Halloween Costume ideas 2015

সোনারগাঁও দর্পণ

সর্বশেষ পোস্ট
অপরাধ অর্থ ও বাণিজ্য আওয়ামী লীগ আদালত আন্তর্জাতিক উত্তরা পূর্ব থানা কাঁচপুর খেলাধুলা গজারিয়া গণমাধ্যম চট্টগ্রাম জাতীয় জামপুর জামায়াত ঢাকা তথ্যপ্রযুক্তি থানা প্রশাসন দাউদকান্দি ধর্ম নরসিংদী নারায়ণগঞ্জ নোয়াখালী নোয়াগাও পর্যটন ও পরিবেশ পিরোজপুর পৌরসভা ফতুল্লা বন্দর বরগুনা বারদী বিএনপি বিনোদন বৈদ্যের বাজার ভারত ভুলতা মুন্সিগঞ্জ মোগরাপাড়া রাজনীতি রাজনীতি. রাজনীতি. বিএনপি রাজনীতি.মোগরাপাড়া রাজশাহী রূপগঞ্জ র‌্যাব র‌্যাব-11 শম্ভুপুরা শিক্ষা শিক্ষা ও সংস্কৃতি সন্মান্দি সংস্কৃতি সাদীপুর সাভার সারাদেশ সিদ্ধিরগঞ্জ সিভিল প্রশাসন সিলেট সোনারগাঁও স্বাস্থ্য কথা


সোনারগাঁও দর্পণ :

জমি নিয়ে ভাইয়ের সাথে ভাইয়ের দ্বন্দ্বের বলি হলো নিরাপরাধ শ্রমিক খোরশেদ আলম। দৈনিক মজুরিতে কাজ করার সময় মালিকের প্রতিপক্ষের নির্মম বর্বরতার শিকার হয়েছেন তিনি। মামলাবাজ ও লোভী ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত আব্দুর রউফ মোল্লা (৮০) ও তার মেয়ে মুনিরা আক্তার মুন্নি (৪২) ছাঁদের উপর থেকে শ্রমিকের শরীরে গরম পানি ঢেলে ঝলসে দিয়েছে। রবিবার (২২ জুন) বেলা ১১টার দিকে সোনারগাঁও উপজেলার পৌরসভা এলাকার অর্জুন্দি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পরে রাত সাড়ে ৯টার দিকে দরপত গ্রামবাসী পলাতক রউফ মোল্লাকে আটক করে থানা পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে। 

এ ব্যাপারে আহত খোরশেদের ছোট ভাই থানায় তার ভাইকে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ এনে মামলা করেছেন। 

মামলার অভিযোগে বাদী উল্লেখ করেন, তার বাড়ি পৌরসভার দরপত এলাকায়। তার বড় ভাই খোরশেদ আলম দিনমজুর হিসেবে অর্জুন্দি গ্রামের মৃত তমিজ উদ্দিনের ছোট ছেলে পনির মোল্লার বাড়িতে দিন-মজুর হিসেবে কাজ করতে যায়। পনির মোল্লার বাড়ির সীমানা পিলার দেওয়ার কাজ কারর সময় পনির মোল্লার বড় ভাই আব্দুর রউফ মোল্লা ও তার মেয়ে মুনিরা আক্তার তাদের ছাঁদ থেকে ফুটন্ত গরম পানি তার ভাই খোরশেদ মোল্লার উপর ঢেলে দিয়ে হত্যার চেষ্টা চালায়। এতে খোরশেদের মুখমন্ডলসহ প্রায় পুরো শরীর ঝঁলসে যায়। এ সময় তার আর্তচিৎকারে আশেপাশের লোকজন ছুটে গিয়ে আহত শ্রমিককে উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার জাতীয় বার্ণ এন্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নিয়ে যায়। বর্তমানে সেখানেই আশঙ্কাজনক অবস্থায় তিনি চিকিৎসাধীন আছেন।

এদিকে, এ ঘটনার পর থানায় অভিযোগ হলে আব্দুর রউফ মোল্লা তার মেয়েকে নিয়ে অর্জুন্দির পাশবর্তী গ্রাম দরপত এলাকায় তার ভায়রা জানু মিয়ার বাড়িতে আত্মগোপনে থাকেন। পরে দরপত এলাকার মানুষ টের পেয়ে তাকে রাত ৮টার দিকে দরপত ঈদগাঁহ বাজারে আটক করে। পরে রাত ৯টার দিকে পুলিশের কাছে তুলে দেয়।

এলাকাবাসী জানায়, আব্দুর রউফ মোল্লা সাথে জমি নিয়ে তার ভাইদের সাথে প্রায় দ্বন্দ্ব হয়। এমন কি তিনি নিজের বাবা বেঁচে থাকতে তার বাবাকেও জমির জন্য মেরে ফেলার চেষ্টা করেন। এ ঘটনার সময়  আব্দুর রউফ মোল্লা উপজেলায় কোন কাজে অবস্থান করছিলেন। বাড়ি থেকে তাকে ফোনে সীমানা দেওয়ার কাজ চলছে জানানো হয়। তখন তিনি উপজেলা থেকেই টেলিফোনে তার স্ত্রীকে দুই হাড়ি গরম পানি করতে বলেন। পরে বাড়ি গিয়ে তিনি ও তার মেয়ে এ কাণ্ড ঘটায়।

এ ব্যাপারে সোনারগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মফিজুল রহমান বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 



সোনারগাঁও দর্পণ :  

আধিপত্য বিস্তার নিয়ে অটোস্ট্যান্ড দখলকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই গ্রপের সংঘর্ষে আব্দুল কুদ্দুস (৬০) এবং মেহেদী (৩৮) নামে দুই জন নিহত হয়েছেন। শনিবার (২১জুন) রাতে আনুমানিক সাড়ে ৯টার দিকে নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলা শাহী মসজিদ এলাকায় এবং একই দিন গভীর রাতে সিরাজউদ্দৌল্লা ক্লাবের সামনে ঘটনা দুটি ঘটে। 

নিহত কুদ্দুস বন্দর উপজেলার হাফেজীবাগ এলাকার মৃত সাদেক আলীর ছেলে এবং রনি-জাফর গ্রুপের সমর্থক। অপরদিকে, নিহত মেহেদী সালেহ নগর এলাকার জলিল মুন্সির ছেলে এবং বাবু-মেহেদী গ্রুপের সমর্থক। 

স্থানীয় সূত্র জানায়, বন্দর রেললাইন অটোস্ট্যান্ড দখলকে কেন্দ্র করে বেশ কিছু দিন ধরেই বন্দর সিটি করপোরেশন এলাকার ২২ নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ও মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক আবুল কাউসার আশার অনুসারী রনি-জাফর গ্রুপের সাথে ২১ নম্বর ওয়ার্ড এর সাবেক কাউন্সিলর ও মহানগর বিএনপি নেতা হান্নান সরকারের অনুসারী ও সমর্থক বাবু-মেহেদী গ্রুপের দ্বন্দ্ব চলছিল। 

উভয় গ্রুপ ধারালো ও দেশীয় অস্ত্র-লাঠিশোটা নিয়ে দফায়-দফায় মহড়া দিচ্ছিল। যা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরালও হয়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্বে থাকা বিভিন্ন বাহিনী এ দ্বন্দ্ব নিরসনে এলাকায় একাধিকবার অভিযানও টরিচালনা করে। তারপরও নিজেদের আধিপত্য বজায় রাখতে শুক্রবার প্রথম উভয় গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে। 

ওই ঘটনায় ৮/১০ জন আহত হয়। এরই রেশ ধরে, শরিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে বাবু-মেহেদী গ্রুপের সদস্যরা রনি-জাফর গ্রুপের সমর্থক আব্দুল কুদ্দুসকে ধাঁরালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে আহত করে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় কুদ্দুসকে স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে দায়িত্বে থাকা চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এদিকে, আব্দুল কুদ্দুসের মৃত্যুর খবর এলাকায় পৌঁছালে নিহত কুদ্দুসের আত্মীয়-স্বজন ও রনি-জাফর গ্রুপের সদস্যরা রেললাইন এলাকায় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখায়। পরে শনিবার দিবাগত রাত ১টার দিকে বন্দর সিরাজউদ্দৌলা ক্লাব মাঠ দিয়ে মেহেদী ও তার লোকজন যাওয়ার সময় রনি-জাফর গ্রুপের লোকজন মেহেদীকে ধাওয়া দিয়ে ধরে গণপিটুনি ও ছুরিকাঘাতে আহত করে। আহত অবস্থায় স্থানীয়রা খানপুর তিনশ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে। 

 এ বিষয়ে বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা লিয়াকত আলী বলেন, নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পরিস্থিতি বর্তমানে শান্ত রয়েছে। এ বিষয়ে পরবর্তী আইনি কার্যক্রম চলমান রয়েছে। 



সোনারগাঁও দর্পণ :

প্রাইভেট পড়াতে গিয়ে ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে শিশির হালদার নামে এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে ভুক্তভোগী ছাত্রীর বাবা থানায় অভিযোগ করেছে। যেখানে তার মেয়ে গর্ভবতী বলে দাবি করেন। ঘটনাটি সোনারগাঁও উপজেলার কাঁচপুর ইউনিয়নের সোনাপুর গ্রামের।

অভিযোগে ভুক্তভোগীর বাবা অভিযোগ করেন, তার মেয়ে স্থানীয় একটি স্কুলে এইচএসসি’তে লেখাপড়া করে। সোনাপুর এলাকার কমল হালদারের ছেলে শিশির হালদার তার স্কুল পড়–য়া মেয়েকে বাড়িতে এসে প্রাইভেট পড়াতো। প্রাইভেট পড়ানোর ফাঁকে বিভিন্ন সময় শিশির হালদার ফুসলাইয়া তার মেয়েকে বিয়ের প্রলোভন দেখায়। এক পর্যায় তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। প্রেমের সুযোগে শিশির তার মেয়ের সাথে বিভিন্ন সময় শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলে। এক পর্যায় তার মেয়ে গর্ভবতী হয়ে গেলে শিশিরকে বিয়ের প্রস্তাব দেওয়া হয়। বিপরীতে শিশির ওষুধের মাধ্যমে বাচ্চা নষ্ট করে ফেলে। 

বিষয়টি শিশিরের পরিবারকে জানালে শিশিরের বাবা কমল হালদার ও ছোট ভাই পিয়াস হালদার ওই ভক্তভোগী ছাত্রীর পরিবারের সদস্যদের মারধর করে হত্যার হুমকী দেয়। 

এ বিষয়ে সোনারগাঁও থানার অফিসার ইনচার্জ মফিজুর রহমান জানান, এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেয়েছেন। তদন্ত করে আইননানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। 



সোনারগাঁও দর্পণ :

সোনারগাঁওয়ে অজ্ঞাত এক নারীর মরদেহ আবিস্কার করেছে স্থানীয় জনতা। বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) আনুমানিক রাত ১০টার দিকে উপজেলার মোগরাপাড়া ইউনিয়নের সাদিপুর এলাকায় হাইওয়ের ইউলুপের কাছে ব্রাক ব্যাংকের সামনের সড়কে মরদেহটি পাওয়া যায়। 

এ ব্যাপারে স্থানীয়রা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে বেশ কিছু ফিডে এ সংক্রান্ত ভিডিও এবং ছবি প্রচার করে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে খবর পাওয়ার পর স্থানীয়ভাবে যোগাযোগ করলে সূত্র জানায়, পথচারীরা যাতায়াতের সময় দিনের বেলায় একটি পলিথিনে মোড়ানো প্যাকেট দেখতে পায়। কিন্তু প্যাকেটটি কোন ব্যক্তির প্রয়োজনীয় কিছু হবে ভেবে সেই প্যাকেটের বিষয়ে কেউ মাথা ঘামায়নি। তবে, দিন গড়িয়ে সন্ধ্যা এবং রাত আনুমানিক ১০টার দিকে স্থানীয়রা কৌতুহল বশত পলিথিন প্যাকেটটি খুললে তার ভিতরে আনুমানিক ৩৫ বছর মধ্যবয়সী এক নারীর মরদেহ দেখতে পায়। যার পড়নে লাল রংয়ের ছেলোয়ার কামিজ ছিল বলে জানান।

স্থানীয়রা জানায়, ওই নারীর নাক দিয়ে রক্ত বের হওয়ার চিহৃ দেখা গেছে। তাদের ধারণা, তাকে অন্য কোথাও থেকে হত্যার পর  লাশ ওই স্থানে ফেলে রেখা হয়েছে। 

স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দিলেও এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ঘটনাস্থলে পুলিশকে যেতে দেখা যায়নি বলে সূত্রটি দাবি করে।

এদিকে, অজ্ঞাত নারীর পরিচয় পেতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশি বেশি শেয়ার করার অনুরোধ জানিয়েছেন নেটিজনরা।



সোনারগাঁও দর্পণ : 

পুলিশকে সাথে নিয়ে বিএনপি নেতার অব্যাহত চাঁদাবাজী ও মামলাবাজীর প্রতিবাদে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে এলাকাবাসী। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলার  বারদী ইউনিয়নের মান্দারপাড়াসহ আশে পাশের গ্রামের কয়েকশত নারী-পুরুষ মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করে।

মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীরা অভিযোগ করেন, গত ৫ আগষ্ট আওয়ামী সরকারের পতনের পর উপজেলা বিএনপির প্রচার সম্পাদক ও উপজেলা বিএনপি সভাপতি আজহারুল ইসলাম মান্নানের কথিত পিএস সেলিম হোসেন দীপু ও তার লোকজন এলাকার সাধারণ মানুষদেরকে মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে হয়রানি করে আসছে। এছাড়া এলাকায় থাকতে হলে সেলিম হোসেন দিপুকে তার চাহিদা মতো টাকা দিতে হবে দাবি করে। না দিলে পুলিশের সাথে আঁতাত করে বিভিন্ন মামলায় জড়ানো হবে বলে হুমকী দেয়। এছাড়াও থানায় দায়েরকৃত মামলা থেকে নাম বাদ দেয়ার কথা বলে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়েছে সেলিম হোসেন দিপু।

এলাকাবাসী জানায়, সেলিম ও তার লোকজন যখন তখন ভুক্তভোগীদের বাড়ি-ঘরে উপস্থিত হয়ে র‌্যাব, পুলিশ ও ডিবি সদস্যদের দিয়ে ভয় দেখায়। তাদের অন্যায় কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে যে মুখ খুলবে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে কারাগারে পাঠানো হবে বলে হুমকি দেয়। 

মানববন্ধনে অংশ নেওয়া গ্রামবাসীর প্রত্যাশা, সেলিমের ধারাবাহিক অত্যাচারে অতিষ্ঠের প্রতিকার চেয়ে তারা এ কর্মসূচী পালন করতে বাধ্য হয়েছেন। তারপরও যদি প্রতিকার না পান তাহলে তারা আরও কঠোর কর্মসূচী পালন করবে বলে হুশিয়ারী দেন।

এ সময় তারা সেলিমের বিভিন্ন অনৈতিক কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে শ্লোগান দেয়।

এ ব্যাপারে সেলিম হোসেন দীপুর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, একটি বেসরকারি টেলিভিশনে স্থানীয় ডাকাত, চোর ও মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কথা বলায় তার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ এনে সম্পূর্ন পরিকল্পিতভাবে এ মানববন্ধন করা হয়েছে। 

তবে, সুনির্দিষ্টভাবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারীবাহিনীর কোন সদস্যের নাম উল্লেখ না করায় সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

এ সোনারগাঁও উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোশারফ হোসেন বলেন, মানববন্ধন করার বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে মানববন্ধন হয়ে থাকলে বিষয়টি দুঃখজনক। এছাড়া, আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কড়া বার্তা, বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের কোন নেতাকর্মী যদি দলের নাম ভাঙিয়ে কোন অনৈতিক কাজ করে তাহলে অভিযোগের প্রমাণ পেলে সাংগঠনিক কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 



সোনারগাঁও দর্পণ :

গলাকেটে যুবক হত্যার ক্লুলেজ ঘটনায় দু’জনকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১১’র সদস্যরা। মঙ্গলবার (১৭ জুন) হত্যার ২৪ ঘন্টার মধ্যে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার দিঘি বরাবো এলাকা থেকে রাতে তাদের গ্রেফতার করা হয়। 

গ্রেফতারকৃতরা হলো-রূপগঞ্জ উপজেলার ইউনুস প্রধানের ছেলে ইসমাইল প্রধান (২৪) এবং মনির হোসেনের ছেলে ওসমান গনি (২৩)। 

বুধবার (১৮ জুন) র‌্যাব-১১ এর এপস অফিসার মো. গোলাম মোর্শেদ স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। 

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে র‌্যাব উল্লেখ করেন, মঙ্গলবার সকালে সোনারগাঁও উপজেলার ভারগাঁও এলাকার ওলামারগর খালপাড় বেড়িবাঁধের পূর্ব পাশে স্থানীয়দের তথ্যের ভিত্তিতে তালতলা তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ যুবকের যে গলাকাঁটা মরদেহ উদ্ধার করে সেই হত্যাকান্ডের খবর পাওয়ার পরপরই তাৎক্ষণিক র‌্যাব ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। পরবর্তীতে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় র‌্যাব এই নৃশংস, নির্মম ও ক্লুলেস হত্যার সাথে জড়িত দুইজনকে আটক করতে সক্ষম হয়। আটককৃতরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। পরবর্তী আইনানুগ কার্যক্রমের জন্য আটককৃতদের সোনারগাঁও থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। 

সোনারগাঁও থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মফিজুল রহমান জানান, লাশ উদ্ধারের ঘটনায় থানায় একটি মামলা হয়েছে। র‌্যাব ইতোমধ্যে ঘটনার সাথে জড়িত দুইজনকে থানায় হস্তান্তর করেছে। তাদের ওই মামলায় গ্রেফতার দেখনো হবে। 

এরআগে, মঙ্গলবার (১৭ জুন) সকালে সোনারগাঁও উপজেলার সাদীপুর ইউনিয়নের ভারগাঁও এলাকার ওলামানগর খালপাড় বেড়িবাঁধের পাশে রতন (৪০) নামে এক যুবকের গলাকাঁটা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত রতন কাঁচপুর ইউনিয়নের নাওড়াভিটা এলাকার দেলোয়ারের বাড়ির ভাড়াটিয়া মালেক মোল্লার ছেলে। সে স্থানীয় একটি ওয়ার্কশপে কাজ করতো। 



সোনারগাঁও দর্পণ :

বিএনপির কোন নেতাকর্মীকে টাকার কাছে রাজনৈতিক ক্যারিয়ার বিক্রি না করার আহবান জানিয়ে বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপি আহবায়ক অধ্যাপক মামুন মাহমুদ বলেছেন, কোন ফ্যাসিবাদ যেন বিএনপির সদস্য হতে পারে। আওয়ামী লীগের অনেক দোসর আছে যারা ৫ আগস্টের পর বিএনপির ট্যাগ লাগিয়েছে। যারা অনেকেই টাকার বিনিময়ে বিএনপির কোন না কোন সংগঠনের সদস্য হতে চাইবে। তাই আমি স্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই, লাখ টাকার লোভে পরে কেই ৩০ বছর ৪০ বছরের রাজনৈতিক ক্যারিয়ার বিক্রি করে দিবেন না।

বুধবার (১৮ জুন) দুপুরে সোনারগাঁও উপজেলা অডিটরিয়ামে উপজেলা বিএনপি আয়োজিত বিএনপির প্রাথমিক সদস্য সবায়ন ও সদস্য ফরম বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। 

ফরমে কোন ফ্যাসিবাদের নাম থাকলে ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড সভাপতি-সম্পাদককে বহিস্কারের হুমকি দিয়ে অধ্যাপক মামুন আরও বলেন, সদস্য সংগ্রহ ফরমে আমাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার স্বাক্ষর রয়েছে। তাই, কোন আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি বা সুবিধাবাদীদের এ ফরম দেওয়া যাবেনা। তাদের অন্তর্ভুক্ত করা যাবেনা। যদি অন্তর্ভুক্ত করা হয় তাহলে নেত্রী যে ৬ বছল কারাভোগ করেছেন, সেই ত্যাগের সাথে বেঈমানী করা হবে। আমি আশা করি, এমন ব্যক্তির নাম অন্তর্ভুক্ত করা হবেনা যারা, আমাদের নেতাকর্মীর উপর হামলা করেছে, মিথ্যা মামলা দিয়েছে, আমাদের নেতাকর্মীদের পুলিশ দিয়ে ধরিয়ে দিয়েছে তাদের নাম অন্তর্ভুক্ত হবেনা। 

উপজেলা বিএনপির সভাপতি আজহারুল ইসলাম মান্নানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মোশারফ হোসেনের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক মাশুকুল ইসলাম রাজিব। 

অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সহ সভাপতি কাজী নজরুল ইসলাম টিটু, সহ সভাপতি শাহজাহান মিয়া, রফিকুল ইসলাম বিডিআর, সেলিম হক রুমি, হুমায়ুন কবির রফিক, সাদিকুর রহমান সেন্টুসহ অনেকে। 

পরে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন পর্যায়ের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের কাছে সদস্য সংগ্রহ ফরম বিতরণ করা হয়।

MKRdezign

Contact Form

Name

Email *

Message *

Powered by Blogger.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget