Halloween Costume ideas 2015
August 2024


সোনারগাঁও দর্পণ : 

বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের প্রধান সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশে ছেড়ে চলে যাওয়ার পর থেকেই বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের পাশাপাশি মহাসড়কে সরব হয় বিএনপি ও এর অংঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা। হামলা-ভাঙচুর করে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অফিস ও অফিসে থাকা আসবাবপত্র, বঙ্গবন্ধু ও সাবেক প্রধানমন্ত্রীর ছবি, ভাষ্কার্যসহ বিভিন্ন স্থাপনা। রাজধানীর কিছু স্থানসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে দখলে নেয় আওয়ামী লীগ ও এ সংগঠনটির সাথে সম্পৃক্ত বিভিন্ন ব্যক্তিদের ব্যবসা-বাণিজ্যসহ নানান প্রতিষ্ঠান। এ সবকিছুর সাথে নতুন করে যুক্ত হয়েছে দেশের বীর মুক্তিযোদ্ধাদের বিভিন্ন কার্যালয় দখলে নিয়ে বিএনপি’র কার্যালয় গঠনের। এ থেকে বাদ পরেনি সোনারগাঁও।

এরই অংশ হিসেবে গত বৃহস্পতিবার সোনারগাঁও পৌরসভার আদমপুর বাজারে অবস্থিত ‘সোনারগাঁও পৌরসভা মুক্তিযোদ্ধা কার্যালয়’ এ হামলা ভাঙচুরের পর অফিসটি দখলে নিয়েছে পৌর বিএনপি। দখলে নিয়ে বিএনপির দলীয় কার্যালয়ের সাইনবোর্ডও সেটে দিয়েছে পৌর বিএনপির নেতারা। 

স্থানীয় সূত্র মতে, সোনারগাঁও পৌরসভার পাটালপাড়া এলাকার বিএনপির কর্মী ফিরোজ মিয়ার নেতৃত্বে বিএনপির কয়েকজন সমর্থক গত বুধবার বিকেলে সোনারগাঁও পৌরসভার আদমপুর বাজারে গিয়ে মুক্তিযোদ্ধা কার্যালয়ের তালা ভেঙ্গে ভেতরে থাকা মুক্তিযোদ্ধাদের বসার টেবিল চেয়ার, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবিসহ বিভিন্ন আসবাবপত্র ভাংচুর করে। এসময় স্থানীয় লোকজন তাদের বাঁধা দিলেও কোন লাভ হয়নি। পরের দিন মুক্তিযোদ্ধা অফিসের সাইনবোর্ড মুছে সেখানে বৃহস্পতিবার সকালে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির সোনারগাঁও পৌরসভার প্রধান কার্যালয়ের সাইনবোর্ড লাগিয়ে দেয়া হয়। 

এদিকে, মুক্তিযোদ্ধা কার্যালয় দখলে নেয়ায় বিএনপির নেতাকর্মীদের এমন হীন কাজের সমালোচনা ও তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন স্থানীয় বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ। 

এতো ঘটনার পরও মুক্তিযোদ্ধাদের কার্যালয় দখল করার বিষয়ে জানেন না বলে জানিয়েছেন সোনারগাঁও পৌর বিএনপির সভাপতি হাজী শাজাহান মেম্বার। তিনি জানান, বিএনপির কেউ কারো কোনো কিছু অন্যায়ভাবে দখল করতে পারবেনা। যদি কেউ অন্যায়ভাবে মুক্তিযোদ্ধাদের কার্যালয় দখল করে দলীয় কার্যালয় বানিয়ে দলের দুর্নাম করে, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিকভাবে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। 

অপরদিকে স্থানীয় বিএনপির কয়েকজন নেতা দাবি করেন, কিছু নামধারী বিএনপির কর্মী সমর্থক নেতা হওয়ার জন্য মুক্তিযোদ্ধাদের কার্যালয় ভাংচুর করে দখল করেছে। যারা এই কাজ করেছে তারা কখনো বিএনপির প্রকৃত কর্মী সমর্থক হতে পারেনা। তারা লুটেরা দল। 

এ ঘটনা জানাজানি হলে স্থানীয় অনেকেরই বলেছে, তারা এখনো ক্ষমতায় না এসেই বিভিন্ন স্থানে যে সকল হিংসাত্মক কর্মকান্ড করছে এতে তারা নিজেরাই দলেই ভবিষ্যৎ নষ্ট করছে। 

বিষয়ে  উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সদস্যরা কার্যালয়ে হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন।



সোনারগাঁও দর্পণঃ

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে দুই ভাইকে কুপিয়ে হত্যা চেষ্টা করেছে স্থানীয় সন্ত্রাসীরা। আধিপত্য বিস্তার ও পূর্ব শত্রুতার জের ধরে সনমান্দি ইউনিয়নের জাইদেরগাঁও এলাকায় মঙ্গলবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এসময় ঘটনাস্থল থেকে অবিষ্ফোরিত দু'টি ককটেল ও কাটার মেশিন উদ্ধার করা হয়।  


আহত শেখ ফরিদ(৩০) ও হালিম(২৮) উপজেলার সনমান্দি ইউনিয়নের জাইদেরগাঁও গ্রামের জসিম উদ্দিনের দুই ছেলে। আহতদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এঘটনায় বুধবার সোনারগাঁ থানায় আহতদের ভাবি জান্নাতুল ফেরসৌস রিমু বাদি হয়ে সোনারগাঁ থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।


অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, গত ২৮শে আগষ্ট গভীর রাতে শেখ ফরিদ(৩০) ও হালিম(২৮)কে  হত্যার উদ্দেশ্যে তাদের বাড়ির ছাদে দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে স্থানীয় সন্ত্রাসী বাহিনী আনোয়ার হোসেন, ইকবাল হোসেন, জুয়েল, ওসমান, মাহাবুব, রিফাত, খোকন, ফাহাদ, রাসেল, মোশাররফ, জামাল, ফারুকসহ অজ্ঞাত ১০/১২ জন উৎপেতে থাকে। রাতে তার বাসায় আসলে দুই ভাইকে গেইটের সামনে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। ঘটনাস্থলে অভিযোগকারী তাদের বাঁধা দিতে গেলে তাকে শ্লীলতাহানি করা হয়। এসময় তার গলায় থাকা ১ভরি স্বর্ণের চেইন নিয়ে যায়, যার আনুমানিক মূল্য ১ লক্ষ টাকা। পরে ভুক্তভোগীদের ডাক-চিৎকারে এলাকাবাসী এগিয়ে আসলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। পরে ঘটস্থাল থেকে দুইটি অবিষ্ফোরিত ককটেল ও একটি বড় কাটার প্লাশ উদ্ধার করা হয়৷  


এবিষয়ে ভুক্তভোগীর বাবা জসিমউদ্দিন জানান, রাত ১.৩০ টার দিকে একদল সন্ত্রাসী বাহিনী তাদের হত্যার উদ্দেশ্যে বাসায় হামলা দেন। কিন্তু তার ছেলে শেখ ফরিদ ও হালিম বাঁধা দিলে দুই জনকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। স্থানীয় সন্ত্রাসীরা এলাকায় চিহ্নিত মাদক ব্যবাসী। তারা পূর্বে আ'লীগের রাজনীতি সাথে জড়িত ছিলো এখন বিএনপি নেতা টিটুর শেল্টারে এলাকায় একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তারের জন্য এ হত্যা চেষ্টা করে। আহত দুই ছেলে এখন মুমূর্ষু অবস্থায় হাসপাতালে আছে। এসময় তিনি প্রশাসনের কাছে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে জড়িতদের কঠোর শাস্তির দাবী করেন।   


ভুক্তভোগীর ভাবী জান্নাতুল ফেরদৌস রিমু বলেন, গভীর রাতে যখন ব্যবসায়ীক কাজ শেষে আমার দেবর শেখ ফরিদ বাসায় আসেন তখন পূর্ব থেকেই উৎপেতে থাকা সন্ত্রাসীরা আমার দুই দেবরকে বাসার উঠানে অতর্কিতভাবে হত্যার এলোপাতাড়ি কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। তাদের চিৎকারের শব্দ শুনে ঘটনাস্থলে গেলে আমাকে শ্লীলতাহানি করে এবং আমার গলায় থাকা ১ টি স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নিয়ে যায়।  


অভিযুক্ত আনোয়ার জানান, এঘটনার সাথে আমরা জড়িত নই, তারা দুই ভাই একে অপরের সাথে ঝগড়া করে এসব ঘটনা ঘটিয়েছে। এখন আমাদের ফাঁসানো হচ্ছে।


সোনারগাঁ থানার পরিদর্শক(তদন্ত) মো. মহসিন বলেন, দুই ভাই আহত হওয়ার ঘটনায় অভিযোগ গ্রহন করা হয়েছে। পুলিশ তদন্ত করে সঠিক প্রমাণ সাপেক্ষে মামলা গ্রহন করবে।


সোনারগাঁও দর্পণঃ

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে জমি সংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের সংঘর্ষে শাওন(২৪) নামের এক যুবক নিহত হয়েছে। এসময় দু’পক্ষের আরো ৯ জন আহত হয়েছে। আহতদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। 

গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে জামপুর ইউনিয়নের মহজমপুর উত্তর কাজিপাড়া (যোগীপাড়া) এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত যুবকের লাশ সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে থেকে উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। 

নিহত শাওন ওই এলাকার আলী আজগর ওরফে বান্নার ছেলে। শাওনের মৃত্যুর খবরে আত্মসী স্বজনরা বিক্ষুদ্ধ হয়ে প্রতিপক্ষের বাড়িঘর ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। সংঘর্ষের ঘটনায় গহন আলী বাদি হয়ে সোনারগাঁ থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।  তবে শাওন নিহতের ঘটনায় তাদের পরিবারের পক্ষে কেউ অভিযোগ দায়ের করেনি। 

পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, উপজেলার জামপুর ইউনিয়নের মহজমপুর উত্তর কাজিপাড়া (যোগীপাড়া) এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে বিএনপি নেতা ইসরাফিলের সাথে একই এলাকায় আওয়ামীলীগ নেতা মোতালেব মিয়ার সাথে জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলছিল। এ বিরোধের জের ধরে গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে তাদের মধ্যে তর্ক বিতর্ক হয়। এক পর্যায়ে উভয় পক্ষের লোকজন রাম দা, লোহার রড, চাপাতি ও লাঠিসোটা নিয়ে একে অপরের ওপর ঝাপিয়ে পড়ে এতে ইসরাফিল পক্ষের ইসরাফিল, রাব্বী, মো. রিপন, মো. হাসান ও মোতালেব পক্ষের শাওন, সালেহা বেগম, খুকি আক্তার, জয়নাল আবেদীনসহ ৯ জন আহত হয়। আহতদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। আহতদের মধ্যে শাওনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে সে মারা যায়। পরে বিক্ষুদ্ধ হয়ে নিহত শাওনের স্বজনরা একত্রিত হয়ে ইসরাফিল, গহন আলীসহ তিনটি বাড়িতে ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করে। 

এলাকাবাসীর অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে আলী আজগর ওরফে বান্নার পরিবার এলাকায় মাদক ব্যবসা থেকে শুরু করে বিভিন্ন অপকর্মের সঙ্গে জড়িত। এ পরিবারের সঙ্গে কেউ যোগাযোগ করতে চায় না। তাদের পরিবারের ৫ সদস্য পুলিশের তালিকাভূক্ত মাদক ব্যবসায়ী। এ পরিবারের সদস্যরা একাধিকবার গ্রেপ্তার হয়ে জেল হাজতে ছিল। 

নিহত শাওনের ভাই মোতালেব মিয়া জানান, শিশুদের ঝগড়াকে কেন্দ্র করে ইসরাফিলের নেতৃত্বে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে শাওনের বাড়িতে হামলা করে। এসময় শাওন ও তার পরিবারের লোকেরা বাঁধা দিলে সন্ত্রাসীরা শাওনসহ ৪জনকে কুপিয়ে আহত করে। হাসপাতালে নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।

সংঘর্ষের ঘটনায় থানায় দায়ের করা অভিযোগের দাবি গহন আলী জানান, জামপুরের মাদকের ডিলার আলী আজগর ওরফে বান্না। তার ছেলেরা দীর্ঘদিন ধরে মাদক ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। এ বিষয়টি এলাকার লোকজন বাধা দেয়। তাছাড়া তাদের সঙ্গে আমাদের জমি সংক্রান্ত বিরোধ রয়েছে। বিরোধে আমাদের লোকজনকে কুপিয়ে আহত করে। আহতরা সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। 

তালতলা ফাঁড়ি পুলিশের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. সাইফুল  ইসলাম বলেন, সংঘর্ষে শাওন নামে এক যুবক নিহত হয়েছে। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন। আ


সোনারগাঁও দর্পণঃ

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে দুই ভাইকে কুপিয়ে হত্যা চেষ্টার ঘটনায় সাভার থেকে আসামী হয়েছেন বিএনপি নেতা ইকবাল হোসেন। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে উদ্ভবগঞ্জ এলাকায় সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এ দাবি করেন। ইকবাল হোসেন মোগরাপাড়া ইউনিয়ন বিএনপির সহ-সভাপতি। দীর্ঘদিন ধরে বিএনপির রাজনীতি করার কারনে তিনি আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের হামলা মামলা ও অত্যাচারের ভয়ে সাভার এলাকায় বসবাস করছেন। সেখানে বসবাস করেও তাকে এ হত্যা চেষ্টা মামলার আসামী করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, শাহাজাদা স্বাধীন ও জামাল হোসেন।   

সংবাদ সম্মেলনে ইকবাল হোসেন বলেন, দীর্ঘদিন ধরে জাইদেরগাঁও গ্রামের আওয়ামীলীগ নেতা জসীমউদ্দিন ও তার ছেলে সোনারগাঁ উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক বিল্লাল হোসেন বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত থাকায় মিথ্যা মামলা, হামলা করে অতিষ্ঠ করে তুলেছে। এতে আমরা মানসিকভাবে বিপর্যন্ত হয়ে এলাকা ছেড়ে সাভার এলাকায় বসবাস শুরু করি। গত মঙ্গলবার দিবাগত রাতে সনমান্দি ইউনিয়নের জাইদেরগাঁও 

গ্রামের জসীমউদ্দিনের ছেলে আব্দুল হালিম রাতের বেলায় ফুর্তি করার জন্য দুজন নারী নিয়ে বাড়িতে যায়। এসময় ছোট ভাই শেখ ফরিদ এতে বাঁধা দেয়। এতে রামদা ও চাপাতি নিয়ে এসে অন্যের ওপর আক্রমন করে। এসময় দুজন আহত হয়। এ বিষয়টি ভিন্ন খাতে নিতে আমাদের ফাঁসানের জন্য প্রতিপক্ষ বিল্লালের স্ত্রী জান্নাতুল ফেরসৌস রিমু বাদি হয়ে সোনারগাঁ থানায় মামলার আবেদন করে। ওই মামলায় তাকে ২ নম্বর আসামী করা হয়। তিনি সাভার ছিলেন। মোবাইল নেটওয়ার্ক খতিয়ে দেখলেই ওই সময় আমার অবস্থায় কোথায় ছিল তা পরিস্কার হওয়া যাবে। এ মামলায় যাদের অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে এ ঘটনার সঙ্গে কেউ জড়িত না বলে দাবি করেন।

তিনি আরো বলেন, দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী লীগ নেতা জসীমউদ্দিনের সঙ্গে তাদের শত্রুতা চলছে। এ শত্রুতাকে কাজে লাগিয়ে আরো মামলা দেওয়ার ফন্দি আটছেন। সঠিক তদন্তের মাধ্যমে মামলা গ্রহন করার জন্য থানা পুলিশকে অনুরোধ করেন। তিনি মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি করেন। 

জান্নাতুল ফেরসৌস রিমুর দাবি, তার শশুর জসীমউদ্দিনের সাথে আনোয়ার হোসেনের দীর্ঘদিন ধরে আধিপত্য বিস্তারে শত্রুতার ও দ্বন্ধ চলেছে। এ দ্বন্ধের জের ধরে একাধিকবার তাদের মধ্যে মামলা মোকদ্দমা চলছে। গত মঙ্গলবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে ইকবাল হোসেনের নেতৃত্বে আনোয়ার হোসেন, জুয়েল, ওসমান, মোখলেছুর রহমানসহ ২০-২৫জনের একটি দল তাদের বাড়িতে গিয়ে হামলা করে তার দুই দেবরকে কুপিয়ে আহত করে।

সোনারগাঁ থানার পরিদর্শক(তদন্ত) মো. মহসিন বলেন, দুই ভাই আহত হওয়ার ঘটনায় অভিযোগ গ্রহন করা হয়েছে। পুলিশ তদন্ত করে সঠিক প্রমাণ সাপেক্ষে মামলা গ্রহন করবে। 



সোনারগাঁও দর্পণ
:

নারায়নগঞ্জের সোনারগাঁয়ে এক মুক্তিযোদ্ধার বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। 


এ ঘটনায় গত ১১ আগস্ট রোববার দুপুরে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের স্বাক্ষরিত লিখিত অভিযোগ সোনারগাঁ থানায় ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বরাবর জমা দিয়েছেন মুক্তিযোদ্ধারা। এ ঘটনায় গত ২১ আগস্ট বুধবার আরও একটি অভিযোগ দেন আলতাফ হোসেন। 


অভিযোগ থেকে জানা যায়, সোনারগাঁ পৌরসভার ইছাপাড়া গ্রামের মৃত মমতাজ উদ্দিনের ছেলে মুক্তিযোদ্ধা ওসমান গনি। তিনি দীর্ঘ প্রায় ১৬ বছর যাবৎ উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার হিসেবে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ পরিচালনা করছেন। এই উপজেলায় ভারতের ট্রেনিং প্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা ২৯৪ জন ছিল কিন্তু গত ৫৩ বছরে বেড়ে প্রায় ৫ শতাধিক মুক্তিযোদ্ধা হয়। এদের মধ্যে বির্তকিত ও ভূয়া মুক্তিযোদ্ধা বানিয়ে টাকার পাহাড় করেছেন ওসমান গনি । শুধু তাই নয় ভূয়া মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতার স্বাক্ষরিত চেক বই নিজের কাছে রেখে নিজেই ব্যাংক থেকে অর্থ উত্তোলন করেন। চলাচল করেন প্রাইভেট কারে করে। মুক্তিযোদ্ধা সংসদের টিভি ও কম্পিউটার তার নিজ বাসায় ব্যবহার করারও অভিযোগ রয়েছে। বিভিন্ন বরাদ্ধের অর্থ আত্মসাৎ সহ নানা অনিয়ম ও দূর্নীতি অভিযোগও তার বিরুদ্ধে।  


এছাড়া মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সকে নিজের পারিবারিক কমপ্লেক্স হিসেবে গড়ে তুলেছেন। বাবা উপজেলা কমান্ডারের দায়িত্বে ও ছেলে মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।  

প্রাক্তন মেম্বার ও যুদ্ধকালীন কমান্ডার আলতাফ হোসেন বলেন, ইতিমধ্যে আত্মসাৎ কৃত কিছু মালামাল ফেরত দিয়েছেন ওসমান গনি। বাকি মালামাল ফেরতসহ তার বিরুদ্ধে দূর্নীতি ও অনিয়মে শাস্তির দাবি করেন তিনি। 


অভিযুক্ত সাবেক ডেপুটি কমান্ডার ওসমান গনি  মুঠোফোনে বলেন, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ক্ষমতার লোভে তারা এমন অভিযোগ তুলছেন বলে দাবি করেন তিনি। এসব অভিযোগ মিথ্যা, আমি কোনো অন্যায়ের সাথে জড়িত নই। 

সোনারগাঁয়ে মুক্তিযোদ্ধের পর ২৯৪ জন মুক্তিযোদ্ধা ছিল তা কিভাবে ৫৩ বছরের ৫ শতাধিকের বেশি হয়েছে জানতে চাইলে তিনি কথা এড়িয়ে যান।


এ বিষয়ে সোনারগাঁ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মাহফুজ বলেন, এ বিষয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের গণস্বাক্ষরিত একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করা হচ্ছে।


সোনারগাঁও দর্পণ : 
ছাত্রদের তীব্র আন্দোলনে ২৫ আগস্ট পদত্যাগ করা সোনারগাঁও সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ ও তার সহধর্মীনি এবং  গ্রাহস্থ্য ও অর্থনীতি বিভাগের প্রধান খন্দকার দীল আফরোজাকে পূণরায় আগের পদে ফিরিয়ে আনতে আন্দোলন করেছে সোনারগাঁও সরকারি কলেজের একাংশের শিক্ষার্থীরা। সোমবার (২৭ আগস্ট) সকালে কলেজ ক্যাম্পাসে তারা এ আন্দোলন করেন। এ সময় প্রতিষ্ঠানটিতে আসা শিক্ষক—শিক্ষিকাসহ সকল কর্মকর্তা—কর্মচারীদের কলেজের প্রধান ফটকের বাইরে অবরুদ্ধ করে রাখে তারা। শিক্ষার্থীদের দাবি, কলেজের কিছু ছাত্র শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ আশরাফুজ্জামান অপু এবং তার স্ত্রী গ্রাহস্থ্য ও অর্থনীতি বিভাগের প্রধান খন্দকার দীল আফরোজাকে স্বপদে ফিরিয়ে আনার আগ পর্যন্ত কলেজে কোন শিক্ষক—শিক্ষিকা ও কর্মচারীদের প্রবেশ করতে দিবেনা। তাদের দাবি, যে সকল শিক্ষার্থীরা ৮ দফা দাবিতে আন্দোলন করেছে সে দাবির পক্ষে ফিরিয়ে আনতে আন্দোলনকারী ছাত্ররাও একমত ছিল কিন্তু অধ্যক্ষ ও তার সহধর্মীনিকে পদত্যাগের পক্ষে নয়। যারা একদফা দাবি করেছে, তারা কোন রাজনৈতিক দলের ইন্ধনে ব্যক্তিগত আক্রোশে পদত্যাগ করিয়েছে। 

অধ্যক্ষ ও তার সহধর্মীনিকে ফিরিয়ে আনতে আন্দোলনকারী সোনারগাঁও সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীরা জানায়, ২৫ আগস্ট আন্দোলনকারী কতিপয় শিক্ষার্থী ছিল। বড় একটি অংশ ছিল কুমিল্লা, ফেনীসহ বন্যায় দুর্গতদের সাহায্যে ত্রাণের টাকা সংগ্রহের কাজে। আর সে সুযোগটি কাজে লাগিয়ে বড় কোন শক্তিশালী ইন্ধনে ব্যক্তিগত আক্রোশে স্বীয় স্বার্থ চরিতার্থ করতে অধ্যক্ষ এবং গ্রাহস্থ্য ও অর্থনীতি বিভাগের প্রধান খন্দকার দীল আফরোজাকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করিয়েছেন যা দেশের সাংবিধানিক আইনের পরিপন্থী।

তাই অধ্যক্ষ আশরাফুজ্জামান অপু ও গ্রাহস্থ্য ও অর্থনীতি বিভাগের প্রধান খন্দকার দীল আফরোজাকে পূণরায় আগের পদে ফিরিয়ে আনার আগ পর্যন্ত কলেজর সকল কার্যক্রম বন্ধ রাখবে শিক্ষার্থীরা। পাশাপাশি ৮ দফা দাবিতে দুর্নীতির যে সকল অভিযোগ আনা হয়েছে প্রত্যেকটি অভিযোগের সত্যতা তাদের কাছে দিতে হবে। আর তাদের ৮ দফা দাবির সত্যতা পেলে অধ্যক্ষকে ফিরিয়ে আনতে আন্দোলনকারীরা তাদের সাথে একাত্ততা প্রকাশ করবে বলে জানান।

এ বিষয়ে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা বলেন, সোনারগাঁও সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ এবং গ্রাহস্থ্য ও অর্থনীতি বিভাগের প্রধানের পদত্যাগের একটি কাগজ আমি এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে দেওয়া হয়েছে। এখানে আমাদের কোন কিছু করার নেই। যা কিছু করার তা মন্ত্রণালয় করবে। বে সরকারী হলে হয়তো উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পদাধিকার বলে সভাপতি হিসেবে আমাকে নিয়ে আইনসম্মত কোন সিন্দান্ত দিতে পারতেন। আর এটি একতটি দীর্ঘ সময়ের ব্যাপার। তদন্তের ব্যাপার। 

 


সোনারগাঁও দর্পণ :

সোনারগাঁওয়ে উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি ও কেন্দ্রীয় বিএনপি’র নির্বাহী সদস্য আজহারুল ইসলাম মান্নানের ভাই আব্দুল হান্নানের নেতৃত্বে পিরোজপুর ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের সাবেক মেম্বার রফিকুল ইসলাম সরকারের বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে। রবিবার (২৬ আগস্ট) সন্ধ্যা ৭টার দিকে ইউনিয়নের ছয়হিস্যা গ্রামে প্রয়াত আবুল সরকারের ছেলে রফিকুল ইসলামের বাড়িতে এ হামলা হয়। হামলার সময় দুবৃর্ত্ত্বরা বাড়িতে থাকা দুইটি মটরসাইকেল ও বাড়ির সকল জানালার কাঁচ ভেঙ্গে ফেলে কয়েক লাখ টাকার ক্ষতি করে। এ সময় স্থানীয় এলাকাবাসী জড়ো হতে থাকলে সন্ত্রাসীরা দৌড়ে এলাকা ত্যাগ করে।
প্রত্যক্ষদশীর্দের বরাত দিয়ে সাবেক মেম্বার রফিকুল ইসলামের ছোট ভাই নজরুল ইসলাম সরকার জানান, হামলার সময় বাড়িতে তাদের পরিবারের কোন পুরুষ ছিলনা। স্থানীয় মুরুব্বি ও যুবকেরা মাগরিবের নামাজ আদায়ে ছিলেন। এ সুযোগে  সোনারগাঁও উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি আজহারুল ইসলাম মান্নানের ভাই হান্নানসহ ৩৫ থেকে ৪০ জনের একটি সন্ত্রাসী দল দেশীয় অস্ত্র—সস্ত্র নিয়ে শ্লোগানসহ বাড়ির সামনে এসে প্রধান ফটক বন্ধ দেখতে পায়। পরে হান্নান দেয়াল পার হয়ে ভিতরে যাওয়ার নির্দেশ দিলে হামলাকারীদের কয়েকজন বাড়ির দেয়াল পার হয়ে প্রধান ফটক খুলে বাকী দুর্বৃত্তদের ভিতরে প্রবেশ করায়। পরে তারা তাদের হাতে থাকা লাঠি—শোটা, লোহার রড ও এসএস পাইপ দিয়ে বাড়ির নীচ তলা ও দোতলার জানালার কাঁচ ভেঙ্গে ফেলে। ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ঘরে প্রবেশের দরজা ভেঙ্গে ভিতরে প্রবেশের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়।
তিনি আরও জানান, সন্ত্রাসীরা বাড়ির ভিতরে প্রবেশ করে প্রথমে বাড়ির বিভিন্ন জায়গায় থাকা সিসি ক্যামেরা ভেঙ্গে ফেলে। পরে চলে যাওয়ার সময় প্রধান ফটকের ক্যামেরাও ভেঙে দিয়ে যায়।
তিনি জানান, তার ভাই রফিকুল ইসলাম ব্যবসার কাজে চট্টগ্রাম অবস্থান করছেন। বাড়িতে ফিরলে সিসিটিভি ফুটেজ দেখে আইননানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে উপজেলা বিএনপির সভাপতি আজহারুল ইসলাম মান্নান বলেন, রফিক মেম্বারের সাথে আমাদের রাজনৈতিক, পারিবারিক, ব্যবসায়ীক বা ব্যক্তিগত দ্বন্দ্বও নেই। কি কারণে এ ঘটনা হয়েছে সে বিষয়ে খেঁাজ নিয়ে পরে বলতে পারবো।


সোনারগাঁও দর্পণ :

অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে শিক্ষার্থীদের তীব্র আন্দোলনে পদত্যাগ করেছেন ঐতিহ্যবাহী সোনারগাঁও সরকারী কলেজের অধ্যক্ষ আশরাফুজ্জামান অপু এবং তার সহধর্মীনি গ্রাহস্থ্য অর্থনীতি বিভাগে প্রধান দীল আফরোজ। রবিবার বিকাল সোয়া তিনটার দিকে শিক্ষার্থীদের তীব্র আন্দোলনে তারা পদত্যাগ করতে বাঁধ্য হোন। 

এরআগে, রবিবার সকাল থেকেই সোনারগাঁও সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীরা দীর্ঘ দিন ধরে চলা নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও সরকারী কলেজে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলে। এ সকল অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে রবিবার সকালে কলেজ ক্যাম্পাসে ৮ দফা দাবি তুলে ধরে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন শ্লোগান দিলে উত্তাল হয়ে উঠে কলেজ ক্যাম্পাস। শ্লোগানে শ্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে কলেজ চত্ত¡র। 

অভিযোগ রয়েছে, দুর্নীতির বিষয়ে কোন শিক্ষার্থী যেন মুখ খূলতে না পারে সে জন্যে বিগত দিনে এলাকার বহিরাগত কিছু পাতি মাস্তান দিয়ে বিভিন্ন ধরনের ভয়-ভিতি দেখানো হতো। 

লিখিতভাবে তুলে ধরা শিক্ষার্থীদের ৮ দফা দাবি গুলোর মধ্যে রয়েছে, বোর্ড কর্তৃক নির্ধারিত ফি নিয়ে ভর্তি ও ফরম ফিলাপ করা এবং শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে নেওয়া অতিরিক্ত টাকা কোন খাতে ব্যয় করা হয়েছে সুনির্দিষ্টভাবে জানিয়ে তা ফেরত দেওয়া। 

ভবিষ্যতে কলেজের অফিসিয়াল কোন কাজের টাকা নেওয়া যাবেনা। নিলে তা রিসিটের মাধ্যমেই নিতে হবে। 

সার্টিফিকেট, রেজিষ্ট্রেশন কার্ড, এডমিট কার্ড ও আইডি কার্ড নেওয়া-দেওয়ার দেওয়ার ক্ষেত্রে টাকা লেনদেনের নিয়ম বাতিল করতে হবে। 

যেহেতু কলেজ সরকারীকরণ হয়েছে সেহেতু, বোর্ড পরীক্ষা ছাড়া কলেজে কোন পরীক্ষা হলে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে কোন টাকা নেওয়ার নিয়ম বন্ধ করা।

কলেজ ক্যাম্পাসে কোন ছাত্র রাজনীতি না রাখা। 

শিক্ষার্থীদের হয়রানী বন্ধ করতে একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণীর পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট তারিখ নির্ধারণ করে সে নির্ধারিত তারিখে ক্লাশ ভিত্তিক ফলাফল ঘোষণা করা। 

শিক্ষার্থীদের সকল দাবি মেনে অধ্যক্ষকে লিখিত জবাব দেওয়া।

শিক্ষার্থীদের লিখিত ৮ দফা দাবি ছাড়াও মৌখিকভাবে আরও বেশ কিছু দাবি তোলেন শিক্ষার্থীরা। 

আন্দোলনের এক পর্যায় শিক্ষার্থীদের সাথে অধ্যক্ষের পক্ষ থেকে প্রতিষ্ঠানের গ্রাহস্থ্য অর্থনীতি বিভাগের প্রধান ও অধ্যক্ষের সহধর্মীনি দীল আফরোজ আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলতে আসেন এবং শিক্ষার্থীদের কলেজ অধ্যক্ষের সাথে কথা বলার আহবান জানান। এতে শিক্ষার্থীরা অস্বীকৃতি জানায় এবং অধ্যক্ষকে নিজে মুক্তমঞ্চে এসে শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলার আহবান জানিয়ে ১০ মিনিট সময় বেঁধে দেয় নয়তা ৮ দফা এক দফায় রূপ নিবে বলে হুশিয়ারী দেয়। পরে শিক্ষার্থীদের বেঁধে দেওয়া সময়ের ৮ মিনিটের মধ্যে কলেজ অধ্যক্ষ আশরাফুজ্জামান অপু অন্যান্য শিক্ষকদের সাথে নিয়ে কলেজ ক্যাম্পাসের মুক্ত মঞ্চে আসেন এবং শিক্ষার্থীদের সকল দাবি যৌক্তিক উল্লেখ করে বিনা শর্তে মেনে নেন এবং কিছু কিছু দাবির বিষয়ে তদন্ত করার সময় চান। প্রথমে শিক্ষার্থীরা রাজি না থাকলেও পরক্ষণে তা মেনে নেন এবং শিক্ষার্থীরা অভিযুক্ত কলেজ অধ্যক্ষের সাথে আলোচনায় বসেন। অধ্যক্ষের সাথে আলোচনার সময় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের গালাগাল করে এবং কলেজ ক্যাম্পাসের বাইরে কিছু বহিরাগত একাধিক বোমা বিষ্ফোরণ ঘটায়। এমন ঘটনায় শিক্ষার্থীরা অধ্যক্ষের সামনেই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে এবং কোন আলোচনা হবেনা বলে বিভিন্ন শ্লোগান দিতে দিকে কক্ষ থেকে বেরিয়ে যায়।

আন্দোলনের এক পর্যায় স্থানীয় বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের কয়েকজন নেতা কলেজ ক্যাম্পাসে আসেন এবং ছাত্রদের দাবির সাথে একাত্বতা প্রকাশ করে অধ্যক্ষের সাথে কথা বলেন। 

এমতাবস্থায় একপর্যায় বিএনপি নেতাদের সাথে কথা বলে পরিস্থিতি সামাল দিতে নেতারা অধ্যক্ষকে সিদ্ধান্ত নিতে ১০ মিনিট সময় বেঁধে দিয়ে অধ্যক্ষের কক্ষ ত্যাগ করেন।

এরমধ্যে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা বাইরে এসে অধ্যক্ষ আশরাফুজ্জামান আপু, তার স্ত্রী দীল আফরোজ, কেরানী জুয়েল এবং জাহাঙ্গীর হোসেনের পদত্যাগ দাবিতে শ্লোগান দেয়। 

পরবর্তীতে ছাত্র ও বিএনপি নেতারা কলেজ অধ্যক্ষকে ছাত্রদের তোলা দাবির বিষয়ে বিভিন্ন প্রশ্ন করলে সদুত্তর দিতে ব্যর্থ হয়ে সোনারগাঁও সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ্য আশরাফুজ্জামান অপু ও তার সহধর্মীনি গ্রাহস্থ্য অর্থনীতি বিভাগে প্রধান দীল আফরোজ পদত্যাগ করতে বাধ্য হোন।



সোনারগাঁও দর্পণ :

অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠেছে ঐতিহ্যবাহী সোনারগাঁও সরকারী কলেজের ছাত্র-ছাত্রীরা। তাদের অভিযোগ, দীর্ঘ দিন ধরেই নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও সরকারী কলেজে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতি চলছিল। এ সকল অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে রবিবার সকালে কলেজ ক্যাম্পাসে ৮ দফা দাবি তুলে ধরে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন শ্লোগান দিলে উত্তাল হয়ে উঠে কলেজ ক্যাম্পাস। শ্লোগানে শ্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে কলেজ চত্ত¡র। 

অভিযোগ রয়েছে, দুর্নীতির বিষয়ে কোন শিক্ষার্থী যেন মুখ খূলতে না পারে সে জন্যে বিগত দিনে এলাকার বহিরাগত কিছু পাতি মাস্তান দিয়ে বিভিন্ন ধরনের ভয়-ভিতি দেখানো হতো। 

লিখিতভাবে তুলে ধরা শিক্ষার্থীদের ৮ দফা দাবি গুলোর মধ্যে রয়েছে, বোর্ড কর্তৃক নির্ধারিত ফি নিয়ে ভর্তি ও ফরম ফিলাপ করা এবং শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে নেওয়া অতিরিক্ত টাকা কোন খাতে ব্যয় করা হয়েছে সুনির্দিষ্টভাবে জানিয়ে তা ফেরত দেওয়া। 

ভবিষ্যতে কলেজের অফিসিয়াল কোন কাজের টাকা নেওয়া যাবেনা। নিলে তা রিসিটের মাধ্যমেই নিতে হবে। 

সার্টিফিকেট, রেজিষ্ট্রেশন কার্ড, এডমিট কার্ড ও আইডি কার্ড নেওয়া-দেওয়ার দেওয়ার ক্ষেত্রে টাকা লেনদেনের নিয়ম বাতিল করতে হবে। 

যেহেতু কলেজ সরকারীকরণ হয়েছে সেহেতু, বোর্ড পরীক্ষা ছাড়া কলেজে কোন পরীক্ষা হলে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে কোন টাকা নেওয়ার নিয়ম বন্ধ করা।

কলেজ ক্যাম্পাসে কোন ছাত্র রাজনীতি না রাখা। 

শিক্ষার্থীদের হয়রানী বন্ধ করতে একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণীর পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট তারিখ নির্ধারণ করে সে নির্ধারিত তারিখে ক্লাশ ভিত্তিক ফলাফল ঘোষণা করা। 

শিক্ষার্থীদের সকল দাবি মেনে অধ্যক্ষকে লিখিত জবাব দেওয়া।

শিক্ষার্থীদের লিখিত ৮ দফা দাবি ছাড়াও মৌখিকভাবে আরও বেশ কিছু দাবি তোলেন শিক্ষার্থীরা। 

আন্দোলনের এক পর্যায় শিক্ষার্থীদের সাথে অধ্যক্ষের পক্ষ থেকে প্রতিষ্ঠানের গ্রাহস্থ্য অর্থনীতি বিভাগের প্রধান ও অধ্যক্ষের সহধর্মীনি দীল আফরোজ আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলতে আসেন এবং শিক্ষার্থীদের কলেজ অধ্যক্ষের সাথে কথা বলার আহবান জানান। এতে শিক্ষার্থীরা অস্বীকৃতি জানায় এবং অধ্যক্ষকে নিজে মুক্তমঞ্চে এসে শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলার আহবান জানিয়ে ১০ মিনিট সময় বেঁধে দেয় নয়তা ৮ দফা এক দফায় রূপ নিবে বলে হুশিয়ারী দেয়। পরে শিক্ষার্থীদের বেঁধে দেওয়া সময়ের ৮ মিনিটের মধ্যে কলেজ অধ্যক্ষ আশরাফুজ্জামান অপু অন্যান্য শিক্ষকদের সাথে নিয়ে কলেজ ক্যাম্পাসের মুক্ত মঞ্চে আসেন এবং শিক্ষার্থীদের সকল দাবি যৌক্তিক উল্লেখ করে বিনা শর্তে মেনে নেন এবং কিছু কিছু দাবির বিষয়ে তদন্ত করার সময় চান। প্রথমে শিক্ষার্থীরা রাজি না থাকলেও পরক্ষণে তা মেনে নেন এবং শিক্ষার্থীরা অভিযুক্ত কলেজ অধ্যক্ষের সাথে আলোচনায় বসেন। অধ্যক্ষের সাথে আলোচনার সময় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের গালাগাল করে এবং কলেজ ক্যাম্পাসের বাইরে কিছু বহিরাগত একাধিক বোমা বিষ্ফোরণ ঘটায়। এমন ঘটনায় শিক্ষার্থীরা অধ্যক্ষের সামনেই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে এবং কোন আলোচনা হবেনা বলে বিভিন্ন শ্লোগান দিতে দিকে কক্ষ থেকে বেরিয়ে যায়।

আন্দোলনের এক পর্যায় স্থানীয় বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের কয়েকজন নেতা কলেজ ক্যাম্পাসে আসেন এবং ছাত্রদের দাবির সাথে একাত্বতা প্রকাশ করে অধ্যক্ষের সাথে কথা বলেন। 

এমতাবস্থায় একপর্যায় বিএনপি নেতাদের সাথে কথা বলে পরিস্থিতি সামাল দিতে নেতারা অধ্যক্ষকে সিদ্ধান্ত নিতে ১০ মিনিট সময় বেঁধে দিয়ে অধ্যক্ষের কক্ষ ত্যাগ করেন।

এরমধ্যে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা বাইরে এসে অধ্যক্ষ আশরাফুজ্জামান আপু, তার স্ত্রী দীল আফরোজ, কেরানী জুয়েল এবং জাহাঙ্গীর হোসেনের পদত্যাগ দাবিতে শ্লোগান দেয়। (চলমান.....)



সোনারগাঁও দর্পণঃ

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রধান আসামী করে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে আরও দুটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।  বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সন্তান হত্যার দায়ে কুলসুম বেগম ও চাচাতো ভাইকে হত্যার দায়ে আবু হানিফ বাদী হয়ে  বৃহস্পতিবার রাতে সোনারগাঁ থানায় দুটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এনিয়ে শেখ হাসিনাকে আসামী করে সোনারগাঁ থানায় তিনটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

মামলার এজাহার থেকে জানা গেছে,  বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে কেন্দ্র করে গত ৪ আগস্ট উপজেলার ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কাঁচপুরে আন্দোলন প্রতিরোধকারীদের ছোড়া গুলিতে নিহত হয় শেরপুর জেলার নকলা থানার জুলহাস মিয়ার ছেলে শফিক মিয়া। একইদিন গুলিবিদ্ধ হয় কুমিল্লা জেলার বাঞ্ছারামপুর থানার মৃত কামাল মিয়ার ছেলে মোঃ আশিক মিয়া (২০)। পরে ৫ আগস্ট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

এ ঘটনায় নিহত আশিক মিয়ার মা কুলসুম বেগম বাদী হয়ে শেখ হাসিনাকে প্রধান আসামী করে ১২২ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ৩০০জনকে আসামী করে সোনারগাঁ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।

একই দিনে নিহত শফিক মিয়ার চাচাতো ভাই আবু হানিফ বাদী হয়ে  শেখ হাসিনাকে প্রধান আসামী করে ১৫৬ নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরো ১২০জনকে আসামী করে হত্যা মামলা দায়ের করেছে।

শেখ হাসিনা ছাড়াও এ দুই মামলায় আসামী করা হয়েছে সাবেক সেতু ও পরিবহনমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের,সাবেক  স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শামীম ওসমান, নারায়ণগঞ্জ-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম দস্তগীর গাজী, নারায়ণগঞ্জ-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম বাবু, নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল্লাহ আল কায়সার, জাতীয় পার্টির সাবেক সংসদ সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকা, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান শামসুল ইসলাম ভূঁইয়া প্রমূখ।


সোনারগাঁও দর্পণ :

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ্য করে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব আল্লামা মুফতি মামুনুল হক বলেছেন, কেউ যদি মনে করে ভারতে বসে এ দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে নরেন্দ্র মোদীদের মাধ্যমে তাদের স্বার্থের রুটম্যাপ বাস্তবায়ন করবে, তাহলে তাদের মনে রাখতে হবে, ১৯৭১ সালে যাদের নেতেৃত্তে¡ ও  রক্তের বিনিময়ে ৩০ লাখ লোক শহীদ হয়ে দেশ স্বাধীন করেছিল তাদেরও কিন্তু এ দেশে ঠাঁই হয় নাই। ২০২৪ সালে নব্য ফ্যাসিবাদের জায়গা এ বাংলাদেশে হয় নাই। বিষ্যতেও যদি কেউ এদেশে ফ্যাসিবাদ কায়েম করতে চায়, তাহলে দেশের আলেম সমাজ, ছাত্র সমাজ সকলকে নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে এমন দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলবে যে বাংলাদেশের মানুষ আর কোন দিন এ দেশে ফ্যাসিবাদ আসতে দেবে না। 

বুধবার (২১ আগস্ট) সকালে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলার মোগরাপাড়া ইউনিয়নের হাবিবপুর ঈদগাঁহ মাঠে এক পথ সভায় তিনি এ সকল কথা বলেন। 

তিনি আরও বলেন, যাদের অত্যাচার অবিচার সিমাতিরিক্ত ছিল তাদের বিষয়ে মহানবী ঘোষণা করেছিল তাদের কোন ক্ষমা নাই। সোনারগাঁওয়ের শত শত মানুষের নিপীড়নের জন্যে বø্যাক লিস্টেড চিহিৃত কিছু মানুষ দায়ি জানিয়ে মামুনুল হক বলেন, সে সকল চিহিৃতদের সোনারগাঁওয়ে চিরদিনের জন্যে অবাঞ্চিত ঘোষণা করতে হবে। 

বিগত শেখ হাসিনার নেতৃত্ত¡াধীন আওয়ামী লীগ সরকারকে জালিম সরকার আখ্যায়িত করে তিনি আরও বলেন, ওই জালিম সরকার ১৬টি বছর দেশের মানুষকে সবদিক দিয়ে কুক্ষিগত করে রেখেছিল। অনেকে ধারণাই করিছিল এ জালিম সরকারকে হঠানোর মতো, অপসারণের মতো কোন শক্তি নেই। তিনি বলেন, ওই জালিম সরকারের লক্ষ্য ছিল, হাজার-লাখ মানুষকেও যদি হত্যা করতে হয়, তারা করবে। তারপরও তাদের ক্ষমতায় থাকতে হবে। কিন্তু যখন তাদের পাপের বোঝা পরিপূর্ণ হয়েছে তখন ঠিকই আল্লাহ বিভিন্ন স্কুল, কলেজ আর বিশ^ বিদ্যালয়ের ছোট ছোট ছেলে-মেয়েদের দিয়ে তাদের অপসারণ করেছেন। এ সময় তিনি সে সকল জালিমদের উত্তরাধিকারিদের হুশিয়ার করে বলেন, এ বাংলাদেশে বসবাস করতে হলে, রাজনীতি করতে হলে এ দেশের মানুষের পালস্ বুঝতে হবে, আবেগ বুঝতে হবে। ইসলামের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে, মানুষের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলে দীর্ঘ দিন অবৈধভাবে ক্ষমতায় থাকা যাবে কিন্তু চিরস্থায়ী ক্ষমতায় থাকা যাবেনা। 

তিনি বলেন, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট বাংলাদেশ পূণরায় যে স্বাধীন হয়েছে সে স্বাধীনতা ফেরিবাদের বিরুদ্ধের স্বাধীনতা, এ স্বাধীনতা নব্য আত্মবিশ^াসীদের স্বাধীনতা, এ স্বাধীনতা জিম্মিকারীদের নীল নকশা ভন্ডুল করার স্বাধীনতা। 

মামানুল হক বলেন, এ স্বাধীনতার পিছনে অনেক সংগ্রামী ইতিহাস রয়েছে। অনেক মা-বোনের চোখের অশ্রæ রয়েছে। রয়েছে অনেক ভাইয়ের রক্ত। যে সকল শহীদরা এ সংগ্রামে শহীদ হয়েছেন তাদের অবশ্যই জাতি সারা জীবন মনে রাখবে বলে তিনি আশা করেন। 

মানুষ তাদের অনেক কর্মফল পৃথিবীতেই পেয়ে যাবেন যা হাদিসে আছে জানিয়ে বলেন, আওয়ামী লীগের নেতাদের কর্মফল দেশের মানুষ দেখেছে, পুরো পৃথিবী দেখেছে। তাদের কর্মদোষে শেখ মুজিবর রহমানের মুর্তি ভেঙ্গে তার ওপর প্র¤্রাব করেছে নির্যাতিত মানুষ। 

তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনা দেশের জনগণের যে টাকা দিয়ে হেলিকপ্টার কিনেছিলেন দেশের মানুষের সেবা করার জন্যে, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট সেই হেলিকপ্টান দিয়ে নির্বিচারে গুলি করে পাখির মতো মেরেছে। 

খেলাফত মসলিস সোনারগাঁও শাখার আয়োজনে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত শহীদদের রূহের মাহফিরাত কামনা ও প্রতিবাদ সভায় সভাপতি ছিলেন, খেলাফত মজলিস সোনারগাঁও শাখার সভাপতি হাফেজ ক্বারী মোহাম্মদ আব্দুল আউয়াল। বিশেষ অতিথি ছিলেন, সংগঠনটির কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম মহাসচিব আতাউল্লাহ আমিন, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হাফেজ মাওলানা মহিউদ্দিন খান, সংগঠনটির সোনারগাঁও থানা শাখার সাধারণ সম্পাদক হাফেজ মাওলানা আবু বকর সিদ্দিক প্রমূখ।

MKRdezign

Contact Form

Name

Email *

Message *

Powered by Blogger.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget