Halloween Costume ideas 2015

সোনারগাঁও দর্পণ

সর্বশেষ পোস্ট


সোনারগাঁও দর্পণ :

মাদক ব্যবসার পাওনা টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখমের ৪দিন পর শাহজাহান (৩১) নামে নিহত শাহজাহান হত্যা মামলার প্রধান আসামী ইমরানকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বুধবার (৪ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলার কাঁচপুর এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে সোনারগাঁও থানা পুলিশ। পরে গ্রেফতারকৃত ইমরানকে আদালতের মাধ্যমে সকালে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। 

এদিকে, এজাহারভুক্ত সাত আসামীর মধ্যে উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়নের ছোট কোরবানপুর গ্রামের হাসুর ছেলে ইমরান এই মামলার প্রধান আসামী হলেও স্থানীয়দের দাবি, মামলার ৩ নং আসামী ছোট কোরবানপুর গ্রামের মৃত সাফায়াত উল্লাহর ছেলে রাসেল (নিহত সন্ত্রাসী গিট্টু হৃদয়ের বোনের স্বামী) ঘটনার মুল হোতা।

পিরোজপুরের ছোট কোরবানপুর, কোরবানপুর, মঙ্গলেরগাঁও, পাঁচআনি, দুধঘাটাসহ বেশ কয়েকটি গ্রামের মাদকের একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তার করে। দেশের বিভিন্ন সরকারের সময় ওই সরকারের লোক হিসেবে ট্যাগ লাগিয়ে বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অসাধু কতিপয় সদস্যদের মাসোয়ারা দিয়ে নিরাপদের মাদক ব্যবসা ও চাঁদাবাজি চালিয়ে সমাজে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতো। বিয়ের সুবাদে চৌরাস্তা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় প্রভাবশালী আত্মীয়-স্বজন হওয়ায় এবং প্রশাসনের অসাধু সদস্যদের সাথে সুসম্পর্ক থাকায় তার বিরুদ্ধে কেউ কথা বলার সাহস পায়না। যদিও কখনো কেউ সাহস দেখায় তাহলেই তার ভিটে ঘু-ঘু চড়িয়ে থাকে রাসেল।

এরআগে, উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়নের ছোট কোরবানপুর গ্রামের হাসুর ছেলে অভিযুক্ত ইমরান (৩৫), শান্তিনগর গ্রামের রোমানের ছেলে বিজয় (৩৪), ছোট কোরবানপুর গ্রামের মৃত সাফায়াত উল্লাহর ছেলে রাসেল (নিহত সন্ত্রাসী গিট্টু হৃদয়ের বোনের স্বামী) (৪২), খাসেরগাঁও গ্রামের রুবেল, একই গ্রামের আনোয়ার ও নূর হোসেন, একই গ্রামের মনির হোসেনের ছেলে বাবু (২৪) একই ইউনিয়নের মঙ্গলেরগাঁও দুধঘাটা গ্রামের আল ইসলামের ছেলে শাহজাহানকে পূর্ব শত্রæতার জের ধরে রামদা, ছেনা, চাকু, ছুরি, চাপাতি, এস এস পাইপ, লাঠি সোঠাসহ দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্রে সজ্জিত হয়ে গত ২৮ নভেম্বর বিকাল অনুমান প্রায় ৫টার দিকে কোরবানপুর মাতলাপাড়া কবরস্থান সংলগ্ন বালুর মাঠে শাহজাহানকে এলোপাথারীভাবে কুপিয়ে রক্তাক্ত আহত করে। গুরুতর আহত অবস্থায় শাহজাহানকে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। পরবর্তীতে উন্নত চিকিৎসার জন্য ১ ডিসেম্বর রাজধানীর শ্যামলীতে অবস্থিত প্রাইম হাসপাতালে ভর্তি করান। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২ ডিসেম্বর বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে শাহজাহান মারা যায়। 

সোনারগাঁও থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল বারি বলেন, শাহজাহান হত্যা মামলার প্রধান আসামীকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। বাকি আসামীদের গ্রেফতারে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে। 



সোনারগাঁও দর্পণ :

যুবলীগ নেতা মোবারক হোসেন (৪০) ঘুরতে বের হয়ে নিখোঁজ হয়েছে গত শনিবার (২৮ নভেম্বর)। বুধবার (৪ ডিসেম্বর) ব্রহ্মপুত্র নদ থেকে হাত-পা বাঁধা ভাসমান অবস্থায় তার লাশ উদ্ধার করে নৌপুলিশ। ঘটনাটি সোনারগাঁও উপজেলার জামপুর ইউনিয়নের আলমপুরা এলাকার।

স্থানীয়রা জানায়, মোবারক পেশায় একজন রাজমিস্ত্রি হলেও স্থানীয় আওয়ামী রাজনীতিতে ছিলেন সংক্রিয়। উপজেলার সাদিপুর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড যুবলীগের সদস্য ছিলেন। গত শনিবার (২৮ নভেম্বর) বিকালে বাড়ির বাইরে থেকে একটু ঘুরে আসার কথা বলে বের হোন। কিন্তু আর বাড়ি ফিরেননি। 

বাড়ি না ফেরায় অনেক খোঁজাখুজির পর না পেয়ে ভাতিজা শরীফ বাদি হয়ে সোনারগাঁও থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করে। এদিকে, নিখোঁজের ৫দিন পর বুধবার (৪ ডিসেম্বর) বিকালে উপজেলার জামপুর ইউনিয়নের আলমপুরা এলাকায় ব্রহ্মপুত্র নদে যুবকের লাশ ভাসতে দেখে পুলিশে খবর দেয় স্থানীয়রা। পরে নৌ পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে।

এদিকে, খবর পেয়ে স্বজনরা আসলে তাকে শনাক্ত করে। 

নিহত মোবারক উপজেলার সাদিপুর ইউনিয়নের গোলনগর গ্রামের আব্দুল আউয়ালের ছেলে। 



সোনারগাঁও দর্পণ :

মাদক ব্যবসার পাওনা টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখমের ৪দিন পর শাহজাহান (৩১) নামে এক যুবকের চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়েছে। সোমবার (২ ডিসেম্বর) বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে রাজধানীর শ্যামলীর প্রাইম হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। যদিও ঘটনার দিন গত ২৮ নভেম্বর এ ঘটনায় নিহতের মা রিনা বাদি হয়ে ২ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ৬/৭ জনকে আসামী করে সোনারগাঁও থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। এদিকে, ছেলের মৃত্যুর পর তার বাবা আল ইসলাম বাদি হয়ে সাত জনের নাম উল্লেখ করে মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) একটি হত্যা মামলা করেন।

মামলার এজাহার থেকে জানাগেছে, উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়নের ছোট কোরবানপুর গ্রামের হাসুর ছেলে অভিযুক্ত ইমরান (৩৫), শান্তিনগর গ্রামের রোমানের ছেলে বিজয় (৩৪), ছোট কোরবানপুর গ্রামের রাসেল (নিহত সন্ত্রাসী গিট্টু হৃদয়ের বোনের স্বামী) (৪২), খাসেরগাঁও গ্রামের রুবেল, একই গ্রামের আনোয়ার ও নূর হোসেন, একই গ্রামের মনির হোসেনের ছেলে বাবু (২৪) একই ইউনিয়নের মঙ্গলেরগাঁও দুধঘাটা গ্রামের আল ইসলামের ছেলে শাহজাহানকে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে খুন-জখমের হুমকি দিয়ে আসছিল। এরই ধারাবাহিকতায় অভিযুক্ত আসামীরা রামদা, ছেনা, চাকু, ছুরি, চাপাতি, এস এস পাইপ, লাঠি সোঠাসহ দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্রে সজ্জিত হয়ে গত ২৮ নভেম্বর বিকাল অনুমান প্রায় ৫টার দিকে কোরবানপুর মাতলাপাড়া কবরস্থান সংলগ্ন বালুর মাঠে শাহজাহানকে এলোপাথারীভাবে কুপিয়ে রক্তাক্ত আহত করে। তাদের মধ্যে আসামী ইমরান শাহজাহানের বাম হাতের কব্জির রগ কেটে ফেলে। আসামী বিজয় চাপাতির আঘাঁতে শাহজাহানের পিঠের বাম দিকে এবং অন্যান্য আসামীরা ছেনদা, চাপাতি দিয়া কুপিয়ে শাহজাহানের বাম উরুসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে রক্তাক্ত জখম করে। গুরুতর আহত অবস্থায় শাহজাহান মাটিতে লুটিয়ে পড়লে ইমরান শাহজাহানের প্যান্টের ডান পকেট থেকে নগদ ৬০ হাজার টাকা নিয়ে যায়। এমতাবস্থায় আহত শাহজাহানের আর্তচিৎকারে আশেপাশের লোকজন ঘটনাস্থলে গেলে আসামীরা খুন করার হুমকি দিয়ে চলে যায়। 

এ ঘটনা জানার পর তিনি (বাদি শাহজাহান) সাথে সাথে ঘটনাস্থলে গিয়ে ছেলের অবস্থা বেগতিক দেখে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। পরবর্তীতে উন্নত চিকিৎসার জন্য ১ ডিসেম্বর রাজধানীর শ্যামলীতে অবস্থিত প্রাইম হাসপাতালে ভর্তি করান। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২ ডিসেম্বর বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে মারা যায়। 

এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় একাধিক সূত্র জানায়, ছোট কোরবানপুর গ্রামের সাফায়াত উল্লার ছেলে রাসেল তার স্ত্রীর ভাই এক সময়ের সোনারগাঁওয়ের মূর্তমান আতঙ্ক হৃদয় ওরফে গিট্টু হৃদয় ক্রস ফায়ারে নিহত হওয়ার পর ছোট কোরবানপুর এলাকায় মাদকের একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তার করে। এমনকি নৌ চাঁদাবাজির পাশাপাশি নদী পথকে মাদকের নিরাপদ রুট হিসেবে ব্যবহার করে। সেই গ্রæপের অন্যতম সদস্য ছিলেন নিহত শাহজাহান। এক সময় শাহজাহান তার নিজ এলাকায় ছাত্রলীগের নেতাদের ছত্রছায়ায়  মাদকের ব্যবসা শুরু করলেও মাদক পাইকারী হিসাবে রাসেলের কাছ থেকেই ক্রয় করতো। সেই মাদকের টাকা না দেওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে ফোনে ডেকে নিয়ে কুপিয়ে আহত করে। পরে গতকাল ২ ডিসেম্বর চিকিসৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

এ বিষয়ে সোনারগাঁও থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল বারি বলেন, এ বিষয়ে মামলার প্রস্তুতি চলছে। 



সোনারগাঁও দর্পণ :

নদীতে অবৈধ ঝোঁপ উচ্ছেদ করেছে উপজেলা প্রশাসন। মেঘনা নদীতে দেশীয় মাছের বংশবৃদ্ধি ও উৎপাদনের লক্ষ্যে রবিবার (১ ডিসেম্বর) বেলা ১১টার দিকে মেঘনা নদীতে সোনারগাঁও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারজানা রহমান ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে অবৈধ ঝোঁপ উচ্ছেদে এক অভিযান পরিচালনা করেন। 

অভিযানের সময় তিনটি ঝোঁপের আনুমানিক ২০ লাখ টাকা মূল্যের বাঁশ ও জাল কেটে নষ্ট করা হয়। আরও দুটি ঝোঁপে থাকা কচুরীপানা সরিয়ে দেওয়া হয়। 

এছাড়া, মেঘনা নদীতে থাকা মাছের অবৈধ ঝোঁপ আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে না সরানো হলে ঝোঁপ উচ্ছেদসহ তাদের (ঝোঁপ মালিক) বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে হুশিয়ারী দেন। 

এ সময় উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মনজুরুল মোর্শেদ, উপজেলা সিনিয়র মৎস কর্মকর্তা মাহমুদা আক্তার, নৌ-পুলিশ উপস্থিত ছিলেন। 



সোনারগাঁও দর্পণ :

সোনারগাঁওয়ে ১২ কেজি ৫শ গ্রাম গাঁজা ও ১২শ পিস ইয়াবাসহ তিন মাদক কারবারী আটক করেছে সোনারগাঁও থানা পুলিশ। বৃহস্পতিবার ভোরে উপজেলার মেঘনা শিল্পাঞ্চলের মেঘনা টোল প্লাজার আষাঢ়িয়ার চর এলাকায় বিভিন্ন যানবাহনে তল্লাসীর সময় তাদের আটক করা হয়। এ সময় একটি প্রাইভেটকার জব্দ করা হয়।

থানা সূত্রে জানাগেছে, ২৮ নভেম্বর ভোর প্রায় ৪টার দিকে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকাগামী ইউনিক পরিবহন থেকে নেমে চলে যাওয়ার সময় গতিবিধি সন্দেহজনক মনে হলে চট্টগ্রাম জেলার বায়োজিদ বোস্তামি থানার ওয়াজদিয়া গ্রামের মৃত রফিক আহমেদের ছেলে সাহেদুল ইসলাম জসিমের দেহ তল্লাসী করে সোনারগাঁও থানার এসআই সঞ্জয় কুমার বসাক। পরে তার কাছ থেকে এক হাজার দুই’শ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করে। 

অপরদিকে, একই স্থানে অভিযান চালিয়ে সিলভার রংয়ের প্রাইভেটকার (ঢাকা মেট্রো গ ১৪-২২১৬) থেকে ১০ কেজি গাঁজাসহ শরিয়তপুর জেলার নরিয়া থানার শুভগ্রামের আক্কাস পাটোয়ারীর ছেলে সাকিব পাটোয়ারীকে গ্রেফতার করে সোনারগাঁও থানার এসআই আব্দুল্লাহ আল মাসুদ। 

এদিকে, উপজেলার মেঘনা শিল্পাঞ্চলের মেঘনা টোল প্লাজার আষাঢ়িয়ার চর এলাকায় বিভিন্ন যানবাহনে তল্লাসীর সময় ২৭ নভেম্বর বুধবার রাজধানীর মতিঝিল থানার কমলাপুর এলাকার মৃত হাতেম আলীর ছেলে শাহআলমকে ২ হাজার ৫শ গ্রাম গাঁজাসহ আটক করে সোনারগাঁও থানার এসআই রতন বৈরাগী। 

আটককৃতদের মাদক আইনে মামলার পর গ্রেফতার দেখিয়ে  সকালে আদালতে পাঠানো হয়েছে।



সোনারগাঁও দর্পণ :

সোনারগাঁওয়ে বসুন্ধরা পেপার মিলে বিস্ফোরণ থেকে সৃষ্ট আগুন নিভাতে গিয়ে কমপক্ষে ১০ শ্রমিক দগ্ধ হয়েছে। দগ্ধ আহত শ্রমিকদের উদ্ধার করে রাজধানীর জাতীয় বার্ন এন্ড প্লাষ্টিক সার্জারী ইনস্টিটিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে। 

রোববার (২৪ নভেম্বর) সকাল দশটার দিকে উপজেলার মেঘনাঘাট এলাকায় কারখানাটির ডিটারজেন্ট তৈরির ইউনিটে বিস্ফোরণের এ ঘটনা ঘটে। 

দগ্ধ শ্রমিকরা হলো - মো. আরিফ (২৭), মো. হাসান (২২), বিপ্লব (২৮), মো. নূর আলম (২৩), মো. তাহমিদ শেখ (৪০),  মো. তন্ময় (২৫), চঞ্চল (২৬),  আল আমিন (২৪), মো. হাসান (১৮) ও মো. শাওন। দগ্ধরা সকলেই ওই কারখানার শ্রমিক বলে জানা গেছে। 

কারখানার শ্রমিকরা জানায়, বসুন্ধরা পেপার মিলের ইউনিট -১ এ এয়ারফ্রেশনার, ডিটারজেন্ট, এরোসল, হারপিক ও মশার কয়েল তৈরি করা হয়। সকাল দশটার দিকে কারখানাটির ডিটারজেন্ট তৈরির ইউনিটে বৈদ্যুতিক লাইনের সংযোগ দিতে গিয়ে মিস ম্যাচ হয়ে পাইপলাইনে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এ বিস্ফোরণে সৃষ্ট আগুনে ১০ দশ শ্রমিক দগ্ধ হয়। আহতদের সহকর্মীরা তাদেরকে হাসপাতালে নিয়ে যায়।

বার্ন ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. শাওন বিন রহমান জানান, আহতদের শরীরের কমপক্ষে ১৫ থেকে ২০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। 

এদিকে ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের উপ-সহকারী পরিচালক আব্দুল মন্নান জানান, ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের প্রাথমিক তদন্ত করছে। কারখানায় বিপুল পরিমানে ক্যামিকেল থাকলেও আগুন বেশিদূর ছড়াতে পারেনি। কারখানার শ্রমিকরাই আগুন নিয়ন্ত্রণ করে। 



সোনারগাঁও দর্পণ :

আমরা প্রতিহিংসা নিয়ে কাজ করতে চাইনা। ভালবাসা নিয়ে কাজ করতে চাই। আমাদের নেত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া সকলকে ঐক্যবদ্ধ থেকে মানুষকে ভালবেসে কাজ করে দেশকে এগিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। কিন্তু আমরা লক্ষ্য করছি যে, আপনারা আমাদেরকে বিভিন্নভাবে হেয় করে বিভিন্ন বক্তব্য দিচ্ছেন। যা মোটেও গ্রগণযোগ্য না। ভবিষ্যতে আর কখনো কোন কটাক্ষ করে কেউ কোন বক্তব্য দিলে ভাল হবেনা। এর কঠোর জবাব হবে।

উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও তার অনুসারিদের উদ্দেশ্য করে এ সকল কথা গুলো বলেছেন সোনারগাঁও আসনের সাবেক সাংসদ ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক রেজাউল করিম। সোমবার (১৮ নভেম্বর) উপজেলা মোগরাপাড়া চৌরাস্তা এলাকার ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পশ্চিম পাশে উপজেলা বিএনপির ব্যানারে খালেদা জিয়ার রোগ মুক্তি ও ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবীতে অনুষ্ঠিত দোয়া মাহফিল ও জনসভায় দেওয়া বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেন।  

রেজাউল করিম আরও বলেন, বিগত ১৭ বছরে বিএনপি ও এর বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের যে সকল নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা-মোকদ্দমা হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে থাকা সকল মামলা উঠিয়ে নেওয়া হবে। তিনি বলেন, আমরা বিভিন্ন মতাদর্শের হতে পারি। কিন্তু দল আমাদের আকটাই। আমরা একে অপরের সাথে মিলে মিশে দলটিকে সামনে এগিয়ে নিতে যেন কাজ করি। আর তা না করে আমার কোন নেতাকর্মীকে যদি আর একটি মিথ্যা মামলা দেওয়া হয় তাহলে আপনাদের বলি আপনারা কোন ভয় পাবেননা। নির্ভয়ে আপনারা সামনের দিকে এগিয়ে যান। 

 রেজাউল করিম বলেন, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মাধ্যমে বিএনপির সহযোগিতায় যে স্বাধীনতা আমরা অর্জন করেছি সে অর্জন কোনভাবেই যেন শেষ না হয় সেদিকে যেমন খেয়াল রাখতে হবে ঠিক তেমনি বর্তমান সরকারও যেন ব্যর্থ না হয় সে দিকেও সজাগ থাকতে হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

এসময় আজহারুল ইসলাম মান্নান ও তার সমর্থকদের উদ্দেশ্য করে অন্যান্য বক্তারা ৫ আগস্টের পর আওয়ামী লীগকে বিদায়ের পর থেকেই সোনারগাঁওয়ে মান্নান পন্থিরা যে চাঁদাবাজি আর দখল বাণিজ্যে মেতে উঠেছে তার নিন্দা জানান।

জেলা যুবদলের সাবেক সহ সভাপতি হারুন অর রশিদ মিঠুর সঞ্চালনায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শাহ আলম মুকুল, কেন্দ্রীয় বিএনপি নেতা ইমতিয়াজ আহমেদ বকুল, থানা বিএনপির সহ সভাপতি শফিউদ্দিন ভুইয়া, পোৗর যুবদলের সাবেক সভাপতি ফারুক আহমেদ তপন, যুবদল নেতা খোরশেদ আলম প্রমুখ। 

এর আগে, উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে দলে দলে হাজারো নেতাকর্মীরা বিভিন্ন ব্যানার, ফেস্টুন ও প্লেকার্ড নিয়ে মিছিলসহ চৌরাস্তায় এসে জড়ো হন।  


MKRdezign

Contact Form

Name

Email *

Message *

Powered by Blogger.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget