্রকাশিত প্রতিবেদনটি আমি দেখেছি। সব ঠিকই লিখেছেন কিন্তু সেখানে আমার (মনির মেম্বার) বিরুদ্ধে যে চেক জালিয়াতির মামলার কথা লেখা হয়েছে তা সত্য নয়। এছাড়া, আমার ছেলে বাবু মাদক খায় না আর মাদক ব্যবসায়ীও না। যদি এ বিষয় দুইটা একটু দেখতেন। 

এক প্রশ্নের জবাবে মনির মেম্বার বলেন, আমি আপনাকে অনেক আগে থেকেই চিনি-জানি। আমি আপনার প্রকাশিত নিউজের কোন প্রতিবাদ দিবনা। তবে, এ দুইটা বিষয়ের তথ্য সঠিক না।

প্রতিবেদকের বক্তব্য

প্রতিবেদক সরেজমিনে ঘটনাস্থলে গিয়ে ভুক্তভোগী, প্রত্যক্ষদর্শী এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের সাথে কথা বলে প্রতিবেদন তৈরি করেছেন এবং সংবাদ প্রকাশের আগে অভিযুক্ত মনির মেম্বারের সাথে মোবাইলে কথাও বলেছেন। যা প্রতিবেদনে স্পষ্ট উল্লেখ করা হয়েছে। প্রতিবেদনে প্রতিবেদকের নিজস্ব কোন মন্তব্য বা মনগড়া কোন তথ্য দেওয়া হয়নি। ভুক্তভোগীর পরিবারের সদস্য, প্রত্যক্ষদর্শী এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের সাথে কথা বলে যে সকল তথ্য পাওয়া গিয়েছে, সে সকল তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে মাত্র।  

উল্লেখ্য, “সোনারগাঁওয়ে প্রভাব বিস্তার করতে নিরীহ যুবককে কুপিয়ে হত্যা চেষ্টা” শিরোনামে গত ৮ জুন 'সোনারগাঁও দর্পণ' অনলাইন পোর্টালে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। যে সংবাদে জুবাইর (১৬) নামে এক যুবককে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় পিরোজপুর ইউনিয়নের সাবেক মেম্বার মনির ও তার ছেলে বাবুর বিরুদ্ধে। আহত জুবাইর একই ইউনিয়নের পাঁচআনী গ্রামের শাহাজালালের ছেলে। আহত জুবাইর বর্তমানে ঢাকা মেডেকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। 



সোনারগাঁও দর্পণ :

সদ্য বিলুপ্ত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ফুটবল প্রতিক নিয়ে নির্বাচিত সাবেক সোনারগাঁও উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শ্যামলী চৌধুরী পরিবারের করা একটি ভিডিও কনটেন্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। যে কনটেন্টের বিষয় সমাজের দুস্থ্য ও গরীব সাধারণ মানুষদের উপহাস করে তৈরি করা হয়েছে দাবি করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। ভিডিওতে শ্যামলী চৌধুরী ও তার স্বামী দলিল লেখক সেলিম চৌধুরী ছাড়াও তার এক মেয়ে ও দুই জন ছোট শিশুকে অভিনয় করতে দেখা গেছে। 

তিন কন্যা নামে তাদের একটি ফেসবুকে সেই ভিডিওটি পোস্ট করার পর তা নেটিজনরা শেয়ার করেন এবং সে সকল শেয়ারে কনটেন্টটি বিষয়ে প্রচুর নেতিবাচক সমালোচনার পাশাপাশি তাদেরকে আইনের আওতায় আনার দাবিও তোলা হয়েছে।

ভিডিওটিতে দেখা গেছে, ভিডিওর শুরুতে কিছু গোস্ত দেখানোর সাথে বৃষ্টিতে ভিজে কোরবানির মাংসের জন্য শ্যামলী চৌধুরীর স্বামী সেলিম চৌধুরী, শ্যামলী চৌধুরী এবং দুজন ছোট শিশু। তার স্বামী শারীরিক প্রতিবন্ধি বসে আছেন এবং শ্যামলী অন্ধ হয়ে তার স্বামীকে ধরে আছেন। পরক্ষণেই তারা বৃষ্টির মধ্যে বসে আছেন জানিয়ে বাড়ির মালিকের কাছে গরুর গোস্ত চান। সাথে সাথে গরুর আস্ত রান চান। 

কিছুক্ষণ পর একটি কিশোরী একটি হলুদ শপিং ব্যাগের কিছু একটা এনে তার স্বামীর হাতে দিকেই কম হয়েছে জানিয়ে বিভিন্ন অঙ্গভঙ্গির সাথে বাড়িতে ১০জন ছেলে মেয়ে রয়েছে জানায়। পাশাপাশি কমপক্ষে ১০টি মাংসের টুকরো দিলেও একটি করে সবাই খেতে পারতেন জানিয়ে হাদে থাকা মাংসের ব্যাগটি ছুঁড়ে ফেলে দেন। পরক্ষণেই বদ দোয়া করতে করতে চলে যান।

এমন একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে বিভিন্ন জন বিভিন্ন নেতিবাচক মন্তব্য করেন। আফজাল শিকদার নামে একজন লিখেছেন,‘আমার মনে হয় তাদের পুরাটা পরিবারই মেন্ডেল হয়ে গিয়েছে, সবাই দোয়া করো আল্লাহ যেন তাদের হেদায়েত দান করেন।’ 

এসএম রবি নামে একজন লিখেছেন,‘সোনারগাঁর মধ্যে বেয়াদব নির্লজ্জ ফালতু ফ্যামিলি থাকলে শ্যামলীর ফ্যামিলি আছে। মেয়েকে দিয়ে নৃত্য করিয়ে টিকটক এর ভিউয়ার্স বাড়ায়। সামনে থেকে ভোটের জন্য আসলে জুতা ঝাড়– রেডি রাখবেন। গরিবদের নিয়ে উপহাস করার ফল তখন বুঝবে।’

তৌফিকা শাহেদ নামে একজন মন্তব্য করেছেন,‘চিন্তা করবেন না তাদেরকে এখনই কিন্তু প্রতিবন্ধী ভিক্ষুকের মতো লাগছে। আল্লাহ কাকে কখন কি করে বলা যায় না। কোরবানির গোশত কারো নিজস্ব না, এটা আল্লাহর নেয়ামত, যার জন্য যতটুকু নির্ধারণ করা হয়েছে, সেটা সে পাবেই। এটা নিয়ে এরকম ব্যাঙ্গাত্মক অভিনয় করা মোটেও উচিত হয়নি, আল্লাহ তাদের হেদায়েত দান করুন।

মো. সালাম নামে এক জন মন্তব্য করেছেন,‘ আমার মনে হয় পুরো পরিবারই মেন্টেল হয়ে গেছে।’

আরিফুল ইসলাম লিখেছেন.‘ভাইরাল হওয়ার নেশায় পাগল হয়ে গেছে।’

আমিনুল ইসলাম লিখেছেন,‘সোনারগাঁয়ের নাম্বার ওয়ান মেন্টাল পরিবার।’ 

রাশেদুল ইসলাম সাদ্দাম লিখেছেন.‘ আসলে তার কর্মই ছিল এরকম কোনভাবে সে হয়তো অবৈধভাবে সম্পত্তির মালিক হয়েছে, এরজন্য এ রকম করতেছে।’

এমন বহু মন্তব্য করেছেন নেটিজনরা। পাশাপাশি গরীবদের আত্ম সম্মানে আঘাত করা হয়েছে দাবি করে অনেকে তাদেরকে আইনের আওতায় আনতে বলেছেন। 


 


সোনারগাঁও দর্পণ           
                                                                                                                                                                                                                            স্থানীয়ভাবে প্রভাব বিস্তার করতে জুবাইর (১৬) নামে এক যুবককে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় পিরোজপুর ইউনিয়নের সাবেক মেম্বার মনির ও তার ছেলে বাবুর বিরুদ্ধে। আহত জুবাইর একই ইউনিয়নের পাঁচআনী গ্রামের শাহাজালালের ছেলে। বুধবার (৪জুন) বেলা ১১টা ৪৫ মিনিটের দিকে পাঁচআনী বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। রক্তাক্ত আহত জুবাইর বর্তমানে ঢাকা মেডেকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। 

জুবাইরের বাবা শাহজালাল জানান, তিনি একটি নেটওয়ার্ক সেবা প্রতিষ্ঠানে লাইনম্যানের কাজ করেন। ২০ থেকে ২২ দিন আগে তিনি ওয়াইফাই সংযোগ দেওয়ার সময় কোন কারণ ছাড়াই মনির মেম্বারের ছেলে বাবু তাকে মারধর করে। বিষয়টি তিনি মনির মেম্বারকে জানালে মেম্বার বিচারের আশ্বাস দেন। কিন্তু এতো দিনে কোন বিচার না করে উল্টো তার চার ছেলে বাবু, জুবরাজ, জাহিদ ও জুয়েল তাদের ক্যাডার বাহিনী নিয়ে বুধবার (৪জুন) দুপুরে তার ছেলে জুবাইরকে স্থানীয় মুছার ছেলে সোহাগ (২২) এর মাধ্যমে ফোনে ডেকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে আহত করে। 

শাহজালাল জানান, তার ছেলেকে মের ফেলবে বলে মনির মেম্বারের চার ছেলে বাবু, জুবরাজ, জাহিদ ও জুয়েল পরামর্শ করে। যা শাহজালালের ছেলে জুবাইরের এক বন্ধু (সঙ্গত কারলে নাম গোপন রাখা হলো) জেনে ফেলে। পরে তার ওই বন্ধু ফোনে জুবাইরকে বিষয়টি জানায় এবং মনির মেম্বারের ছেলেরা তাকে মারার জন্য খুঁজছে বলে জানায়। এ সময় স্থানীয় মুছার ছেলে ও বাবুর সহযোগি সোহাগ, জুবাইরকে ফোন করে পাঁচআনী শফিকুলের বাজার আসতে বলে। সোহাগের ফোন পেয়ে শফিকুলের বাজারে যাওয়ার পথেই মনির মেম্বারের ছেলে বাবু, জুবরাজ, জাহিদ ও জুয়েল তাদের অন্য সহযোগি রিয়াজ উদ্দিনের ছেলে আমির হোসেন (৪৫), মুছার ছেলে সোহাগসহ ৮/১০ জনের একটি সন্ত্রাসী দল দেশীয় ধারালো অস্ত্র নিয়ে জুবাইরের গতিরোধ করে। 

জুবাইর নিজের প্রাণ বাঁচাতে পাঁচআনী শফিকুলের বাজারের পাশে ব্রীজ দিয়ে দৌড়ে পালানোর সময় ব্রীজের শেষ মাথায় মনির মেম্বার জুবাইরের গতিরোধ করে। এ সময় পাশে থাকা সরু (চিকন) রাস্তায় ফেলে বাবু বাহিনী জুবাইরকে কুপিয়ে রক্তাক্ত আহত করে। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয়রা জানান, পিরোজপুর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের সাবেক মেম্বার ও পাঁচআনী এলাকার বাসিন্দা মনির মেম্বার বিভিন্ন সময় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের পা লেপন করে নিজের স্বার্থ হাসিল করে। 


বিগত দিনে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির নেতাদের তোষামদি করে নিজের স্বার্থ বাগিয়ে নেন। বর্তমান প্রেক্ষাপটে তিনি বিএনপির নেতাদের দৃষ্টিতে কাড়তে নিরীহ ব্যক্তিদের উপর নির্যাতন করে আসছে। যেন স্থানীয় এলাকায় প্রতিষ্ঠিত বিভিন্ন কোম্পানীতে মনির ও বাবু বাহিনী একচ্ছত্র আধিপত্য করতে পারে।

সূত্রটি আরও জানায়. মনির মেম্বারের ছেলে বাবু কয়েক মাস আগে দুধঘাটার শাহজাহান হত্যা মামলার প্রধান আসামী। এছাড়া স্থানীয় পাঁচআনী এলাকায় মাদক কারবারের প্রধান ডিলার বাবু। এছাড়া মনির মেম্বারের বিরুদ্ধেও চেক জালিয়াতিসহ কমপক্ষে ডজন খানেক মামলা চলমান। 

এ ব্যাপারে আহত জুবাইরের মা বিলকিস বাদি হয়ে বৃহস্পতিবার (৫ জুন) থানায় চার জনের নাম উল্লেখ করে এবং ৮/১০ জনকে অজ্ঞাত দেখিয়ে একটি লিখিত অভিযোগ করেন। 

অভিযুক্ত মনির মেম্বার জানান, শাহজালালের ছেলে জুবাইর তাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেওয়ায় তার ছেলেরা দুই একটি চর থাপ্পর দিয়েছে। কোপানোর মতো কোন ঘটনা ঘটেনি। জুবাইরের সাথে কোন বিষয়ে পূর্ব ঝগড়া বা ঝামেলা ছিল কি-না জানতে চাইলে মনির মেম্বার ‘না’ সূচক উত্তর দেন। 

কোন পূর্ব শত্রæতা না থাকলে জুবাইর কেন তাকে ধাক্কা দিবে এমন প্রশ্নের কোন উত্তর দেননি মনির মেম্বার। 

এ ব্যাপারে সোনারগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মফিজুল ইসলাম জানান, অভিযোগ তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 



সোনারগাঁও দর্পণ :

আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় সংসদ নির্বাচন না করলে, নির্বাচন নিয়ে কোন তালবাহানা করলে জনগণকে সাথে নিয়ে কঠোর প্রতিরোধের ঘোষণা দিয়েছেন কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্বাহী কমিটির অন্যতম সদস্য ও নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপি’র আহবায়ক অধ্যাপক মামুন মাহমুদ। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৪৪তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে সোমবার (০২জুন) দুপুরে সোনারগাঁও উপজেলা অডিটরিয়ামে সোনারগাঁও উপজেলা ও পৌর বিএনপি আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ ঘোষণা দেন।

মামুন মাহমুদ বলেন, চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে বর্তমান অন্তর্বতিকালীণ সরকারকে অবশ্যই জাতীয় সংসদ নির্বাচন দিতে হবে। আর নির্বাচন নিয়ে যদি কোন তালবাহানাকরা হয় তাহলে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারকে যেভাবে প্রতিহত করেছি. তাদেরকেও একইভাবে প্রতিহত করা হবে। 

জিয়াউর রহমানকে বিশে^র অন্যতম শ্রেষ্ঠ সৎ রাষ্ট্রনায়ক আখ্যায়িত করে মামুন মাহমুদ আরও বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের কারণেই বাংলদেশ স্বাধীনতা পেয়েছে। তার সঠিক দিক নির্দেশনায় ও সঠিক নেতৃত্বেই বাংলাদেশের প্রধান চালিকা শক্তি রেমিটেন্স এবং পোশাক শিল্পের সূচনা হয়েছিল। 

বিএনপি’র নির্বাহী কমিটির সদস্য ও উপজেলা বিএনপির সভাপতি আজহারুল ইসলাম মান্নানের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক মাসুকুল ইসলাম রাজিব, সোনারগাঁও উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোশারফ হোসেন, পৌর বিএনপির সভাপতি শাহজাহান মেম্বার, সাধারণ সম্পাদক মোতালেব মিয়াসহ অনেকে।



সোনারগাঁও দর্পণ :

সন্তান প্রসবের সময় জান্নাত (২৩) নামে নবজাতকসহ এক প্রসুতির মৃত্যু হয়েছে। রবিবার (১ জুন) সোনারগাঁও উপজেলার মোগরাপাড়া ইউনিয়নের ষোলপাড়া গ্রামের আবু তালেবের বাড়িতে মর্মান্তিক এ ঘটনাটি ঘটে। এ ঘটনায় নিহত জান্নতের পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় লিখিত অভিযোগ করে। পরে পুলিশ তদন্তে গেলে দীর্ঘ আলোচনা (রফাদফা)’র পর অভিযোগ প্রত্যাহার করা হয়। এ ঘটনায় স্থানীয় এলাকায় পুলিশের ভুমিকা নিয়ে জনমনে প্রশ্ন উঠেছে। 

বিশ^স্ত একটি সূত্র জানায়, নিহত জান্নাতের বোনের স্বামী থানায় লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করেন, কুমিল্লার মুরাদপুর উপজেলার আকবর আলীর মেয়ে হৃদয়ের সাথে ময়মনসিংহের বাসিন্দা হৃদয় মিয়ার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে জান্নাত তার শশুর-শাশুড়ির সাথে সোনারগাঁও উপজেলার মোগরাপাড়া ইউনিয়নের ষোলপাড়া গ্রামের আবু তালেবের বাড়িতে ভাড়ায় বসবাস করতেন। 

বিয়ের পর থেকে জান্নাতের পরিবারের কাছে যৌতুকের টাকা চাওয়া নিয়ে জান্নাতকে বিভিন্ন সময় নির্যাতন করতো হৃদয়ের পরিবারের লোকজন। এমন কি বিয়ের পর হৃদয়ের বিদেশ যাওয়ার সময় জান্নাতের পরিবারের কাছে আর্থিক সহায়তা চেয়ে না পাওয়ায় জান্নাতকে নির্যাতন করায় তার পরিবারের সাথে দ্ব›দ্বও হয়। সে সুবাদে জান্নাত গর্ভবতী হওয়ার পর তাকে পর্যাপ্ত খাবার না দেওয়াসহ বিভিন্ন দিক দিয়ে নির্যাতন করতো। 

এমনকি ছেলে পক্ষের টাকা বাঁচাতে জান্নাতের অবস্থা বেগতিক হওয়ার পরও বাড়িতে ধাত্রী নিয়ে স্বাভাবিক গর্ভপাতের চেষ্টা করে হৃদয়ের পরিবারের সদস্যরা। গর্ভপাতের সময় জান্নাতের নবজাতকে টেনে বের করার সময় হাত ও গলার একটি বিশেষ অংশ ছিড়ে রক্তক্ষরণে নবজাতকের মৃত্যু হয় এবং পরক্ষণে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে প্রসুতি জান্নাতও মৃত্যুর কোলে ঢেলে পড়ে।

অভিযোগে এ কথাও উল্লেখ করা হয়, জান্নাত তার শারীরিক পরিস্থিতির কথা বুঝতে পেরে শশুড় ও শাশুড়িকে অনুনয়-বিনয় করে জান্নাতকে হাসপাতাল নিতে বললেও নেয়নি। তবে, জান্নাতের মৃত্যুর পর তাকে স্থানীয় হাসপাতালে নেওয়া হয়। জান্নাতের শশুর বাড়ির সদস্যদের অবহেলার কারণেই জান্নাতের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।

এদিকে, থানায় লিখিত এমন অভিযোগে সোনারগাঁও থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) পঙ্কজ দুপুরে ঘটনাস্থলে যান। বিকাল ৫টা পর্যন্ত তিনি ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার না করে সমাধানের জন্য অজ্ঞাত কারণে উভয় পক্ষের সাথে ঘটনাটি সমাধানের জন্য বসেন। দীর্ঘ আলাপ শেষে বিকাল প্রায় ৫টার দিকে লাশ উদ্ধার না করে থানায় ফিরে যান। 

এ ব্যাপারে ঘটনাস্থলে যাওয়া পঙ্কজের সাথে মোবাইলে জানতে চাইলে ‘তিনি কাউকে তথ্য দিতে বাধ্য নন বলে জানান’। বিষয়টি থানার বড় বাবু (ওসি) দেখছেন বলেও জানান। 

নিহতের পক্ষ থেকে অভিযোগের কথা স্বীকার করে সোনারগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মফিজুল ইসলাম বলেন, গর্ভপাতের সময়ই তাদের মেয়ের মৃত্যু হয়েছে মেয়ে পক্ষ বুঝতে পেরে পুণরায় অভিযোগ তুলে নেয়। 


MKRdezign

Contact Form

Name

Email *

Message *

Powered by Blogger.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget