Halloween Costume ideas 2015
January 2025


 সোনারগাঁও দর্পণ :

সোনারগাঁও উপজেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক মোশারফ হোসেন সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন। শুক্রবার (৩১ জানুয়ারী) সোনারগাঁওয়ের একটি জরুরী কাজ শেষে রাত সাড়ে আটটার দিকে নিজ গাড়ি যোগে রাজধানীর বাড়িতে যাওয়ার সময় যাত্রাবাড়ির উড়াল সড়কে উঠার সময় তিনি দুর্ঘটনার শিকার হোন। 

উপজেলা বিএনপির একটি বিশ^স্ত সূত্র জানায়, শুক্রবার বিকালে উপজেলার বারদীর মুসলেন্দুপুর এলাকায় আরাফাত রহমান কোকো স্মৃতি ফুটবল খেলার পুরস্কার বিতরণ শেষে নিজ নোয়া গাড়ি (ঢাকা মেট্রো চ-১৯-৯০৫৭) চালিয়ে সোনারগাঁও থেকে ঢাকা যাচ্ছিলেন। 

ঢাকা যাওয়ার পথে রাজধানীর হানিফ ফ্লাইওভারে ওঠার সময় পিছন দিক থেকে অপর একটি গাড়ি স্বজোরে ধাক্কা দেয় তাকে বহণকরা প্রাইভেটকারকে। এতে মোশারফ  নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে তার সামনে থাকা একটি ট্রাকের পিছনে লেগে তাকে বহণকরা গাড়িটির সামনের অংশ দুমড়ে-মুচড়ে যায়। এতে মোশারফের গাড়িটি ক্ষতিগ্রস্ত হলেও তার ডান হাতে সামান্য আঘাত প্রাপ্ত হয়ে প্রাণে বেঁচে যান। 

পরে হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বাড়ি চলে যান। 



সোনারগাঁও দর্পণ :

সোনারগাঁও সরকারী কলেজ ও মোগরাপাড়া এইচ,জি,জি,এস স্মৃতি বিদ্যায়তন পরিদর্শণ করেছেন শিক্ষা মন্ত্রাণালয়ের সিনিয়র সচিব সিদ্দিক যোবায়ের। শুক্রবার (৩১ জানুয়ারী) জুম্মার আগে উপজেলার একমাত্র সরকারী উচ্চ বিদ্যালয় ঐতিহাসিক “মোগরপাড়া এইচ,জি,জি,এস স্মৃতি বিদ্যায়তন” এবং বিকালে “সোনারগাঁও সরকারী কলেজ” পরিদর্শণ করেন তিনি।

বিকালে সোনারগাঁও সরকারী কলেজ পরিদর্শনের সময় সিনিয়র সচিব সিদ্দিক যোবায়ের’কে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান, কলেজ অধ্যক্ষ অধ্যাপক আবুল কালাম। উষ্ণ অভ্যর্থনায় অংশ নেন কলেজের সিনিয়র শিক্ষকরা।  

এ সময় সাথে ছিলেন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের ইতিহাস বিভাগের প্রভাষক সালাহউদ্দিন জুয়েল, জি আর ইন্সিটিটিউশনের প্রভাষক জানে আলম দীপু প্রমূখ।

এরআগে, সকালে মোগরাপাড়া উচ্চ বিদ্যালয় পরিদর্শনের সময় স্কুলের প্রধান শিক্ষক সুলতান মিয়া শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব সিদ্দিক যোবায়ের’কে ফুলেল উষ্ণ শুভেচ্ছা জানান।  

পরিদর্শনকালে সচিব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দুটি উন্নয়নের স্বার্থে যে কোন সগযোগিতার আশ^াস দেন।



সোনারগাঁও দর্পণ :

অপহরণের অভিযোগে রনি (৩৫) নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে সোনারগাঁও থানা পুলিশ।  মোহাম্মদ আলী নামে এক ব্যক্তিকে অপহরণের অভিযোগে সোনারগাঁও উপজেলার সামনে থেকে বৃহস্পতিবার দুপুরে তাকে গ্রেফতার করা হয়। 

রনি উপজেলার বৈদ্যের বাজার ইউনিয়নের সাত ভাইয়াপাড়া এলাকার বাছেদ মোল্লার ছেলে। 

অপহরণ ছাড়াও তার বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলায় অভিযুক্ত বলে পুলিশ জানিয়েছে। 


নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক থানা পুলিশের একাধিক সূত্র জানায়, রনি পেশায় একজন দলিল লিখক। তার বাড়ি সাত ভাইয়াপাড়া এলাকার একাধিক ব্যক্তির বিদেশ যাওয়ার কয়েক লাখ টাকা আড়াইহাজার উপজেলার অপহৃত মোহাম্মদ আলীর কাছে দেয়। টাকা দেওয়া ব্যক্তিদের বিদেশে না নিয়ে তাদের টাকাও ফেরত দেয়নি রনি বা মোহাম্মদ আলী। ফলে বিদেশ যেতে প্রত্যাশীরা রনিকে দীর্ঘ দিন ধরে টাকা ফেরত দিতে চাঁপ দিচ্ছিল। 

এদিকে, রনির কাছ থেকে টাকা নেওয়া মোহাম্মদ আলীও রনির সাথে যোগাযোগ রাখেনি। ফলে সম্প্রতি নারায়ণগঞ্জ জেলার বন্দর উপজেলার মদনপুর এলাকায় মোহাম্মদ আলী তার শশুরবাড়ি বেড়াতে গেলে খবর পেয়ে সেখান থেকে মোহাম্মদ আলীকে অপহরণ করে নিয়ে আসে রনি। 

মোহাম্মদ আলীর পরিবারের সদস্যরা বিভিন্ন স্থানে অনেক খোঁজাখুঁজির পর তার অপহরণের খবর পেয়ে 

অপহৃত মোহাম্মদ আলীর পরিবারের সদস্যরা থানায় 

অপহরণের অভিযোগ করলে 

রনি মোল্লাকে গ্রেফতার করে সোনারগাঁও থানা পুলিশ।

এ বিষয়ে সোনারগাঁও থানার অফিসার ইনচার্জ এম এ বারীকে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। 


সোনারগাঁও দর্পণ :

অপরহণ পরবর্তী টানা ৬ দিন আটকে রেখে ধর্ষণের অভিযোগের তিন দিন পর অবশেষে শিশু ও নারী নির্যাতন দমন আইনে মামলা নিয়েছে সোনারগাঁও থানা পুলিশ। 

গত ২৬ জানুয়ারী রাতে নির্যাতিতা নারীর তিন দিন আগে করা অভিযোগের ভিত্তিতে এ মামলা নেওয়া হয়। 

মামলায় নির্যাতিতা নারী উল্লেখ করেন, তার স্বামী প্রবাসে থাকার সুবাদে তিনি এক ছেলেসহ তার বাবার বাড়ি সোনারগাঁওয়ের ইলিয়াসদী থাকেন। একই এলাকার শাহাবুদ্দিনের ছেলে মোঃ হাছান (৩০), তাকে মোবাইল ফোনে এবং সাক্ষাতে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ধরণের উত্যক্ত করে আসছিল। 

তার কু-প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় বিগত ১৬ জানুয়ারী দুপুর অনুমান ১টার দিকে সোনারগাঁও থানাধীন ইলিয়াসদী বাড়ির সামনের রাস্তা থেকে অভিযুক্ত হাসান তাকে ফুসলাইয়া ও প্রলোভন দেখিয়ে জোর পূর্বক প্রাইভেটকার যোগে অজ্ঞাতনামা স্থানে নিয়ে যায়। 

পরে অজ্ঞাতনামা স্থানে একটি ঘরে আটকাইয়া তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে। এ সময় তার হাতে থাকা ভিভো এ্যান্ড্রোয়েড মোবাইল এবং গলায় থাকা ১ ভরি ওজনের স্বর্ণের একটি চেইন এবং কানে থাকা ৮ আনা ওজনের এক জোড়া কানের দুল নিয়ে তাকে গাজীপুর ফেলে রেখে চলে যায় অভিযুক্ত হাসান। 

পরে তার বড় ভাইয়ের মোবাইল ফোনে ফোন করে তাকে উদ্ধার করে ২৪ জানুয়ারী সোনারগাঁয়ে নিয়ে আসে। 

এরআগে ওই নারী লিখিত অভিযোগ করলে থানা পুলিশ মামলা না নিয়ে অভিযুক্তকে আটক করে সন্দেহভাজন হিসেবে আদালতে পাঠায়। 

পরে ওই নারী ২৬ জানুয়ারী পুলিশের মহা-পরিদর্শক (আইজিপি)’র কমপ্লেইন মনিটরিং সেলে মামলা না নেওয়ার বিষয়ে ওসির বিরুদ্ধে অভিযোগ (সিরিয়াল নং ৪৮) করেন।


সোনারগাঁও দর্পণ :

সোনারগাঁওয়ে নয়ন (৩০) নামে হাত-পাঁ বাঁধাবস্থায় এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে বৈদ্যেরবাজার নৌ-পুলিশ। মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারী) দুপুরে সোনারগাঁও উপজেলার ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের দক্ষিণ-পূর্ব পাশের দড়িকান্দী এলাকার লাঙ্গলবন্দ ব্রীজের নিচে ব্রহ্মপুত্র নদ থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। 

উদ্ধারের সময় নিহতের পরনে ট্রাউজার ও শার্ট পরিহিত ছিল।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, এক যুবকের মরদেহটি ব্রহ্মপুত্র নদে দেখতে পেয়ে থানা পুলিশকে খবর দেয় স্থানীয়রা। পরে দুপুর আনুমানিক ১২টার দিকে বৈদ্যেরবাজার নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহটি উদ্ধার করে। 

উদ্ধারের পর স্থানীয়রা মৃতের কপাল ও গালে ধাঁরালো অস্ত্রের আঁঘাতের চিহৃ দেখতে পায়। 

সোনারগাঁও থানার বৈদ্যেরবাজার নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মাহবুুবুর রহমান মুঠোফোনে জানান, নিহত নয়ন রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানার টিক্কাপাড়ার ১৫/সি-১৯ নং বাড়ির মৃত জয়নাল আবেদীনের ছেলে। 

সে সোনারগাঁও উপজেলার সাদীপুর ইউনিয়নের বেলপাড়া এলাকার মোক্তার হোসেনের বাড়িতে ভাড়ায় থাকতেন। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ জেলা হাসপাতাল মর্গে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলমান। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পাওয়ার পর বিস্তারিত মৃত্যুর বিষয়ে জানা যাবে।


সোনারগাঁও দর্পণ :

একটি প্রতিষ্ঠানের কাছে মাত্র পাঁচ শতক জমি বিক্রি না করায় হাসান নামে প্রবাস ফেরত এক যুবককে পরিকল্পিতভাবে ধর্ষণ মামলায় ফাঁসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে অভিযুক্ত হাসান ও তার পরিবারের সদস্যরা। 

সংবাদ সম্মেলনের আয়োজক হাসানের বিরুদ্ধে স্থানীয় ও জাতীয় গণমাধ্যমে ধর্ষণ ও অপহরণ সংশ্লিষ্ট সংবাদ প্রকাশের বিরুদ্ধে সোমবার (২৭ জানুয়ারী) দুপুরে সোনারগাঁওয়ে একটি রেস্টুরেন্টে এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করা হয়। 

অভিযোগে হাসান জানায়, তার বিরুদ্ধে একটি মেয়েকে অপহরণের পর কয়েকদিন আটকে রেখে ধর্ষণের যে ঘটনা তা আদৌ সত্য নয়। তার দাবি, একটি প্রতিষ্ঠানের কাছে তাদের জমি বিক্রি না করায় পরিকল্পিতভাবে স্থানীয় দালাল ইসমাঈল, নুরুজ্জামান, মামুন, এম কে ফরিদ ও আনোয়ার ওই নারীকে দিয়ে মিথ্যা অপহরণ পরবর্তী ধর্ষণ মামলায় ফাঁসানোর চেষ্টা করছে। যা অর্থের বিনিময়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রচার করছে বলেও দাবি করা হয়। 

এ সময় সোনারগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে কোন টাকা পয়সা দেওয়ারও ঘটনা ঘটেনি বলে হাসান ও তার পরিবার দাবি করে। পাশাপাশি যদি ওই নারীকে অপহরণ বা ধর্ষণের মতো কোন ঘটনা ঘটিয়ে থাকে তাহলে বর্তমান তথ্যপ্রযুক্তি যুগের কথা উল্লেখ করে তা প্রমাণ না করতে পারার চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেন।

তাই এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষসহ সকলের কাছে সুবিচারের আহবান জানান হাসান।


সোনারগাঁও দর্পণ :

সোনারগাঁওয়ের প্রধান গুরুত্বপূর্ণ স্থান মোগরাপাড়া চৌরাস্তা এলাকায় আবারো অবৈধ স্থাপনা গুড়িয়ে দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন ও হাইওয়ে পুলিশ। সড়ক ও জনপদ (সওজ) বিভাগের জায়গায় এ সকল অবৈধ স্থাপনা তুলে যুগের পর যুগ একটি স্বার্থান্বেসী মহল আর্থিকভাবে ফুলে ফেঁপে উঠেছে বলেও অভিযোগ দীর্ঘদিনের। ফলে উপজেলার এই অঞ্চলের ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের দুই পাশে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা তিন শতাধিক স্থাপনা রবিবার (২৬ জানুয়ারী) উচ্ছেদ করা হয়। 

রবিবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত চলা উচ্ছেদ অভিযানের নেতৃত্বদেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মুঞ্জুরুল মোর্শেদ। এ সময় তাঁকে সহযোগিতা করেন কাঁচপুর হাইওয়ে পুলিশ, উপজেলা পরিষদ সদস্য এবং আনসার সদস্যরা। 

উচ্ছেদ অভিযানে মহাসড়কের দুই পাশে একটি ফলের দোকানসহ মোট ৫জন ব্যবসায়ী উচ্ছেদ কাজে অসযোগিতা করায় তাদেরকে আর্থিক জরিমানা করা হয় এবং অবৈধ দোকান উচ্ছেদ করা হয়।

এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যবসায়ী জানান, স্থানীয় একাধিক প্রভাবশালী ব্যক্তি ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের দুই পাশে অবৈধ দোকানপাট নির্মাণ করে বিভিন্ন ব্যবসায়ীদেরকে মাসিক ৩ হাজার থেকে ১৫-২০ হাজার টাকা ভাড়া আদায় করে। এছাড়া এককালীণ ৩ লাখ থেকে ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত অগ্রিম টাকা নিয়ে থাকে। স্থানীয় কোন প্রভাবশালীরা এসকল অপকর্ম করে এ বিষয়ে সওজ এবং স্থানীয় সকল প্রশাসনের দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও ওয়াকিবহাল বলে অভিযোগ ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী ও স্থানীয়দের। তারা এ-ও জানান, কিছু দিন পর পর প্রশাসনের পক্ষ থেকে এ সকল অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে মুলত প্রশাসনের কতিপয় দুর্নীতিবাজ ব্যক্তি ও স্থানীয় প্রভাবশালীদের সুবিধা করে দেন উচ্ছেদকারীরা। 

কারণ হিসেবে তাদের দাবি, অবৈধ স্থাপনা ভেঙে দেওয়ার পর আগে যে সকল ব্যবসায়ীরা অগ্রিম টাকা দেয় তারা আর অগ্রিম টাকা ফেরত পাননা। এমনকি অগ্রিম টাকা দেওয়া ব্যবসায়ীদের দোকান না দিয়ে, না জানিয়ে অন্যদের কাছ থেকে পূণরায় অগ্রিম টাকা নিয়ে পূণরায় দোকান তোলার অনুমতি দেয় প্রভাবশালীরা। 

এদিকে প্রশাসন, হাইওয়ে পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, মহাসড়ক অবৈধ দখল করে নির্মিত এ সকল অবৈধস্থাপনার কারণে মহাসড়কসহ দুই পাশে থাকা গুরুত্বপূর্ণ সড়কেও যানজট নিত্যদিনের সাথী। 

তাই স্থানীয়দের দাবি, কিছুদিন পরপর উচ্ছেদ অভিযানের নামে চোর-পুলিশ খেলা না খেলে প্রশাসনের উচিৎ স্থায়ীভাবে এর প্রতিকার করার।

উচ্ছেদের সময় উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মঞ্জুরুল মোর্শেদ বলেন, প্রায় তিন শতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। পরবর্তীতেও যেন তারা পূণরায় না বসতে পারে সে জন্য এ অভিযান অব্যাহত থাকবে। 


সোনারগাঁও দর্পণ :

মাত্র দেড় লাখ টাকার বিনিময়ে ধর্ষণের অভিযোগে অভিযুক্তকে আটকের পর শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে আদালতে পাঠানোর গুরুতর অভিযোগ উঠেছে সোনারগাঁও থানার ওসি মো. আব্দুল বারী’র বিরুদ্ধে। ধর্ষিতা নিজে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি)’র কমপ্লেইন মনিটরিং সেলে রবিবার (২৬ জানুয়ারী) লিখিত এ অভিযোগ (সিরিয়াল নং ৪৮) করেন। 

অভিযোগে নির্যাতিতা ওই নারীর বাড়ি সোনারগাঁও উপজেলার ইলিয়াসদী উল্লেখ করে নিজেকে বিবাহিত এবং স্বামী প্রবাসে থাকার কথা জানান। অভিযোগে তিনি আরও জানান, তার স্বামী বিদেশ থাকার সুযোগে বিগত ৬ মাস যাবত একই গ্রামের শাহাবুদ্দিনের ছেলে লম্পট হাসান তাকে বিভিন্ন সময় কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিল। সে প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় তাকে দেখে নেবে বলে হুমকি দিয়ে আসছিল লম্পট হাসান। এরই ধারাবাহিকতায় গত ১৭ জানুয়ারী দুপুরে ওই নারী মোগরাপাড়া চৌরাস্তা যাওয়ার উদ্দেশ্যে গাড়ির জন্য রাস্তার পাশে অপেক্ষা করাকালীণ একটি প্রাইভেটকার থেকে নেমে কিছু বুঝে উঠার আগেই তার নাকে-মুখে কিছু একটা স্প্রে করে তাকে জোর করে প্রাইভেট কারে তুলে অপহরণ করে নিয়ে যায় অভিযুক্ত হাসান। দুই দিন পর জ্ঞান ফিরলে তিনি নিজেকে একটি অন্ধকার ঘরে দেখতে পান। পরে জানতে চাইলে হাসান তাকে নিয়ে সাভারে আছে বলে জানায়। এমন কথা শুনে অপহৃতা তরুণী কান্নাকাটি শুরু করলে হাসান তাকে ধাঁরালো ছুরি দিয়ে মেরে ফেলার ভয় দেখিয়ে উপর্যুপরি ধর্ষণ করে। এভাবে টানা ৬ দিন লম্পট হাসান তাকে আটকে রেখে ধর্ষণ করে। পরে গত শুক্রবার (২৪ জানুয়ারী) ওই নারী কৌশলে সেখান থেকে পালিয়ে অপরিচিত এক ব্যক্তির মোবাইল থেকে তার ভাইকে ফোনে ঘটনা জানান এবং ঠিকানা দিলে তার ভাই সাভার থেকে তাকে উদ্ধার করে সোনারগাঁও নিয়ে আসেন। 

ওই দিনই তিনি তার অভিভাবকদের নিয়ে সোনারগাঁও থানায় যান এবং সোনারগাঁও থানার ওসি এম এ বারীকে অপহরণ ও ধর্ষণের ঘটনায় মামলা নিতে অনুরোধ করেন। কিন্তু ওসি বারী মামলা না নিয়ে তাকে একটি অভিযোগ করে যেতে বলেন। ধর্ষিতা যেনেও ওসি ওই নারীর মেডিকেল টেস্টের জন্য হাসপাতালে পাঠাননি এবং মামলার আবেদনটিও গ্রহণ করেননি। পরে শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) রাতেও থানায় গিয়ে ওই নারী ওসি’কে মামলাটি গ্রহণের জন্য আবারো অনুরোধ করেন। কিন্তু তাতেও তিনি (ওসি) কর্ণপাত করেননি। পরে শুক্রবার রাতে বিবাদী লম্পট হাসানকে পুলিশ ধরে থানায় নিয়ে যায়। খবর পেয়ে পরের দিন শনিবার সকালে ওই নারী সোনারগাঁও থানায় গিয়ে দেখেন ধর্ষণ মামলা না দেয়ার জন্য ওসি এম এ বারীকে ৩টি ৫০ হাজার টাকার বান্ডেলে মোট দেড় লাখ টাকা ঘুষ দিচ্ছে হাসানের লোক। এমন কি ওই সময় নির্যাতিতা ওসিকে আসামি পক্ষের লোকদেরকে বলতে শুনেছেন, ‘পুলিশ যখন ধরে এনেছে এমনিতে তো আর ছাড়া যাবে না। হাসানকে তারা সন্দেহভাজন আসামি হিসেবে কোর্টে চালান দেবেন, যাতে আসামীকে বিকালের মধ্যেই জামিন করিয়ে বাড়ি নিয়ে আসতে পারেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করেন

নির্যাতিতা ওই নারী পুলিশের মহা-পরিদর্শক অভিযোগে উল্লেখ করেন, আসামির কাছ থেকে ঘুষ নিয়ে অবশেষে ধর্ষণ ও অপহরণ মামলার আসামিকে সন্দেহভাজন আসামি হিসেবে চালান করেন ওসি এম এ বারী। আসামীকে শনিবার সকালে কোর্টে চালান করলে বিকালেই খালাস পেয়ে বাড়ি ফিরে তার বিরুদ্ধে থানায় করা অভিযোগ তুলে নিতে হুমকি দিচ্ছে। নইলে লম্পট হাসান সপরিবারে হত্যা করে গুম করার হুমকি দিয়েছে ধর্ষিতা ও তার পরিবারের সদস্যদের।

সোনারগাঁও থানার ওসি এম এ বারী’র কাছে মুঠোফোনে জানতে চাইলে টাকার বিনিময়ে ধর্ষণ মামলা না নেওয়ার বিষয়টি মিথ্যা দাবি করেন এবং প্রমাণের জন্য ওই নারীর প্রতি চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেন। তিনি বলেন, ওই নারীর বিরুদ্ধে এরআগেও এই ধরণের ঘটনার তথ্য তিনি (ওসি) পেয়েছেন বলে দাবি করেন এবং সাংবাদিক হিসেবে মিথ্যা কিছু প্রকাশ না করার অনুরোধ করলে তিনি খুশি হবেন বলে জানান। এ সময় সাংবাদিকরা বস্তুনিষ্ঠ সংবাদই প্রচার করে জানালে, তার বিরুদ্ধে করা ওই নারীর মিথ্যা অভিযোগ (ওসির ভাষ্য মতে) বস্তুনিষ্ঠতার মধ্যে পরেনা বলে দাবি করেন ওসি এম এ বারী।

এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার প্রত্যুষ কুমারকে একাধিকবার ফোন দিলেও কোন সাড়া পাওয়া যায়নি। ম্যাসেস পাঠালোও কোন উত্তর মিলেনি। পরে সন্ধ্যার পর তিনি এক ক্ষুদে বার্তায় জানান তিনি ট্রেনিংয়ে থাকায় ফোন রিসিভ করতে পারেননি।

এরআগে, গত শনিবার (২৫ জানুয়ারী) নিউজ পোর্টাল সোনারগাঁও দর্পণ’ সোনারগাঁওয়ে বিয়ের প্রলোভনে সপ্তাহব্যাপী যুবতীকে ধর্ষণ, মামলা না নিতে হুমকী" শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশ করে। যা নিয়ে ইতোমধ্যে ব্যাপক তথ্য আসে ‘সোনারগাঁও দর্পণ’র কাছে। ওসির টাকা গ্রহণের বিষয়ে গতকালই তথ্য পেলেও প্রমাণ না থাকায় তা প্রকাশ থেকে বিরত থাকে ‘সোনারগাঁও দর্পণ।’


সোনারগাঁও দর্পণ :

বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে এক যুবতীকে ধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে হাসান নামে এক লম্পটের বিরুদ্ধে। এদিকে, ধর্ষিতার পরিবার গরিব হওয়ায় ধর্ষকের পরিবারকে থানায় কোন মামলা না করার হুমকী দিলে ধর্ষিতার পরিবার মামলা করতেও ভয় পাচ্ছে। 

এদিকে, পুলিশ শুক্রবার রাতে অভিযুক্ত হাসানকে গ্রেফতার করলেও অজ্ঞাত কারণে আইনশৃঙ্খলা অবনতি ঘটাবে সন্দেহে বাংলাদেশ ফৌজধারী কার্যবিধি (ফৌঃকাঃবিঃ)’র ১৫১ ধারায় গ্রেফতার করেছে। অভিযুক্তকে গত শুক্রবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে সোনারগাঁও উপজেলার মোগরাপাড়া ইউনিয়নের ইলিয়াসদী এলাকা থেকে পুলিশ গ্রেফতার করলেও গত ১৬ জানুয়ারী অভিযুক্ত হাসান ওই যুবতীকে বিয়ে করবে বলে তার বাড়ি থেকে নিয়ে গাজীপুরে পালিয়ে যায়। অভিযুক্ত হাসান একই গ্রামের শাহাবুদ্দিনের ছেলে। 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ইলিয়াসদী গ্রামের একাধিক ব্যক্তি ও ধর্ষিতার স্বজন জানান, হাসান দীর্ঘ দিন ধরে ওমান প্রবাস জীবন কাঁটিয়ে পরিবারের সাথে দেখা করতে মাস দুইয়েক আগে ছুঁটিতে নিজ গ্রামে আসেন। গত ১৬ জানুয়ারী বৃহস্পতিবার ইলিয়াসদী গ্রামের এক যুবতীকে নিয়ে গাজীপুরের কাপাসিয়ার একটি আবাসিক হোটেলে ওঠে। যদিও অন্য একটি সূত্র জানায় ওই যুবতীকে নিয়ে হাসান তার এক আত্মীয়ের বড়ি ছিল। ওই যুবতী হাসানের সাথে যাওয়ার সময় সংসার করার স্বপ্ন দেখে ওই যুবতী তার ঘর থেকে নগদ টাকা ও স্বর্ণালঙ্কারসহ পালিয়ে যায়। পরে ওই যুবতীকে অনেক খোঁজাখুঁজি করলেও কোথাও না পেয়ে তার পরিবারের সদস্যদের কান্নাকাটিতে বিষয়টি লোক জানাজানি হয়। 

এদিকে, ওই যুবতীকে গাজীপুর রেখে না জানিয়ে হাসান গত বৃহস্পতিবার ২৩ জানুয়ারী বাড়ি চলে আসে। এদিকে, হাসানের সাথে ওই যুবতীর কোন যোগাযোগ না হওয়ায় সে-ও (ধর্ষিতা) গাজীপুর থেকে তার বাড়িতে চলে আসে এবং পরিবারের কাছে সকল ঘটনা খুলে বলে। পরে এ বিষয়ে ওই যুবতীর পরিবারের সদস্যদের সাথে ইলিয়াসদী এলাকায় একটি আইসক্রিম ফ্যাক্টরীর পাশে রাত সাড়ে ১২টার দিকে হাসানের পরিবারের ঝগড়া হয়। 

এ সময় সোনারগাঁও থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক সঞ্জয় কুমার বসাক ঘটনাস্থলে গিয়ে হাসানকে আটক করে। পরে তাকে ১৫১ ফৌজধারী কার্য বিধিতে গ্রেফতার দেখিয়ে শনিবার (২৫ জানুয়ারী) নারায়ণগঞ্জ বিজ্ঞ চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পাঠায়।

এ বিষয়ে মুঠোফোনে সাব ইন্সপেক্টর সঞ্জয় কুমার বসাকের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ওসি সাহেব টেলিফোনে ইলিয়াসদী এলাকায় একটি ঝামেলার কথা বলে আমাকে সেখানে যেতে বলেন এবং পরবর্তীতে হাসানকে আটক করে নিয়ে যেতে বলায় আমি নিয়ে যাই। পরে ১৫১ ধারায় তাকে মামলা দিয়ে আদালতে পাঠানোর নির্দেশ দিলে তার (ওসি) নির্দেশ মোতাবেক আমি কাজ করেছি। এর বাইরে কিছু জানিনা। বিশেষ কিছু জানতে চাইলে ওসি সাহেব বা সেকেন্ড অফিসারের সাথে কথা বলেন বলে জানায়।

পরে সোনারগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল বারীর সাথে মুঠোফোনে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, হাসানের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছে তার কোন প্রমাণ না পাওয়ায় তাকে ১৫১ ধারায় আদালতে পাঠানো হয়েছে। কোন প্রমাণ পেলে বা কোন অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 



সোনারগাঁও দর্পণ :

সোনারগাঁওয়ে একটি নির্মাণাধীন লুভ ওয়েল ইন্ডাস্ট্রিজের পুকুর থেকে সাইফ আহমেদ (৪৮) নামে এক  নিরাপত্তাকর্মীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (২৪ জানুয়ারী) রাত আনুমানিক সাড়ে ১০টার দিকে সোনারগাঁও উপজেলার জামপুর ইউনিয়নের বস্তল এলাকা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। 

জামপুর ইউনিয়নের তালতলা তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ সূত্র জানায়, স্থানীয়রা লাশটি দেখে তাদের খবর দিলে সিটি লুভ ওয়েলের পাশের পুকুরে জাল ফেলে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। এখন পর্যন্ত মৃত্যুর কারণ জানাযায়নি। নিহত সাইফ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার মুন্সেফপাড়া এলাকার মৃত মির্জা সিরাজউদ্দিনের ছেলে। তিনি পি-সিকিউরিটি গার্ড প্রতিষ্ঠান নাবিল সিকিউরিটি লিমিটেড থেকে সিটি লুভ ওয়েল ইন্ডাস্ট্রিজের নিরাপত্তাকর্মী হিসেবে কাজ করতো। 

এলাকাবাসী জানায়, প্রতিষ্ঠানটির নাম আগে ‘ইমারত ওয়েল মিল’ ছিল। বর্তমানে এটি সিটি লুভওয়েল ইন্ডাস্ট্রিজ’ নামে পরিচিত হলেও প্রতিষ্ঠানটিতে কোন সাইনবোর্ড নেই। 

এরআগে, লাশ উদ্ধারের সময় স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীরা তথ্য ও ছবি সংগ্রহে ঘটনাস্থলে যেতে চাইলে প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে বাঁধা দেওয়া হয়। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় প্রবেশ করে। এ ঘটনার বিষয়ে প্রতিষ্ঠানের কোন কর্মকর্তা কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি। 

সোনারগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল বারী জানান, নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। পোষ্টমর্টেম রিপোর্ট আসলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানাযাবে।



সোনারগাঁও দর্পণ :

সহযোগিদের সহায়তায় স্বামীকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি রাজধানীর হাজারিবাগ এলাকায় ঘটলেও নিহত আরিফ নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ের বাসিন্দা। পরিবারের সদস্যদের দাবি, আরিফকে গত ২০ জানুয়ারী সোমবার পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। এদিকে, আরিফ হত্যার পর তার পরিবারের সদস্যদের না জানিয়ে পুলিশকে জানানো এবং পুলিশকে দিয়ে বিষয়টি মামলায় না গড়ানোর প্রস্তাবে হতাশ আরিফের পরিবারের ধারণা, কোন অনৈতিক সুবিধা পেয়ে পুলিশ অপরাধীদের বাঁচানোর চেষ্টা করছে। যদিও নিহত আরিফের পরিবারের সদস্যদের বিচক্ষণতায় এবং সংশ্লিষ্ট থানার বড় বাবুর হস্তক্ষেপে শেষ পর্যন্ত লাশের ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। নিহত আরিফ উপজেলার মোগরাপাড়া ইউনিয়নের আমতলা গ্রামের মৃত আবুল সরদারের ছোট ছেলে।

জানাগেছে, প্রায় ১৩ বছর আগে আবুল সরদারের ছোট ছেলে আরিফ (৩২)। তারই মেঝ ভাই জাহাঙ্গীরের শ্যালিকা কুলসুমের সাথে প্রথমে প্রেম পরবর্তীতে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় বরিশাল জেলার হিজলা থানার কাউইরা ইউনিয়নের পত্তনিভাঙ্গা গ্রামের আব্দুর রহিম চৌধুরীর মেয়ে কুলসুমের সাথে। বারো বছরের সাংসারিক জীবনে তাদের সংসারে দুটি পুত্র সন্তান আসে। বড় ছেলে হোসাইন (১২) ক্লাশ সেভেনে লেখাপড়া করে। আর ছোট ছেলের নাম আরাফ (৫)। ৫/৬ বছর আগে আরিফের মা মারা যাওয়ার পর আরিফ কিছুটা ভবঘুরে স্বভাবের হয়ে যায়। সে কখনো সিএনজি, কখনো বা অটোরিক্সাসহ বিভিন্ন পেশায় তার জীবন নির্বাহ করতো। কিন্তু আয় করা টাকার বেশিরভাগ সময় জুয়া খেলে নষ্ট করতো। এ নিয়ে সংসারে কলহ লেগেই থাকতো। পরে তার স্ত্রী তাকে (আরিফ) ছেড়ে দুই সন্তান নিয়ে রাজধানীর ধানমন্ডির হাজারীবাগের তল্লাবাগ এলাকায় ১৮/১২ এ বাড়িতে ভাড়ায় বসবাস করতো। পাশাপাশি একই এলাকার ভাড়াটিয়া এনায়েতের স্ত্রী সেলিনার মালিকানাধীন স্থানীয় গোল্ডেন ড্রীমস বিউটি পার্লারে কাজ করতো। 

এদিকে, আরিফ তার সন্তানদের না দেখতে পেয়ে এবং সন্তানদের কাছে পেতে ব্যাকুল হয়ে যায়। অপরদিকে, পারিবারিক কলহের জেরে প্রায় মাস তিনেক আগে আরিফকে ডিভোর্স দিবে বলে মৌখিক খবর পাঠায় স্ত্রী কুলসুম। এতে আরিফ ভালবেসে বিয়ের পর দুই সন্তানের মা হওয়া কুলসুমকে নিয়ে সংসার করার উদ্দেশ্যে মাস দেড়েক আগে তার মেঝ ভাই ও ভায়রা জাহাঙ্গীরের সহায়তায় সংসারে মনযোগী হওয়ার শপথ করে পারিবারিক সমঝোতায় রাজধানীর হাজারীবাগে কুলসুমের সাথেই বসবাস করতো। পাশাপাশি আরিফ সেখানে একটি খাবার হোটেলে কাজ নেয়। 

এদিকে, আরিফের স্ত্রী পার্লারে কাজ করা কুলসুমের প্রায়ই বাড়িতে দেড়ি করে আসা নিয়ে সন্দেহ হয় এবং কুলসুমের পার্লালের মালিক সেলিনা ও সেলিনার স্বামী এনায়েতের ব্যবহারে কুলসুমকে সেলিনার পার্লারে কাজ না করে অন্য পার্লারে কাজ করা বা কাজ না করে সংসার করা এবং হাজারীবাগ এলাকা থেকে অন্যত্র গিয়ে বসবাসের প্রস্তাব দেয়। এনিয়ে তাদের  দুই জনের মধ্যে কথাকাটাকাটির এক পর্যায় গত ১৮ জানুয়ারী আরিফ তার স্ত্রী কুলসুমকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করে। পরে ২০ জানুযারী এ বিষয়ে হাজারীবাগ থানায় একটি অভিযোগ করে কুলসুম। 

এদিকে, ওই দিনই (গত ২০ জানুয়ারী) কুলসুমকে পিটানোর কারণে সেলিনার স্বামী এনায়েত হাজারীবাগ বাজারে আরিফকে গালাগাল করে এবং বেশি বাড়াবাড়ি করলে আরিফকে দেখে নেওয়ার হুমকী দেয়। পরে দুপুর পৌনে তিনটার দিকে প্রথমে হাজারীবাগ থানা থেকে এসআই পরিচয়ে আরিফের বড় ভাই আলমগীরকে ফোন দেয় এবং আরিফ নেশাগ্রস্ত অবস্থায় অচেতন হয়ে আছে বলে জানিয়ে তাকে ঢাকা হাজারীবাগ যেতে বলে। ভাই অসুস্থতার খবর পেয়ে আলমগীর মানুষের কাছ থেকে টাকা ধার নিয়ে ঢাকা যাওয়ার পথে তার ভাইয়ের মৃত্যুর খবর পায়। পরে হাজারীবাগ থানায় গেলে থানার সামসুর রহমান নামে এক পুলিশ সদস্য আরিফ অতিরিক্ত নেশা করায় মৃত্যু হয়েছে এবং তিনি সুরতহাল রিপোর্ট করার সময় শরীরে কোন আঁঘাতের চিহ্ন পাননি জানিয়ে আরিফের বড় ভাই আলমগীরকে একটি সাদা কাগজে সই দিতে বলেন এবং অযথা মামলা মোকদ্দমা না করতে উৎসাহিত করেন। পুলিশ সদস্যের এমন আচরনে আলমগীরের সন্দেহ হয় এবং তার ভাইকে না দেখে তিনি কোন কাগজে সই করবেন না বলে জানান। এ নিয়ে ওই পুলিশ সদস্যের সাথে উচ্চস্বরে কথা কাটাকাটি হয়। বিষয়টি পাশের কক্ষে থাকা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার কর্ণপাত হলে তিনি কারণ জানতে চান এবং আরিফকে তার ভাইদের না দেখিয়ে কোন কাজ না করার নির্দেশ দেন। পাশাপাশি ঘটনাস্থল ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নিজে পরিদর্শনে যাওয়ার কথা বলেন এবং সেখানে যান এবং সেখানে গিয়ে আরিফ বিষ খেয়েছে বলে জানতে পারেন। পরবর্তীতে ঘটনাস্থল থেকে থানায় ফিরে আলমগীরের সিদ্ধান্ত জানতে চান ওসি। আলমগীর তার ভাইকে না দেখে কোন সিদ্ধান্ত দিতে পারবেনা জানালে ওসি তাকে তার ভাইকে দেখার নির্দেশ দেন। কিন্তু, রাত দেড়টা পর্যন্ত আলমগীর ও তার ভাইদেরকে আরিফের মরদেহ না দেখিয়ে পুলিশ সদস্য সামসুর রহমান আরিফের মরদেহের ছবি দেখিয়ে পূণরায় বলেন, আরিফ নেশা করেই মারাগেছে বলে জানান এবং ওই সাদা কাগজে সই দিতে বলেন। পরে ওসি রাতে বাড়ি যাওয়ার জন্য তার কক্ষ থেকে বের হওয়ার সময় আরিফের মরদেহ না দেখানোর কথা জানালে ওসি কর্মকর্তাদের ওপর ক্ষিপ্ত হলে আলমগীর, অপর দুই ভাই জাহাঙ্গীর ও মনির হোসেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে আরিফের মরদেহের ঘাঁড়, পিঠ, হাঁত এবং কোমরে আঁঘাতের চিহ্ন দেখতে পেয়ে লাশ পোষ্টমর্টেম করার ইচ্ছা ওসিকে জানান। পরে পুলিশ মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পোষ্টমর্টেমের জন্য মর্গে পাঠায়। 

গতকাল ২১ জানুয়ারী মঙ্গলবার বাদ এশা সোনারগাঁওয়ের মোগরপাড়া ইউনিয়নের সোনারগাঁও সরকারী কলেজ মাঠে নামাজে জানাজা শেষে স্থানীয় বড় সাদিপুর কবরস্থানে আরিফের লাশ দাফন করা হয়।

এ বিষয়ে আরিফের বড় ভাই আলমগীর হোসেন সরদার জানান, আরিফের শরীরের বিভিন্ন স্থানে দাগ দেখে আমার ছোট ভাইকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে বলে আমাদের ধারণা। তবে, কারা হত্যা করেছে যেহেতু সেই বিষয়টা জানিনা তাই পোষ্টমর্টেম রিপোর্ট আসলে পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ নিব। আর যদি তাকে হত্যা করা না হয়, তাহলে কোন নিরাপরাধ কাউকে কেন হেনস্তা করবো।



সোনারগাঁও দর্পণ :

দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পোশাকে পরিবর্তন আসছে। ইতোমধ্যে পুলিশ, র‌্যাব ও আনসার সদস্যদের পোশাক নির্ধারণ চূড়ান্ত করা হয়েছে। সোমবার (২০ জানুয়ারী) সচিবালয়ে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব:) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। 

তিনি জানান, পুলিশ, র‌্যাব ও আনসার বাহিনীকে আরও বেশি জনবান্ধব এবং দেশ প্রেমিক হিসেবে গড়ে তুলতে উন্নত প্রশিক্ষণ ও তাদের পোশাক পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। সে মোতাবেক পুলিশের নতুন পোশাকের রং হবে আয়রণ, র‌্যাবের গ্রিন অলিভ এবং আনসারদের পোশাক হবে গোল্ডেন হোয়াইট। 

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, সুন্দর দেশ গঠনে আমাদের মন-মানসিকতার পরিবর্তন জরুরী। বর্তমান সরকার দুর্নীতিমুক্ত দেশ গড়তে চায়। 

সাংবাদকিদের এক প্রশ্নের জবাবে জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, সম্প্রতি চাপাইনবাবগঞ্জ সীমান্তে বিএসএফ কাঁদানে গ্যাস ও সাউন্ড গ্রেনেড ব্যবহার করেছে। সে কারণে সীমান্তে নাশকতা ঠেকাতে বর্ডার গার্ড অব বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্যদের ব্যবহারের জন্যে সরকার আরও সাউন্ড গ্রেনেড ও কাঁদানে গ্যাস কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। 

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে এখনও অনেকে অবৈধভাবে ৩৩ হাজার ৬৪৮ জন অভিবাসী বসবাস করছে। এরআগে যার সংখ্যা ছিল ৪৯ হাজার ২২৬ জন। ৩১ জানুয়ারীর পরে অবৈধ অভিবাসীদের বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আর অবৈধ অভিবাসীদের দেশে থাকতে সহায়তা করলে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 




সোনারগাঁও দর্পণ : 

৫ আগস্টের ঘটনাকে ষোল বছরের স্বৈরশাসনের বহিঃপ্রকাশ বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রাপ্ত পরিচালক ও সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। শনিবার (১৮ জানুয়ারি) বিকালে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডশনে মাসব্যাপী লোক কারু শিল্প মেলা ও লোকজ উৎসব-২০২৫ উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্টানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। 

তিনি আরও বলেন, বিগত সরকার দেশের সংস্কৃতিকে উদ্যোশ্যমূলকভাবে দুটি ভাগে বিভক্ত করে দেশে রাজনৈতিক বিভাজন তৈরি করে রেখেছিল। যা রাজনীতি ও সংস্কৃতির জন্য অনেক ভয়ানক বিষয়। অথচ, দেশে চলমান সাংস্কৃতিক বিরোধ শেষ না হলে কখনোই রাজনৈতিক বিরোধ শেষ হবে না।

তিনি বলেন, ৫ আগস্টের পর স্বৈরশাসক প্রধান দেশ ছেড়ে বিদেশে বসে সে দেশের মিডিয়াকে ব্যবহার করে প্রোপাগান্ডা ছড়াচ্ছে। যা এখনো অব্যাহত আছে। সে বিষয়ে সকলকে সজাগ থাকারও আহবান জানান ফারুকী।

সোনারগাঁও দেশের সাংস্কৃতিক নগরের যোগ্যতা রাখে জানিয়ে সংস্কৃতি উপদেষ্টা বলেন, সোনারগাঁওয়ের পানাম নগর ও অন্যান্য ঐতিহাসিক স্থাপনা নিয়ে সাংস্কৃতিক নগরী গঠন করতে পারলে শুধু দেশীয় পর্যটকরাই নয়, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের পর্যটকরা সোনারগাঁওয়ে এসে তাদের পর্যটনের চাহিদা মেটাতে পারবেন বলে মত দেন তিনি। 

তিনি বলেন, সম্প্রতি বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে যে স্পীড নিয়ে সকলের অংশগ্রহণের মাধ্যমে ফ্যাসিবাদের পতন ঘটিয়েছে, বাংলাদেশে যে গণঅভুত্থান ঘটিয়েছে দেশের সংস্কৃতি রক্ষায়ও সেই স্পীড নিয়ে দেশের মানুষ ঐক্যবদ্ধভাবে থাকতে হবে। আর সোনারগাঁওকে বিশে^র দরবারে সাংস্কৃতিক নগরী হিসেবে তুল ধরতে এখানকার মানুষদেরই বেশি ভূমিকা পালন করতে হবে বলে তিনি মনে করেন। 

ফাউন্ডেশনের পরিচালক মাহবুবুল আলমের সভাপতিত্তে¡ অনুষ্ঠানে অন্যান্য অতিথিদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক জাহিদুল ইসলাম মিয়া, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মফিদুর রহমান, যুগ্ম সচিব হেলাল হোসেন, জেলা পুলিশ সুপার প্রত্যুষ কুমার, ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক একেএম আজাদ সরকার। 

এছাড়া অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সোনারগাঁও পৌরসভা প্রশাসক ফারজানা রহমান, স্থানীয় বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী ও বিভিন্ন সহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মীরা।



এরআগে, কারুশিল্পে বিশেষ অবদান রাখায় নেত্রকোণার ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠি গারো সম্প্রদায়ের কারুশিল্পী নিলাম চিছিং,  সোনারগাঁওয়ের কাঠেঁর হাতি-ঘোড়া তৈরি করে দেশীয় সংস্কৃতির অংশ কারু শিল্পে বিশেষ অবদান রাখায় বিরেন্দ্র সূত্রধর ও টেপা পুতুল তৈরিতে কিশোরগঞ্জের সুনীল পাল প্রত্যেককে এক ভরি ওজনের সোনার পদক ও নগদ এক লাখ টাকার চেক এবং কুটির শিল্প নকশিকাঁথায় বিশেষ অবদান রাখায় সোনারগাঁওয়ের হোসনে আরা বেগম ও প্রায় বিলুপ্ত  তাঁমা-কাঁসা শিল্প বিশেষ অবদান রাখায় কুমিল্লার মানিক সরকারকে ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে শিল্পাচার্জ জয়নুল আবেদিন আজীন সন্মাননা-২০২৪ ক্যাটাগরিতে দেড় ভরি ওজনের সোনার ক্রেস্ট ও নগদ তিন লাখ টাকার চেক তুলে দেন প্রধান অতিথি।

অনুষ্ঠান শেষে প্রধান অতিথি মেলার বিভিন্ন স্টল ঘুরে দেখেন এবং মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করেন।


 


সোনারগাঁও দর্পণ :

ফ্যাসিবাদের পক্ষে যে মিডিয়া কলম ধরবে, সে কলম ভেঙ্গে দেওয়া হবে জানিয়ে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের আহবায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেছেন,৭২ এর মুজিববাদী সংবিধানের কারণেই দেশে সেলিম ওসমান-শামীম ওসমানের মতো সন্ত্রাসীদের জন্ম হয়েছে। মঙ্গলবার ১৪ জানুয়ারী বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির উদ্যোগে জুলাই-আগস্ট বিপ্লবের ঘোষনাপত্র ১৫ জানুয়ারীর মধ্যে ঘোষণার দাবিতে কেন্দ্রীয় প্রচারণা কর্মসূচীর অংশ হিসেবে প্রচারণা ও লিফলেট বিতরণের সময় নারায়ণগঞ্জের চাষাঢ়া, সিদ্ধিরগঞ্জের চিটাগাং রোড এবং সোনারগাঁওয়ের কাঁচপুরে পথ সভায় তিনি এসব মন্তব্য করেন। 

হাসনাত বলেন, আওয়ামী লীগের ওয়ার্ড থেকে শুরু করে কেন্দ্র পর্যন্ত আওয়ামী লীগের প্রতিটি নেতাকর্মীকে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান। 

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের পূনর্বাসন হবে কি-না সেইটা ৫ আগস্টই হয়ে গেছে। এখন যারা ৭২’র সংবিধান রক্ষা করতে উঠে-পরে লেগেছে, এই সংবিধান ছুঁড়ে ফেলে দেওয়ার কথা বললে যাদের খারাপ লাগে তারাই এদেশে আবারো ফ্যাসিবাদ সৃষ্টি করতে চায়। আর যদি তাই হয়, তাহলে তাদেরকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্যদের রক্তের উপর পা দিয়ে যেতে হবে বলে জানান। 

হাসনাত আব্দুল্লাহ আরো বলেন, বর্তমান অন্তর্বতী সরকার ক্ষমতায় আসার পর যে সকল বিষয়ে সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছিল অজ্ঞাত কারণে তা থেকে সরে এসেছে বলে দাবি করেন হাসনাত। তিনি বলেন, এখানে যদি তরুণদের মাইনাস করার চিন্তা থাকে তাহলে আমরা বলতে চাই, এ আন্দোলন যত ক্রিয়াশীল ও ফ্যাসিবাদবিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো ছিল তারা সবাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বে এসে ফ্যাসিবাদের পতন ঘটিয়েছে। আমরা বারবার বলেছি, সবার আগে আওয়ামী লীগের বিচার করতে হবে। যেসব টকশোজীবি ও বুদ্ধিজীবিরা এখনো আওয়ামী লীগের মানবাধিকারের জন্য সরব হয়েছেন , আপনারাই এতোদিন ফ্যাসিবাদকে পৃষ্ঠপোষকতা করেছেন।

পথসভায় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখপাত্র সামান্থা শারমিন, যুগ্ম সদস্য সচিব আব্দুল্লাহ আল আমিন, যুগ্ম আহ্বায়ক আলী আহসান জোনায়েদ, সহ-মুখপাত্র আরেফিন মুহাম্মাদ হিজবুল্লাহ, কেন্দ্রীয় সদস্য শওকত আলীসহ কেন্দ্রীয় ও নারায়ণগঞ্জের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং নাগরিক কমিটির নেতারা।


 সোনারগাঁও দর্পণ :

নিখোঁজের তিন দিন পর বিলের মাঝে থাকা ঝোঁপ থেকে মনির হোসেন (৪৫) নামে এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করেছে সোনারগাঁও থানা পুলিশ। সোমবার (১৩ জানুয়ারী) নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলার সনমান্দি ইউনিয়নের ফতেহপুর গ্রামের বিল থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। নিহতম মনির সনমান্দি ইউনিয়নের ফতেহপুর গ্রামের মৃত সিরাজ মিয়ার ছেলে। 

স্থানীয়রা জানায়, সকালে কৃষকেরা বিলের জমিতে কাজ করার সময় বিলের পশ্চিম পাশে থাকা একটি ঝোঁপে মানুষের দেহ পরে থাকতে দেখে। সামনে গিয়ে মৃত মানুষের মরদেহ বুঝতে পেরে পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহটি উদ্ধার করে। 

স্থানীয় সূত্র আরও জানায়, মনিরের প্রথম স্ত্রী মারা যাওয়ার পরে বছর দেড় আগে নোয়াখালীর এক মেয়েকে বিয়ে করে। পরবর্তীতে দ্বিতীয় স্ত্রীকে নিয়ে কাঁচপুর এলাকায় ভাড়া থাকতেন। মনিরের আশিক নামের এক সন্তান প্রবাসে থাকে। সেখান থেকে বাবার জন্য প্রতিমাসে ৫ হাজার টাকা করে খরচ বাবদ পাঠাতো। এছাড়াও মনির বিভিন্ন সময় দিন মজুরের কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতেন। 

মরদেহ উদ্ধারের পর পুলিশ প্রাথমিকভাবে এটিকে হত্যা কাÐ বলেই মনে করছেন। তবে, ময়নাতদন্ত শেষে সঠিক ভাবে জেনে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানায়।


 


সোনারগাঁও দর্পণ :

আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতা ছাড়ার পর পরই সোনারগাঁও উপজেলা বিএনপি সভাপতি আজহারুল ইসলাম মান্নান যেন নিজেই ‘মুই কি হনুরে’ রূপ ধারণ করেছে। তিনি নিজেকে সর্বেসর্বা ভাবতে শুরু করেছেন। তোয়াক্কা করছেন না দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনাও। ফলে স্থানীয় বিএনপি সম্পর্কে ইতোমধ্যে সাধারণ মানুষের মনে নেতিবাচক প্রভাব পরতে শুরু করেছে। এরই মধ্যে গেল বছরের ৫ আগস্ট তার নেতৃত্বে শতাধিক সন্ত্রাসী নিয়ে স্থানীয় এক নারীর তিনটি টেন সেট ঘর এবং ১৪ ইউনিটের একটি ৪ তলা ভবন জোর পূর্বক দখল করে নেওয়ার অভিযোগ তুলে সাংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগী ওই নারী। 

রবিবার (৫ জানুয়ারী) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন ভুক্তভোগী নারী উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়নের মেঘনা নিউটাউন সংলগ্ন প্রতাপের চর এলাকার তমিজ উদ্দিনের স্ত্রী মমতাজ বেগম। 

উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়নের ৯ নাম্বার ওয়ার্ডের প্রতাপের চর গ্রামের ওই নারী সংবাদ সম্মেলনে তার লিখিত বক্তব্যে জানান, গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামীলীগ সরকারের পতনের পর উপজেলা বিএনপি নেতা আজহারুল ইসলাম মান্নানের নেতৃত্বে ঝাউচর গ্রামের সালাউদ্দিনের ছেলে জুয়েল, ইয়াসিনের ছেলে রিপন, হযরত বেপারীর ছেলে আলী নূর, প্রতাবের চর গ্রামের লাল মিয়া বেপারীর ছেলে খোরশেদ, আজমের ছেলে বাবুসহ অজ্ঞাতনামা আরো ১০০/১৫০ জন লোক ওই নারীর ভাড়া বাড়ীতে হামলা চালিয়ে ভাংচুর ও লুটপাট চালায়। 

পরের দিন ৬ আগস্ট তার ১৪ ইউনিট বিশিষ্ট বসবাসকৃত ৪ তলা ভবনের ১২ টি উইনিটে থাকা ভাড়াটিয়া ও ভুক্তভোগী নারীর পরিবারের সকলকে মারধর করে টেনে হিছড়ে ওই ভবন থেকে থেকে বের করে দেয় এবং ভাড়াটিয়াদের উচ্ছেদ করে বিল্ডিংটিতে ভাংচুর করে মালামাল লুটপাট করে নিয়ে যায়।

এমনকি স্থানীয় ক্ষমতার প্রভাবে পরবর্তীতে তার বাড়ির মেইন গেইটটি ইটের দেয়াল দিয়ে বন্ধ করে দেয় এবং বিল্ডিং এর ভিতরের কেচি গেটসহ সকল রুমে তালা দিয়ে দেয়। বাড়িতে থাকা আম, জাম, কাঁঠাল ও কাঁঠ গাছসহ প্রায় ৬০ থেকে ৭০ টির বেশে গাছ কেঁটে নিয়ে যায়। 

ওই নারী সংবাদ সম্মেলনে আরও জানান, ওই নারীর বাড়ির মেইন গেইট সংলগ্ন ভাড়া দেওয়া ৩টি দোকানেও ভাংচুর চালিয়ে দোকানগুলো বেআইনী ভাবে উচ্ছেদ করে ৭ থেকে ৮ ফুট উঁচু দেয়াল নির্মাণ করে রাখে।

এ সকল বিষয় তদন্তপূর্বক প্রতিকার চেয়ে গত ১১ আগস্ট ভুক্তভোগী মমতাজ বেগম সোনারগাঁও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, ১৮ আগস্ট সোনারগাঁও থানা এবং ২৩ আগস্ট নারায়ণগঞ্জ সেনাবাহিনীর ক্যাম্প বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন। কিন্তু এখনো কোন প্রতিকার না পাওয়ায় গণমাধ্যম কর্মীদের সরণাপন্ন হয়েছেন বলে উল্লেখ করেন। 

বর্তমানে ভুক্তভোগী মমতাজ বেগমের আর কোন বাড়ি না থাকায় পরিবার নিয়ে বাহিরে অবস্থান করতে হচ্ছে। তাই বিষয়টি যথাযথ কর্তৃপক্ষের পাশাপাশি বিএনপি’র কেন্দ্রীয় নেতাদের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত আজহারুল ইসলাম মান্নান বলেছেন, আমি কারো জমি দখল করিনি। বরং ২০০১ সালে আমার দখল হয়ে যাওয়া বাড়ি উদ্ধার করেছি।


 


সোনারগাঁও দর্পণ :

সোনারগাঁওয়ে জোরপূর্বক জমি দখলের অভিযোগ করেছেন শাহকামাল নামে এক ব্যক্তি। গত ১ জানুয়ারী সোনারগাঁও থানায় হানিফা নামে অপর একজনকে প্রধান অভিযুক্ত করে তিনি এ অভিযোগ দেন।

উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়নের মঙ্গলেরগাঁও গ্রামের মৃত আনোয়ার হেসেনের ছেলে শাহকামাল থানায় করা লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করেন, তার মালিকানাধীন মঙ্গলেরগাঁও মৌজার সিএস ও এসএ-১৩৮, আরএস-১৯২, ১৯৪, দাগে ৬৬ শতাংশ সম্পত্তি কৃষি জমি পৈত্রিক ওয়ারিস সূত্রে মালিক হয়ে ভোগ দখলরত থাকাবস্থায় একই এলাকার মৃত আক্কাস আলীর ছেলে মোঃ হানিফা, কামাল প্রধানের ছেলে মোঃ জাহাঙ্গীর প্রধান, পার্শবর্তী দুধঘাটা গ্রামের মৃত কুদ্দুস ভুইয়ার ছেলে মোঃ পিয়ার আলী, সিরাজ ভুইয়ার ছেলে মোঃ সবুজ ভুইয়াসহ অজ্ঞাত নামা আরও ৩/৪ জন সংঘবদ্ধ হয়ে পূর্ব শত্রæতার জের ধরে গত ১৮ জানুয়ারী সকাল আনুমানিক ১০টার দিকে তার সম্পত্তির সীমানার ভিতর জোরপূর্বক ভাবে মাটি কাটিয়া নিয়া যায় এবং সম্পত্তি দখল করার অপচেষ্টা করে। বাঁধা দিতে গেলে ভয়ভীতিসহ প্রাননাশের হুমকী দেয়। এ বিষয়ে সামজিকভাবে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়া সালিশ বৈঠকে মিমাংশার চেষ্টা করা হলেও অভিযুক্তরা উপস্থিত হয়না। এমনকি এ বিষয়ে থানা পুলিশের স্বরণাপন্ন হলেও কোন কর্নপাত না করে রাতের আঁধারে ওই জমি জোর পূর্বক অবৈধ দখলের অপচেষ্টা করে। এ নিয়ে ঝগড়াসহ যে কোন সময় খারাপ পরিস্থিতি হওয়ার আশঙ্কা করছেন শাহকামাল। 

 এ ব্যাপারে ঘটনার সত্যতার বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত  হানিফােএকটু দুরে আছেন জানিয়ে বিকালে এসে সরাসরি কথা বলবেন বলে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেন। পরে পূণরায় মোবাইলে যোগাযোগ করলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।


MKRdezign

Contact Form

Name

Email *

Message *

Powered by Blogger.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget