সোনারগাঁওয়ে দরপত্র জমা নিয়ে বিএনপি’র দুই গ্রুপ মুখোমুখি , হট্টগোল
সোনারগাঁও দর্পণ :
দরপত্র জমা দেওয়া-না দিতে দেওয়াকে কেন্দ্র করে স্থানীয় বিএনপি’র দুই গ্রুপ মারমুখি মুখোমুখি অবস্থানের পর চরম উত্তেজনাপূর্ণ পরিবেশে উচ্চবাচ্য বিনিময়ে শেষ হয়েছে। এ সময় উপজেলা পরিষদের কর্মরত ও উপস্থিত জনসাধারণের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করে। মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারী) দুপুরে সোনারগাঁও উপজেলা পরিষদ কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যদর্শীরা জানায়, উপজেলার ঐতিহাসিক হাট আনন্দ বাজার, কাইকারটেক, নয়াপুর গঙ্গাপুর বাজার, মোগরাপাড়া, পঞ্চমীঘাট, ধন্দীবাজার, বিষনান্দী, বারদী, মহজমপুর, হরিহরদি, অলিপুরা ও কাঁচপুরসহ ১২টি হাট-বাজারের ইজারা গ্রহণের দরপত্র জমার দিন ছিল মঙ্গলবার। সে লক্ষে বেলা ১১টা থেকে স্থানীয় ইজারা প্রত্যাশীরা দরপত্র জমা দিতে নির্দিষ্ট সময়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে উপস্থিত হয়।
এ সময় উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি আজহারুল ইসলামের সমর্থকরা দরপত্র জমা বাক্সে দরপত্র জমা দিতে গেলে উপজেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক মোশারফ হোসেনের সমর্থকরা বাধা দেয়। এ নিয়ে উভয় গ্রুপের মধ্যে উচ্চবাচ্য বিনিময়ের ফলে ব্যাপক হট্টগোলের অবতারণা হয়। এতে উপজেলা পরিষদ চত্ত¦রে উপস্থিত সাধারণের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করে।
পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারজানা রহমানের নির্দেশে পুলিশ হস্তক্ষেপ করে দরপত্র বাক্স পুলিশের নিয়ন্ত্রণে নেয়। পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসে।
নিরাপত্তার দায়িত্বে ঘটনাস্থলে থাকা সোনারগাঁও থানার উপ-সহকারী পরিদর্শক (এএসআই) আব্দুর রশিদ জানান, দরপত্র নিয়ে ইজারা প্রত্যাশীদের মধ্যে কথা কাটাকাটির রেশ ধরে কিছুটা হট্টগোল হয়। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশে দরপত্র জমা বাক্স নিরাপদে নিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেই।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারজানা রহমান বলেন, ইজারা প্রত্যাশীদের মধ্যে কিছুক্ষণ কথা কাটাকাটি হয়েছে। আমি পুলিশ নিয়ে নিজে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করি। পরে পূণরায় দরপত্র জমা কাজ শুরু হয়ে শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হয়।