Halloween Costume ideas 2015

সোনারগাঁও দর্পণ

সর্বশেষ পোস্ট
অপরাধ অর্থ ও বাণিজ্য আওয়ামী লীগ আদালত আন্তর্জাতিক উত্তরা পূর্ব থানা কাঁচপুর খেলাধুলা গজারিয়া গণমাধ্যম গাজীপুর চট্টগ্রাম জাতীয় জামপুর জামায়াত ঢাকা তথ্যপ্রযুক্তি থানা প্রশাসন দাউদকান্দি ধর্ম নরসিংদী নারায়ণগঞ্জ নোয়াখালী নোয়াগাও পর্যটন ও পরিবেশ পিরোজপুর পৌরসভা ফতুল্লা বন্দর বরগুনা বারদী বিএনপি বিনোদন বৈদ্যের বাজার ভারত ভুলতা মুন্সিগঞ্জ মোগরাপাড়া রাজনীতি রাজনীতি. রাজনীতি. বিএনপি রাজনীতি.মোগরাপাড়া রাজশাহী রূপগঞ্জ র‌্যাব র‌্যাব-11 শম্ভুপুরা শিক্ষা শিক্ষা ও সংস্কৃতি সন্মান্দি সংস্কৃতি সাদীপুর সাভার সারাদেশ সিদ্ধিরগঞ্জ সিভিল প্রশাসন সিলেট সোনারগাঁও স্বাস্থ্য কথা


সোনারগাঁও দর্পণ :

কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সোনারগাঁও উপজেলা বিএনপি সভাপতি আজহারুল ইসলাম মানানই অবশেষে নারায়ণগঞ্জ -৩ আসনের ধাঁনের শীষের কাণ্ডারী মনোনীত হয়েছেন। সোমবার (৩ নভেম্বর) দুপুরে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ঘোষিত এবং স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। 

ঘোষণা অনুযায়ী আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির সংসদীয় তিনশো আসনের মধ্যে ২৩৭ টি আসনের প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করেছে। সে তালিকায় সংসদীয় ২০৬ নং আসন নারায়ণগঞ্জ -৩  (সোনারগাঁও -সিদ্ধিরগঞ্জ ) আসনে বিএনপি ধাঁনের শীষ প্রতিকে আজহারুল ইসলাম মান্নানের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। 

মান্নানকে দলীয় প্রতিকে নির্বাচনের ঘোষণা দেওয়ায় দলের দুর্দিনে দলীয় নেতা-কর্মীদের হামলা-মামলায় তাদের পাশে থেকে উজ্জীবিত রাখা, নিজে প্রতিপক্ষ দলের হামলা-মামলার শিকার হয়ে মাঠে থেকে দলীয় কেন্দ্রীয় রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করার যথাযথ মূল্যায়ন করা হয়েছে বলে তার অনুসারী নেতা-কর্মীরা মনে করছেন। 

তাদের প্রত্যাশা, এই মনোনয়ন পাওয়ার মধ্যে দিয়ে রাজনৈতিক কারণে বিরোধিতা করা নেতাকর্মীরা সকল ভেদাভেদ ভুলে ঐক্যবদ্ধভাবে একসাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে এ আসনে ধাঁনের শীষ প্রতিককে বিপুল ভোটে নির্বাচিত করবে।

এদিকে, মান্নানের মনোনয়ন চূড়ান্ত হওয়ার খবরে তার বাড়িতে দলীয় নেতাকর্মীদের ঢল নেমেছে। খন্ড খন্ড মিছিল নিয়ে সোনারগাঁও এবং সিদ্ধিরগঞ্জ বিএনপি ও এর বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনের নানান স্তরের নেতাকর্মী, অনুসারী আর শুভাকাঙ্ক্ষীদেরকে আনন্দ মিছিলসহ ফুলেল তোড়া হাতে নিয়ে গিয়ে শুভেচ্ছা জানাতে দেখা গেছে। 


সোনারগাঁও দর্পণ ;

সোনারগাঁওয়ে নারীদের নিয়ে বৈঠক করেছেন সাবেক ছাত্রনেতা ও উপজেলা বিএনপির ১ নং সহ সভাপতি এবং নারায়ণগঞ্জ ৩ আসন এর মনোনয়ন প্রত্যাশী আল মুজাহিদ মল্লিক। বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) বিকালে উপজেলার মোগরাপাড়া ইউনিয়েনের আমতলা এলাকায় আইকন ইন্টারন্যাশনাল স্কুলে তিনি এ বৈঠক করেন। 

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঘোষিত রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের রূপরেখা ৩১ দফা আলোকে নারীদের নিয়ে "জাতীয় উন্নয়নে নারীর অংশগ্রহন গণতন্ত্র, সমতা ও অগ্রগতির প্রতিশ্রুতি শীর্ষক বিএনপির নির্বাচনী ভাবনা ও আলোচনা সভা"র অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা মহিলা দল নেত্রী সালমা আক্তার। বিশেষ বক্তা ছিলেন জেলা যুবদল নেতা পারভেজ চৌধুরী চপল। 

বিগত সরকারের অর্থ লুটপাটের বিষয় তুলে ধরে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি আল মুজাহিদ মল্লিকের বলেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি ক্ষমতায় এলে দেশে পুরুষদের পাশাপাশি অর্থনৈতিক উন্নয়নে নারীরাও যেন বিশেষ অবদান রাখতে পারে সে লক্ষ্যে৷ কাজ করবে বিএনপি। যা তারেক রহমান ঘোষিত ৩১ দফায় সুস্পষ্ট উল্লেখ রয়েছে। 

এছাড়াও নারীদের শিক্ষা, চিকিৎসা ও নিরাপত্তার বিষয়ে বিশেষ নজর দিবেন বলে তিনি উল্লেখ করেন।

পরে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঘোষিত রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের রূপরেখা ৩১ দফা সংবলিত লিফলেট উপস্থিত সকলের মাঝে বিতরণ করেন এবং আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির ধাঁনের শীষ প্রতিকে ভোট দিয়ে বিপুল ভোটে বিজয়ী করতে সকলের প্রতি আহ্বান জানান।


সোনারগাঁও দর্পণ :

সোনারগাঁওয়ে বস্তাবন্দী অবস্থায় এক তরুণীর মরদেহ উদ্ধার করেছে সোনারগাঁও থানা পুলিশ। মোটা কাগজের কার্টুনের ভিতর কালো পলিথিনের ওপর সাদা কসটেপে মোড়ানো অবস্থায় একটি বড় ব্যাগ থেকে  মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর)  বিকাল ৪টার দিকে উপজেলার মোগরাপাড়া ইউনিয়নের ঐতিহাসিক গ্রান্ড ট্রাংক রোডের বন্দরগামী কাইকারটেক ব্রীজ এলাকার ওই রোডের দক্ষিণ পাশ থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।

এরআগে দুপুর আড়াইটার দিকে স্থানীয়রা পুলিশকে ফোন করলে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহটি উদ্ধার করে। পরে নিহতের মামা সাগর ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশটি তার ভাগনির বলে শনাক্ত করে। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে রায়হান নাম এক যুবককে উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়নের মঙ্গলেরগাঁও এলাকায় একটি ওষুধের দোকান থেকে সন্ধ্যার পর আটক করে।

নিহত সায়মার মামা সাগর জানায়, মোগরাপাড়া ইউনিয়েনের আমতলা এলাকার শহিদুল্লাহর বাড়িতে তার বোনের সাথেই ভাড়ায় বসবাস করতো সায়মা আক্তার মীম। তার বাবার বাড়ি পাবনা জেলার সুজানগর থাকার দয়াল নগর গ্রামে। বাবার নাম সাইফুল ইসলাম। সায়মা আক্তার মীম স্থানীয় এলাকায় একটি ফাস্টফুড দোকানে কাজ করতো। 

তিনি আরও জানান, গত শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে সায়মা নিখোঁজ হয়। নিখোঁজের পর বিভিন্ন স্থানে সন্ধান করে না পেয়ে মঙ্গলবার সকালে সোনারগাঁও থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। 

নিহত সায়মার মামা সাগর জানান, তার ভাগ্নি কুমিল্লার রায়হান নামের এক যুবকের সাথে দু’বছর আগে প্রেমের সম্পর্কে বিয়ে করে। তার দাবি, স্বামী রায়হান তার ভাগ্নিকে শ্বাসরোধে হত্যার পর ব্যাগ ভর্তি করে লাশ ফেলে দেয়। তার স্বামীকে গ্রেপ্তার করলেই হত্যাকান্ডের রহস্য বেরিয়ে আসবে। 

এদিকে, সন্ধ্যার পর মঙ্গলেরগাঁও এলাকায় সন্দেহাতীতভাবে অটক রায়হানকে অটকের পর আমতলা এলাকায় নারায়ণগঞ্জ নৌ পুলিশের সার্কেল এসপি আলমগীর হোসেনের নেতৃত্বে সায়মার ভাড়া বাড়িতে নিয়ে যায়। পরে রায়হানের কথার সূত্রধরে সায়মার ব্যবহার করা মোবাইল উদ্ধার করেছে বলে একটি সূত্র দাবি করেছে। এ সময় সায়মার বাড়ি থেকে ক্যান বিয়ারসহ বেশ কিছু আলামত জব্দ করে নৌপুলিশ।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় একটি সূত্র দাবি করে, নিহত সায়মা আড়াই মাসের মাসের অন্ত:সত্তা ছিল।

সোনারগাঁও থানার পরিদর্শক মো. রাশেদুল হাসান খাঁন রাত ১০টা ৪৯ মিনিটের দিকে বলেন, কসটেপে মোড়ানো ব্যাগ থেকে নারীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িতদের আটক করতে এখনও অভিযান চলছে। তবে, তদন্তের স্বার্থে এর বেশি কিছু বলা সম্ভব না।


সোনারগাঁও দর্পণ :

সোনারগাঁওয়ের মোগরাপাড়া ইউনিয়নের দারোগোল্লা গ্রামে  (শেখ সাহেব বাড়ি নামে বেশি পরিচিত) নিজ ঘরে স্বামী সাব্বির (২৩) ও স্ত্রী সিনথিয়া (২০)’র ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে স্থানীয় থানা পুলিশ। 

পুলিশ প্রাথমিকভাবে ঘটনাটিকে আত্মহত্যা হিসেবে বিবেচনায় রাখলেও সিনথিয়ার পরিবার ও স্থানীয়রা বিষয়টিকে হত্যাকাÐ বলে দেখছে। স্থানীয়দের দাবি, পিতা-পুত্রের সাথে জমি সংক্রান্ত বিরোধ নিয়ে সৎ মায়ের হস্তক্ষেপ তুচ্ছ ঘটনাটিকে হত্যাকাণ্ডে পরিণত করেছে। 

অপরদিকে নিহত সিনথিয়ার মা শাহেরা বানু জানান, স্বামী-স্ত্রীর সাথে পারিবারিক দ্বন্দ্বে জেরে কিছু দিন আগে স্থানীয় পঞ্চায়েতে সমস্যার সমাধান হয়। তবে, ঘটনাটিকে হত্যা বলেই তিনি মনে করেন এবং সুষ্ঠু তদন্ত করলে তার ধারণাই ঠিক হবে বলে বিশ্বাস করেন তিনি।  

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার  মোগরাপাড়া ইউনিয়নের দারোগোল্লা গ্রামের নূর মোহাম্মদের ছেলে সাব্বিরের সাথে বন্দর উপজেলার গোকুল দাশের বাগ (গোলদেশের বাগ) আনন্দ নগর এলাকার নবীর হোসেনের মেয়ে সিনথিয়ার ২০২১ সালে প্রেমের সম্পর্কে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই তাদের পারিবারিক দ্বন্দ্ব চলছিল। এরই মাঝে তাদের দাম্পত্য জীবনে দুই বছর বয়সী সাফরান হাসান নুর নামে এক ছেলে জন্ম নেয়। 

তারা আরও জানান, সাব্বিরের মা গত হলে তার মামার বাড়ির সম্পত্তি থেকে টাকা এনে স্থানীয় এলাকায় কিছু জমি নিজ নামে ক্রয় করেন সাব্বির। পরে ৫/৬ বছর আগে তার বাবা নুর মোহাম্মদ দ্বিতীয় বিয়ে করেন। এদিকে, সাব্বির উন্নত জীবন-যাপনের উদ্দেশ্যে বিদেশ যাওয়ার ইচ্ছা করলে তার বাবাও রাজি হয়। কিন্তু, সৎ মা নুর মোহাম্মদকে তার ছেলে সাব্বিরকে বিদেশ পাঠাতে হলে সাব্বিরের মামার বাড়ি থেকে পাওয়া সম্পত্তি বিক্রি করে যে জমি ক্রয় করেছে সে জমি তার বাবার নামে লিখে দিলেই কেবল বিদেশের টাকা নুর মোহাম্মদকে দেওয়ার শর্ত দেয়। এ নিয়ে সৎ মা, ছেলে আর বাবার সাথে দ্বন্দ্ব কিছুদিন ধরে চরম পর্যায় পৌঁছে বলে দাবি করেন তারা। আর এ ঘটনা নিয়েই স্বামী-স্ত্রী’কে হত্যা করে ঝুলিয়ে রাখতে পারে বলে স্থানীয় সূত্র দাবি করে। 

শুক্রবার দিবাগত রাত একটার দিকে এ ঘটনা ঘটে। রাত ৩টার দিকে পুলিশ নিহতদের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে। 

নিহত সাব্বিরের বড় বোন নুপুর আক্তার বলেন, গত ২০ দিন আগে গ্রামের পঞ্চায়েত বসে তাদের দুজনের দ্বন্ধ নিরসন করেন। এরপর তাদের মধ্যে কোন সমস্যা ছিল না। শুক্রবার রাতেও তার ( ভাই সাব্বির) বাসায় গিয়েছিলেন। খাবার খেয়ে চলে আসেন। পরে মৃত্যুর খবর পেয়ে তাদের বাসায় আসেন। 

সোনারগাঁও থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো: রাশেদুল হাসান খান জানান, প্রাথমিকভাবে এটি আত্মহত্যা বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে।



সোনারগাঁও দর্পণ :

জামিনে বেরিয়ে এসে এক সহোদরসহ একই এলাকার ছয়জনকে কুপিয়ে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলার শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী ও পুলিশের তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়নের ছোট কোরবানপুর গ্রামের রাসেল এবং খাঁসেরগাঁও গ্রামের বাসিন্দা ও একই ইউপির সাবেক মেম্বার মনির গ্রুপের সদস্যরা এ ঘটনা ঘটায়।  বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) দুপুর আড়াইটার দিকে ইউপির পাঁচআনী মাদ্রাসার অদূরে থাকা একটি কালভার্টের সামনে ঘটনাটি ঘটে। ধারালো অস্ত্রের আঁঘাতে আহতরা হলেন, পাঁচআনী গ্রামের আছানুল্লাহর দুই ছেলে ফারুক ও বজলুল, মাইদুলের ছেলে রতন, দরবেশ মৌলভীর ছেলে আল আমিন, মোতালেবের ছেলে দেলোয়ার ও রহমান মিস্ত্রির ছেলে আয়নাল হক। 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় সূত্র জানায়, বুধবার নারায়ণগঞ্জের একটি আদালতে একটি মামলার স্বাক্ষী দিয়ে বাড়ি ফেরার পথে পিরোজপুর ইউপির পাঁচআনী মাদ্রাসার অদূরে থাকা একটি কালবার্টের সামনে যাওয়া মাত্র আগে থেকে ওৎ পেতে থাকা স্থানীয় সন্ত্রাসী  ও মাদক ব্যবসায়ী রাসেল ও মনির মেম্বার গ্রুপের ৩৫/৩০ জনের একটি ঐক্যবদ্ধ দল ধাঁরালো দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ফারুক, বজলুল, রতন, আল আমিন, দেলোয়ার ও আয়নাল হকের উপর হামলা করে। এতে আল আমিনের দুই হাতের আঙ্গুল হাত থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এছাড়া আল আমিনসহ সকলকে সারা শরীরে উপর্যুপরি কুপিয়ে রক্তাক্ত আহত করে। পরে স্থানীয়রা খবর পেয়ে এগিয়ে গেলে সন্ত্রাসীরা দ্রুত পালিয়ে যায়। 

সূত্রটি আরও জানায়, রাসেল চৌরাস্তা হাবিবপুর এলাকার র‍্যাবের হাতে ক্রস ফায়ারে নিহত অপর সন্ত্রাসী গিট্টু হৃদয়ের বোনের স্বামী হওয়ার সুবাদে, হৃদয় মারা যাওয়ার পর থেকে তার সকল সহযোগিরা অদ্যবদী রাসেলের রাজত্বে বিচরণ করে। আর তারাই সোনারগাঁওয়ের স্থল ও নৌপথসহ বিভিন্ন স্থানে চাঁদাবাজি,  ছিনতাই, ডাকাতি, অপহরণ, লুটতরাজ, মাদক ব্যবসাসহ এমন কোন অপরাধ নেই  যা তারা করে না। 

এর আগে, গত ১০ আগস্ট রবিবার দিবাগত রাত আনুমানিক ৩টা থেকে ১১ আগস্ট সোমবার

সকাল ১০টা পর্যন্ত উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়নের পাঁচআনী গ্রামে ইউনিয়নটির ২নং ওয়ার্ডের সাবেক মেম্বার মনির হোসেনের বাড়িতে অভিযান চালায় র‍্যাব -১১ এর সদস্যরা। ওই অভিযানে মনির মেম্বার, তার ছেলে বাবু, যুবরাজ, ডাকাত সাদ্দামসহ ছয়জন দেশীয় অস্ত্রসহ গ্রেফতার হয়। 

পরে কিছুদিন আগে গ্রেফতার হওয়া ছয়জনের মধ্যে দুইজন জামিনে বের হয়ে স্থানীয় এলাকায় অস্ত্র হাতে মহড়া দিলে গ্রামবাসীরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে ধাঁওয়া দিয়ে এলাকা ছাড়া করে। এরপর থেকে সন্ত্রাসীরা এলাকায় প্রবেশ করতে পারেনি।

এদিকে সম্প্রতি সকল আসামীরা জামিনে বাইরে বেরিয়ে গ্রামবাসীদের ঐক্যবদ্ধ করার ক্ষেত্রে অবদান রাখাদের বিষয়ে খোঁজ নিয়ে পরিকল্পিতভাবে এই হামলা করে।

এ ব্যাপারে সোনারগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) রাশেদ হাসান খান বলেন, আমরা লোক মারফত খবর পেয়ে ওই এলাকায় পুলিশ দ্বারা নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।  ঘটনাস্থল সার্কেল স্যার পরিদর্শন করেছেন। আহতরা ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে। সময় করে যত দ্রুত সম্ভব তাদেরকে অভিযোগ দিতে উৎসাহিত করা হয়েছে


সোনারগাঁও দর্পণ :

তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সোনারগাঁওয়ে বড় ভাই আকতারুজ্জামান আকতারুর ছুরিকাঘাতে ছোট ভাই ওমর ফারুক ওরফে খোকা (৩২) নিহত হয়েছেন। নিহত খোকা উপজেলার মোগরাপাড়া ইউনিয়নের আলাবদী গ্রামের মৃত জাহের আলীর ছোট ছেলে। 

শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) দুপুর দুইটা ত্রিশ মিনিটের দিকে তাদের নিজ বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্র জানায়, প্রচন্ড তাপদাহে গরমে অতিষ্ট খোকা নিজের এজমালি সম্পত্তিতে থাকা নারিকেল গাছ থেকে ডাব খাওয়ার স্বাদ হয়। সে গাছ থেকে ডাব পারার জন্য গাছে উঠতে গেলে বড় ভাই আকতারু বাঁধা দেন। এ নিয়ে উভয়ে তর্কে জড়িয়ে পরে। এক পর্যায় আকতারুর হাতে থাকা ছুরি দিয়ে খোকার বুকের পাজড়ে আঘাত করলে মাটিতে লুটিয়ে পরে। 

এ সময় বাড়ির অন্যান্য সদস্যরা দ্রুত হাসপাতালে নেওয়ার সময় পথেই খোকার মৃত্যু হয়। 

খবরপেয়ে সোনারগাঁও থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। ঘটনাস্থলে থাকা সোনারগাঁও থানা পুলিশের এস আই মো: সারওয়ার জানান, ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে পোষ্টমর্টের জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ভিকটিমের পরিবার থেকে এখনও কোন অভিযোগ করেনি। আর এ ঘটনায় মৌখিক অভিযুক্ত ঘটনার পরৎথেকে পালিয়ে থাকায় আটক করা সম্ভব হয়নি। 



সোনারগাঁও দর্পণ :

বয়স একেবারে কম না। আটচল্লিশ বছর হয়ে গেছে। এই বয়সে এসে আল্লাহ আমাকে অনেক দিয়েছেন। আলহামদুলিল্লাহ, আমার প্রত্যাশার চেয়ে বেশিই দিয়েছেন। আপনাদের দোয়া আর ভালোবাসা ছাড়া এখন আমার পাওয়ার তেমন কিছুই নাই। এখন শুধু দেওয়ার সময়। তাই আমি আমৃত্যু আপনাদের সেবার মাধ্যমে আপনাদের মনে অনেক দিন বেঁচে থাকতে চাই। 



শুক্রবার (১২সেপ্টেম্বর) নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলার মোগরাপাড়া ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের বড় সাদীপুর কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে জুম্মা নামাজ আদায়ের আগমূহুর্তে উপস্থিত স্থানীয় মুসল্লীদের উদ্দেশ্যে দেওয়া ছোট বক্তব্যে এসব কথা বলেন, আসন্ন স্থানীয় সরকার নির্বাচনে মোগরাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী আশরাফ উদ্দিন। 


এ সময় তিনি আরও বলেন, আমি কোন ধনী পরিবারে জন্মাইনি। মধ্যবিত্ত সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মের পর জীবনে হালাল উপার্জনের মাধ্যমে অনেক করে আজ ব্যবসায়িক হিসাবে সফলতা পেয়েছি। কোন প্রতিষ্ঠান স্থানীয় কোন ব্যক্তিদের চাকুরী দেয়না। কিন্তু আমি আমার প্রতিষ্ঠানে সোনারগাঁওয়ের বিভিন্ন ইউনিয়নের ছয় শতাধিক শ্রমিককে বিভিন্ন পদে কাজ দিয়েছি। 



আমার আশা আছে, ভবিষ্যতে আমার এলাকার কমপক্ষে চার থেকে পাঁচ হাজার মানুষ আমার প্রতিষ্ঠানে কাজ করবে। বিশেষ করে সোনারগাঁওয়ের শিক্ষিত বেকারদেরকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।

আশ্রাফ বলেন, আপনারা যদি মনে করেন আমি অন্যদের মতো নির্বাচনের আগে যেভাবে ভোট পাওয়ার জন্য প্রতিশ্রুতি দেন, আমিও তেমন প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি তা হবে ভুল ধারণা। আপনাদের কবরস্থানে আমার পূর্বপুরুষ চির নিদ্রায় শায়িত। এই বড় সাদীপুর গ্রাম আমার আবেগের জায়গা। আমি আশরাফ কোন মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দেইনা। আল্লাহ যদি আমাকে আপনাদের সেবা করতে কবুল করেন, তাহলে আলহামদুলিল্লাহ। না করলেও আলহামদুলিল্লাহ। তবে আমি আপনাদের পাশে থাকার ওয়াদা করেছি, দোয়া করবেন আল্লাহ যেন আপনাদের উসিলায় সে সুযোগ আমাকে দেন।



এ সময় শৈশবের স্মৃতিচারণ করে বড় সাদীপুর গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে চলা খালের আগের ও বর্তমান অবস্থা তুলে ধরে বলেন, শিল্প কারখানার বর্জ্যে দূষিত পানির বিষয়ে স্থানীয়রা বিভিন্ন সময় প্রতিবাদ করেও এলাকাবাসীর কোন লাভ হয়নি। লাভ হয়েছে মুষ্টিমেয় কিছু স্বার্থান্বেসী মহলের। আমি আপনাদের সেবক হতে পারলে আপনাদের সাথে নিয়ে এর প্রতিকার করার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি। 

এছাড়া চেয়ারম্যান না হতে পরলেও তিনি সবসময় বড় সাদীপুর তথা মোগরা পাড়া ইউনিয়নের বাসিন্দাদের সাথে থাকার কথা পূণব্যক্ত করেন। 

এ সময় বড় সাদীপুর কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের সভাপতি শ্যামল মাওলা এবং সাধারণ সম্পাদক এম এ মহিন মিয়াসহ উপস্থিত মুসল্লীরা পরিবর্তনের পক্ষে বক্তব্য রেখে চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসাবে আশরাফকে সমর্থন ও সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস দেন।

MKRdezign

Contact Form

Name

Email *

Message *

Powered by Blogger.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget