Halloween Costume ideas 2015

সোনারগাঁও দর্পণ

সর্বশেষ পোস্ট


সোনারগাঁও দর্পণ :

দরপত্র জমা দেওয়া-না দিতে দেওয়াকে কেন্দ্র করে স্থানীয় বিএনপি’র দুই গ্রুপ মারমুখি মুখোমুখি অবস্থানের পর চরম উত্তেজনাপূর্ণ পরিবেশে উচ্চবাচ্য বিনিময়ে শেষ হয়েছে। এ সময় উপজেলা পরিষদের কর্মরত ও উপস্থিত জনসাধারণের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করে। মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারী) দুপুরে সোনারগাঁও উপজেলা পরিষদ কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। 

প্রত্যদর্শীরা জানায়, উপজেলার ঐতিহাসিক হাট আনন্দ বাজার, কাইকারটেক, নয়াপুর গঙ্গাপুর বাজার, মোগরাপাড়া, পঞ্চমীঘাট, ধন্দীবাজার, বিষনান্দী, বারদী, মহজমপুর, হরিহরদি, অলিপুরা ও কাঁচপুরসহ ১২টি হাট-বাজারের ইজারা গ্রহণের দরপত্র জমার দিন ছিল মঙ্গলবার। সে লক্ষে বেলা ১১টা থেকে স্থানীয় ইজারা প্রত্যাশীরা দরপত্র জমা দিতে নির্দিষ্ট সময়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে উপস্থিত হয়। 

এ সময় উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি আজহারুল ইসলামের সমর্থকরা দরপত্র জমা বাক্সে দরপত্র জমা দিতে গেলে উপজেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক মোশারফ হোসেনের সমর্থকরা বাধা দেয়। এ নিয়ে উভয় গ্রুপের মধ্যে উচ্চবাচ্য বিনিময়ের ফলে ব্যাপক হট্টগোলের অবতারণা হয়। এতে উপজেলা পরিষদ চত্ত¦রে উপস্থিত সাধারণের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করে। 

পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারজানা রহমানের নির্দেশে পুলিশ হস্তক্ষেপ করে দরপত্র বাক্স পুলিশের নিয়ন্ত্রণে নেয়। পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসে। 

নিরাপত্তার দায়িত্বে ঘটনাস্থলে থাকা সোনারগাঁও থানার উপ-সহকারী পরিদর্শক (এএসআই) আব্দুর রশিদ জানান, দরপত্র নিয়ে ইজারা প্রত্যাশীদের মধ্যে কথা কাটাকাটির রেশ ধরে কিছুটা হট্টগোল হয়। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশে দরপত্র জমা বাক্স নিরাপদে নিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেই। 

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারজানা রহমান বলেন, ইজারা প্রত্যাশীদের মধ্যে কিছুক্ষণ কথা কাটাকাটি হয়েছে। আমি পুলিশ নিয়ে নিজে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করি। পরে পূণরায় দরপত্র জমা কাজ শুরু হয়ে শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হয়। 



সোনারগাঁও দর্পণ :

ভবিষ্যতে যারা রাজনীতিতে আসতে চান তাদের এবং নিজেদের ( সারজিসরা যে দল গঠন করতে যাচ্ছে) রাজনৈতিক দলে আসতে চাওয়া নেতা-কর্মীদেরকে অর্থনৈতিকভাবে সাবলম্বি হয়ে রাজনীতিতে আসার পরামর্শ দিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক সারজিস আলম বলেছেন, রাজনীতিতে এসে যদি আপনার চিন্তা হয় সংসার কিভাবে চালাবেন তাহলে আপনি কখনোই দেশের সেবায় কাজ করতে পারবেন না। বিগত ফ্যাসিস্টদের মতো নিজের আঁখের ঘোচাতে ব্যস্ত থাকবেন। 

আর যদি সৎ উপায়ে আপনার পরিবারের ভরণ-পোষণ করার মতো কোন চাকুরী, ব্যবসা বা অন্য কোন পেশা থাকে তাহলে আপনি রাজনীতিতে আসেন। দেশের জন্য কিছু করতে পারবেন।

রবিবার (১৬ ফেব্রুয়ারী) নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে রয়েল রিসোর্টে ‘জাতীয় নাগরিক কমিটি এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’ সোনারগাঁও শাখা আয়োজিত “আপনার চোখে নতুন বাংলাদেশ” শীর্ষক ক্যাম্পেইন তিনি এ পরামর্শ দেন।

আগামী নির্বাচন দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হবে মন্তব্য করে সারজিস আলম বলেছেন, নির্বাচনকে যদি কেউ প্রভাবিত করার বিন্দু মাত্র চেষ্টা করে তাহলে সেখানেই আরেকটি গণ অভ্যুত্থান হবে। 

তিনি বলেন, জনগণকে সামনে রেখে অন্তবর্তী সরকার যদি মনে করে আগামী ২৬ সালের জানুয়ারী বা ফেব্রুয়ারীতেই নির্বাচনের উপযুক্ত সময় আমরা কিছুই বলবনা কিন্তু একটা কথা স্পষ্টভাবে বলতে চাই এ নির্বাচনকে নিয়ে যদি বিন্দু মাত্র কোন দল, কোন গোষ্ঠি, কোন শক্তি নির্বাচনকে প্রভাবিত করার চেষ্টা বা চিন্তু করে তাহলে যে সেন্টারে বা যে এলাকাতেই প্রতিবন্ধকতা হবে সেই সেন্টার বা সেই এলাকাই হবে জুলাই আগস্টের মতো আরেকটি গণঅভ্যুত্থান। 

বিগত আওয়ামী লীগ প্রধান ও তার দোসরদের উদাহরণ টেনে সারজিস বলেন, শেখ হাসিনা যে ফ্যাসিবাদী শাসন করেছে সে শাসনে তিনি শুধু তার নৌকাকেই ডুবাননি, তার সাথে সকল নেতাকর্মীদের মুখে চুনকালি এমনভাবে মেখে দিয়েছেন যে তাদের আর ফিরে দাড়ানোর কোন উপায় নেই। 

সারজিস বলেন, এখন দেশের মানুষের এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক ব্যানারে থেকে যারা রাজনীতি করছেন তাদের চিন্তা করার সময় এসেছে যে, আপনারা কোন দলের হয়ে রাজনীতি করবেন আর কাকে ভোট দিবেন। ফ্যাসিবাদি করে যারা পিটুনির ভয়ে দেশ ছেড়ে লেজগুটিয়ে পালিয়ে যায় তাদের, না-কি যারা সাহসের সাথে সত্য বাণী নিয়ে শত প্রতিকুলতা এবং জীবন বিপন্ন জেনেও ন্যায় প্রতিষ্ঠা করতে মৃত্যুকে জয় করে বুক পেতে দেয় তাদের। সিদ্ধান্ত আপনাদের।

তিনি বলেন, আগে যেভাবে বিভিন্ন জায়গায় চাঁদাবাজী আর দখলবাজী হয়েছে এখনো সে সকল প্রতিটি জায়গায় চাঁদাবাজী আর দখলবাজী হচ্ছে বরং কোন কোন স্থানে আগের চেয়ে বেশিই হচ্ছে। তিনি বলেন, বিগত দিনের সরকারগুলো যদি তাদের নেতা-কর্মীদের নির্দিষ্ট কোন পেশায় মনোনিবেশ করাতো বা সুযোগ করে দিত। সৎ উপায়ে তাদের কোন আয়ের পথ থাকতো, যে আয় থেকে তারা তাদের সংসার চালাতে পারতেন তাহলে তাদের আজ এ পরিণতি হয়না বলেও মনে করেন সারজিস। 

তাদের নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের বিষয়ে তিনি বলেন, চলতি ফেব্রুয়ারীর মধ্যেই তাদের নতুন দল আত্মপ্রকাশ করবে। বর্তমান সরকারে থাকা তাদের অন্যতম সহযোদ্ধা নাহিদকে দলের পক্ষ থেকে সরকারি দায়িত্ব ছেড়ে জনগণের কাতারে দাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন। সারজিস আশা করেন নাহিদ তাদের ডাকে সাড়া দিবে। 

তবে, বিভিন্ন গণমাধ্যম তাদের দলকে বিভক্ত করার উদ্দেশ্যে বিভিন্ন জনকে মনগড়া পদে বসিয়ে দল ভাঙার ষড়যন্ত্র করছে বলে অভিযোগ করেন। সারজিস বলেন, তাদের দলে যে কোন বয়সের সুস্থ্য ব্যক্তির জন্য উন্মুক্ত থাকবে। তবে, বিগত ফ্যাসিস্টদের দোষর বা তাদের মনোভাবের কোন ব্যক্তি যদি আসতে চান তাহলে আগে থেকেই তাদেরকে নিরুৎসাহিত করেন সারজিস আলম। 

এ সময় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির কেন্দ্রীয় নেতা ও সংগঠন দুটির স্থানীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। 



সোনারগাঁও দর্পণ :

সোনারগাঁওয়ে অজ্ঞাত এক মহিলার খন্ডিত দেহের অংশবিশেষ (বেশ কিছু খন্ডিত অংশ) উদ্ধার করেছে কাঁচপুর হাইওয়ে পুলিশ। 

রবিবার ভোরে উপজেলার ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ঢাকাগামী লেনের দড়িকান্দি জাইদেরগাঁও এলাকা থেকে অংশগুলো উদ্ধার করা হয়। 

কাঁচপুর হাইওয়ে পুলিশের উপ-পরিদর্শক আওলাদ হোসেন জানান, ধারণা করা হচ্ছে রাতের কোন এক সময় অজ্ঞাত গাড়ির ধাক্কায় তিনি নিহত হয়েছেন। 

পরে বিভিন্ন যানবাহন চলাচলের কারণে মরদেহটি সড়কের সাথে পিষে গেছে। মাথার চুল দেখে ধারণা করা হচ্ছে নিহত ব্যক্তি একজন নারী। 

কাঁচপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কাজী ওয়াহিদ মোর্শেদ জানান, মহাসড়কে মানুষের কিছু অংশ পরে থাকতে দেখে স্থানীয়রা ফোনে জানায়। পরে পুলিশ পাঠিয়ে সেগুলো উদ্ধার করা হয়েছে। 



মোকাররম মামুন

আজ পবিত্র ‘লাইলাতুল বরাত’। অনেকে ‘শব-ই-বরাত’তো বলেন। হাদিস শরিফ মোতাবেক, শাবান মাসের পঞ্চদশ রজনীতে এ রজণী পালন করা হয়। পবিত্র হাদিস শরীফে রাসুল (সা:) শবে বারাআত’কে লাইলাতুন্ নিসফ্ মিন’ বলেছেন। সে অনুযায়ী আরবি মাসের ১৫ শাবান দিবাগত রাতে (মুলত এশার নামাজের পর থেকে) মুসলিম সম্প্রদায় এ রজনী পালন করে থাকেন। এ রজনী মুসলীম জাহানের জন্য মহিমান্বিত, বরকতময় ও ফজিলতপূর্ণ। 

‘শব’ শব্দটি ফরাসী ভাষা। এর অর্থ রাত বা রজনী। বারাআত অর্থ মুক্তি, অব্যাহতি, নিষ্কৃতি, অব্যাহতি ইত্যাদি। এ অর্থে শবে বরাতের অর্থ দাড়ায় মুক্তি, অব্যাহতি ও নিষ্কৃতির রজনী। এ রজনীতে আল্লাহ সোবহান তায়ালা পাপী বান্দাদেরকে মুক্তি পেতে আহ্বান করেন। 

পবিত্র এ রাতের অনেক তাৎপর্য ও ফজিলত রয়েছে। হযরত আয়শা (রা:) থেকে একটি হাদিসে বর্ণিত আছে, নবী করিম (সা:) হযরত আয়শা (রা:)’কে বলেন, “ হে আয়শা ! এ রাতে কি হয় জান ?” হযরত আয়শা (রা:) বলেন, আল্লাহ ও তার রাসুলই ভালো জানেন। রাসুল (সা:) বলেন, এ রাতে আগামী বছর যত শিশু জন্ম নিবে এবং মৃত্যুবরণ করবে তাদের নাম লেখা হয়। মানুষের বিগত দিনের সকল আমল আল্লাহর দরবারে পেশ করা হয় এবং মানুষের রিজীক অবতীর্ণ হয়। (মিশকাত শরীফ প্রথম খন্ড, পৃষ্ঠা নং ১১৫)

অন্য এক হাদিসে হযরত উসমান (রা:) থেকে বর্ণিত, রাসূল (সা:) বলেছেন, শাবানের ১৫ তারিখ রাতে শবে বরাত থেকে পরবর্তী শবে বরাত পর্যন্ত মানুষের বয়স নির্ধারিত হয়। এমনকি এ সময়ের মধ্যে কেউ বিয়ে করে তার সন্তান জন্ম নেয় অথচব দুই শাবানের অন্তবর্তীকালীণ সময় যারা মারা যাবে তাদের তালিকায় তার নাম রয়েছে। 

‘লাইলাতুল বরাত বা শবে বরাত’ মহান আল্লাহ সোবহান তায়ালার পক্ষ থেকে মুসলিম উম্মার জন্য এক বিশেষ উপহার। বিশেষ করে বান্দার বিগত দিনের সকল প্রকার গুনাহের জন্য ক্ষমা চেয়ে আল্লাহ নৈকট্য লাভের মাধ্যমে নিজের ভাগ্য নির্ধারনের অপূর্ব সুযোগ। 

আমরা যদি রাত জেগে কোরআন তিলওয়াত, নফল নামাজ, বেশি বেশি করে কাজা নামাজ আদায়, জিকির আসগার, ইস্তেগফারসহ ভালো ও ফজিলপূর্ণ আমল করতে পারি তাহলে আশা করতে পারি আল্লাহ আমাদের গুনাহ্ মাফ করবেন।  

হাদিসে উল্লেখ আছে, সূর্যাস্তের পর আল্লাহ সোবহান তায়ালা পৃথিবীর প্রথম আঁকাশে অবস্থান করেন এবং বান্দাদেরকে তার দিকে ডাকতে থাকেন। বলতে থাকেন, আমার কোন বান্দা আছো, যে তোমার গুণাহ মাফ করাতে চাও। কে আছো যে তোমার রোগ থেকে মুক্তি চাও, কে আছো যে তোমার রিজিক বাড়াতে চাও।”

হযরত মুআজ ইবনে জাবাল (রা:) সূত্রে বর্ণিত আছে, হুজুরে পাকস (সা:) বলেছেন, অর্ধ শাবানের রাতে আল্লাহ সোবহান তায়ালা সৃষ্টিকুলের প্রতি রহমতের দৃষ্টি দেন এবং মুশরিক ও হিংসুক-বিদ্বেশী লোক ছাড়া সকলকে ক্ষমা করে দেন। (সহিহ ইবনি হিŸান, হাদিস নং ৫৬৬৫, আল মু’জামুল কাবীর ২০/১০৯, শুআবুল ইমান, হাদিস নং ৬৬২৮)

হযরত আয়েশা (রা:) বলেন, এক রাতে রাসুল (সা:) উঠে নামাজে দাড়ালেন। সিজদায় তিনি এতটা দীর্ঘ সময় অতিক্রম করলেন যে আমি ভয় পেয়ে যাই যে, তিনি আমাদের ছেড়ে চলে গেলেন কি-না। এক সময় আমি বিছানা থেকে উঠে রাসুল (সা:) এর বৃদ্ধাঙ্গুলি ধরে নাড়া দিই। বিশ্বাস হলো তিনি বেঁচে আছেন। পরে বিছানায় চলে আসি। পরে রাসুল (সা:) নামাজ শেষে আমাকে বললেন, হে আয়েশা ! তোমার কি ধারণা হয়েছে যে নবী তোমার সঙ্গে সীমা লঙ্ঘন করেছে ? আমি উত্তরে বলি, জি¦-না আল্লাহ রাসুল ! তবে, আপনার দীর্ঘ সময় সিজদায় আমার মনে হয়েছিল আপনি না মৃত্যুবরণ করেছেন। 

এরপর রাসুল (সা:) বলেন, হে আয়েশা ! তুমি কি জানো আজকের এ রাতটি কি ? আয়েশা বলেন, আমার আল্লাহ ও তাঁর রাসুলই ভারো জানেন। পরে তিনি আমাকে বললেন, এ রাতে আগামী বছর যত শিশু জন্ম নিবে এবং মৃত্যুবরণ করবে তাদের নাম লেখা হয়। মানুষের বিগত দিনের সকল আমল আল্লাহর দরবারে পেশ করা হয় এবং মানুষের রিজীক অবতীর্ণ হয়। তবে, হিংসুক লোকদের তার অবস্থানের ওপর ছেড়ে দেন। (শুআবুল ইমান, হাদিস নং ৩৮৩৫)।

আল্লাহ সোবহান তায়ালা যেন আমাদের সকলকে শবে বরাতের ফজিলত নসিব করেন। তিনি যেন আমাদের হিদায়েত দান করেন। আমিন।



সোনারগাঁও দর্পণ :

অবৈধ উচ্ছেদ অভিযানকে স্বাগত জানিয়ে বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মাসুম শিকদার বলেছেন, এ উচ্ছেদ অভিযান যদি স্থায়ী না হয় তাহলে প্রশাসনকে এর জবাব দিতে হবে। প্রয়োজনে স্থানীয় এলাকাবাসী ও ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের নিয়ে আন্দোলন করে এর জবাব চাওয়া হবে। 

সোনারগাঁও উপজেলা প্রশাসনের টানা তিন দিনের মতো অবৈধ উচ্ছেদ অভিযান চলাকালে উপজেলার মোগরাপাড়া চৌরাস্তা বাসস্ট্যান্ডের পশ্চিম পাশে ‘কলাপাতা সুইট এন্ড পেষ্ট্রি সপ’ ভাঙার সময় সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, অবৈধ ব্যবস্থাপনা কোন স্থায়ী সমাধান না। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে, অবৈধ উচ্ছেদ দীর্ঘায়িত হয়না। এক সপ্তাহের মধ্যে পূণরায় নতুন করে বসার সুযোগ থাকে। 

এ সময় তিনি প্রশাসনের কাছে অনুরোধ করেন, স্থায়ীভাবে যদি এই উচ্ছেদের কোন সমাধান না করতে পারে, তাহলে যাদেরকে অবৈধ উচ্ছেদ করা হয়েছে, এলাকার লোকজন নিয়ে প্রশাসনের কাছে আন্দোলনের মাধ্যমে জবাবদিহি চাওয়া হবে। তিনি প্রশ্ন রাখেন, প্রশাসন যদি কোন স্থায়ী সমাধান না করতে পারেন তাহলে ভাঙা কেন। মানুষের ক্ষতি কেন করলো।

মাসুম শিকদার বলেন, মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা না করে এভাবে ভাঙচুর করলেন কেন। ভাঙচুরের পর তাদেরকে পূণর্বাসনের জন্য যারা উদ্যোগী হয়, তাদের নির্বিত না করে গরীব-দুঃখী মানুষদের ওপর কেন কিছু দিন পরপর এ খড়গ। কেন দুই দিন পর পর এই ইদুর বিড়াল খেলা। এই ইদুর বিড়াল খেলা বন্ধ করুন। যদি পারেন স্থায়ী সমাধান করুন। 

প্রশাসন যদি আমাদের স্থায়ী উচ্ছেদে আশ্বস্ত করতে না পারে তাহলে স্থানীয় লোকজন নিয়ে আন্দোলনের মাধ্যমে এর জবাব চাইবো। দেখি প্রশাসন এর কি ব্যবস্থা নেয়।

এরআগে, গত ১১ ফেব্রুয়ারী মঙ্গলবার বিকাল থেকে সোনারগাঁওয়ের মোগরপাড়া চৌরাস্তা এলাকা ও ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক যানজট মুক্ত রাখতে অবৈধ উচ্ছেদ অভিযানে নামে উপজেলা প্রশাসন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারজানা রহমান ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এর নেতৃত্বে এবং থানা পুলিশ ও কাঁচপুর হাইওয়ে পুলিশের সহায়তায় এ সকল অভিযান পরিচালনা করা হয়। 



সোনারগাঁও দর্পণ :

গত জুলাই-আগস্টে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত তিন আসামীকে গ্রেফতার করেছে সোনারগাঁও থানা পুলিশ। বুধবার দিবাগত রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলা পিরোজপুর ও জামপুর ইউনিয়নের বিভিন্নস্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। 

সোনারগাঁও থানা সূত্রে জানাগেছে, আটকৃতদের মধ্যে পিরোজপুর ইউনিয়নের মেঘনা শিল্পাঞ্জল শ্রমিকলীগ সাধারণ সম্পাদক তোফায়েল আহমেদ স্বপন, জামপুর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম ভূইয়া এবং একই এলাকার মৎসলীগ সভাপতি মো. মিছির আলী। 

এছাড়াও আরও একজন অন্য একটি মামলায় গ্রেফতার হয়েছে।

গ্রেফতারকৃতদের বৃহস্পতিবার জেলা আদালতে পাঠানো হয়েছে।



সোনারগাঁও
দর্পণ :

সোনারগাঁওয়ে আবারো শুরু হয়েছে অবৈধ দখলদারদেরকে উচ্ছেদ অভিযান। মঙ্গলবার (১১ ফেব্রæয়ারী) বিকাল থেকে জেলার সোনারগাঁও উপজেলার প্রাণকেন্দ্র মোগরাপাড়া চৌরাস্তা বাস স্ট্যান্ডে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে এ অভিযানের কাজ শুরু করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারজানা রহমান। উচ্ছেদ অভিযান চলে সন্ধ্যা সাতটা পর্যন্ত। 

এদিকে, বুধবার (১২ ফেব্রæয়ারী) সকাল থেকে আবারও ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের দুই পাশে উচ্ছেদ অভিযান চালায় উপজেলা প্রশাসন। এ সময় অভিযানের নেতৃত্ব দেন উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি মঞ্জুর মোর্শেদ। সাথে ছিলেন সোনারগাঁও থানা পুলিশ, কাঁচপুর হাইওয়ে পুলিশ, আনসার সদস্যসহ উপজেলা ভূমি অফিসের কর্মচারী, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মী। 

উপজেলার ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের দুই পাশে সড়ক ও জনপদ অধিদপ্তরের জায়গা দখল করে তিনটি কাঁচাবাজারসহ কমপক্ষে দুই হাজারের অধিক অবৈধ দোকানপাট গড়ে তুলে স্থানীয় প্রভাবশালীরা। 

যা থেকে মাসে কোটি টাকা চাঁদাবাজী করার অভিযোগ দীর্ঘ দিনের। আর স্থানীয় প্রভাবশালীদের সাথে গোপন আঁতাতে মাসোয়ারা পেয়ে থাকেন সড়ক ও জনপদ অধিদপ্তর, থানা পুলিশ এবং হাইওয়ে পুলিশের কিছু অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারী।

এদিকে অবৈধ উচ্ছেদ অভিযানে সরেজমিনে গেলে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা জানায়, থানা পুলিশ বা হাইওয়ে পুলিশের নতুন কর্মকর্তারা সোনারগাঁওয়ে যোগদান করলে কিছুদিন পর পর অবৈধ দোকানপাট নামকাওয়াস্তে উচ্ছেদ অভিযান চালায়। ফলে বিভিন্ন ঋণদানকারী সংস্থা থেকে ঋণ নেওয়া ব্যবসায়ীরা ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। দুই দিনে মহাসড়কের কমপক্ষে উভয় পাশে তিনশ দোকান উচ্ছেদ করা হয়।


তারা জানান, উপজেলা প্রশাসন একদিকে তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভেঙ্গে গুড়িয়ে দিয়ে যান অপরদিকে, প্রভাবশালীরা আগের চেয়ে বেশি দামে দোকান দিতে উঠে-পড়ে নামেন। কোন জায়গায় আগে ব্যবসা করা ব্যবসায়ী তাদের চাহিদানুযায়ী টাকা দিতে না পারলে অন্যব্যক্তিদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে জায়গা দিয়ে থাকেন। 

ব্যবসায়ীরা জানান, জায়গার অগ্রিম বাবদ কমপক্ষে দুই লাখ টাকা থেকে ১০ লাখ টাকা আর দৈনিক কমপক্ষে ১০০ টাকা থেকে ১২শ টাকা ভাড়া বাবদ আদায় করা হয়।  

তাদের (ব্যবসায়ী) দাবি, কিছুদিন পরপর লোক দেখানো উচ্ছেদ অভিযান না করে মহাসড়কে যানবাহন নির্ভিঘেœ চলাচল ও ব্যবসায়ীদের জন্য স্থায়ীভাবে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক। 

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারজানা রহমান বলেন, আমি এর আগেও এইখানে উচ্ছেদ করেছি। উচ্ছেদের পর নতুন করে বসতে টাকা নেওয়ার বিষয়টি আমার জানা ছিলনা, আপনার কাছ থেকেই শুনেছি। যদি এমন ঘটনার প্রমাণ পাওয়া যায়, তাহলে তার বিরুদ্ধে অবশ্যই আইনানুগ ব্যবস্থা নেব।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যারা ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ী তাদের জন্য স্থায়ীভাবে কিছু করার চিন্তাভাবনা চলছে। আমরা চেষ্টা করব স্থায়ীভাবে কিছু করার।

MKRdezign

Contact Form

Name

Email *

Message *

Powered by Blogger.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget