Halloween Costume ideas 2015
October 2022


সোনারগাঁও দর্পণ :

পরাজয়ের ব্যবধান অনেক। ১৩২ জন ভোটারের মধ্যে সকলেই ভোট দিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদ নির্বাচনে। নির্বাচনে অন্যান্য কোন প্রার্থীই কারো নজরে ছিলনা। সবারই নজর ছিল উপজেলা আওয়ামী লীগের আহŸায়ক কমিটির সাবেক সদস্য ও জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি প্রার্থী হাতি প্রতীকের মোস্তাফিজুর রহমান মাসুম ও জেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক তালা প্রতীকের আবু নাঈম ইকবালের দিকে। অবশেষে সকল জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে ১৭ অক্টোবর সোমবার সকাল ৯ টা থেকে দুপুর ২ টা পর্যন্ত কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে উৎসবমুখর পরিবেশে সোনারগাঁও জি আর ইনস্টিটিউট ভোট কেন্দ্রে ভোট প্রদান শেষে তালা প্রতীক পেয়েছে ৮৩ ভোট আর তার নিকটতম প্রতিদ্ব›িদ্ব হাতি পেয়েছে ৪৯ ভোট। অর্থাৎ ৩৪ ভোটের ব্যবধানে কুপোকাত হাতি।

যদিও নির্বাচনের অনেক আগেই অনেককে বলতে শোনা গেছে যে, জেলার একটি বিশেষ পরিবারের সাথে মোস্তাফিজুর রহমান মাসুম এবং তার বড় ভাই মাহফুজুর রহমান কালামের সম্পর্ক ভালো না থাকায় এর একটি বিরূপ প্রভাব পরতে পারে এ নির্বাচনে। অবশেষে সে শঙ্কাই বাস্তবে রূপ নিল। 

 নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদ নির্বাচনের সোনারগাঁ উপজেলার ৩ নং ওয়ার্ডের সদস্য পদে মোট ৫ জন প্রার্থী থাকলেও লড়াই হয়েছে নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনের সাংসদ ও কেন্দ্রীয় জাতীয় পার্টি ঢাকা বিভাগের অতিরিক্ত মহাসচিব লিয়াকত হোসেন খোকা সমর্থীত জেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক তালা প্রতীকের আবু নাইম ইকবাল ও নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনের সাবেক সাংসদ ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল কায়সারের সমর্থীত প্রার্থী জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য হাতি প্রতিকের  মোস্তাফিজুর রহমান মাসুমের মধ্যে। 

নির্বাচনের ফলাফলের পর বাঁধ ভাঙা উল্লাসে মেতেছিল তালা প্রতিকের সমর্থক ও ভোটাররা। অপরদিকে আওয়ামী লীগ দূর্গে ছিল সুনশান নিরবতা। যদিও হাতি প্রতিকের পরাজয়কে তাৎক্ষণিকভাবে উপজেলা জাতীয় পার্টির কাছে উপজেলা আওয়ামী লীগের পরাজয়ের সাথে তুলনা করেছেন নানা শ্রেণী পেশার মানুষ।

কেউ আবার এ পরাজয়ের কারণ হিসেবে উপজেলা আওয়ামী লীগকে ব্যবহার করে ব্যক্তিস্বার্থকে চরিতার্থ করা নেতাদের আশ্রয়-প্রশ্রয়কেই দায়ি করেছেন অনেকে। তারা বলেছে, এ নির্বাচন থেকে শিক্ষা নিয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগকে ভবিষ্যত নির্বাচনের জন্যে ঢেলে সাজিয়ে তথা শক্তিশালী একটি কমিটি গঠন না করতে পারলে হয়তো ভবিষ্যতে আরো খারাপ দিন দেখতে হবে উপজেলা আওয়ামী লীগকে।



সোনারগাঁও দর্পণ :

আর মাত্র দুই দিন। আগামী ১৭ অক্টোবর নারায়গঞ্জ জেলা পরিষদ নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে। নির্বাচনে তিন নাম্বার ওয়ার্ড থেকে উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক কমিটির সাবেক সদস্য ও জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমান মাসুম হাতি প্রতীক ও জেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম ইকবাল তালা প্রতীক নিয়ে নির্বাচনী মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন।

জেলা পরিষদ নির্বাচন হওয়ায় এ নির্বাচনে সাধারণ জনগণের ভোট দেয়ার সুযোগ না থাকলেও ভোট দিবেন উপজেলার ১০টি ইউনিয়নের ১৩২ জন সদস্য। ফলে, বর্তমানে সর্বত্র আলোচনার মুল বিষয় জেলা পরিষদ নির্বাচন। শুধু উপজেলার ইউনিয়ন পরিষদ সদস্যদের মধ্যেই নয়, জেলা পরিষদ নির্বাচনের আলোচনা এখন স্থানীয় সরকার নির্বাচন ও জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মতোই আলোচনার কেন্দ্র বিন্দু সর্বস্তরের সচেতন নাগরিকের কাছে।  

এদিকে, এবারের জেলা পরিষদ নির্বাচনে হাতি প্রতীকের প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমান মাসুমের পক্ষে মাঠে আদাজল খেয়ে নেমেছেন নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনের সাবেক সাংসদ ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল কায়সার হাসনাত, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও পিরোজপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমান মাসুম এবং আবু নাঈম ইকবালের পক্ষে মাঠে নেমেছেন নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনের সাংসদ ও জাতীয় পার্টির যুগ্ম মহাসচিব লিয়াকত হোসেন খোকা এবং তার স্ত্রী ডালিয়া লিয়াকত। ফলে এবারের নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদ নির্বাচন রূপ নিয়েছে উপজেলা আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির প্রেস্টিজ ইস্যুতে।

তাই দিন যতই ঘনিয়ে আসছে ততই যেন নির্বাচনী উত্তেজনা তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছে। উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের বেশ কয়েকজন ইউপি সদস্যের সাথে কথা হয় সোনারগাঁও দর্পণ’র। এদের বেশিরভাগই আওয়ামী লীগ সমর্থিত। কেউবা ক্ষমতাশীন এ দলের নেতা। 

অপরদিকে অনেকেই আছেন জাতীয় পার্টি সমর্থিত বা জাতীয় পার্টির ছত্রছায়ায় যারা ইউপি পরিষদ সদস্য হয়েছেন। তবে, একথা নিশ্চিত যে বিগত জেলা পরিষদ নির্বাচন নিয়ে প্রার্থীরা যত না দুশ্চিন্তামুক্ত ছিল এবার ঠিক তার উল্টো।

ফলে অনেকের কাছেই ১৭ অক্টোবর অনুষ্ঠিতব্য জেলা পরিষদ নির্বাচনে লড়াই হবে বাঘ-আর সিংহের। অনেককে বলতে শোনাগেছে, ভোট যুদ্ধে শক্তিশালী হাতিকে কি তালা বন্ধ করতে পারবে না-কি হাতি তার সব শক্তি দিয়ে তালা ভেঙ্গে চষে বেড়াবে জেলা। অবশেষে কে হাসবে বিজয়ের হাসি। তা দেখতে অপেক্ষা করতে হবে ১৭ অক্টোবর পর্যন্ত। 



সোনারগাঁও দর্পণ :

অনুষ্ঠানে নাচ শেষে বাড়ি ফেরার সময় এক নৃত্যশিল্পী ধর্ষণের শিকার হয়েছে। সোনারগাঁওয়ের সাদিপুর ইউনিয়নের চৌত্রাপাশা এলাকায় গত বুধবার (১২ অক্টোবর) দিবাগত রাত ১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

জামপুরে অবস্থিত সোনারগাঁও থানা পুলিশের আওতাধীন তালতলা ফাঁড়ি পুলিশের ইনচার্জ জাকির রব্বানী জানান, ধর্ষণের শিকার ওই নৃত্য শিল্পী বুধবার সন্ধ্যার পর উপজেলার সাদিপুর ইউনিয়নের ভারগাঁও গাব্বাবাড়ি নামক এলাকার বাদশা মিয়ার বাড়িতে এক শিশুর জন্মদিনের অনুষ্ঠানে আরিফ হোসেন বাপ্পি নামে এক যুবকের নেতৃত্বে যোগ দেয় এবং নাচ প্রদর্শণ করে। রাত ১টার দিকে কোন গাড়ি পেয়ে হেটে নয়াপুর বাজার যাওয়ার সময়  চৌত্রাপাশা হাবুরটেক দাইয়ানের বাড়ির সামনে পৌছামাত্র  মেয়েটির সাথে থাকা দলনেতা আরিফকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে চৌত্রাপাশা গ্রামের মৃত নুরুল ইসলামের ছেলে ইসরাফিল (৩৩), আব্দুল হকের ছেলে রুহুল আমিন (২০), মৃত লাল মিয়ার ছেলে বাবু (২৬), তালেব আলীর ছেলে খোকন আলম (২৬) সহ ৭ জন মিলে গণধর্ষণ করে। 

এমন খবর পাওয়ার পর লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে চৌত্রাপাশা গ্রামের মৃত নুরুল ইসলামের ছেলে ইসরাফিল, আব্দুল হকের ছেলে রুহুল আমিন, মৃত লাল মিয়ার ছেলে বাবু এবং তালেব আলীর ছেলে খোকন আলমকে গ্রেফতার করলেও বাকী অভিযুক্তরা পালিয়ে যায়। 

সোনারগাঁও থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ হাফিজুর রহমান বলেন, ধর্ষণ মামলায় ৪জনকে গ্রেফতারের পর আদালতে পাঠানো  হয়েছে। বাকি আসামীদেও গ্রেফতারে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।



সোনারগাঁও দর্পণ :

নারায়ণগঞ্জের কাঁচপুরে মাইক্রোবাস ও অটোরিকশা মুখোমুখি সংঘর্ষ ৫ অটোরিকশার চালকসহ পাঁচজন নিহত হয়েছেন। একই দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন। রবিবার (৯ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে সিদ্ধিরগঞ্জের সিমরাইল এলাকায় কাঁচপুর ব্রীজের পশ্চিম পাশের ঢালে এ দুর্ঘটনা ঘটে। 

নিহতদের মধ্যে সোনারগাঁও উপজেলার কাঁচপুর এলাকার শামসুদ্দিন খন্দকারের ছেলে নুর উদ্দীন (৪৫), অটোরিকশা চালক হানিফ ও যাত্রী মামুন (৩০) এর পরিচয় পাওয়া গেছে। বাকী দুই জনের পরিচয় জানতে পুলিশ তাদের কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে। 

কাঁচপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নবীর হোসেন জানান, সকালের দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কাঁচপুর ব্রীজের ঢাকামুখী লেনে একটি অটোরিকশা উল্টোপথে যাচ্ছিল। এ সময় ঢাকামুখী একটি হাইস মাইক্রোবাসের সাথে ওই অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে মাইক্রোবাসটির তেমন ক্ষতি না হলেও অটো রিক্সাটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়। এ সময় উপস্থিত অন্যান্য পথচারী ও যাত্রীরা আহতদের স্থানীয় বিভিন্ন হাসপাতালে নিয়ে গেলে ৫ জনকে মৃত বলে ঘোষণা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। 

তিনি আরও জানান, এ ব্যাপারে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীণ। 



সোনারগাঁও দর্পণ :

সোনারগাঁওয়ের ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কসহ বিভিন্ন স্থানে ডাকাতির ঘটনা কোন নতুন ঘটনা নয়। তবে, খোদ পুলিশের বড় বাবুর ওপর ডাকাতদের হামলায় নগদ টাকা, মোবাইল সেট ও এটিএম কার্ডসহ মূল্যবান জিনিসপত্র লুটই নয়, ডাকাতের হামলায় রক্তাক্ত আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন নিঃসন্দেহে উৎবেগের কারণ। শুক্রবার দিবাগত ভোর রাতে এমনই ঘটনা ঘটেছে সোনারগাঁও উপজেলার মেঘনা টোল প্লাজা এলাকায়। চট্টগ্রামের জোরারগঞ্জ হাইওয়ে থানার ওসি মোঃ আলমগীর হোসেন ও তার গাড়ী চালক ইয়াছিন বাদশা ডাকাতদের হামলায় মারাত্মক আহত ও নগদ টাকা-পয়সা লুটের ঘটনায় শনিবার সোনারগাঁও মামলার পর বিষয়টি আর ধাঁমাচাপা পড়েনি। এটি বর্তমানে টক অব দ্যা ডিষ্ট্রিকে পরিণত হয়েছে।

মহাসড়কে ডাকাতির পর চট্টগ্রামের জোরারগঞ্জ হাইওয়ে থানার ওসি মোঃ আলমগীর হোসেন বাদি হয়ে যে মামলা করেন তার এজাহার মোতাবেক, গত শুক্রবার ভোর সাড়ে তিনটার দিকে জোরারগঞ্জ হাইওয়ে থানার ওসি আলমগীর হোসেন ও তার গাড়ী চালক ইয়াছিন বাদশা প্রাইভেটকারে করে ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম কর্মস্থলে যাওয়া পথে সোনারগাঁওয়ের মেঘনা টোল প্লাজা এলাকায় টোল দেওয়ার জন্য গাড়ি (চট্টমোট্রো গ- ১২৬৮৫১) থামান। তাদের বহনকরা গাড়ির আগে ৬-৭টি গাড়ি টোল দিতে লাইনে ছিল। এ সময় কোরন কিছু বুঝার আগেই ৫/৬ জনের এক দল ডাকাত আগ্নেয়াস্ত্র ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে তাদের বহনকরা প্রাইভেটকারের কাছে আসে এবং চালকের মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে গুলি করার হুমকি দেয়। পরে ডাকাতরা প্রাইভেটকারের পেছনের দরজা টেনে হেঁচরে দরজা খুলে ওসি আলমগীরকে অতর্কিতভাবে শরীরের বিভিন্ন স্থানে কুপিয়ে আহত করে তাদের কাছে থাকা নগদ ১৯ হাজার টাকা, ৬০ হাজার টাকা মূল্যের ৪টি মোবাইল সেট এবং এটিএম কার্ড নিয়ে যায়। তাদের ডাক চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে গেলে ডাকাতরা পালিয়ে যায়। 

এ সময় স্থানীয়রা তাদের দ্রæত কুমিল্লার গৌরিপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে উন্নত চিকিসার জন্য পাঠিয়ে দেন। পরের দিন শনিবার রাতে ওই ডাকাতির ঘটনায় ওসি আলমগীর হোসেন বাদি হয়ে সোনারগাঁও থানায় মামলা করেন। 

কাঁচপুর হাইওয়ে থানার ওসি মোঃ নবীর হোসেন বলেন, মামলাটি সোনারগাঁও থানা পুলিশ তদন্ত করবেন।

সোনারগাঁও থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোঃ আহসান উল্লাহ বলেন, পুলিশের ওপর হামলা ও ডাকাতির ঘটনায় মামলা হয়েছে। ডাকাতদেও গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। 

নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (খ- অঞ্চল) শেখ বিল্লাল হোসেন বলেন, ডাকাতির ঘটনায় মামলা হয়েছে। ডাকাতির সাথে জড়িতদের দ্রæত শনাক্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


MKRdezign

Contact Form

Name

Email *

Message *

Powered by Blogger.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget