Halloween Costume ideas 2015
September 2022

 


সোনারগাঁও দর্পণ : 

১৯৪৭ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর। গোপালগঞ্জের মধুমতী নদী বিধৌত টুঙ্গিপাড়ায় বাংলাদেশের মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছার ঘর আলো করে জন্ম নিলেন এক ছোট মেয়ে। সেই ছোট মেয়ে আজ বাংলার অভিভাবক। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। 

আজ ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২২ ইং। ৭৬ বছরে পা রাখলেন তিনি। দীর্ঘ এ সময়ের মধ্যে ৩১ বছরের সরাসরি রাজনৈতিক জীবনের সবটুক দিয়ে হয়ে ওঠেন বাঙালির আশা-আকাঙ্খার একমাত্র বিশ্বস্ত ঠিকানা, বাঙালির স্বপ্নসারথি, উন্নয়নের রূপকার। আজ তার ৭৬তম জন্মদিনে ‘সোনারগাও দর্পণ’ এর পক্ষ থেকে আন্তরিক অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা। শুভ জন্মদিন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী।

দেশের মানুষের কল্যাণ ও উন্নতিই তাঁর একমাত্র রাজনৈতিক ধ্যানজ্ঞান। ১৯৮১ সালের ১৭ মে দেশে আসার পর থেকে এ পর্যন্ত স্বাধীনতা বিরোধী স্বার্থান্বেসী মহল ১৯ বার তাঁকে হত্যার চেষ্টা করে। 

তিনি প্রায় অনুষ্ঠানেই বলেন, আমাকে দ্বারা আল্লাহ দেশের ভালো কিছু করার জন্যেই মনে হয় আমি ১৯ বার নিশ্চিত মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা করেন আল্লাহ। মৃত্যুভয়কে পায়ে দলিয়ে ক্লান্তিহীন পরিশ্রমই প্রমাণ করে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার একমাত্র সফল অধিনায়ক তিনি। 

দাদা শেখ লুৎফর রহমান ও দাদি সাহেরা খাতুনের অতি আদরের নাতনি শেখ হাসিনার শৈশব-কৈশোর কেটেছে টুঙ্গিপাড়ায়। শেখ কামাল, শেখ জামাল, শেখ রেহানা, শেখ রাসেলসহ তাঁরা পাঁচ ভাই-বোন। বর্তমানে শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা ছাড়া কেউই জীবিত নন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের কালরাতে পিতা বঙ্গবন্ধু, মাতা ফজিলাতুন নেছাসহ সবাই ঘাতকদের নির্মম বুলেটে নিহত হন।

শেখ হাসিনার শিক্ষাজীবন শুরু হয়েছিল টুঙ্গিপাড়ার এক পাঠশালায়। ১৯৫৪ সালের নির্বাচনে বঙ্গবন্ধু প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য হয়ে পরিবার ঢাকায় নিয়ে আসেন। শেখ হাসিনাকে ঢাকা শহরের টিকাটুলী নারী শিক্ষা মন্দিরে ভর্তি করা হয়। তিনি ১৯৬৫ সালে আজিমপুর বালিকা বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক, ’৬৭ সালে ইন্টারমিডিয়েট গার্লস কলেজ (বর্তমান বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা মহাবিদ্যালয়) থেকে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় পাস করেন। ওই বছরই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে অনার্সে ভর্তি হন এবং ১৯৭৩ সালে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন। শেখ হাসিনা ইন্টারমিডিয়েট গার্লস কলেজে পড়ার সময় ছাত্র সংসদের ভিপি (সহ-সভাপতি) নির্বাচিত হন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সদস্য এবং রোকেয়া হল শাখার সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। ছাত্রলীগের নেত্রী হিসেবে আইয়ুববিরোধী ও ছয় দফা আন্দোলনে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন। বঙ্গবন্ধুর আগ্রহে ১৯৬৮ সালে বিশিষ্ট পরমাণু বিজ্ঞানী ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়ার সঙ্গে শেখ হাসিনার বিয়ে হয়। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে বঙ্গবন্ধুকে গ্রেফতার করে পাকিস্তানের করাচিতে নিয়ে যাওয়ার পর গোটা পরিবারকে ঢাকায় ভিন্ন এক বাড়িতে গৃহবন্দি করে রাখা হয়। বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ১৯৭১ সালের ২৭ জুলাই শেখ হাসিনা গৃহবন্দি অবস্থায় প্রথম সন্তান সজীব ওয়াজেদ জয়ের মা হন। ১৯৭২ সালের ৯ ডিসেম্বর কন্যাসন্তান সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের জন্ম হয়। 

১৯৭৫ সালের পট পরিবর্তনের পর দীর্ঘ ছয় বছর নির্বাসিত জীবন শেষে ১৯৮১ সালের ১৭ মে দেশে ফিরে আওয়ামী লীগের দুঃসময়ে দলীয় প্রধানের দায়িত্ব নেন শেখ হাসিনা। এর আগে ১৯৮১ সালে আওয়ামী লীগের কাউন্সিলে শেখ হাসিনার অনুপস্থিতিতে তাঁকে সর্বসম্মতিক্রমে দলের সভানেত্রী নির্বাচিত করা হয়। টানা চার দশক দেশের এই প্রধান রাজনৈতিক দলের নেতৃত্ব দিয়ে রাজনীতির মূল ¯্রােতধারার প্রধান নেতা হিসেবে তিনি নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন। খন্ড খন্ড দলকে একত্রিত করে এশিয়া মহাদেশের অন্যতম রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করেছেন আওয়ামী লীগকে।

আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা চারবার প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন। ১৯৯৬ সালের ২৩ জুন প্রথমবারের মতো তিনি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন। এরপর ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর নবম সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে মহাজোট বিজয়ের পর ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি দ্বিতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রীর শপথ নেন। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি দশম সংসদ নির্বাচনে আবারও নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করলে একই বছরের ১২ জানুয়ারি টানা দ্বিতীয় ও মোট তৃতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন বঙ্গবন্ধুকন্যা। সর্বশেষ ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিপুল বিজয়ে ২০১৯ সালের ৭ জানুয়ারি চতুর্থবারের মতো প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন শেখ হাসিনা। এ ছাড়া জাতীয় সংসদে বিরোধীদলীয় নেতা হিসেবে ১৯৮৬, ১৯৯১ ও ২০০১ সালে দায়িত্ব পালন করেন। 

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মেধা-মনন, সততা, নিষ্ঠা, যোগ্যতা, প্রজ্ঞা, দক্ষতা, সৃজনশীলতা, উদারমুক্ত গণতান্ত্রিক দৃষ্টিভঙ্গি ও দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ স্বল্পোন্নত থেকে উন্নয়নশীল রাষ্ট্রে উন্নীত হয়েছে। মহামারি করোনার প্রভাবে গোটা বিশ্বের অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়লেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সময়োচিত পদক্ষেপের ফলে সরকার করোনার প্রভাব মোকাবিলা করে অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছে। 

রাশিয়া-ইউক্রেন সংকট ও এর ফলে বিশ্বব্যাপী মূল্যস্ফীতির ঊর্ধ্বগতি সারা বিশ্বকে নতুন চ্যালেঞ্জের মুখে ঠেলে দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর গতিশীল নেতৃত্ব ও সঠিক সিদ্ধান্তের ফলে বাংলাদেশ এ বৈশ্বিক সংকটও সাফল্যের সঙ্গে মোকাবিলা করে যাচ্ছে। 

বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় এসেছিলেন বলেই বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার চূড়ান্ত নিষ্পত্তি, একাত্তরের ঘাতক যুদ্ধাপরাধীদের বিচারকার্য সম্পন্ন, সংবিধান সংশোধনের মধ্য দিয়ে মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা পুনঃপ্রতিষ্ঠা, ভারত ও মিয়ানমারের সঙ্গে সমুদ্রসীমা বিরোধ নিষ্পত্তি ও সমুদ্রবক্ষে বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে বøু-ইকোনমির নতুন দিগন্ত উন্মোচন, ভারতের সাথে সীমান্ত চুক্তি বাস্তবায়ন ও ছিটমহল বিনিময়, বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইট সফল উৎক্ষেপণের মধ্য দিয়ে মহাকাশ জয়, সাবমেরিন যুগে বাংলাদেশের প্রবেশ, নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ, মেট্রোরেল, পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন, কর্ণফুলী টানেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, নতুন নতুন উড়ালসড়ক, মহাসড়কগুলো ফোর লেনে উন্নীতকরণ, এলএনজি টার্মিনাল স্থাপন, খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন, মাথাপিছু আয় ২ হাজার ৮২৪ মার্কিন ডলারে উন্নীত, দারিদ্র্যের হার হ্রাস, মানুষের গড় আয়ু প্রায় ৭৪ বছর চার মাসে উন্নীত, যুগোপযোগী শিক্ষানীতি প্রণয়ন, সাক্ষরতার হার ৭৫ দশমিক ৬০ শতাংশে উন্নীত, বছরের প্রথম দিন প্রাথমিক থেকে মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত সব শিক্ষার্থীর হাতে বিনামূল্যে নতুন বই পৌঁছে দেওয়া, মাদরাসা শিক্ষাকে মূলধারার শিক্ষার সঙ্গে সম্পৃক্ত করা ও স্বীকৃতি দান, মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন, প্রতিটি জেলায় একটি করে সরকারি/বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের উদ্যোগ, নারীনীতি প্রণয়ন, ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণ, ফাইভ-জি মোবাইল প্রযুক্তির ব্যবহার চালুসহ অসংখ্য ক্ষেত্রে কালোত্তীর্ণ সাফল্য অর্জন করেছে বাংলাদেশ।

২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে জ্ঞানভিত্তিক উন্নত রাষ্ট্র হিসেবে গেড়ে তোলার প্রত্যয় নিয়ে উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণে জননেত্রী শেখ হাসিনা ‘প্রেক্ষিত পরিকল্পনা তথা রূপকল্প-২০৪১’ ঘোষণা করেছেন এবং তা বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছে তাঁর নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকার। 

এ ছাড়া আগামী প্রজন্মের জন্য একটি উন্নত-সমৃদ্ধ, শান্তিপূর্ণ, কল্যাণকর ও নিরাপদ বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি জলবায়ুসহিষ্ণু বদ্বীপ গড়ে তোলার লক্ষ্যে ‘ডেল্টা প্ল্যান-২১০০’ ইতোমধ্যে ঘোষণা করা হয়েছে।

সম্প্রতি জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৭তম অধিবেশনে একজন সফল রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে শেখ হাসিনা বিশ্ব নেতৃবৃন্দের সামনে দুর্যোগের সংকটপূর্ণ সময়ে সমাধানের সূত্র তুলে ধরেন। যুদ্ধ, অস্ত্রের প্রতিযোগিতা, ক্ষমতার প্রভাব ও স্বার্থগত সংঘাতকে বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠা ও মানবমুক্তির প্রধান অন্তরায় হিসেবে চিহ্নিত করে তিনি জবরদস্তিমূলক অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা-পাল্টা নিষেধাজ্ঞার মতো বৈরীপন্থা পরিহার করে পারস্পরিক আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সংকট ও বিরোধ নিষ্পত্তির মধ্য দিয়ে শান্তিপূর্ণ ও টেকসই পৃথিবী গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন।

এক বর্ণাঢ্য সংগ্রামমুখর জীবন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। সাফল্য গাথা এ কর্মময় জীবন কুসমাস্তীর্ণ ছিল না, ছিল কণ্টকাকীর্ণ। মুক্তিযুদ্ধের নয় মাস তিনি গৃহবন্দি থেকেছেন। সামরিক স্বৈরশাসনামলেও বেশ কয়েকবার তাঁকে কারানির্যাতন ভোগ ও গৃহবন্দি থাকতে হয়েছে। বারবার তাঁর জীবনের ওপর ঝুঁকি এসেছে। অন্তত ১৯ বার তাঁকে হত্যার অপচেষ্টা করা হয়েছে। জীবনের ঝুঁকি নিয়েও তিনি অসীম সাহসে তাঁর লক্ষ্য অর্জনে থেকেছেন অবিচল। পোশাকে-আশাকে, জীবনযাত্রায় কোথাও কোনো প্রকার বিলাসিতা বা কৃত্রিমতার ছাপ নেই। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি অত্যন্ত নিষ্ঠাবান ও ধার্মিক। নিয়মিত ফজরের নামাজ ও কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে তাঁর দিনের সূচনা ঘটে। 



সোনারগাঁও দর্পণ : 

১৯৪৭ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর। গোপালগঞ্জের মধুমতী নদী বিধৌত টুঙ্গিপাড়ায় বাংলাদেশের মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছার ঘর আলো করে জন্ম নিলেন এক ছোট মেয়ে। সেই ছোট মেয়ে আজ বাংলার অভিভাবক। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। 

আজ ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২২ ইং। ৭৬ বছরে পা রাখলেন তিনি। দীর্ঘ এ সময়ের মধ্যে ৩১ বছরের সরাসরি রাজনৈতিক জীবনের সবটুক দিয়ে হয়ে ওঠেন বাঙালির আশা-আকাঙ্খার একমাত্র বিশ্বস্ত ঠিকানা, বাঙালির স্বপ্নসারথি, উন্নয়নের রূপকার। আজ তার ৭৬তম জন্মদিনে ‘সোনারগাও দর্পণ’ এর পক্ষ থেকে আন্তরিক অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা। শুভ জন্মদিন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী।



সোনারগাঁও দর্পণ :

অবৈধ প্রেমিকের সাথে পরকীয়া সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতেই স্বামীকে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে বলে আদালতে শাহিনুরের স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি দিয়েছে হত্যার শিকার দলিল লেখক মোশারফ হোসেনের স্ত্রী শাহিনুর আক্তার। সোমবার সকালে সোনারগাঁও থানা পুলিশ অভিযুক্ত আটক শাহীনুরকে জেলা ও জজ দায়রা আদালতে হাজির করলে আদালতের কাছে অভিযুক্ত শাহিনুর এ স্বীকারোক্তি দেয়। 

আদালতের কাছে শাহীনুর জানায়, পরকীয়ায় বাঁধা হওয়ায় নিজ স্বামীকে শনিবার দিন রাতে প্রথমে বৈদ্যুতিক শক দিয়ে অচেতন করার পর বাথরুমে থাকা বালতির পানিতে চুবিয়ে হত্যা করে। পরে হত্যাকাÐকে ডাকাতের হাতে মৃত্যু হয়েছে প্রচারের চেষ্টা করে। 

এরআগে, সোনারগাঁও উপজেলার কাচঁপুর ইউনিয়নের খালপাড় চেঙ্গাইন এলাকার মৃত আব্দুল কাদির ভূইয়ার ছেলে মোশাররফ ভূইয়া (৪৫)’র স্ত্রী শাহীনুর সকালে ওই এলাকার লোকজনকে জানায় গতকাল শনিবার রাতে ৪/৫ জনের এক দল সশস্ত্র ডাকাত জোরপূর্বক তাদের ঘরে ঢুকে অস্ত্রের মুখে মকলকে জিম্মি করে। পরে মোশারফকে বাথরুমে নিয়ে পিটিয়ে আহত করে চলে যায়। পরবর্তীতে ডাকাতরা চলে গেলে বাড়ীর অন্যান্য সদস্যদের সহায়তায় স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

পরে বিষয়টি এলাকাবাসীর সন্দেহ হলে পুলিশকে খবর দেয় তারা। পুলিশ ঘটনাস্থলে ডাকাতির কোন আলামত না পাওয়ায় প্রথমে সন্দেহজনক ভাবে স্ত্রী ও মেয়েকে আটক করে। 



সোনারগাঁও দর্পণ :

নিচ্ছিদ্র নিরাপত্তা কাজে সহায়তার জন্যে আসন্ন শারদীয় দূর্গাপূজার পূজামন্ডপ এলাকা সিসিটিভি ক্যামেরার আওতায় আনতে বিশেষ অনুরোধ করেছেন সোনারগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাফিজুর রহমান। রবিবার বিকাল ৪টার দিকে এ সংক্রান্ত ২ মিনিট ৪১ সেকেন্ডের একটি ভিডিও ক্লিপ সোনারগাঁও থানার ফেসবুক পেজে পোস্ট করে এমন আহ্বান করেন। 

এছাড়া পূজা কমিটির সদস্য ও পরিচালনাকারী সদস্যদের প্রতি ওই ভিডিও ক্লিপে তিনি আরও বলেন, সম্ভব হলে পূজামন্ডপে প্রবেশের পথে আর্থওয়ে মেটাল ডিটেকটিভ মেশিন বসানোর পাশাপাশি পূজাকমিটির আওতায় নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবী গঠনেরও অনুরোধ করেন। যারা ২৪ ঘন্টা দায়িত্ব পালন করবে। 

তিনি বলেন, বিজয়া দশমীর দিন পুকুর, খাল বা নদী অর্থাৎ বিসর্জন স্থান ও আশেপাশে প্রচুর সংখ্যক স্বেচ্ছাসেবী রাখার অনুরোধের সাথে পুলিশকে আগে থাকতেই সময় বলে দিতে বলেন। 

তাছাড়া, সম্পৃতি রক্ষার্থে মসজিদে আজান ও নামাজের সময় পূজামন্ডপে কোন ধরণের গান, বাঁজনা, নাচ বা উচ্চস্বরে কোন শব্দ যা নামাজ আদায়ে ব্যাঘাত সৃষ্টি করবে সে ধরণের কোন কাজ না করারও অনুরোধ করেন ওসি হাফিজুর রহমান। 

ওই ভিডিও ক্লিপসের মাধ্যমে পূজামন্ডপের নিরাপত্তার স্বার্থে বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উপস্থিত থাকবে জানিয়ে সাম্প্রদায়িক সম্পৃতি রক্ষায় সকলকে সহযোগিতা করারও অনুরোধ করেন ওসি হাফিজুর রহমান। 



সোনারগাঁও দর্প
নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও উপজেলার নোয়াগাঁও,সাদিপুর ও জামপুরে সদস্য সংগ্রহ এবং সকল সদস্যদের মধ্যে থেকে ইউনিয়ন কমিটি গঠণ উপলক্ষে কর্মী সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

বৃহস্পতিবার বেলা ১১ টায় নোয়াগাঁও এবং বিকাল ৪ টায় সাদিপুর ইউনিয়নে এসব কর্মী সভা অনুষ্ঠিত হয়। 

সোনারগাঁও উপজেলা  স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নেকবর হোসেন নাহিদের সঞ্চালনায়  ও নোয়াগাঁও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল বাতেনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি  ছিলেন,  বাংলাদেশ  সেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি ও কার্যনির্বাহী সংসদ  কাজী মোয়াজ্জেম হোসেন, বিশেষ অতিথি  উপস্থিত ছিলেন  বাংলাদেশ  সেচ্ছাসেবক লীগের জনশক্তি ও কর্মসংস্থান বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট ইকবাল হোসেন ও সদস্য বাংলাদেশ  সেচ্ছাসেবক লীগের  মোঃ জাকির হোসেন, বাংলাদেশ  সেচ্ছাসেবক লীগের এডভোকেট সাইদুর রহমান, নোয়াগাঁও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল্লা সরকার, জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান মাসুম,সাবেক নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সোহাগ রনি, উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক ও উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি প্রার্থী আসিফ আহমেদ আনিস সহ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন। 

প্রত্যেকটি ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের আয়োজনে প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে বিজয়ী করতে এবং সাংগঠনিকভাবে দলকে তৃণমূল পর্যায় থেকে শক্তিশালী করতে সকল ভেদাবেদ ভুলে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানান। এদিকে সন্ধ্যা ৭ টায় জামপুর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের আয়োজনে ইউনিয়ন ওয়ার্ড পর্যায়ে কর্মী সভা হবে বলে জানা গেছে।


সোনারগাঁও দর্পণ :

হবিগঞ্জের বানিয়াচং-এ রাজীব নূরসহ চারজন সাংবাদিকের ওপর হামলার প্রতিবাদে ও বিশ্ব ভ‚-পর্যটক রামনাথ বিশ্বাসের বাড়ি পুনরুদ্ধারের দাবিতে নারায়ণগঞ্জে মানববন্ধন করেছে সোনারগাঁও প্রেস ক্লাব। শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার উদ্ববগঞ্জ এলাকায় অবস্থিত সোনারগাঁওয়ের সাংবাদিকদের মুল সংগঠন সোনারগাঁও প্রেস ক্লাব’র কার্যালয়ের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধন থেকে রামনাথ বিশ্বাসের হবিগঞ্জের বাড়ি দখলমুক্ত ও সাংবাদিকদের উপর হামলাকারীদের আইনের আওতায় এনে শাস্তির দাবি জানানো হয়।

সোনারগাঁও প্রেস ক্লাব’র উদ্যোগে আয়োজিত মানববন্ধনে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ অংশ নেন। এ সময় রামনাথ বিশ্বাসের বাড়িটি উদ্ধার করে সেটি জাদুঘর হিসেবে সংরক্ষণেরও দাবি জানান বক্তারা।

মানববন্ধন শেষে হবিগঞ্জে সাংবাদিকদের ওপর বিচারসহ সকল সাংবাদিক নির্যাতনের বিচার দাবি এবং সাংবাদিকদের নিরাপত্তার দাবি একটি বিক্ষোভ মিছিল উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে উপজেলা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গিয়ে শেষ হয়। মানববন্ধন ও বিক্ষোভ অনুষ্ঠানে সোনারগাঁও প্রেস ক্লাব’র অর্থ সম্পাদক মিজানুর রহমানের সঞ্চালনায় এবং সভাপতি ও দৈনিক যুগান্তরের সাব-এডটর এমএম সালাউদ্দিনের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন সাধারণ সম্পাদক আবু বকর সিদ্দিক, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক রবিউল হুসাইন, বাসদের সোনারগাঁও উপজেলার সমন্বয়ক বেলায়েত হোসেন, নারায়ণগঞ্জ জেলা  কমিউনিষ্ট পার্টির সদস্য আব্দুস সালাম বাবুল ও সোনারগাঁও উদীচী শিল্পী গোষ্ঠির সভাপতি শংকর প্রকাশ।

উপস্থিত ছিলেন, সোনারগাঁও প্রেস ক্লাব’র উপদেষ্টা সাইফুল আলম রিপন, সাবেক আহ্বায়ক মাসুদ শায়ান, সোনারগাঁও সাহিত্য নিকেতন’র সভাপতি কবি মজিবুর রহমান মুজিব, সোনারগাঁও প্রেস ক্লাবের সহ- সভাপতি মোক্তার হোসেন মোল্লা, সহ-সভাপতি ফজলে রাব্বী সোহেল, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক খায়রুল আলম খোকন, দপ্তর সম্পাদক আনোয়ার হোসেন, ক্রীড়া সম্পাদক মাসুম মাহমুদ, নির্বাহী সদস্য মনির হোসেন, সদস্য মাহবুবুর রহমান, আনিছুর রহমান, সাংবাদিক মোকাররম মামুন, গিয়াস কামাল, সেলিম রেজা, নজরুল ইসলাম শুভ প্রমূখ।

এরআগে, গত রোববার দুপুরে সিলেটের হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলার ২ নম্বর ইউনিয়নে রামনাথ বিশ্বাসের বাড়ির সামনে হামলার শিকার হন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের স্পেশাল অ্যাসাইনমেন্ট এডিটর রাজীব নূর, বানিয়াচং প্রেস ক্লাবের সভাপতি ও দৈনিক কালের কণ্ঠ পত্রিকার বানিয়াচং প্রতিনিধি মোশাহেদ মিয়া, হবিগঞ্জ সমাচার পত্রিকার বানিয়াচং প্রতিনিধি তৌহিদ এবং দেশসেবা পত্রিকার বানিয়াচং প্রতিনিধি আলমগীর রেজা।



সোনারগাঁও দর্পণ :

সোনারগাঁওয়ে প্রায় ৫ হাজার অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেছে তিতাস কর্তৃপক্ষ। মঙ্গলবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত উপজেলার বৈদ্যেরবাজার ইউনিয়নের চান্দেরকীর্তি এলাকায় ভ্যেকু দিয়ে সড়কের পাশে মাটির নিচ থেকে সঞ্চালন গ্যাসের এসকল অবৈধ পাইপ ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে অভিযান চালিয়ে বিচ্ছিন্ন করা হয়। এ সময় ওই এলাকার অবৈধ গ্যাস সংযোগ কাজে ব্যবহৃত বিপুল পরিমাণ অবৈধ পাইপ ও রাইজার উদ্ধার করে জব্দ করা।

ভ্রাম্যমান আদালতের বিচারক ও সোনারগাঁও উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মো: ইব্রাহীম বলেন, বৈধ গ্রাহকরদের সঠিকভাবে গ্যাস পেতেই তিতাসের এ উদ্যোগ। সকল অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার আগ পর্যন্ত এ অভিযান অব্যাহত থাকবে। 



সোনারগাঁও দর্পণ :

হবিগঞ্জের বানিয়াচং-এ রাজীব নূরসহ চারজন সাংবাদিকের ওপর হামলার প্রতিবাদে ও বিশ্ব পর্যটক রামনাথ বিশ্বাসের বাড়ি পুনরুদ্ধারের দাবিতে নারায়ণগঞ্জে মানববন্ধন হয়েছে। মঙ্গলবার বিকেল পাঁচটার দিকে নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধন থেকে রামনাথ বিশ্বাসের হবিগঞ্জের বাড়ি দখলমুক্ত ও সাংবাদিকদের উপর হামলাকারীদের আইনের আওতায় এনে শাস্তির দাবি জানানো হয়।

সূবর্ণগ্রাম সংস্কৃতি অঙ্গনের উদ্যোগে আয়োজিত মানববন্ধনে জেলার সামাজিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ অংশ নেন। এ সময় রামনাথ বিশ্বাসের বাড়িটি উদ্ধার করে সেটি জাদুঘর হিসেবে সংরক্ষণেরও দাবি জানান বক্তারা।

এরআগে, গত রোববার দুপুরে সিলেটের হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলার ২ নম্বর ইউনিয়নে রামনাথ বিশ্বাসের বাড়ির সামনে হামলার শিকার হন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের স্পেশাল অ্যাসাইনমেন্ট এডিটর রাজীব নূর, বানিয়াচং প্রেস ক্লাবের সভাপতি ও দৈনিক কালের কণ্ঠ পত্রিকার বানিয়াচং প্রতিনিধি মোশাহেদ মিয়া, হবিগঞ্জ সমাচার পত্রিকার বানিয়াচং প্রতিনিধি তৌহিদ এবং দেশসেবা পত্রিকার বানিয়াচং প্রতিনিধি আলমগীর রেজা।

সুবর্ণগ্রাম সংস্কৃতি অঙ্গনের সভাপতি কবি শাহেদ কায়েসের সভাপতিত্বে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব শিল্পী রফিউর রাব্বি, নারায়ণগঞ্জ সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি ভবানী শংকর রায়, বাংলাদেশ ট্রাভেল রাইটার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি বিষ পর্যটক ও লেখক আশরাফুজ্জামান উজ্জ্বল, সাংবাদিক ও লেখক শরীফ উদ্দিন সবুজ, বাসদের জেলা সভাপতি নিখিল দাস, গণসংহতি আন্দোলনের সমন্বয়কারী তরিকুল সুজনসহ অনেকে। 



সোনারগাঁও দর্পণ :

হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলায় ভূ-পর্যটক রামনাথ বিশ্বাসের বাড়িতে বেড়াতে যাওয়া পর্যটক রাজিবনূরসহ ৪ সাংবাদিকের ওপর হামলাকারীদের মধ্যে ওয়ালিদ (২৭) নামে এক সন্ত্রাসীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সোমবার বিকেল ৪টার দিকে উপজেলার চাঁনপাড়া এলাকায় শ্বশুরবাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার হওয়া ওয়ালিদ চাঁনপাড়ার ভূ-পর্যটক রামনাথ বিশ্বাসের বাড়ির ‘দখলদার’ আব্দুল ওয়াহেদের ছেলে।

এরআগে, রোববার দুপুরের পর সাইকেলে বিশ্বভ্রমণকারী ও ভ্রমণকাহিনী লেখক বানিয়াচং উপজেলার ২ নম্বর ইউনিয়নে রামনাথ বিশ্বাসের বাড়ি দখলের খবর সংগ্রহ করতে যান। সেখানে হামলার শিকারদের মধ্যে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের স্পেশাল অ্যাসাইনমেন্ট এডিটর রাজীব নূর, বানিয়াচং প্রেস ক্লাবের সভাপতি ও দৈনিক কালের কণ্ঠ’র বানিয়াচং প্রতিনিধি মোশাহেদ, হবিগঞ্জ সমাচার পত্রিকার বানিয়াচং প্রতিনিধি তৌহিদ এবং দেশসেবা পত্রিকার বানিয়াচং প্রতিনিধি আলমগীর রেজা অবৈধ দখলদারদের হামলার শিকার হোন।

পরে এ ঘটনায় রোববার রাতেই সাংবাদিক তৌহিদ মিয়া বাদী হয়ে ‘দখলদার’ আব্দুল ওয়াহেদ, তার ছেলে ওয়ায়েছ, ওয়ালিদ ও ওয়াসিফের বিরুদ্ধে বানিয়াচং থানায় মামলা করেন।



সোনারগাঁও দর্পণ :

সোনারগাঁও উপজেলার ব্যবসায়ী কাওসার হত্যা মামলায় অভিযুক্ত প্রধান আসামী গোলজারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) কুমিল্লা’র সদস্যরা। সোমবার বিকালে উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়নের মঙ্গলের গাঁও এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

এরআগে, চলতি বছরের ১৩ ফেব্রুয়ারী (রেবাবার) সকালে কুমিল্লার ইলয়টগঞ্জে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে কাউসারের লাশ পায় পুলিশ। কাওসারের মৃত্যু নিয়ে পুলিশ এবং পরিবারের সদস্যদের বক্তব্য পৃথক ছিল। পুলিশের দাবি, কাওসার মটর সাইকেল দুর্ঘটনায় মারা গেছে। আর তার পরিবার ও লাশ গোসল করা ব্যক্তিদের দাবি, কাওসারকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। কারণ হিসেবে তারা জানান, প্রথমত মটরসাইকেলে সড়ক দুর্ঘটনা হলে স্বাভাবকিভাবে যে পরিস্থিতি হয় তার কিছুই মটরসাইকেল ও মরদেহ উদ্ধারের সময় উপস্থিত ছিলনা। এছাড়া, মৃতের শরীরের অন্ডকোষ ছিল থেতলানো আর ডান কানের লতির নিচের দিকে কিছু দিয়ে ছিদ্র করা ছিল। পরে গোলজার নিহতের পরিবারের সাথে দেখা করে দাবি করেছে, পুলিশের রাইফেলের বাটের আঁঘাতে মৃত্যু হয় কাওসারের। যদিও পরে অজ্ঞাত কারণে সে কথা থেকে সরে আসে গোলজার।

উল্লেখ্য, চলতি বছরের ১২ ফেব্রæয়ারী গরু কিনতে (পরিবারের সদস্যদের ভাষায়) উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়নের পাঁচআনী গ্রামের তাইজউদ্দিনের ছেলে গোলজারের সাথে তার বন্ধু মোগরাপাড়া ইউনিয়নের আবু জাফরের ছেলে কাওসার মটরসাইকেলে করে কুমিল্লায় যান। পরে তারা সময়মতো না আসায় পরিবারের লোকজন খোজ করলে ১৩ ফেব্রুয়ারী সকালে কুমিল্লার ইলয়টগঞ্জে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে কাউসারের লাশ পায় পুলিশ বলে জানতে পারে। ঘটনার পর থেকে কাউসারের বন্ধু গোলজার লাপাত্তা ছিল। তখন পুলিশ জানায়, গোলজারের ব্যবহৃত মোবাইল সেটটি কাউসারের প্যান্টের পকেট থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। পাশাপাশি মরদেহের সাথে সামনে পুলিশ লেখা একটি মটরসাইকেলও সম্পূর্ণ অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। যে মটরসাইকেলটি কাউসারের বন্ধু গোলজারের মেয়ে স্বামীর বলে জানায় নিহতের পরিবারের সদস্য ও পাঁচআনী গ্রামের স্থানীয়রা। কাওসারের ছোট ভাই মাহবুব জানায়, বাড়ি থেকে বের হওয়ার সময় কাওসার গরু কেনার জন্যে একলাখ টাকা নিয়ে বের হয়। পরে আইনি আনুষ্ঠানিকতা শেষে লাশ দাফনের জন্যে আনলে কাওসারের অন্ডকোষ থেতলানো এবং ডান কানের লতির নিচে ছিদ্র দেখতে পান পরিবারের সদস্য ও মরদেহ গোসল করানো ব্যক্তিরা। পরে তার ছোট ভাই মাহবুব বাদি হয়ে গোলজারকে প্রধান আসামী করে এবং ৬/৭ জনকে অজ্ঞাত দেখিয়ে একটি হত্যা মামলা করেন।


সোনারগাঁও দর্পণঃ

বর্তমান সরকারের ১৩ বরছরের বেশি শাসনামলে সারের দাম ১ টাকা ও বাড়ায়নি সরকার এর তথ্য  জানিয়ে কৃষি মন্ত্রী আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ডা. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন ২০০৮ সালে এ দেশের কৃষক বি এনপি জোট সরকারের কাছে কম মূল্যে সার চেয়ে উপহার হিসেবে বুলেট পেয়েছিলো আর বি এনপি কে সেই বুলেটের জবাব ভোটের মাধ্যমে দিয়ে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় এনে জবাব দিয়েছিলো।

শনিবার সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত চলা নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব  কথা বলেন তিনি।

নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাই এর সভাপতিত্তে এবং সোনারগাঁও উপজেলা আওয়ামী লীগের আহবায়ক কমিটির প্রথম যুগ্ম আহবায়ক ও সাবেক সাংসদ আব্দুল্লাহ আল কায়সার ও ২য় যুগ্ম আহয়বায়ক মাসুদুর রহমান মাসুমের সঞ্চালনায় বিশেষ অথিতি ছিলেন, আওয়ামী লীগের সাংঘঠনিক সম্পাদক ও ঢাকা বিভাগের আওয়ামী লীগের দ্বয়িত্ব প্রাপ্ত সাবেক বস্ত্র ও পাঠ মন্ত্রী মির্জা আজম,  সাবেক খাদ্য মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এডভোকেট কামরুল ইসলাম,আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ও প্রধান মন্ত্রীর বিশেষ সহকারি ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, আওয়ামী লীগের মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস, আঈন বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট নজিবুল্লাহ বিরু, কার্যনির্বাহী সদস্য এডভোকেট সাঞ্জিদা খানম, নারায়ণগঞ্জ ৪ আসনের সদস্য এ কে এম শামীম ওসমান, উপমন্ত্রী পদমর্যাদা প্রাপ্ত নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পারেশনের মেয়র ডা. সেলিনা হায়ৎ আইভিসহ অনেকেই উপস্তিত ছিলেন।

 

এ সময়, দীর্ঘ ২৫ বছর পর সোনারগাঁও উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন হলেও স্থানীয় নেতাকর্মীদের সরব উপস্তিতি, উৎসাহ আর  উদ্দীপনা দেখে অভিভুত হয়ে ২৫ বছর আগে সোনারগাঁও উপজেলা আওয়ামী লীগের  প্রয়াত সভাপতি আবুল হাসনাত এর সাথে রাজনৌতিক ও ব্যাক্তিগত স্মৃতিচারণ করে প্রধান অথিতি আরো বলেন, প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের ও মানুষের কল্যানের জন্য রাজনীতি করেন। সোনারগাঁও আওয়ামী লীগের যে কমিটি করতে যাদেরকে যোগ্য মনে করেছেন তাদেরকেই কমিটিতে স্থান দিয়েছেন। তাই এই কমিটি আগামী নির্বাচনই নয় আওয়ামী লীগ তথা শেখ হাসিনার হাতকে  শক্তিশালী করতে সকল দ্বিধাদন্ধ ভুলে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবেন বলেও প্রত্যাশা করেন। পরে এডভোকেট সামছুল ইসলাম ভূইয়াকে সভাপতি, মাসুদুর রহমান মাসুমকে সহ-সভাপতি এবং আব্দুলাহ আল কায়সারকে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে ঘোষনা করেন।




সোনারগাঁও দর্পণ :

সোনারগাঁও আওয়ামী লীগ থেকে মাহফুজুর রহমান কালামকে মাইনাস করা বোঁধ হয় আর হলো না ! অবশেষে স্বরূপেই ফিরছেন মাহফুজুর রহমান কালাম ! এমনই আভাস দিয়েছে আওয়ামী লীগের একটি বিশ্বস্ত সূত্র।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আওয়ামী লীগের সূত্রটি জানায়, মাহফুজুর রহমান কালাম আওয়ামী লীগের একজন পরীক্ষিত নেতা। বিশেষ করে কেন্দ্রীয় বিভিন্ন কর্মসূচীতে তার ছিল সরব উপস্থিতি। তবে, বিগত দিনে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন নিয়ে তিনি দলের নির্দেশ ভঙ্গ করায় কেন্দ্র তার বিরুদ্ধে শাস্তিমুলক ব্যবস্থা নেয়। এমনকি উপজেলা আহ্বায়ক কমিটিতেও রাখা হয়নি তাকে। কালাম দীর্ঘ দিন তার অপরাধকে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখতে কেন্দ্রীয় নেতাদের দৃষ্টি সর্বোপরি দলের সভানেত্রীর মমতাময়ী দৃষ্টি কাড়ার চেষ্টা করেছেন। এছাড়া দীর্ঘ ২৫ বছর পর সোনারগাঁও আওয়ামী লীগের যে সম্মেলন হচ্ছে সেখানে যেন মাহফুজুর রহমান কালামকে সভাপতি বা সাধারণ সম্পাদক না হলেও একটা মর্যাদাপূর্ণ পদে রাখা যায় সে বিষয়ে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে ! বলে সূত্রটি দাবি করে। 


এ ব্যাপারে মাহফুজুর রহমান কালাম জানান, আমাকে উপজেলা আওয়ামী লীগ থেকে মাইনাস করার অপচেষ্টাতো অনেক দিন ধরেই হচ্ছে। তবে, আজ উপজেলা আওয়ামী লীগের আহবায়ক এডভোকেট সামসুল ইসলাম ভ‚ইয়া, ১ম যুগ্ম আহবায়ক আব্দুল্লাহ আল কায়সার, ২য় যুগ্ম আহবায়ক মাসুদুর রহমান মাসুমসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগের শীর্ষস্থানীয় নেতারা আমার পৌরসভার চামেলী ভবনে আসেন। সম্মেলনকে ঘিরে তারা কি করছে, কিভাবে অনুষ্ঠান সাজিয়েছেন এমন নানা বিষয়ে আমাকে জানান এবং আলোচনা করেন। আমিও বিকাল ৪টার দিকে মঞ্চস্থানে যাই। কাজ ঠিকমতো হচ্ছে কি-না খোঁজ নিয়েছি। আশাকরি আগামী কালের সম্মেলন সফলভাবে সম্পন্ন  করতে পারব।

এক প্রশ্নের জবাবে মাহফুজুর রহমান কালাম বলেন, কেন্দ্রের কথার বাইরে গিয়েতো আর কারো কিছু করার ক্ষমতা নাই। কেন্দ্র থেকে যদি আমাকে কমিটিতে রাখার জন্য বলে তাহলে হয়তো রাখবে। দেখা যাক কি হয়। এ ব্যাপারে আমি তেমন কিছু জানিনা। তবে, আমি আওয়ামী লীগের জন্যে নিবেদিত হয়ে কাজ করেছি। আমৃত্যু কাজ করে যাব। 



সোনারগাঁও দর্পণ :

বহুপ্রতিক্ষিত কাউন্সিল। দীর্ঘ দুই যুগেরও বেশি অপেক্ষার অবসান হচ্ছে। রাত যেন শেষ হবার নয়। কখন কাটবে রাতের আঁধার। শুধু এই ভেবে যেন ঘুম নেই সোনারগাঁও আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের চোখে।

এদিকে সম্মেলনকে ঘিরে তৈরি মঞ্চের কাজ শেষ। সেও যেন অপেক্ষায় কখন বরণ করবে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা,মন্ত্রী,এমপি আর স্থানীয় নেতাকর্মীদের। আজ মঞ্চ নির্মাণেরে শেষ মুহুর্তের কাজ পরিদর্শণ করেন উপজেলা আওয়ামী লীগের আহবায়ক কমিটির আহবায়ক এডভোকেট সামসুল ইসলাম ভ‚ইয়া, যুগ্ম আহবায়ক আব্দুল্লাহ আল কায়সার, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান কালাম, উপজেলা আওয়ামী লীগের আহবায়ক কমিটির ২য় যুগ্ম আহবায়ক মাসুদুর রহমান মাসুমসহ আহবায়ক কমিটির অন্যান্য সদস্যরা। 

উপজেলা আহŸায়ক কমিটির ধারণা কমপক্ষে ১৫ থেকে ২০ হাজার নেতা-কর্মীর সমাগম ঘটবে এই সম্মেলনে। যেখানে উপস্থিত থাকবেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও কৃষি মন্ত্রী ড, মো, আব্দুর রাজ্জাক, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও শিক্ষা মন্ত্রী ডা. দীপু মনি, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মীর্জা আজম, আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ও প্রধানমন্ত্রী’র বিশেষ সহকারী ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়াসহ কমপক্ষে ১০ জন কেন্দ্রীয় নেতা। আর তারা আসছেন আওয়ামী লীগের সভানেত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আদিষ্ট হয়ে। এছাড়া, দীর্ঘ ২৫ বছর পর যেখানে সম্মেলন হতে যাচ্ছে সেখানে বর্তমান সময়ের বাঘা-বাঘা নেতারা আসবেন না তা কি করে হয়। আর সেখানে তাদের মতো নেতাদের আগমন হবে সেখানে প্রতিটি নেতাকর্মীদের মধ্যে সাঁজ-সাঁজ রব আর উৎসব উৎসব ভাব থাকবেনা তাতো হতে পারেনা। 

তাই সম্মেলনকে ঘিরে সরব উৎসবমুখর সোনারগাঁও আওয়ামী লীগ।


MKRdezign

Contact Form

Name

Email *

Message *

Powered by Blogger.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget