Halloween Costume ideas 2015
August 2021

সোনারগাঁও দর্পণ :

প্রকাশ্য দিবালোকে স্বপন মিয়া (৩৫) নামে এক যুবককে কুপিয়ে হত্যা করেছে তারই কথিত মামা আরিফ হোসেন। শুধু তাই নয়, হত্যা নিশ্চিত করে খুনি থানায় গিয়ে পুরিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেছে। মঙ্গলবার বিকালে মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার ভবেরচর ইউনিয়নের নয়াকান্দী গ্রামে নৃশংস ঘটনাটি ঘটে। পরে পুলিশ একই গ্রামের মৃত আবু মিয়ার ছেলে আরিফ হোসেন (৩০) কে আটক করেছে। 

স্থানীয়রা জানায়, উপজেলার টেঙ্গারচর ইউনিয়নের বিষদ্রোন ভাটেরচর গ্রামের মৃত হান্নান মিয়ার ছেলে স্বপন বিকাল আনুমানিক ৩টার দিকে ভবেরচর বাজার থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। এ সময় ভবেরচর ইউনিয়নের নয়াকান্দী গ্রাম সংলগ্ন ব্রিজের কাছে আসলে স্বপনের পেছন দিক থেকে ধারালো¿ চাপাতি দিয়ে স্বপনের মাথা ও শরীরের বিভিন্ন অংশে কোপাতে থাকে আরিফ। এক পর্যায় স্বপনের মৃত্যু নিশ্চিত করে ঘাতক আরিফ থানায় গিয়ে আত্মসমার্পন করে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে।

নিহতের ও অভিযুক্ত আরিফের পরিবারের সদস্যদের দাবি, আরিফ এবং ভাই স্বপন একসাথে চলাফেরা করতো। তাদের মধ্যে কোনদিন কোন বিষয় নিয়ে তারা কোন অভিযোগও শোনেনি। াথচ কেন সে এমন কাজ করল তা তাদের বোধগম্য নয়। তবে,  মেয়ে সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে তাদের মধ্যে কোন ভুল বুঝাবুঝি হয়ে থাকতে পারে বলে স্থানীয়দের মধ্যে চাউর হচ্ছিল। 

গজারিয়া থানার তদন্ত ওসি তানভীর হোসেন জানান, হত্যাকাণ্ডের কারণ এখনো স্পষ্ট নয়। তবে, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে তাকে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। পাশাপাশি প্রকৃত ঘটনা জানার চেষ্টা অব্যাহত আছে।


সোনারগাঁও দর্পণ :
পুলিশের ধাওয়া খেয়ে পুকুরে ঝাঁপ দেয়ার পর নিখোঁজ হওয়া যুবক শেখ পারভেজ মিয়া (২৫)’র লাশ একদিন পর আজ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (৩১ আগষ্ট) দুপুরে সোনারগাঁও উপজেলার হরিহরদী এলাকার ব্রহ্মপুত্র নদ থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। নিহত পারভেজ মুছারচর গ্রামের শেখ জসিম উদ্দিনের ছেলে।
নিহতের স্বজনরা জানান, সোমবার বিকেলে সাদা পোশাকে পুলিশ মুছারচর এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযানে যান এ এসআই আজাজুল হক ও কামরুল। এ সময় মাদক ব্যবসায়ীরা পুলিশ দেখে পার্শ্ববর্তী ব্রহ্মপুত্র নদে লাফিয়ে বাঁচার চেষ্টা চালায়। পারভেজও অন্যদের দেখে ভয়ে পানিতে ঝাঁপ দেয়। অন্যরা সাতরিয়ে পারে উঠলেও পারভেজ নিখোঁজ থাকে। মঙ্গলবার দুপুরে পানিত পারভেজের মরদেহ ভাসতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশকে খবরদেয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহটি উদ্ধার করে।
এদিকে সোনারগাঁও থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ হাফিজুর রহমান জানান, আসলে পুলিশের কোন মাদক বিরোধী অভিযানের কারণে নদীতে ঝাঁপ দেয়ার ঘটনা ঘটেনি। মুলত ড্রেজারে বালু ফেলার বিষয় নিয়ে দু’পক্ষের ঝগড়ার সময় পানিতে ঝাঁপ দেয়ার ঘটনাটি ঘটে। নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনাটি তদন্ত করে পরে জানানো হবে।



সোনারগাঁও দর্পণ

সোনারগাঁও পৌরসভার ইছাপাড়া এলাকায় অবৈবভাবে জমি দখল করতে গিয়ে কলেজ শিক্ষিকার স্বামীর ওপর সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে হত্যাচেষ্টার প্রতিবাদে ও আসামীদের গ্রেফতারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে বাহাউল হক পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট ও কলেজের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।

সোমবার বেলা ১১টার দিকে সোনারগাঁও পৌরসভার বাহাউল হক পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট ক্যাম্পাসের সামনে এ মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ হয়।

আহত মোহসিনের স্ত্রী বাহাউল হক পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট শিক্ষিকা শারমিন আক্তার জানান, তার স্বামী মোহসিন বর্তমানে  ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে  চিকিৎসাধীন। এর আগে,  ইছাপাড়া এলাকার মৃত চাঁন মিয়ার ছেলে বাচ্চু মিয়া ও তার স্ত্রী নাজমা বেগম তাদের সম্পত্তি দখলের জন্য লোকজন নিয়ে পরিকল্পিতভাবে তাদের জমি দখল করতে যায়। এতে তার স্বামী  বাধা দিলে তাকে রামদা দিয়ে কুপিয়ে রক্তাক্ত আহত করে  মৃত ভেবে পালিয়ে যায়।

বর্তমানে তার স্বামী ঢাকা মেডিকেলে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে। হামলার ঘটনার পর তিনি থানায় মামলা করলে  আসামীরা আরো বেপরোয়া হয়ে ওঠে। মামলার পাচ দিন অতিবাহিত হলেও পুলিশ আসামীদের ধরতে ব‍্যর্থ হয়েছে। এদিকে আসামীরা ধরা না পরায় মামলা উঠিয়ে নিতে বিভিন্নভাবে হুমকি দিচ্ছে। এমতাবস্থায় তিনি  তার ৭ মাস ও ৮ বছরের দুটি সন্তান নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।

বাহাউল হক একাডেমীর প্রধান শিক্ষিকা ফারজানা ইয়াছমিনও তার সহকর্মীর স্বামীর ওপর নির্মম ও বর্বরোচিত হামলার বিচার দাবি করেছেন। এ সময় তিনি হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানান।

মানববন্ধনে আরো উপস্থিত ছিলেন, আর্ন্তজাতিক মানবাধিকার কর্মী ও সংগঠক জাহাঙ্গীর আলম গোলক, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের সভাপতি সৈয়দা আইরিন সুলতানা, বাহাউল হক সোনারগাঁ ফাউন্ডেশনের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ লায়লা আফরোজ, বাহাউল হক পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটের সুপারিন্টেন্ট্যান্ট শাহজালাল সুমন, ভাইস প্রিন্সিপাল শাহীন মীর প্রমুখ।

অপরদিকে, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই রাকিবুল হাসান উজ্জ্বল জানান, এ ব্যাপারে ২ জনকে আসামি করে একটি মামলা  করা হয়েছে। আসামিদের ধরতে পুলিশ অভিযান অব‍্যাহত আছে।

সোনারগাঁও দর্পণ :

একটি মাছের ওজন ১১ মন। ভাবতে পারেন। মিথ্যা নয়, সত্যি। ঘটনাটি রাজবাড়ি জেলার গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া এলাকার ঘটনা। পদ্মা নদীতে জেলেদের জালে ধরা পড়েছে ১১ মণ ওজনের বিশাল আকারের শাপলা মাছ বা পান পাতা নামক মাছ। 

রোববার (২৯ আগস্ট) সকাল ৭টার দিকে দৌলতদিয়ার ৭নং ফেরিঘটের অদূরে গভীর পদ্মায় বাবু সরদার নামে এক জেলের জালে মাছটি ধরা পড়ে। সেটি বিক্রিও হয়েছে। প্রতি মণ ৮ হাজার টাকা দরে ৮৮ হাজার টাকায় মাছটি দৌলতদিয়ার আড়দদার রেজাউল ইসলামের কাছ থেকে আজ ১১টার দিকে কিনে নিয়েছেন রাজবাড়ী জেলার বড় বাজারের আড়তদার কুটি মন্ডল। মাছটিকে একনজর দেখতে শত শত উৎসুক জনতা ভিড় জমায়। 


সোনারগাঁও দর্পণ :

‘ডিগবার ফুলবল টুর্নামেন্ট - ২০২১’র আয়োজন করেছে সোনারগাঁওয়ের ঐতিহ্যবাহী ক্রিড়া সংগঠন দমদমা বয়েজ ক্লাব। সদ্য প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধা মোশারফ হোসেন চেয়ারম্যান এর স্মরণে ক্লাবটি এর আয়োজন করে। ইতোমধ্যে ২৬ আগস্ট থেকে রেজিষ্ট্রেশন কার্যক্রম শুরু হয়েছে। 

ক্লাব কর্তৃপক্ষ জানায়, আয়োজন কমিটির নিয়ম মেনে এ পর্যন্ত মোট ৬টি ক্লাব খেলায় অংশ নিতে নিবন্ধন করেছে। নিবন্ধনের সময় ১০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আছে। দেশের যে কোন স্থান থেকে মাত্র ১ হাজার টাকা এন্ট্রিফি ফি দিয়ে যে কোন টিম খেলায় অংশ নিতে পারবে।

ক্লাব থেকে জানায়, খেলাটি গ্রুপ পদ্ধতিতে পরিচালিত হবে। প্রতি টিমে মোট ৭ জন খেলোয়ার থাকবে, তবে খেলতে পারবে ৫ জন। বাকী দুই জন অতিরিক্ত হিসেবে আপদকালীণ থাকবে। প্রত্যেক দলের জার্সি এবং উঊঊজ বাধ্যতামুলক থাকতে হবে।

এক দলের খেলোয়াড় অন্য কোন দলে খেলতে পারবেনা। খেলায় কোন টিমের দ্বারা কোন ধরনের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হলে সে দলকে খেলা থেকে বহিষ্কার করা হবে।

খেলা শুরুর কমপক্ষে ২০ মিনিট আগে মাঠে অংশ উপস্থিত হয়ে যথাযথ কর্তৃপক্ষকে অবগত করতে হবে।

খেলায় কোন খেলোয়ার হলুদ কার্ড পেলে সে দলকে একশত টাকা এবং লাল কার্ড পেলে দুইশত টাকা জরিমানা দিতে হবে।

আগ্রহী টিম থেকে খেলায় অংশ নিতে ০১৮৭৫ - ৫৬ ৮৮ ৪৪/ ০১৮৯০ - ৯০ ৯০ ৭৭ এবং ০১৯৫৫ - ২৬ ২০ ২৮ নাম্বারে যোগাযোগের জন্য বলা হয়েছে।

বিজয়ী দলের জন্য ৪৩ ইঞ্চি এলইডি টিভি থাকবে আর খেলাটি অনুষ্ঠিত হবে সোনারগাঁও সরকারী কলেজ মাঠে।



সোনারগাঁও দর্পণ :

সোনারগাঁওয়ের বারদী ইউনিয়নর আলগীরচর গ্রামের শাহিদা বেগম (৪০) হত্যা মামলার প্রধান আসামি হাবিবুর রহমান হাবু (৪২)সহ দুইজনকে গ্রেফতার করেছে নারায়ণগঞ্জ পিবিআই সদস‍্যরা। গত ২৬ আগস্ট রাজধানীর দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার সাপেরচর এলাকা থেকে হাবুকে গ্রেফতার করে তারা। গ্রেফতার হওয়া হাবু সোনারগাঁওয়ের আলীরচর গ্রামের  মৃত নুর মোহাম্মদের ছেলে।

পিবিআই জানায়, হাবুকে গ্রেফতারের পর ২৭ আগস্ট সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদুল মহসিনের আদালতে হাজির করলে হত‍্যাকাণ্ডের ঘটনায় অন্যান্যদের সাথে সেও সরাসরি জড়িত ছিল বলে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছে। গ্রেফতারকৃত হাবুর দেয়া ১৬৪ দ্বারা জবানবন্দি মোতাবেক হামলার পরিকল্পনাকারী তারই বোন অপর আসামী শাহনাজ (৪৫), কে ডেমরা থানার শুকুরদি এলাকা হতে গ্রেফতার করা হয়।পরে আসামীদেরকে জেল হাজতে পাঠান আদালত। 

এরআগে, গত ৪ আগস্ট বিকালে সোনারগাঁওয়ের বারোদী এলাকায় জমি সংক্রান্ত বিষয়ে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে আসামিরা টেঁটা, চাকু, চাপাতিসহ দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র দিয়ে একই এলাকার সাদেকুর এবং তার পরিবারের লোকজনের উপর হামলা চালায় হাবু ও তার লোকজন। হামলায় আসামী হাবিবুর রহমান ওরফে হাবু সাদেকুরকে হত্যার উদ্দেশ্যে ছোঁড়া টেঁটা লক্ষভ্রষ্ট হয়ে শাহিদার বুকে বিদ্ধ হয়। পরে তার আত্নীয়স্বজনরা তাকে টেটাসহ ঢামেক হাসপাতালে নিলে দুই দিন পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় শাহিদার মৃত্যু হয়। 

সোনারগাঁও দর্পণ :

সদ্য বিয়ে হওয়া নাতিনের স্বামীর বাড়ি বেড়াতে এসে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন নব-বধূর দাদি ও নানী মেঘনা উপজেলার সোনাকান্দা এলাকার মৃত আব্দুল মান্নানের মেয়ে নুর জাহান (৬৫) ও একই এলাকার আমেলা খাতুন (৭০)। শনিবার (২৮ আগস্ট) সকাল ১০টার দিকে উপজেলার ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কের পিরোজপুর ইউনিয়ন পরিষদের সামনে রাস্তা পারাপারের স্থান দিয়ে যাওয়ার সময় অজ্ঞাত যাত্রীবাহী বাসের ধাক্কায় ঘটনাস্থলেই তাদের মৃত্যু হয়। 

স্থানীরা জানায়, গতকাল শুক্রবার (২৭ আগস্ট) পিরোজপুর এলাকার মৃত মোজাফফর হোসেনের ছেলে আল আমিনের সাথে মেঘনা উপজেলার সোনাকান্দা এলাকার আলী হোসেন ভুট্টুর মেয়ে সিনথিয়ার বিয়ে হয়। বিয়ের দিন নতুন বউয়ের সাথে কনের বাড়ি থেকে দাদি আমেলা খাতুন ও নানি নুর জাহান বেড়াতে আসে। 

অপরদিকে, বেড়াতে আসা নানি ও দাদি উপজেলার মোগরাপাড়া ইউনিয়নের সাদিপুর গ্রামে অফর এক স্বজনের বাড়ি ঘুরতে যায়। সেই স্বজনের বাড়ি থেকে রিক্সা থেকে নেমে নাতিন জামাইয়ের বাড়ি যেতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক পার হওয়ার সময় এ দুর্ঘটনা ঘটে। 

এদিকে, দুর্ঘটনার পর ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। ঘটনাস্থলে গিয়ে কাঁচপুর হাইওয়ে থানা পুলিশ জানায়, ঘাতক বাসটিকে আটকের জন্য তারা অভিযান অব্যাহত রেখেছেন। দুটি লাশই এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কাঁচপুর হাইওয়ে থানায় ছিল। 

 

সোনারগাঁও দর্পণ :

আপনারা কি মানুষকে জামায়াত শিবির বানানোর ইজাদারী নিয়েছেন। আপনারা আমাকে জামাত শিবির বলে আখ্যায়িত করেছেন ভাল কথা কিন্তু আমি যে জামায়াত-শিবির এটা প্রমাণ করতে না পারলে ভাল হবে না। এটা প্রমাণ করতে না পারলে, বাংলাদেশের প্রচলিত আইনে বিচারের কাঠগড়ায় দাড় করানো হবে বলে হুশিয়ারী দিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও স্বাচিপ এর কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আবু জাফর চৌধুরী বিরু। শুক্রবার উপজেলার সনমান্দী ইউনিয়নের চকবাজার এলাকায় জাতীয় শোক দিবস ও ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় নিহতের স্মরণে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এ হুশিয়ারী করেন তিনি। 

নারায়ণগঞ্জ - ৩ আসনের সাবেক সংসদ আব্দুল্লাহ আল কায়সারকে উদ্দেশ্যে করে বিরু আরও বলেন, আপনারা দলকে বার বার বিভক্ত করেছেন। ২০০৮ সাল থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত তৃণমূলের আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের যখন আপনারা পানিতে ফেলে রেখেছেন তখন দলে বিভক্তি হয়নি ? আজ যখন দলকে ঢেলে সাঁজানো ও শক্তিশালী করার জন্য কাজ করছি তখন আপনারা ঐক্যের ডাক দিয়েছেন। আপনি ২০০৮ সালে দলীয় প্রতীকে নির্বাচন করেছেন তখন আমরা আপনার পাশে ছিলাম। পরে ২০১৪ সালে আপনার তো কোনো প্রতিদ্বন্ধি ছিলনা তবে কেন আপনি দলীয় মনোনয়ন পাননি ? দলীয় ঐক্যে না থাকায় আপনি মনোনয়ন পাননি।

আলোচনা সভায় উপজেলা যুবলীগের সহ সভাপতি ও সনমান্দী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহীদ বাদল, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি হাসান রাশেদ, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মাহমুদুল হাসান, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নেকবর হোসেন নাহিদ, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মাসুদ রানা মানিক, উপজেলা শ্রমিক লীগের আহবায়ক মাহবুব আলম মিলন, সদস্য সচিব সৈয়দ মশিউর রহমান শামীম, বারদী ইউনিয়ন যুবলীগের সহ সভাপতি আসাদুজ্জামান আসাদ প্রমুখ।




সোনারগাঁও দর্পণ

“ফুল ঝরে গেলে রেখে যায় প্রীতি, মানুষ মরে চলে যায় রেখে যায় স্মৃতি” তেমনি সোনারগাঁওয়ে প্রয়াত সহকর্মীর স্মৃতিকে আকড়ে ধরে সোনারগাঁওয়ের প্রখ্যাত সাংবাদিক ও লেখক বাবুল মোশাররফ স্মরণে সভা করেছে অরাজনৈতিক সাহিত্য সংগঠন ‘সোনারগাঁও সাহিত্য নিকেতন’। শুধু তাই নয়, প্রয়াত লেখক ও সাংবাদিক বাবুল মোশারফের স্মরণে স্মারক গ্রন্থের মোড়কও উন্মোচিত হয়েছে। 

শুক্রবার বিকেলে সোনারগাঁও জি. আর ইনস্টিটিউশন মডেল স্কুল এন্ড কলেজের গঙ্গাবাসী অডিটরিয়ামে সোনারগাঁও সাহিত্য নিকেতন’র উদ্যোগে এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের চেয়ারম্যান লেখক অধ্যাপক আবু দায়েন। 

সোনারগাঁও সাহিত্য নিকেতনের সভাপতি কবি রহমান মুজিবের সভাপতিত্বে এবং অর্থ সম্পাদক সেলিম আহমেদ প্রধানের সঞ্চালনায় স্মরণসভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক রবিউল হুসাইন। 

অনুষ্ঠানে অতিথি বক্তারা বাবুল মোশাররফের স্মৃতিচারণের পাশাপাশি তার রূহের মাগফিরাত কামনা করেন।

বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বাসস) এর বার্তা সম্পাদক আইয়ুব ভূঁইয়া, সুবর্ণগ্রাাম ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান কবি শাহেদ কায়েস, সিসিমপুরের নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ শাহ আলম, বিটিভির নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি একেএম মাহফুজুর রহমান, সোনারগাঁও সাহিত্য নিকেতনের সহ-সভাপতি আসমা আখতারী, জ্যেষ্ঠ আইনজীবি জিয়া হায়দার ডিপটি, সোনালী ব্যাংক উদ্ববগঞ্জ শাখার ব্যবস্থাপক মতিউর রহমান, সোনারগাঁও প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আল আমিন তুষার, সাংবাদিক ফজলে রাব্বি সোহেল, মাহবুবুল আলম সুমনসহ অনেকে।


সোনারগাঁও দর্পণ :

২০০৪ সালের ২১ শে আগস্ট আওয়ামী লীগের প্রতিবাদ সভায় গ্রেনেড হামলার ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের এ বছরের মধ্যেই বিচার কাজ সম্পন্ন হবে বলে জানিয়েছেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। বৃহস্পতিবার নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশন এবং ঐতিহাসিক পানাম নগরীতে নির্মাণাধীন একাধিক কাজ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ইতিহাস ঐতিহ্যের নগরী পানাম নগরীকে আদিরূপে ফিরিয়ে আনতে সরকার কাজ করছে। ইতিমধ্যে পানাম নগরের একটি ভবনের সংস্কার কাজ চলছে। বর্তমানে একটি আধুনিক অডিটরিয়াম নির্মাণসহ বেশ কিছু কাজ চলছে। অনেকগুলো সংস্কার করা হচ্ছে। আশাকরি অল্প সময়ের মধ্যে কাজগুলো সম্পন্ন হবে।

সম্প্রতি বরিশালে পুলিশ ও সিভিল প্রশাসনের সাথে ঘটে যাওয়া ঘটনার বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, ঘটনাটি ভুল বুঝাবুঝির কারনে হয়েছে। এখন সমঝোতা হয়েছে।

পরিদর্শনের সময় তার সাথে ছিলেন, সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সচিব আবুল মনসুর, বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশনের পরিচালক আহমেদ উল্লাহসহ অনেকে। 


সোনারগাঁও দর্পণ : 

বড় ভাই বাচ্চু মিয়া ও তার স্ত্রী নাজমা বেগমের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে সহোদর ছোট ভাই মহাসিন রক্তাক্ত হয়ে হাসপাতলে চিকিৎসাধীন আছেন। এ ঘটনায় আহত মহাসিনের স্ত্রী শারমিন আক্তার বাদী হয়ে সোনারগাঁও থানায় অভিযোগ করেছে। বুধবার (২৫ আগস্ট) সকালে উপজেলার পৌরসভার ইছাপাড়া গ্রামের মৃত চাঁন মিয়ার বাড়িতে জমি সংক্রান্ত জের ধরে এ ঘটনা ঘটে। 

মামলার বাদী শারমিন আক্তার জানান, জমি সংক্রান্ত জের ধরে বুধবার সকাল আনুমানিক ৯টার দিকে তার ভাসুর বাচ্চু মিয়া ওরফে পাগলা বাচ্চু ও বাচ্চু’র স্ত্রী নাজমা তার (বাদী) স্বামী মহাসিনকে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে ধারালো রামদা, বটি, ও লাঠিসোটা নিয়ে এলোপাথারী হামলা করে। হামলায় তার স্বামীর হাত, পা,পিঠ ও মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে আহত হয়। তাদের হাতে থাকা ধারালো অস্ত্রের আঘাতে তার স্বামী’র শরীরের বিভিন্ন অংশ নীলাফোলা জখম ছাড়াও পায়ের গোড়ালি ও মাথা মারাত্মক রক্তাক্ত যখম হয়। বর্তমানে মহাসিন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। 

সোনারগাঁও থানার অফিসার ইনচার্জ হাফিজুর রহমান জানান, ঘটনাটির বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে। 


সোনারগাঁও দর্পণ :

আসন্ন সোনারগাঁও উপজেলা পরিষদ উপ-নির্বাচনে সোনারগাঁওয়ের ঐতিহ্যবাহী আওয়ামী পরিবার খ্যাত হাসনাত পরিবারের থেকে চেয়ারম্যান প্রার্থী হচ্ছেন প্রয়াত মোশারফ হোসেনের ভাই বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মনির হোসেন। গত বরিবার (২২ আগস্ট) কায়সার হাসনাতের উপস্থিতিতে তাদের পারিবারিক ঘরোয়া এক সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হাসনাত পরিবারের ঘনিষ্ট ও বিশ্বস্ত একটি সূত্র এ তথ্য ‘সোনারগাঁও দর্পণ’কে নিশ্চিত করেছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই সূত্রটি জানায়, সকল ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সোনারগাঁওয়ের সকল শ্রেণী পেশার মানুষের ভালবাসার মানুষ, সোনারগাঁওবাসী এবং সোনারাগাঁও আওয়ামী লীগের সাবেক অভিভাবক সদ্য প্রয়াত সোনারগাঁও উপজেলা চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেনের স্থলাভিসিক্ত অভিভাবক হিসেবে তারই ছোট ভাই বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও রাজনীতিক মনির হোসেনকে পারিবারিকভাবে আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার সম্মতি দিয়েছেন হাসনাত পরিবারের সদস্যরা। সূত্রটি জানায়, রোববার প্রয়াত মোশারফ হোসেনের বিচার কক্ষে (বাড়ির যে কক্ষে বসে মোশারফ হোসেন চেয়ারম্যান বিচার সালিশ করতেন) তাদের পরিবারের সকল সদস্যরা (চাচা, চাচাতো ভাই, ভাতিজা, ভাতিজী, ছেলেসহ সকলে) একত্রে বসে নারায়ণগঞ্জ - ৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল্লাহ আল কায়সার হাসনাতের উপস্থিতিতে খোলামেলা আলোচনার মাধ্যমে এ সিদ্ধান্ত নেন। 

মনির হোসেনের বিষয়ে কায়সার হাসনাতের বক্তব্য কি ছিল এমন প্রশ্নের জবাবে সূত্রটি জানান, পারিবারিকভাবে মনির হোসেনকে আসন্ন উপজেলা পরিষদ উপ-নির্বাচনে প্রার্থী হতে কায়সার হাসনাতও একমত হয়েছেন। তবে, সাংগঠনিকভাবে উপজেলা আওয়ামী লীগ মনির হোসেনকে দলীয় প্রার্থী হিসেবে সম্মতি দিবে কি-না তা উপজেলা আওয়ামী লীগের আহবায়ক কমিটির সিদ্ধান্তেই চ‚ড়ান্ত হবে বলে মত প্রকাশ করেন কায়সার হাসনাত।

এ সিদ্ধান্তের মধ্য দিয়ে প্রশ্নের অবসান হলো - কে হচ্ছেন ‘হাসনাত পরিবার’ থেকে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী।


সোনারগাঁও দর্পণ :

সোনারগাঁও উপজেলার সংবাদপত্র বিক্রেতা ও ঢাকা সংবাদপত্র হকার্স সমবায় সমিতির শেয়ার  হোল্ডার শাহজাহান ঢালী (৬৮) ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মঙ্গলবার বিকেল ৩ টার দিকে রাজধানীর বারডেম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। 

ডেমরা থানার স্টাফ কোয়াটার্র এলাকার বাসিন্দা মরহুম আলি আহম্মদ ঢালীর ছেলে শাহজাহার ঢালী প্রায় দুই যুগেরও বেশি সময় ধরে চিটাগাংরোড সেন্টার থেকে সোনারগাঁও বাসীন্দাদের ঘরে পত্রিকা পৌঁছে দিতেন। 

সন্ধ্যায় মরহুমের জানাজার নামাজ শেষে সারুলিয়ার সুকরশী কবরস্থানে লাশ দাফন করা হয়। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, ৫ মেয়ে ও ১ ছেলেসহ অনেক স্বজন, বন্ধ-বান্ধব ও  অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।

প্রবীন এই সংবাদপত্র বিক্রেতার মৃত্যুতে মুহ্যমান সোনারগাঁওয়ের সকল সাংবাদিক সংগঠন ও সাংবাদিক সমাজ। তার মৃত্যুতে সকলের মতো “সোনারগাঁও দর্পণ” পরিবারও গভীর শোকাহত। সোনারগাঁও দর্পণের পক্ষ থেকে মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি পাশাপাশি শোক সন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করছি। 


সোনারগাঁও দর্পণ :

বিদেশী মদ ও বিয়ারসহ ৪ মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে সোনারগাঁও থানা পুলিশ। সোমবার সকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পিরোজপুর ইউনিয়নের জৈনপুর গ্রামের মনির হোসেনের বাড়ি থেকে মাদক ব্যবসায়ীদের আটকের পাশাপাশি মাদকগুলো উদ্ধার করা হয়। 

সোনারগাঁও থানা পুলিশ জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সকালে সোনারগাঁও থানা পুলিশ পিরোজপুর ইউনিয়নের জৈনপুর গ্রামের মরিনর হোসেনের বাড়ি থেকে তার বাড়ির ভাড়াটিয়া সুনামগঞ্জ সদর থানার বালিয়াকান্দি গ্রামের ইমতিয়াজের ছেলে ইমন (২০) ও তার ভাই ইমরান (২১), সোনারগাঁও থানার রতনপুর গ্রামের কালামের ছেলে রিমন (২৪) এবং একই এলাকার রায়হানের ছেলে সাগরকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তাদের দেখানো ইমরানের ঘর থেকে ১০৯ পিচ বিয়ার ও ২ বোতল বিদেশী মদ উদ্ধার করা হয়। 

সোনারগাঁও থানার অফিসার ইনচার্জ মো. হাফিজুর রহমান জানান, আসামীরা নদী পথে মাদক এনে বিভিন্ন এলাকায় বিক্রি করতো। গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে আইননানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। 


সোনারগাঁও দর্পণ :

আমাদের সাথে আহবায়ক কমিটিতে না থাকতে চাইলে থাকবেন না। আপনি আপনার মতো করে চলতে চাইলে চলেন, কেউ বাঁধা দিবেনা। তবে, সংগঠনে থেকে সংগঠনের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে কাজ করবেন তা হতে দেয়া হবেনা। ভালো না নাগলে আহবায়ক কমিটি থেকে পদত্যাগ করুন কিন্তু ঐক্যবদ্ধ সোনারগাঁও আওয়ামী লীগকে বিতর্কিত করে দলের বদনাম করবেন না। বিকেলে চৌরাস্তায় উপজেলা আওয়ামীূ লীগের প্রধান কার্যালয়ে ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট দেশের বর্বোরচিত গ্রেনেড হামলায় নিহতদের স্বরণে উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সম্প্রতি ডা. বিরুর অসাংগঠনিক কর্মকাণ্ডের বিষয়ে এ আহবান করেন উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহবায়ক ও পিরোজপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান ইঞ্জি: মাসুদুর রহমান মাসুম।  

মাসুম তার সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে আরও বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট শেখ মুজিবুর রহমানকে স্বপরিবারে হত্যা করা হয়েছিল বাংলাদেশকে নিশ্চিহ্ন করার জন্য। আর ২০০৪ সালে আওয়ামী লীগের প্রতিবাদ জনসভায় বঙ্গবন্ধুর কন্যার ওপর হামলা করা হয়েছিল আওয়ামী লীগকে শেষ করে দেয়ার জন্য। 

মাসুম বলেন, ৮ আগস্ট উপজেলা আহবায়ক কমিটির সভা হয়েছিল ঐক্যবদ্ধভাবে ১৫ আগস্ট পালনের জন্য। নেত্রী (শেখ হাসিনা) আমাদেরকে আহবায়ক কমিটি দিয়েছেন একসাথে কাজ করার জন্য। আমার নেতা ও শ্রদ্ধেয় বড়ভাই একেএম শামীম ওসমানও বলেছিলেন জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের সাথে এ্যাড. সামসুল ইসলাম ভূঁইয়া আর কায়সার হাসনাতকে নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ কর। নেতার নির্দেশে কিন্তু আমরা একসাথে থেকে কাজ করে যাচ্ছি। 

এ সময় সম্প্রতি ডা. বিরুর ইচ্ছামতো কর্মকাণ্ডের বিষয়ে মাসুম বলেন, কিন্তু দলে সমস্যা করছে কারা। ৪ মাসও হয়নি এই পার্টি অফিসে হেফাজতের লোকজন হামলা করেছিল। এই কঠিন হামলার সময় তারা কোথায় ছিল। ৯০ সালে স্বৈরাচার আন্দোলনেতো দেখিনি। ২০০৪-৫ সালেতো দেখিনি। যখন ২০১৪-১৬ সালে সারা দেশব্যাপী বিএনপি-জামায়াতের অগ্নিসংযোগ করেছিল তখনতো তাদের টিকিটিও আমরা সোনারগাঁওয়ে দেখতে পাইনি।

আজকে যারা হাইব্রিট হয়ে এসেছেন তারা দলকে ভালবেসে আসেননি,দলকে শক্তিশালী করার জন্য আসেননি। আপনারা এসেছেন এমপি হওয়ার জন্য,এসেছেন উপজেলা চেয়ারম্যান হওয়ার জন্য। 

এ সময় উপস্থিত নেতাকর্মীদের উদ্যেশে মাসুম বলেন, সত্যি কথা বলতে গিয়ে যদি আমার পদ-পদবি যদি নাও থাকে তাতে আমার কোন সমস্যা নেই কিন্তু সাংগঠনিক কোন প্রক্রিয়ার বাইরে আমরা নেই। ঐক্যবদ্ধ আওয়ামী লীগ মানেই বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ শক্তিশালী হওয়া। ব্যক্তিগত যদি কোন দল করে থাকি সেটা আমার ব্যক্তিগত বিষয়। কিন্তু দল করলে দলের বাইরে গিয়ে, দলের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে যারা কাজ করবেন, দলের সদস্যরা কিন্তু এতো বোকা নয়। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রতিটি নেতাকর্মীর হাড়ির খবর কিন্তু নেত্রী জানেন। কারা ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করছে কারা ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করছেনা সব খবরই নেত্রীর কাছে আছে। 

এসময় মাসুম জেলা কমিটির কাছে অনুরোধ করে বলেন, আপনারা যে আহবায়ক কমিটি করে দিয়েছিলেন, আমরা সবাই এক প্ল্যাটফর্মে অবস্থান করছি। কিন্তু যারা আহবায়ক কমিটির বাইরে থেকেছেন তারা কি আওয়ামী লীগের আহবায়ক কমিটিতে থাকতে চাননা ? যদি আহবায়ক কমিটির সাথে এক হয়ে কাজ করতে না চান, তাহলে পদত্যাগ করা উচিৎ। আমি মনে করি স্বেচ্ছায়, স্বজ্ঞানে যদি আহবায়ক কমিটি ভালো না লাগে, তাহলে বলুন আপনাকে মানিনা, আপনার সাথে থাকতে চাইনা। কিন্তু কমিটিতে থাকবেন কিন্তু কমিটির সাথে মিলে কর্মসূচী করবেন না তাহলে এ দ্বৈতনীতি চলতে দেয়া যায়না। যদি এক সাথে থাকতে গিয়ে নিজের পদ-পদবি না থাকে তাতেও আপত্তি নেই। 

সবশেষে ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় নিহতদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং দোষিদের দ্রæত বিচারের আওতায় এনে বিচারের দাবি জানান তিনি।

এ সময় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাই, নারায়ণগঞ্জ - ৩ আসনের সাবেক সাংসদ আব্দুল্লাহ আল কায়সার, জেলা পরিষদের সদস্য ও উপজেলা আওয়ামী লীগের আহবায়ক কমিটির সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান মাসুম, মোগরাপাড়া ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের আহবায়ক কমিটির সদস্য আরিফ মাসুদ বাবু, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ও উপজেলা আওয়ামী লীগের আহবায়ক কমিটির সদস্য রফিকুল ইসলাম নান্নুসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।


সোনারগাঁও দর্পণ :

২০০৪ সালের ২১ আগস্ট ঘটে যাওয়া বর্বরোচিত গ্রেনেড হামলায় নিহতদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে সে হামলায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন সোনারগাঁওয়ের মুক্তিযোদ্ধারা। আজ শনিবার (২১ আগস্ট) সোনারগাঁও উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমপ্লেক্সের সভাকক্ষে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ আয়োজিত “২০০৪ সালের ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগের জনসভায় গ্রেনেড হামলায় নিহতদের আত্মার শান্তি কামনায় দোয়া, মিলাদ মাহফিল ও ন্যাক্কারজনক হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে আলোচনা সভা”য় এ দাবি জানানো হয়।  

উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার ওসমান গনি’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহবায়ক ও নারায়ণগঞ্জ - ৩ (সোনারগাঁও-সিদ্ধিরগঞ্জ) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আবদুল্লাহ আল কায়সার। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার  সোহেল রানা, জেলা পরিষদের সদস্য ও উপজেলা আওয়ামী লীগের আহবায়ক কমিটির সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান মাসুম, উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও উপজেলা যুবলীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম নান্নু, সোনারগাঁ উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মাহমুদা আক্তার ফেন্সি, আহবায়ক কমিটির সদস্য ও মহিলা আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক নাসরিন সুলতানা ঝরা, উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক কামাল হোসেন, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের সভাপতি বিল্লাল হোসেনসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।  


সোনারগাঁও দর্পণ : 

সোনারগাঁওয়ের মোগরাপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহ মো. সোহাগ রনি’র ডাকে সাড়া দিয়ে ২১আগস্ট গ্রেনেড হামলাকারীদের ফাঁসির দাবি করেছে হাজারো তরুণ। শনিবার (২১আগস্ট) বিকাল ৪টার দিকে উপজেলার ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে মানববন্ধনের মাধ্যমে বিচারের এ দাবি জানান প্রায় দুই হাজার যুবক। 

এরআগে, ইউনিয়নের মোগরাপাড়া বাজারে অবস্থিত মোগরাপাড়া ইউনিয়ন ভ‚মি অফিস মাঠে এক প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। মোগরাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী শাহ্ মো. সোহাগ রনি'র সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন   সোহাগ রনি’র বাবা সোনারগাঁও উপজেলা কৃষক লীগের সাবেক সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহ্ জামাল তোতা। বিশেষ অতিথি ছিলেন, সোহাগ রনি’র চাচা বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহ্ আলমসহ ইউনিয়নের বিভিন্ন ওয়ার্ডের নেতাকর্মীরা।


প্রতিবাদ সমাবেশে সোহগ রনি বলে, ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট ছিল দেশের ইতিহাসের আরও একটি কলঙ্কময় অধ্যায় রচনা করে তৎকালীণ বিএপি-জামায়াত জোট সরকার। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট স্বপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর স্বাধীনতা বিরোধীরা যেভাবে তৃপ্তির অট্টহাসি হেঁসেছিল ঠিক তেমনি ২০০৪ সালের ২১ আগস্টও আরও একটি ১৫ আগস্ট মিশন সফলের প্রায় দারপ্রান্তে ছিল বিএনপি-জামায়াত জোট। সে দিন বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের বর্বরতার বিরুদ্ধে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে আওয়ামী লীগের প্রধান কার্যালয়ের সামনে আওয়ামী লীগ আয়োজিত ‘সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও দুর্নীতিবিরোধী’ সমাবেশে তৎকালীণ সরকারের মদদে নারকীয় গ্রেনেড হামলায় ঘটনাস্থলে ১৬ জনসহ মোট ২৪ জনের প্রাণহানি হয়। যাদের মধ্যে সাবেক রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের সহধর্মীনি আইভি রহমানও ছিলেন।

সোহাগ রনি বলেন, ১৭ বছর আগে ঘটে যাওয়া সেই বিভীষিকাময় ঘটনার বিচার কাজ এখনো যেভাবে চলমান, ঠিক একইভাবে ষড়যন্ত্রকারীদের ষড়যন্ত্রও চলমান। তাই ষড়যন্ত্রকারীদের পথরোধ করতে অনতিবিলম্বে বিচার কাজ শেষ করে দোষিদের দৃষ্টান্তমূলখ শাস্তি দিলেই কেবল ষড়যন্ত্রকারী থামবে বলে জানান সোহাগ রনি। 


সোনারগাঁও দর্পণ :

নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং সোনারগাঁও উপজেলা আওয়ামী লীগের আহবায়ক কমিটির ১নং সদস্য অধ্যাপক ডাঃ আবু জাফর চৌধুরী বিরু ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অধ্যয়নরত অবস্থায় ছাত্র শিবিরের রাজনীতি করতেন। সোনারগাঁও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহবায়ক ও সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল্লাহ আল কায়সারের এমন মন্তব্যের পর (যদিও আরও ২/১ জন অভিযোগটি করে) বিষয়টি সামাজিক ও গণমাধ্যমে একপ্রকার ঝড় ওঠে। 

কায়সার হাসনাতের এমন মন্তব্যের পর এ বিষয়ে এক ইউনিয়ন যুবলীগ কর্মী’র সাথে আমেরিকায় অবস্থানরত উপজেলা আওয়ামী লীগের আহবায়ক এ্যাড.সামসুল ইসলাম ভুইয়ার কথিত (যেহেতু, সে ফোন আলাপ আদৌ সত্য কিনা, বা তিনি যে ফোনে কথা বলেছেন তার কোন প্রমাণও উপস্থাপন করেননি) ফোন আলাপ প্রকাশের পাশাপাশি একজন চিহ্নিত রাজাকার পরিবারের সদস্য ও ছাত্র শিবিরের সদস্য (অভিযোগ অনুযায়ী) কিভাবে ক্ষমতাশীন আওয়ামী লীগের জেলা ও উপজেলা পর্যায় পদ-পদবি পায় এমন প্রশ্নে ইতোমধ্যে নেতাকর্মীদের মধ্যে বিভ্রান্তি দেখা দিয়েছে। 

এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার রাতে ‘সোনারগাঁও দর্পণ’র কাছে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করেছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহবায়ক ও নাারয়ণগঞ্জ -৩ আসনের সাবেক সাংসদ আব্দুল্লাহ আল কায়সার। 

ফোনে কি বলেছেন সামসুল ইসলাম ভুইয়া ?

(ফোনে দাবি করা কথার শুধু মুল বক্তব্য তুলে ধরা হল)

উপজেলার বারদী ইউনিয়ন যুবলীগের সহ-সভাপতি আসাদুজ্জামান আসাদ নামে একজন ডাঃ বিরুর বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগ এডভোকেট শামসুল ইসলাম ভূঁইয়ার কাছে জানালে তিনি বলেছেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও বর্তমান আহবায়ক কিছুদিন আগে  সোনারগাঁও উপজেলা আওয়ামী লীগের আহবায়ক কমিটির যুগ্ম আহবায়ক সামসুল ইসলাম ভ‚ঁইয়া ইঞ্জিনিয়ার মাসুদুর রহমান মাসুমসহ অন্যান্য সদস্যদের নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করতে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের ঢাকা বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক, জামালপুর আসনের সাংসদ  এবং বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মির্জা আজমের অফিসে যান। তখন সেখানেও বিরুর বিষয়ে একই অভিযোগ উত্থাপিত হয়। তখন মির্জা আজম বর্তমানে ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ময়মনসিংহ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেনকে মোবাইল ফোনে কল দেন এবং সে কথা উপস্থিত সকলকে লাউড স্পীকার দিয়ে শোনান। যেখানে মোয়াজ্জেম হোসেন ডা. বিরুর বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগ অস্বিকার করে উল্টো বলেছেন, ডা. আবু জাফর চৌধুরী বিরু ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব সফলতার সাথে পালন করেন এবং মোয়াজ্জেম হোসেনের তত্বাবধানে ছাত্রলীগের কর্মকান্ড পরিচালনা করতেন বলে দাবি করেন। 

এছাড়াও ডাঃ আবু জাফর চৌধুরী বিরুর মরহুমা মা বেগম মনোয়ারা চৌধুরী সোনারগাঁও উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ছিলেন এবং তার মায়ের জানাযাতে তৎকালীণ সোনারগাঁও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আঃ হাই উপস্থিত ছিলেন বলেও দাবি করা হয়। 

সোনারগাঁও দর্পণ’কে কি বলেছেন কায়সার !

বৃহস্পতিবার (১৯ আগস্ট রাত ৯টার দিকে সোনারগাঁও দর্পণ’র এক প্রশ্নের জবাবে কায়সার হাসনাত বলেছেন, ১৫ আগস্টের অনুষ্ঠান প্রস্তুতির বিষয়ে ৮ আগস্ট সভা হবে এবং আহবায়ক কমিটির সকল সদস্যদের থাকতে বলা হয়েছে। সে ম্যাসেজ ডা. বিরুকে জানালেও তিনি থাকেননি। 

৮ আগস্ট আহবায়ক কমিটির মোট ২২ জন সদস্যের মধ্যে ১৮ জন উপস্থিত ছিলেন। বিরুসহ ৪জন ছিলেন না। ৪ জনের মধ্যে সামসুল ইসলাম ভুঁইয়া দেশের বাইরে অবস্থান করছেন। তিনি দেশের বাইরে অবস্থান করলেও সামসুল ইসলাম ভুঁইয়ার সাথে সার্বক্ষণিক মোবাইলে যোগাযোগ রাখছেন এবং তার (সামসুল ইসলাম ভূঁইয়া) সাথে সবসময় যোগাযোগ করে কথা বলে আমরা সকল কাজ করেছি।তার সাথে বৃহস্পতিবার রাতেও সোনারগাঁও দর্পণ’র সাথে কথা বলার কিছু আগে কথা হয়েছে বলে জানান কায়সার। তবে টেলিফোনে ডা. বিরুর বিষয়ে কোন কথা হয়ে বলে কিছুই বলেননি।

সাবেক এ সাংসদ জানান, ৮ আগস্টের সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে যে, ১৫ আগস্ট উপজেলা আওয়ামী লীগের ব্যানারে ঐক্যবদ্ধভাবে জাতীয় শোক দিবসের অনুষ্ঠান করা হবে। সেই ম্যাসেজও ডা. বিরুকে জানানো হয়েছে কিন্তু তাতেও তিনি কোন সাড়া দেননি।

তিনি কি করলেন, তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সিন্ধান্তের বাইরে গিয়ে নিজেই নিজের সিদ্ধান্ত নিয়ে সভার আয়োজন করলেন। 

কায়সার আরও বলেন, যে কোন ব্যক্তি বঙ্গবন্ধু’র শোক দিবসে ব্যক্তিগতভাবে করতেই পারেন তাতে দোষের কিছু নেই কিন্তু তিনি যখন কোন সংগঠনের সাথে যুক্ত থাকেন এবং সে সংগঠনের একটি ভাইটাল পদে থাকেন তাহলে তিনি অবশ্যই সে সংগঠনের সিদ্ধান্তকে আগে প্রাধান্য দিতে হবে। ব্যক্তিগতভাবে করলে সেটাও সংগঠনকে জানাতে হবে। নিজেই যদি নিজের সবকিছুর সিদ্ধান্ত নেন আর বাস্তবায়ন করেন তাহলে সংগঠনের কি প্রয়োজন বলে প্রশ্ন রাখেন কায়সার।

১৫ তারিখের আগের দিন পৌরসভায় তার প্যান্ডেল কে-বা কারা ভাঙচুর করেছে সে ব্যাপারে সাংগঠনিকভাবে উপজেলা আওয়ামী লীগকে তিনি আজও কিছুই জানাননি। উল্টো কোন এক ইউটিউবে বক্তব্য দিয়েছেন যে তার প্যান্ডেল ভাঙচুর হয়েছে। 

১৫ আগস্টের অনুষ্ঠানের পর এক জরুরী সিদ্ধান্তে ১৮ আগস্ট বর্ধিত সভা ডাকা হয়েছে। যে সভাতে বলা হয়েছে শুধুমাত্র আওয়ামী লীগের আহবায়ক কমিটির সদস্যরা থাকবে। অন্যকোন অঙ্গসংগঠনকে সে সভায় ডাকা হয়নি। আর সে সভার বিষয়ই ছিল “১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস কর্মসূচির পরবর্তী পর্যালোচনা ও মূল্যায়ন এবং ২০০৪ সালের  ২১শে আগস্ট গ্রেনেড হামলার প্রতিবাদ”। সে ম্যাসেজও তাকে জানানো হয়েছে কিন্তু তিনি আসেননি। 

কায়সার হাসনাত বলেন, ডা. বিরু সাহেব যদি নিজে নির্দোষ থাকতেন তাহলে তিনি অন্যকোন সভা না হোক অন্তত ১৮ তারিখের সভায় থেকে বিষয়টি জানাতে পারতেন বা নিজের কথা বলতে পারতেন।

আব্দুল্লাহ আল কায়সার বলেন, আর যিনি স্ট্যাটাসটি পোষ্ট করেছেন তিনি আওয়ামী লীগের আহবায়ক কমিটির কেউ কি-না আমি জানিনা। বা কে কি দিয়েছে তাও আমি দেখিনি বা শুনিনি। আপনি (সোনারগাঁও দর্পণ’র প্রতিবেদক) বলার পর আপনার কাছ থেকে শুনে আমি আমার কথাগুলো বলছি। 

আপনার কথা মতো আমি যদি তর্কের খাতিরে ধরেও নেই যে, কিছুদিন আগে আহবায়ক কমিটি মির্জা আজম সাহেবের কাছে গিয়েছেন সেটা কবে গিয়েছেন আমার জানা নাই। কিছুদিন আগে বলতে হয়তো ১৫ তারিখের কয়েকদিন আগে বা ১৫ আগস্টের পর আর ১৮ আগস্টের আগে। যা সম্ভব না। কারণ, আহবায়ক সাহেব দেশের বাইরে। আর আগের কমিটির বিষয় এক-দেড় বছর আগের ঘটনা। এ সময় কায়সার হাসনাত প্রশ্ন করেন, এক বছর আগেই তারা এ বিষয়টি মির্জা আজম সাহেবের কাছে উত্থাপন করেন। তারা জানেন কিভাবে যে, এতদিন পর এ বিষয়ে প্রশ্ন উঠবে ?

পরে তিনি বললেন, আওয়ামী লীগ একটি শক্তিশালী দল। কে কার ফেসবুকে কি স্ট্যাটাস দিয়ে আমাদের বিষয়ে বলবে আর আমরা সে কথায় কান দিব এমনটাতো না। যদি আওয়ামী লীগের কেউ কিছু সাংগনিকভাবে বলতে চায় তাহলে সংগঠনের নিয়ম অনুযায়ী লিখিতভাবে বলতে হবে। এমনতো হতে পারে বর্তমান পরিস্থিতিতে কেউ এমন স্ট্যাটাস দিয়ে আলোচনায় আসার জন্য মনগড়া একটা স্ট্যাটাস দিয়েছেন। আর সে কথার কোন প্রমাণও তিনি দেননি।



সোনারগাঁও দর্পণ

প্রায় পাঁচশত অসহায় ও দুস্থদের আপ্যায়ন করানো হয়েছে মায়াদ্বীপে। ২০ আগস্ট শুক্রবার দুপুরে বাংলাদেশ ইঞ্জিনিয়ার্স ক্লাব লিমিটেড এর পৃষ্টপোষকতায় ও সুবর্ণগ্রাম ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় সোনারগাঁওয়ের নদী বেষ্টিত ও সুবিধা বঞ্চিত  চরাঞ্চল নুনেরটেকের মায়াদ্বীপে  বাঙালি জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬তম মৃত্যুবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে এ আয়োজন করা হয়।

সুবর্ণগ্রাম ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান কবি শাহেদ কায়েস জানান, সুযোগ পেলেই মায়াদ্বীপের অসহায় মানুষদের জন্য ভালো কিছু করা আমার এক ধরনের  নেশা বলতে  পারেন। বাংলাদেশ ইঞ্জিনিয়ার্স ক্লাব লিমিটেড ১৫ আগস্ট উপলক্ষে  দুস্থদের এক বেলা পেট ভরে খাওয়াতে চায় এমন প্রস্তাব জানতে পেরে আমি মায়াদ্বীপের কথা বলি। বাংলাদেশ ইঞ্জিনিয়ার্স ক্লাব লিমিটেড তা সাদরে গ্রহণ করে এবং আয়োজন করে। এবারের আয়োজনে সুবর্ণগ্রাম জেলেশিশু পাঠশালার ১০০ শিক্ষার্থী, তাদের অভিভাবক ও স্থানীয় এলাকার লোকজন রয়েছে। এ আয়োজন করায় বাংলাদেশ ইঞ্জিনিয়ার্স ক্লাব লিমিটেডের কাছে সুবর্ণগ্রাম ফাউন্ডেশন কৃতজ্ঞ । অনুষ্ঠানে সুবর্ণগ্রাম ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ছাড়াও অন্যান্যদের মধ্যে সিসিমপুরের নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ শাহ আলম, বাসদ সোনারগাঁও শাখা সমন্নয়ক, উদিচী সোনারগাঁও শাখা সভাপতি বাবু শংকর প্রকাশ, জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক মোকাররম মামুন, সোনালী ব্যাংক সোনারগাঁও শাখার ব্যাবস্থাপক মতিউর রহমান,  বাংলাদেশ ইঞ্জিনিয়ার্স ক্লাব লিমিটেডের সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মাইনুল ইসলাম, ইঞ্জিনিয়ার ও কবি মনিরুজ্জামান মিন্টু এবং সুবর্ণগ্রাম টিচিং হোম এর শিক্ষক ও শিক্ষিকারা উপস্থিত ছিলেন।

সোনারগাঁও দর্পণ :

আমি পরিবারের আহবায়ক না, উপজেলা আওয়ামী লীগের আহবায়ক। উপজেলা পরিষদের উপনির্বাচনে প্রার্থী আমি দিবনা, প্রার্থী দিবে আওয়ামী লীগের সভানেত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। হয়তো কেন্দ্র থেকে স্থানীয়ভাবে তালিকা চাইলে আমরা আহবায়ক কমিটি সম্মিলিতভাবে বসে সম্ভাব্য প্রার্থীদের একটি তালিকা সেখানে পাঠাব। সেখান থেকে নেত্রী সকলের অবস্থান দেখে যাকে যোগ্য মনে করবেন তাকেই মনোনয়ন দিবেন। বৃহস্পতিবার (১৯ আগস্ট) রাতে রাজনৈতিক বিভিন্ন বিষয়ে টেলিফোনে কায়সার হাসনাতের সাথে ‘সোনারগাঁও দর্পণ’র একান্ত আলাপচারিতার একপর্যায় তিনি এসব কথা বলেন।

অপরএক প্রশ্নের জবাবে সোনারগাঁও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহবায়ক ও নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনের সাবেক এ সংসদ সদস্য বলেন, আমাকে অবশ্যই আমার পরিবার ও বংশের স্বজনদের নিয়ে থাকতে হবে। তার মানে এই না যে, আমার পরিবার থেকে কেউ প্রার্থী হলেই তার জন্য আমার কাজ করতে হবে। আর আমি বিশ্বাস করি আমার পরিবারের লোকজন আমার ওপর কিছু এককভাবে চাঁপিয়ে দিবেনা যাতে আমি বিভ্রান্ত হই। তবে, আমার পরিবার থেকে যদি কেউ উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে নিজেকে যোগ্য মনে করে, তাহলে প্রার্থী হওয়াটা তার গণতান্ত্রিক ও সাংবিধানিক অধিকার। আর সে যদি সত্যিই যোগ্য হয়, তাহলে আমি কেন তাঁকে সাপোর্ট করবনা। 

কায়সার বলেন-আমি দৃঢ়তার সাথে বলতে পারি, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শে বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিক-নির্দেশনায়, তার নির্দেশ মেনে আমি রাজনীতি করি। আমি কোন পরিবারের বা বংশের একক রাজনীতি করিনা। আমি সোনারগাঁওয়ের সকল শ্রেণী-পেশার মানুষের ভাগ্যোন্নয়নে রাজনীতি করি। এখানে আমার পরিবারের চেয়ে আমার সোনারগাঁওয়ের আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী তথা সোনারগাঁওয়ের আপামর জনতাই আমার রাজনৈতিক শক্তি। তারা যদি না চান আমি এতটুকুও মাঠে থাকতে পারবনা। আমি যা-ই করি তাদেরকে নিয়েই করব।

সোনারগাঁও দর্পণ :

২১ আগস্ট দুই হাজার নেতা-কর্মী নিয়ে মানববন্ধন করবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন নাারয়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ও মোগরাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহ মো. সোহাগ রনি। আজ বিকেলে মোগরাপাড়া বাজারে মোগরাপাড়া ইউনিয়ন ভ‚মি অফিস মাঠে অনুষ্ঠিত ‘২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় নিহত শহীদদের স্মরণে ২১ আগস্ট অনুষ্ঠানের প্রস্তুতিমূলক সভায় এ ঘোষণা দেন। 

এ সময় মোগরাপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রার্থী সোহাগ রনি বলেন, ২০০৪ সালে তৎকালীণ বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের দ্বারা দেশব্যাপী আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা ও মিথ্যা মামলাসহ অত্যাচার-নিপীড়নের প্রতিবাদে আওয়ামী লীগ আয়োজিত প্রতিবাদ সভায় বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনসভায় জামায়াত-বিএনপি সরকারের বর্বোরচিত ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় নিহত সকল শহিদদের স্মরণে ও হামলা কারিদের ফাঁসির দাবিতে বিকাল তিনটায় মানববন্ধন কর্মসূচি পালনের জন্য দুই হাজার নেতাকর্মী নিয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে অবস্থান করবো।

প্রস্তুতিমূলক সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শাহ মো. সোহাগ রনির চাচা বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহ্ আলম। এছাড়া, বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈকত হোসেন মোল্লাসহ জেলা ও উপজেলা ছাত্রলীগ ও যুবলীগের কর্মীসহ স্থানীয়রাও উপস্থিত ছিলেন। 


সোনারগাঁও দর্পণ :

(দ্বিতীয় পর্ব প্রকাশের পর) সোনারগাঁও উপজেলা পরিষদের উপ-নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহবায়ক ও পিরোজপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মাসুদুর রহমান মাসুমকে দেখছেন কিছুটা ভিন্নভাবে। 

মোশারফ হোসেনের মৃত্যু ও উপ নির্বাচন ভাবনা নিয়ে নেতাদের যোগ্যতা মূল্যায়নের সময় তারা বলেন, পিরোজপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাসুম ইতোমধ্যে বিভিন্নভাবে নানা স্থানে তার যোগ্যতা দেখিয়েছেন। রাজনৈতিক, সামাজিক, ধর্মীয় কর্মকাণ্ড ছাড়াও তাকে অনেকেই দেখেছেন একজন প্রকৃত সংগঠক হিসেবে। যা সমাজ বিনির্মাণে অত্যন্ত প্রয়োজন বলে মনে করেন। তারা বলেন, মাসুম রাজনীতির বাইরেও একজন সফল ক্রিড়া সংগঠক। সে একজন ভাল ক্রিড়া সংগঠক বলেই শুধু তার পিরোজপুর ইউনিয়নের নেতাকর্মীদের নয়, তিনি যখন উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন তখনও তিনি নিজের সাংগঠনিক যোগ্যতার স্বাক্ষর রেখেছেন। অদ্যবদি তার সে পথ থেকে এতটুকুও বিচ্যুত হননি। 

নেতা-কর্মীরা জানান, মাসুম অল্প সময়ের মধ্যে শুধু সোনারগাঁও নয়, জেলা এবং কেন্দ্রীয়ভাবেও লবিংয়ের মাধ্যমে কেন্দ্রীয় নেতাদের দৃষ্টি কেড়েছেন। যার উদাহরণ হিসেবে বর্তমান আহবায়ক কমিটির আগে উপজেলা আহবায়ক কমিটির যে অনুমোদন হয়েছিল সে অনুমোদনের কথা সামনে তুলে ধরেন। স্থানীয়ভাবে আওয়ামী লীগ যদি মাসুম চেয়ারম্যানকে সমর্থন দেয় এবং কেন্দ্র তাতে অনুমতি দেয় তাহলে সে তার যোগ্যতার প্রমাণ রাখতে পারবেন বলে অনেকে বিশ্বাস করেন।

অপরদিকে, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ)’র সাংগঠনিক সম্পাদক ও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহবায়ক অধ্যাপক ডা. আবুজাফর চৌধুরী বিরু’র রাজনৈতিক দুরদর্শীতার অভাব রয়েছে উল্লেখ করে তার পরিবারের বিরুদ্ধে স্বাধীনতা বিরোধী কর্মকাণ্ডের অভিযোগের কথা জানান তারা। তাদের মতে আবু জাফর চৌধুরী বিরু’র রাজনীতি একটি এলাকা ভিত্তিক। এছাড়া, তার পরিবারের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উত্থাপিত হয়েছে তা দীর্ঘ দিনের। সে বিষয়ে তিনি এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু বলেননি। তারপরও তাকে উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহবায়ক করা হয়েছে কেন? এমন প্রশ্নের জবাবে এক নেতা বলেন, এটা যারা তার নাম যুগ্ম আহবায়ক হিসেবে দিয়েছিলেন তারা আর কেন্দ্রীয় নেতারাই বলতে পারবেন।

এদিকে বিএনপি দলীয় নেতাকর্মীরা তাদের কেন্দ্রীয় নেতাদের কর্মকাণ্ডে অনেকটাই হতাশ। তাদের দাবি, দলের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত। কেন্দ্র নির্বাচন নিয়ে কি সিদ্ধান্ত নেয় তা তাদের বিষয়। তবে, এখন পর্যন্ত কেন্দ্রীয় বিএনপি’র নির্বাহী কমিটির সদস্য ও উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আজহারুল ইসলাম মান্নান যেভাবে দুর্দিনে হামলা, মামলার শিকার হয়ে মাঠে নেতাকর্মীদের পাশে থেকেছেন, তাদের আগলে রেখেছেন, তাতে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন কেন, সোনারগাঁও থেকে বিএনপি’র সংসদ সদস্যের টিকিটও মান্নান ছাড়া কারও চাওয়া ঠিক হবেনা বলে বিএনপি পন্থি ও অন্যান্য দলের নেতাকর্মীদেরও দাবি।

সর্বোপরি নেতাকর্মীদের মতে, চেয়ারে কেউ বসলে যেকোন অযোগ্য ব্যক্তিও যোগ্য হয়ে ওঠে। তাছাড়া, আগামী নির্বাচন বিগত কয়েক বছরের নির্বাচনের মতো হবেনা। এখানে সকল দলই নির্বাচনে অংশ নিবে। প্রতিটি দল থেকে প্রার্থী ছাড়াও থাকতে পারে সতন্ত্র প্রার্থীও। তাই আগামী উপজেলা এবং সংসদ নির্বাচনে শুধু দলীয় প্রতীক পেলেই হবে না। মাঠে যার গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে তাকেই সাধারণ ভোটাররা বেঁছে নিবেন বলে মন্তব্য করেন নেতাকর্মীরা।



সোনারগাঁও দর্পণ :

ডা. আবু জাফর চৌধুরী বিরু নিজেই তার সমর্থকদের দিয়ে প্যান্ডেল ভাঙচুর করে আওয়ামী লীগকে হেয় করার চেষ্টা করেছেন বলে মন্তব্য করেছেন নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহবায়ক আব্দুল্লাহ আল কায়সার। আজ (১৮ আগস্ট) সন্ধ্যায় মোগরাপাড়া চৌরাস্তায় উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রধান কার্যালয়ে ১৫ ই আগস্ট জাতীয় শোক দিবস কর্মসূচির পরবর্তী পর্যালোচনা ও মূল্যায়ন এবং ২০০৪ সালের  ২১শে আগস্ট গ্রেনেড হামলার প্রতিবাদে এক সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

কায়সার হাসনাত বলেন, যে নাকি দলের সিদ্ধান্তকে অবমূল্যায়ন করে, দলের সিদ্ধান্তকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে হঠাৎ করে ইউটিউব বা স্যোসাল মিডিয়ায় একটি বক্তব্য দিয়ে দিল। এতে আমি মনে করি সোনারগাঁওয়ের সকল আওয়ামী লীগের সদস্যকে তিনি আঘাত দিয়েছেন। তিনি ১৫ আগস্টকে ঘিরে একটি ঘটনা ঘটিয়ে প্রমাণ করতে চান সোনারগাঁও আওয়ামী লীগ বিভক্ত। আমি স্পষ্টভাবে বলতে চাই সোনারগাঁও আওয়ামী লীগে কোন কোন্দল নেই। আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ। 

এ সময় আমেরিকা থেকে সোনারগাঁও উপজেলা আওয়ামী লীগের আহবায়ক এ্যাড. সামসুল ইসলাম ভুইয়া অনলাইনে যে বক্তব্য দিয়েছেন তাতে আমাদের ঐক্যবন্ধতার কথাই বলা হয়েছে। পাশাপাশি ভবিষ্যতে যেন আওয়ামী লীগের মধ্যে ইচ্ছা করলেই কেউ দলের ঐক্যবদ্ধতা ভাঙতে না পারে, বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে না পারে সেজন্য চেইন অব কমান্ড অনুযায়ী আমরা একটি রেজ্যুলেশন করে জেলায় পাঠাব। সেখান থেকে কেন্দ্রে পাঠাব এবং সে (ডা.বিরু) যে দলের সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে তার বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে আমরা অনুরোধ করব।

এ সময় জেলা পরিষদের সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান মাসুম, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মাহমুদা আক্তার ফেন্সি, উপজেলা আওয়ামী লীগের আহবায়ক কমিটির যুগ্ম আহবায়ক ও পিরোজপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমান মাসুম, উপজেলা আওয়ামী লীগের আহবায়ক কমিটির সদস্য ও মোগরাপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আরিফ মাসুদ বাবু, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম নান্নু, উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি গাজী মুজিবর রহমানসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।


সোনারগাঁও দর্পণ :

করোনা ভাইরাসে সোনারগাঁওয়ে নতুন করে ৪ জন মারা গেছেন। মৃত্যুবরণকারীরা ৪ জনই নারী। এ নিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা দাড়ালো ৬৫ জনে। নতুন আক্রান্ত হয়েছে ৩০ জন। সোনারগাঁও স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. পলাশ কুমার সাহা এ তথ্য জানান। 

তিনি আরও জানান, মোট ৯২ জন ব্যক্তির করোনা রয়েছে কি-না পরীক্ষার জন্য পাঠালে তাদের মধ্য থেকে ৩০ জনের দেহে করোনা ভাইরাসের অস্তিত্ব পাওয়া যায়। এ নিয়ে সোনারগাঁওয়ে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাড়িয়েছে ২ হাজার ৩৮৪ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ্য হয়েছেন ১ হাজার ৯৯৭ জন। 

অপরদিকে, গত ৪ আগস্ট বৈদ্যের বাজার ইউনিয়নের হামসাদী এলাকার ৫৬ বছরের এক নারী করোনা পরীক্ষা করালে তার করোনা পজেটিভ আসে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি ৬ আগস্ট রাজধানীর মগবাজারের কাছে রাশমনো স্পেশালাইজড হাসপাতালের আই.সি.ইউ.-তে মারা যান। 

এছাড়া, ৪ আগস্ট শম্ভুপুরা ইউনিয়নের চর কিশোরগঞ্জের ৪৫ বছর বয়সী ১ নারীর এবং উদ্ধবগঞ্জ এলাকার ৪৫ বছরের অফর এক নারীর করোনা পরীক্ষায় ভাইরাস শনাক্ত হয়। ১৬ আগস্ট প্রথম জন নিজ বাড়ীতে হোম আইসোলেশনে থাকা অবস্থায় মারা যান। অপরজন নারায়ণগঞ্জ ৩০০ শয্যা হাসপাতালের আইসিইউতে মারা যান। শম্ভুপুরা ইউনিয়নের কাজীরগাঁও গ্রামের ৫০ বছরের এক নারী ৪ আগস্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নমুনা দিলে ৬ আগস্ট করোনা শনাক্ত হয়। পরে ১৪ আগস্ট ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। 




সোনারগাঁও দর্পণ : 

(প্রথম পর্ব প্রকাশের পর) মাহফুজুর রহমান কেন অনেকের কাছে উপজেলা নির্বাচনে প্রথম এমন প্রশ্নের উত্তরে তারা বলেছেন, মাহফুজুর রহমানের রাজনৈতিক জীবন বার্ণাঢ্য। তিনি ছাত্রজীবন থেকে অনেক হামলা, মামলা, জেল, জুলুম সহ্য করে চড়াই-উতরাই পার করে এ পর্যন্ত এসেছেন। বিএনপি-জামায়াতের শাসনামলে তার দুরদর্শীতায় আওয়ামী লীগ ও এর বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে প্রয়াত আবুল হাসনাতের সাথে মাহফুজুর কালামই রাজপথে থেকেছেন। মাহফুজুর রহমান কালামের শুধু সোনারগাঁও নয়, জেলা ব্যাপী তার একটি পরিচিতি রয়েছে সকল দলের নেতাকর্মীদের কাছে। এছাড়া, এরআগেও মাহফুজুর রহমান কালাম উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হয়ে মাঠে ছিলেন এবং তার ব্যক্তিগত অবস্থান কি সেটা জানান দিয়েছেন। যদিও সোনারগাঁও আওয়ামী লীগের বিভক্তির পেছনে মাহফুজুর রহমান কালামকেই আবার দায়ি করেছেন কেউ কেউ। তারপরও যোগ্যতার বিচারে মাহফুজুর রহমান কালামকেই যোগ্য মনে করেন তারা।

হাসনাত পরিবার থেকে উপজেলা নির্বাচনে কাউকে যোগ্য মনে করছেন কি-না এমন প্রশ্নের জবাবে পাওয়া যায় বিভিন্ন মত। কারো কারো মতে, রাজনীতি কোন আবেগের বিষয় নয়। আবেগ দিয়ে রাজনীতি হয়না। তাদের মতে, এ পরিবার থেকে প্রয়াত মোশারফ হোসেনের ভাই বিশিষ্ট শিল্পপতি মনির হোসেন ও মোশারফ হোসেনের ছেলে তান্না হোসেনের রাজনৈতিকভাবে এখনও আত্মপ্রকাশ ঘটেনি। যদিও মোশারফ হোসেন থাকতেও মনির হোসেনকে দুই একটি রাজনৈতিক অনুষ্ঠানে মোশারফ হোসেন ও কায়সার হাসনাতের সাথে দেখা গেছে। এছাড়া, মনির হোসেন ব্যক্তি হিসেবে নরম মনের ভাল মানুষ হিসেবেইে স্থানীয়ভাবে পরিচিত মুখ। তাদের মতে, ক্ষমতা অনেক সময় অনেককে যোগ্য করে তোলে। কেউ কিছু শিখে পৃথিবীতে আসেনা। দায়িত্ব পেলে অনেকেই দায়িত্ববান হয়ে ওঠে। সে ক্ষেত্রে তারা শেখ মুজিবুর রহমানের মৃত্যুর দীর্ঘ দিন পর শেখ হাসিনাকে আওয়ামী লীগে ক্ষমতায়ন এবং অদ্যবদী তার দায়িত্ব আর দুরদর্শীতার দৃষ্টান্তও উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরেন।

তবে যেহেতু, সাবেক সংসদ সদস্য প্রয়াত মোবারক হোসেনের ছেলে এরফান হোসেন দীপ বেশ কিছুদিন ধরে পুরো উপজেলায় সামাজিক ও মানবিক কর্মকাণ্ড করছেন। তাকে এ পরিবারের সদস্য এবং তার বাবা’র দুরদর্শীতার কিছু কিছু দিকও দীপের আছে বলে মত প্রকাশ করেন কেউ কেউ। এছাড়া, মোগরাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আরিফ মাসুদ বাবু একাধিকবার নির্বাচিত ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি আওয়ামী লীগের আহবায়ক কমিটির সদস্যও। শুধু মোগরাপাড়া ইউনিয়নই নয়, উপজেলা জুড়ে আরিফ মাসুদ বাবু’র রয়েছে বেশ সুনাম এবং প্রশাসনিক, দাপ্তরিক কর্মকাণ্ড করারও অভিজ্ঞতা। তবে মতামত দেয়া সকলেই একটি বিষয়ে একমত। তা হলো, ১৯৭০ সালের নির্বাচন থেকে শুরু করে অদ্যবদি এ পরিবারটি উপজেলা আওয়ামী লীগের সুখে-দুঃখে সাধারণ মানুষের পাশে ছিলেন। রাজনৈতিক ও সামাজিক যে কোন সমস্যায় রেখেছেন তাদের যোগ্যতার প্রমাণ। এছাড়া, হাসনাত পরিবার হিসেবে খ্যাত এ পরিবারটি পারিবারিকভাবে কাউকে উপজেলা উপ নির্বাচনে নির্বাচন করতে একমত হয়েছেন কি-না, পরিবার থেকে নির্বাচন করবেন কি-না, করলে কাকে নির্বাচন করবেন সেটিও একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক। আর কেন্দ্র অবশ্যই তাদের পরিবারকে অবমূল্যায়ন করবেনা বলেও মত দেন তারা। 

অপরদিকে, উপজেলা আওয়ামী লীগের পরীক্ষিত নেতা এ্যাড. সামসুল ইসলাম ভুইয়া দীর্ঘ দিন উপজেলা আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। তিনিও অনেক ত্যাগ স্বীকার করেছেন দলটির জন্য। তিনি ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসেবেও ছিলেন। বর্তমানে সামসুল ইসলাম ভ‚ইয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের আহবায়ক। তার যোগ্যতার বিষয়েও একই কথা প্রকাশ হয় বেশি। ক্ষমতা বা চেয়ার পেলে অনেকেই যোগ্য হয়ে ওঠে। সাংগঠনিকভাবে সামসুল ইসলাম ভুইয়া তার যোগ্যতার প্রমাণ রাখলেও জনপ্রিয়তা একটি বিষয়, যা নির্বাচনে প্রভাব ফেলে। সেটি রাজনৈতিক সংগঠনের পাশাপাশি পারিবারিক প্রভাব, ব্যক্তিগত গ্রহণযোগ্যতাসহ অনেক কিছুই নির্ভর করে বলে মত তাদের।

(প্রিয় পাঠক, মোশারফ হোসেনের মৃত্যু ও উপ নির্বাচন ভাবনা নিয়ে প্রতিবেদনটির ৩য় পর্ব আগামীকাল প্রকাশ করা হবে।) 


সোনারগাঁও দর্পণ :

দলমত নির্বিশেষে সোনারগাঁওয়ের এক সময়ের জনপ্রিয় নেতা, ন্যায় বিচারক ও সোনারগাঁও উপজেলা পরিষদের সদ্য প্রয়াত চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন গত হয়েছেন গত ২২ জুলাই। হিসেব কষলে একমাসও হয়নি। সম্প্রতি উপজেলা জুড়ে শুরু হয়েছে কে হবেন মোশারফ হোসেনের স্থলাভিষিক্ত। যদিও মোশারফ হোসেনের মৃত্যুর ঠিক পরের দিন থেকেই অতি উৎসাহি গোটা কয়েক তেলবাঁজ তাদের পছন্দের ব্যক্তিকে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে দেখতে চান বলে নিজের অবস্থান জানান দেন। অথচ শুধু সাধারণ মানুষই নয়, খোঁদ যাদেরকে মোশারফ হোসেন চেয়ারম্যানের জায়গায় দেখতে চেয়েছেন তারাও বোধ করি সে সমস্ত তেলবাঁজিতে বিব্রত হয়েছেন।

যাই হোক, গত ৫ আগস্ট স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে মোশারফ হোসেনের মৃত্যুতে শোক জানানোর পাশাপাশি ভাইস চেয়ারম্যান বাবু ওমরকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের আর্থিক দায়িত্ব পালন এবং উপ নির্বাচন করতে সকল প্রস্তুতি গ্রহণে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশের পর থেকে মুলত উপ নির্বাচনে প্রার্থিতা নিয়ে আলোচনা শুরু হয় কিছুটা জোড়ে সোড়ে।

প্রশ্ন উঠেছে কে হচ্ছেন সোনারগাঁও উপজেলা পরিষদের পরবর্তী চেয়ারম্যান ? এ পর্যন্ত কোন নেতা বা ব্যক্তি নিজেকে সোনারগাঁও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হিসেবে প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা বা অভিব্যক্তি প্রকাশ না করলেও অনেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন নেতাকর্মীদের নাম প্রকাশ করেছেন। যাদের নাম এ পর্যন্ত এসেছে তাদের মধ্যে প্রয়াত মোশারফ হোসেনের ভাই বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মনির হোসেন, দেশের প্রথম সর্বকনিষ্ঠ সাবেক সংসদ সদস্য মোবারক হোসেনের ছেলে এরফান হোসেন দীপ, মোশারফ হোসেন চেয়ারম্যানের ছেলে তান্না হোসেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান কালাম, উপজেলা আওয়ামী লীগের আহবায়ক এ্যাড. সামসুল ইসলাম ভূইয়া, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহবায়ক ও পিরোজপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মাসুদুর রহমান মাসুম, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক (স্বাচিপ) ও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ন আহবায়ক অধ্যাপক ডা. আবু জাফর চৌধুরী বিরু, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের উপ কমিটির সদস্য ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর আলম, মোগরাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আরিফ মাসুদ বাবু, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম নান্নু, সাধারণ সম্পাদক আলী হায়দার, উপজেলা যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান শাহ আলম রূপনসহ অনেকের নাম।

উপজেলা ইউনিয়ন পরিষদের উপ নির্বাচন নিয়ে থানা ও ইউনিয়ন পর্যায় আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টির বেশ কয়েকজন নেতার সাথে আলাপ হয়েছে সোনারগাঁও দর্পণের। প্রশ্ন ছিল উপ নির্বাচন নিয়ে তাদের ভাবনা এবং সামাজিক মাধ্যমে নানাজনকে প্রার্থী করে তোলা প্রসঙ্গে অভিমত কি? প্রায় সকলেই তাদের নাম প্রকাশ না করার জোর অনুরোধ করেন। কারণ হিসেবে তারা তুলেও ধরেন সে ব্যাখ্যা।

বিএনপি’র দুই একজন (প্রতিবেদক যাদের সাথে কথা বলেছেন) ছাড়া সকলের প্রায় একই কথা। মোশারফ চেয়ারম্যানের তুলনা মোশারফ চেয়ারম্যানই। এটা ঠিক যে কেউ না কেউ তার আসনে বসবেন। পরিষদও চালাবেন নিজ যোগ্যতায়। কিন্তু মোশারফ হোসেন চেয়ারম্যান যেভাবে উপজেলার গণমানুষের নেতা হয়ে উঠেছিলেন, ন্যায় বিচারক হিসেবে মানুষের মনে জায়গা করে নিয়েছিলেন, সেভাবে গণমানুষের নেতা হওয়ার মতো কেউ আছে বলে মনে করেন না তারা। 

অনেকের মতে, এখন পর্যন্ত যে ক’জনের নাম প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে প্রকাশ পেয়েছে তাদের মধ্যে মোশারফ হোসেনের পর যোগ্যতার দিক দিয়ে প্রথমেই আসে মাহফুজুর রহমান কালামের নাম। কিন্তু, এখন পর্যন্ত আওয়ামী লীগ থেকে শাস্তি হিসেবে তাকে দলের বাইরে রাখায় তাকে চেয়ারম্যান হিসেবে দেখার প্রত্যাশা অবান্তর বলেই মনে করেন তারা। 

তাদের মতে, এমনও কয়েজনের নাম সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ পেয়েছে ওই সমস্ত নেতা-কর্মী বা প্রার্থীদের যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তারা।

(প্রিয় পাঠক, মোশারফ হোসেনের মৃত্যু ও উপ নির্বাচন ভাবনা নিয়ে প্রতিবেদনটির ২য় পর্ব আগামীকাল প্রকাশ করা হবে।) 


সোনারগাঁও দর্পণ :

বন্দরে বাসের ধাক্কায় দুই নারীসহ তিনজন নিহত হয়েছেন। একই দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন কমপক্ষে আরও ১৩ জন। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সোনারগাঁওয়ের কিউট ফ্যাক্টরির সামনে  সোমবার (১৬ আগস্ট) সন্ধ্যায় বাসের ধাক্কায় হতাহতের এঘটনা ঘটে। 

নিহতদের মধ্যে বন্দরের মদনপুর বাসস্ট্যান্ডের অদূরে অবস্থিত রপ্তানীমুখি পোশাক কারখানা ইপিলিওন এর শ্রমিক মাহমুদা (৩২) ও রাসেল নামে দুই জনকে সনাক্ত করেছে অন্য শ্রমিকরা। এছাড়াও অজ্ঞাতনামা অপরএক নারীও মারা গেছে। 

পুলিশ জানান, ইপিলিওন কারখানায় ১ হাজার ৭০০ শ্রমিক কাজ করে। সন্ধ্যায় কারখানা ছুটির পর মদনপুর থেকে ঢাকাগামী একটি মিনি বাস বন্দর স্টিল মিলের সামনে যাওয়া মাত্র সড়ক ও জনপথ বিভাগের একটি গাড়ি ধাক্কা দিলে নাফ বাসের অন্তত ১৩ জন যাত্রী আহত হয়। 

আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।


সোনারগাঁও দর্পণ :

স্যাটেলাইট ও আইপি টিভিসহ অনুমোদনহীন ২৩টি চ্যানেল বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে সরকার। বিদেশে অর্থপাচার, নিয়োগ বাণিজ্য, মফস্বল সাংবাদিকদের সাথে প্রতারণার অভিযোগে এসকল চ্যানেল বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয় সরকার।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের পুলিশ - ১ শাখার ৪ আগস্ট ৪৪.০০.০০০০.০৯৪.১৩.০৩২.৩৪০ নং স্বারকে উপসচিব স্বাক্ষরিত এক আবেদনের প্রেক্ষিতে ৫ আগস্ট প্রজ্ঞাপনে এ আদেশ দেয়া হয়েছে। 

চ্যানেলগুলো হলো - চ্যানেল এস, কিউ টিভি, সিএনএন বাংলা টিভি,আলিফ টিভি, একাত্তর বাংলা টিভি, নতুন সময় টিভি, মুভি বাংলা টিভি, চ্যানেল বাংলা টিভি, আলীবাই টিভি, চ্যানেল মেট্রো, ইউরো বাংলা টিভি, প্রবাসী বাংলা টিভি, এমসি টিভি, সি প্লাস টিভি, রূপসী বাংলা টিভি, জারা টিভি, ফাগøুনী টিভি, এনএন টিভি, জি বাংলা, বিবিসি বাংলা টিভি, বঙ্গ টিভি, চ্যানেল টি-ওয়ান এবং চ্যানেল ফোর।

তবে, তথ্য মন্ত্রণালয়ে আবেদিত আইপি টিভি ও অনলাইন টিভি’র বিষয়ে এ আদেশ চলবেনা বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়।


সোনারগাঁও দর্পণ :

সাংগঠনিক দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি ব্যক্তিগত উদ্যোগে নানা কর্মসূচীর মাধ্যমে জাতীয় শোক দিবস পালন করেছেন সোনারগাঁও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহবায়ক ও পিরোজপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মাসুদুর রহমান মাসুম। ১৪ আগস্ট শনিবার দিবাগত গভীর রাত পর্যন্ত ১৫ আগস্টের আয়োজনের তদারকি শেষে রোববার সকাল থেকে শুরু করেন দিবসটির কার্যক্রম।

রোববার সকাল সাড়ে ৮টায় প্রথমে সাংগঠনিকভাবে উপজেলা আওয়ামী লীগের ব্যানারে দলীয় নেতাকর্মীদের সাথে বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশনে বঙ্গবন্ধুর মুর‌্যালে পুষ্পস্তবক অর্পনের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুসহ সকল শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। সেখান থেকে সকাল ১০টার দিকে উপজেলা প্রশাসন আয়েজিত অনুষ্ঠানে যোগ দেন। সেখানে আওয়ামী লীগের অন্যান্য নেতাকর্মী এবং উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সাথে উপজেলা চত্বরে নির্মিত বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ অর্পণ করেন।

এরপর আওয়ামী লীগের উপজেলা প্রধান কার্যালয়ে অংশ নিয়ে চলে যান নিজ ইউনিয়নে। ইউনিয়নের মেঘনা শিল্পাঞ্চলে নিজ উদ্যোগে আয়োজিত মিলাদ,দোয়া মাহফিল শেষে কাঙ্গালীভোজে অংশ নেন। সেখান থেকে ইউনিয়নের আরও বেশ কয়েকটি স্থানে আয়োজিত অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সদস্য এবং সকল শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে অনুষ্ঠিত দোয়া মাহফিল ও কাঙ্গালীভোজে অংশ নেন।


সোনারগাঁও দর্পণ :

সোনারগাঁওয়ে যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতীয় শোক দিবস পালিত হয়েছে । রবিবার সকালে সোনারগাঁও উপজেলা প্রশাসন, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, সোনারগাঁ উপজেলা আওয়ামীলীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা সোনারগাঁও জাদুঘরে বঙ্গবন্ধুর ভাষ্কর্যে ও উপজেলা চত্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। পরে পৃথক আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন স্থানীয় সাংসদ লিয়াকত হোসেন খোকা, সাবেক সাংসদ ও উপজেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক আব্দুল্লাহ আল কায়সার, যুগ্ম আহবায়ক ইঞ্জিনিয়ার মাসুদুর রহমান মাসুম, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আতিকুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান কালাম, উপজেলা যুবলীগ সভাপতি রফিকুল ইসলাম নান্নু, পিরোজপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি ফিরোজ্জামান মোল্লা ও জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ সভাপতি শাহ মোহাম্মদ সোহাগ রণি।

আলোচনা শেষে দুস্থদের মধ্যে রান্না করা খাবার বিতরণ করা হয় ও উপজেলার বিভিন্ন স্থানে কোরআনখানি ও মিলাদের আয়োজন করা হয়।

অপরদিকে নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক ডা. আবু জাফর চৌধুরী বিরুর নেতৃত্বে উপজেলার কয়েকটি স্থানে আলাদা ভাবে জাতীয় শোক দিবসের কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।


সোনারগাঁও দর্পণ :

বাঙালী জাতির ইতিহাসের নেক্কারজরক অধ্যায় জাতীয় শোক দিবসকে ঘিরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, তার দুই মেয়ে শেখ হাসিনা ও শেখ রেহেনা ছাড়া পরিবারের সকল সদস্য এবং ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট তার বাড়িতে অবস্থানরত স্বজনসহ সকল শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় মোগরাপাড়া ইউনিয়নের প্রতিটি ওয়ার্ডে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল করেছে মোগরাপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহ মো. সোহাগ রনি। রোববার ১৫ আগস্ট তিনি এ কর্মসূচী পালন করেন।

এরআগে, ১৫ আগস্টের প্রথম প্রহরে ১২.০১ মিনিটে উপজেলা চত্বরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে তার অনুসারী নেতাকর্মীদের নিয়ে ফুলের শ্রদ্ধা জানান সোহাগ রনি। পরে শনিবার দিবাগত মধ্যরাত থেকে রবিবারের আয়োজন সফল করেত গরু জবাই থেকে শুরু করে রান্না কাজের তদারকি করেন তিনি।

পরে রোববার সকালে ফজর নামাজের পর কোরআন হাফেজদের দিয়ে পবিত্র কোরআন খতম, বঙ্গবন্ধুসহ সকল শহীদদের আত্মার মাগফিরাত চেয়ে দোয়া সাড়ে ৯টার দিকে গাড়িবহর নিয়ে নেতাকর্মীদের সাথে বের হোন প্রতিটি ওয়ার্ডে।

এ সময় মোগরাপাড়া ইউনিয়নের মোগরাপাড়া বাজার, মোগরাপাড়া বাজারের পাশে শ্রী শ্রী নিতাই আখড়া, বাড়ি মজলিস, চৌরাস্তা, কাইকারটেক,কাফরদী, পাঁচপীর দরগাহ, রতদনদি, দমদমা, ভিন্নিপাড়া, দলদার, বড়সাদীপুরসহ ইউনয়নের বিভিন্ন গ্রামের কাঙ্গালীভোজের খাবার বিতরণ ও দোয়ায় অংশ নেন।


সোনারগাঁও দর্পণ :

আজ ১৫ আগস্ট। জাতীয় শোক দিবস। ১৯৭৫ সালের এই দিনে বাঙালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, তার স্ত্রী শেখ ফজিলাতুন্নেসা ও কনিষ্ঠ ছেলে শেখ রাসেলসহ পরিবারের সকল সদস্য ও সেদিন তার বাড়িতে থাকা সকল স্বজনদের নৃশংসভাবে হত্যা করে তৎকালীণ বিপথগামী একদন সেনা সদস্য। তবে, দেশে না থাকায় প্রাণে বেঁচে যান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দুই মেয়ে শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা। সেই দিনের নরপিসাচদের নৃশংসতায় বাঙালী গাহায় স্বাধীনতা যুদ্ধের মহানায়ক ও বাঙালীর পথপ্রদর্শককে। 

দিবসটি উপলক্ষ্যে রোববার ভোর সাড়ে ৫টায় ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় বিউগলে করুণ সুর বাঁজানো হয়। কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থেকে শহীদদের সম্মান জানান। পরে ১৫ আগস্টে নিহতদের স্মরণে মোনাজাতে অংশ নেন প্রধানমন্ত্রী। এরপর ধানমন্ডির ৩২ নম্বরের বঙ্গবন্ধু ভবনে যান। সেখানে কিছুক্ষণ ঘুরে দেখেন।

এরআগে, দিবসটি উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ আব্দুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন। রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ আব্দুল হামিদ বলেছেন, বাঙালি জাতির ইতিহাসে ১৫ আগস্ট এক কলঙ্কজনক অধ্যায়। ১৯৭৫ সালের এদিনে মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতাবিরোধী ষড়যন্ত্রকারীদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ মদদে ঘাতকচক্রের নির্মম বুলেটের আঘাতে ধানমন্ডির নিজ বাসভবনে শাহাদত বরণ করেন অবিসংবাদিত নেতা সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। একই সাথে শহিদ হন বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিণী বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব, পুত্র শেখ কামাল, শেখ জামাল ও শিশুপুত্র শেখ রাসেলসহ অনেক নিকটাত্মীয়। এমন ন্যক্কারজনক ঘটনা কেবল দেশের ইতিহাসে নয়, পৃথিবীর ইতিহাসেও বিরল। এ সময় তিনি শোকাহত চিত্তে তাদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান এবং আল্লাহর দরবারে সকল শহিদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন। 

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বাণীতে বলেছেন, জাতির পিতার দূরদর্শী ও বলিষ্ঠ নেতৃত্বে বাঙালি জাতি পরাধীনতার শৃঙ্খল ভেঙে মহান স্বাধীনতা ছিনিয়ে এনেছিল। সদ্য স্বাধীন যুদ্ধ-বিধ্বস্ত দেশে বঙ্গবন্ধু যখন সমগ্র জাতিকে নিয়ে সোনার বাংলাদেশ গড়ার সংগ্রামে নিয়োজিত, তখনই স্বাধীনতাবিরোধী-যুদ্ধাপরাধী চক্র তাকে পরিবারের বেশিরভাগ সদস্যসহ হত্যা করে। এই হত্যার মধ্য দিয়ে তারা বাঙালির ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ও অগ্রযাত্রাকে স্তব্ধ করার অপপ্রয়াস চালায়।


সোনারগাঁও দর্পণ :

১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে পুরো সোনারগাঁও উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নে কোরআনখানি, দোয়া মাহফিল ও কাঙ্গালীভোজের আয়োজন করেছেন সোনারগাঁও থানা আওয়ামী লীগের যুগ্ন আহবায়ক ও পিরোজপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মাসুদুর রহমান মাসুম। রাতে ফোনে সোনারগাঁও দর্পণকে তিনি এতথ্য জানান। 

ক্রিড়া সংগঠক ও থানা আওয়ামী লীগের যুগ্ন আহবায়ক চেয়ারম্যান মাসুম জানান, জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সদস্যসহ সকল শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নেই আমি আমার ব্যক্তিগত অর্থে কোরআনখানি, মিলাদ ও দোয়া মাহফিল এবং কাঙ্গালীভোজের আয়োজন করি। ১৫ আগস্ট সকাল সাড়ে ৮টায় প্রথমে বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশনে বঙ্গবন্ধুর মুর‌্যালে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে দিবসটির কার্যক্রম শুরু করা হবে। পরবর্তীতে উপজেলা পরিষদ চত্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয় এবং মেঘনা শিল্পাঞ্চল এলাকায় অনুষ্ঠানে যোগ দিবেন তিনি। পরে নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে বিভিন্ন ইউনিয়নে সাধারণ মানুষের সাথে দিবসটি উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে যোগ দিবেন।

এদিকে, অনুষ্ঠান সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে রাত জেগে নেতাকর্মী ও কাঙ্গালীভোজ তৈরিতে নিয়োজিতদের সাথে থেকে কাজ করেছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহবায়ক ও পিরোজপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মাসুদুর রহমান মাসুম। গরু জবাই থেকে শুরু করে রান্না করা পর্যন্ত তিনি বসে থেকে নিজে তদারকি করেছেন। 



সোনারগাঁও দর্পণ : 

যারা বঙ্গবন্ধুকে পুঁজি করে রাজনীতির নামে ব্যবসা করছে, যারা বঙ্গবন্ধুকে ভালবাসার লোক দেখানো অভিনয় করে তারাই ১৫ আগস্ট উপলক্ষ্যে আমার সমর্থকদের তৈরি প্যান্ডেল ভেঙ্গে ফেলেছে বলে মন্তব্য করেছেন স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ) এর কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক, নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক ও সোনারগাঁও আওয়ামী লীগের যুগ্ন আহবায়ক আবু জাফর চৌধুরী বিরু। রাতে সোনারগাঁও দর্পণ’র সাথে মোবাইলে কথা বলার সময় তিনি এ মন্তব্য করেন। এ সময় তিনি আরও বলেন, সামনে এসে যাদের কথা বলার সাহস নেই তারাই দুর থেকে এমন নোংরা আর ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটাতে পারে। তবে, দুর্বৃত্তরা যতবাদাই দিক, কাল পৌরসভাতে আমার সমর্থকরা ১৫ আগস্টে যে উদ্যোগ নিয়েছে তা হবেই আর আমিও সেখানে থাকব।

এরআগে, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬ তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে সোনারগাঁও পৌরসভার মাঠে শোক দিবসের আলোচনা সভা ও কাঙ্গালী ভোজের আয়োজন করে স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ) এর কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক, নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক ও সোনারগাঁও আওয়ামী লীগের যুগ্ন আহবায়ক আবু জাফর চৌধুরী বিরু’র সমর্থকরা। যা শনিবার বিকেলে ভেঙ্গে ফেলে অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা।

এক প্রশ্নের জবাবে ডা. বিরু বলেন, কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে তা আমি না জানলেও প্রশাসন ঠিকই তাদের খুঁজে বের করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন এবং বিষয়টি বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা প্রতিবেদন আকারে কেন্দ্র পাঠাবেন বলে আমার বিশ্বাস। তিনি বলেন, আমার সমর্থকদের তৈরি প্যান্ডেলে হামলা চালিয়ে চেয়ার-টেবিল ভাঙচুর করে ও সাঁটানো ব্যানার ফেস্টুন ছিড়ে ফেলে। 

সোনারগাঁও থানার ওসি মোহাম্মদ হাফিজুর রহমান বলেন, বিষয়টি আমি এখনও লিখিতভাবে পাইনি। মৌখিকভাবে শুনেছি। তবে, যারা এ ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটিয়েছে তাদের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনা হবে।

উল্লেখ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে সোনারগাঁও উপজেলা আওয়ামীলীগ থেকে দু’ভাগে বিভক্ত হয়ে পালন করছে। দুই গ্রুপের মধ্যে সোনারগাঁও উপজেলা আওয়ামলীগের আহবায়ক কমিটির ব্যানারে নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আবদুল্লাহ আল কায়সারের নেতৃত্বে আহবায়ক কমিটি ও স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ) এর কেন্দ্রীয় সাংগঠিনক সম্পাদক, নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক ও সোনারগাঁও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহবায়ক ডা. আবু জাফর চৌধুরী বিরু পৃথকভাবে দিবসটি উদযাপনের প্রস্তুতি নেন। 



সোনারগাঁও দর্পণ: 
আগামী ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে মোগরাপাড়া ইউনিয়নের জন্য ৩০ ডেগ খিচুরি কাঙ্গালীভোজ হিসেবে একস্থানে রান্না করে তা ইউনিয়নের প্রতিটি স্থানে পৌঁছে দেয়া হবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন মোগরাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়াম্যান প্রার্থী  ও নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি সোহাগ রনি। দিবসটি উপলক্ষ্যে শুক্রবার (১৩ আগস্ট)  বিকালে উপজেলার মোগরাপাড়া ইউনিয়নের পোস্ট অফিসের সামনে মোগরাপাড়া ্ইউনিয়ন ভূমি অফিস মাঠে এক প্রস্তুতিমূলক সভা ও আলোচনা সভায় সিদ্ধান্ত শেষে এ ঘোষণা দেন তিনি। 

এরআগে, নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি ও মোগরাপড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহ মোঃ সোহাগ রনির সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা হাজী শাহ-আলম। বিশেষ অতিথি ছিলেন, সোহাগ রনির বাবা ১ নং ওয়ার্ডের সাবেক মেম্বার শাহজামাল তোতা, স্থানীয় নাট্য পরিচালক ইদ্রিস আলীসহ অন্যান্যরা।

এরআগে, ১৫ আগস্ট উপলক্ষ্যে  সোহাগ ইউনিয়নের বিভিন্ন ওয়ার্ডের তার নেতাকর্মীদের নিয়ে এক আলোচনা সভা করেন। সেখানে তিনি বলেন, যে কোন কাজ সুষ্ঠুভাবে সকলের মতামত নিয়ে করলে তার ফলাফলও ভাল হয় এবং কাজটিও সুন্দর নির্ভেজাল হয়। তা্ই বঙ্গবন্ধুর প্রয়াণ দিবসটি সুষ্ঠুভাবে পালনের জন্যই মূলত এ আয়োজন। 

১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস পালন উপলক্ষে রবিবার সারাদিন ব্যাপি মোগরাপাড়া ইউনিয়নের ৯ টি ওয়ার্ডের বিভিন্ন মসজিদে কোরআন খতম, দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন হবে। পাশাপাশি ৩০ ডেক খিচুরি এক জায়গায় রান্না করে তা ওয়ার্ডের সকল স্থানে বিতরণ করা হবে। 

সোনারগাঁও দর্পণ :    

৮ দিনেও গ্রেফতার হয়নি সোনারগাঁও উপজেলার বারদী ইউনিয়নের আলগীরচর গ্রামের গৃহবধূ শহিদা হত্যা মামলার কোন আসামী। তাই ক্ষুব্দ স্বজন ও এলাকাবাসী বৃহস্পতিবার (১২ আগস্ট) বিচারের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করে বিচার চেয়েছে।

সকাল ১০ টার দিকে বারদি ইউনিয়ন পরিষদের সামনে তারা এ মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করে।

মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিলে নিহত শাহিদা বেগমের স্বজনদের মধ্যে শহিদার স্বামী জাহাঙ্গীর আলম, ছেলে জাহিদ হোসেন, একমাত্র মেয়ে শারমিন ও তার বোনসহ বারদি ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য এবং শতশত এলাকাবাসী অংশ নেন। 

নিহত শাহিদার সন্তানরা মানববন্ধনে করা অভিযোগে বলেন, তার মায়ের মৃত্যুর ৮ দিন পার হলেও সন্ত্রাসী হাবিবুর রহমান হাবি ও তার সন্ত্রাসী বাহিনীর কোন সদস্যকে সদস্যকে গ্রেফতার করতে পারেনি থানা পুলিশ। এসময় তারা হত্যাকারীদের দ্রæত গ্রেফতার করে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান। 

এরআগে, গত ৪ আগস্ট বুধবার জমি সংক্রান্ত বিরোধে প্রতিপক্ষ হাবিবুরের ১২ থেকে ১৫ জনের এক সন্ত্রাসী বাহিনী সাদেকুরের স্বজনদের ওপর হামলা চালান। হামলায় দেশীয় অস্ত্রের হামলায় টেঁটাবিদ্ধ হয়ে শাহিদা বেগম, মনির হোসেন, দেলোয়ার হোসেন, হামিদা, শারমিন, রেজাউল, শাকিলসহ ১০ জন আহত হন। আহতদের সোনারগাঁও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি করায়। তাদের মধ্যে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় শাহিদা। 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সোনারগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাফিজুর রহমান জানান, ঘটনার দুইদিন পর দুইজন আসামীকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে এবং তাদেরকে রিমান্ডের আওতায় আনা হয়েছে। বাকি আসামীদের গ্রেফতার করতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। খুব অল্প সময়ের মধ্যে বাকী আসামীদের গ্রেফতার করা সম্ভব হবে বলে তিনি প্রত্যাশা করেন।


সোনারগাঁও দর্পণ :

বাংলাদেশ ফটোজার্নালিস্ট এসোসিয়েশন’র নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক ফটোজার্নালিস্ট তানভির মাহমুদ রনি মারা গেছেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। আজ বৃহস্পতিবার (১২ আগস্ট) দুপুরে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে হাসপাতালে নেয়ার পথেই তার মৃত্যু হয়। 

আজ বাদ এশা দেওভোগ শুক্কুরকারী বড় জামে মসজিদে মরহুমের নামাজে জানাযা শেষে তাকে দাফন করা হবে বলে তার পারিবারিকভাবে জানানো হয়।

রনির ছোট ভাই ইসমাইল জানান, রনি বুধবার রাত থেকেই গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হচ্ছিল। রাতে স্থানীয় হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নিয়ে বাসায় ফিরেন তিনি। পরে আজ বৃহস্পতিবার বাসায় দুপুরে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে হাসপাতালে নেয়ার পথেই মারা যান।

এদিকে তানভির মাহমুদ রনি’র মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন, ফটো জার্নালিস্ট এসোসিয়শেন'র কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি গোলাম মোস্তফা, সাধারণ সম্পাদক কাজল হাজরা, নারায়ণগঞ্জ জেলা কমিটির সভাপতি হাবিবুর রহমান শ্যামল ও সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম সবুজ, নারায়ণগঞ্জের বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ ও গণমাধ্যমের ব্যক্তিরা।

বিকেলে গণমাধ্যমকে দেয়া এক বিবৃতিতে এমপি শামীম ওসমান প্রয়াত রনির আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।


সোনারগাঁও দর্পণ :

নতুন করে সোনারগাঁওয়ে আরও এক করোনা আক্রান্ত রোগীর মৃত্যু হয়েছে। গত ২৯ জুলাই ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কোভিড ইউনিটে তার মৃত্যু হলেও আজ তা প্রকাশ করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। এ নিয়ে সোনারগাঁওয়ে করোনায় মোট মৃত্যু হলো ৫৮ জনের। 

এছাড়া, এ জনপদে করোনায় নতুন করে আরও ৩৩ জন আক্রান্ত হয়েছেন। এ নিয়ে সোনারগাঁওয়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাড়াল ২ হাজার ২১২ জন। 

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. পলাশ কুমার সাহা জানান, গত ২৯ জুলাই মৃত্যু হওয়া ওই রোগী একজন ৬১ বছরের এক নারী। তিনি মোগরাপাড়া ইউনিয়নের ছোট কৃষ্ণাদী এলাকার বাসিন্দা। গত ২৮ জুলাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তিনি পরীক্ষার জন্য নমুনা দেন। ২৯ জুলাই ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সকালে মারা যান।  

এ পর্যন্ত সোনারগাঁওয়ে করোনা আক্রান্তদের মধ্যে মোট সুস্থ্য হয়েছেন ১ হাজার ৮শ জন। 


সোনারগাঁও দর্পণ :

তুলার বস্তায় গাঁজা নিয়ে পাচারের সময় ২২ কেজি গাঁজাসহ ৩ জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব - ১১’র সদস্যরা। এ সময় গাঁজা বহনকারী কাভার্ডভ্যানটিও (পিরোজপুর ট ১১-০৩৪৮) জব্দ করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১০ আগষ্ট) ভোরে সোনারগাঁওয়ের মোগরাপাড়া চৌরাস্তা এলাকায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে এসকল গাঁজা ও মাদক ব্যবসায়ীদের গ্রেফতার করা হয়। 

র‌্যাব জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সোনারগাঁয়ের মোগড়াপাড়া চৌরাস্তা এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান চালিয়ে ২২ কেজি গাঁজাসহ লালমনিরহাট জেলার আদিতমারী উপজেলার  বড় কমলাবাড়ী এলাকার হোসেন আলীর ছেলে আনোয়ারুল ইসলাম (৩৪), একই উপজেলার পূর্ব দৈলজের এলাকার আশরাফ আলীর ছেলে মোঃ, দুলাল মিয়া (২৯)এবং কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার আমানগন্ডা এলাকার মৃত আলী মিয়ার ছেলে  নুরুল ইসলাম (৫৯) কে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় গাঁজাসহ তাদেরকারী কভার্ডভ্যানটি জব্দ করা হয়।

গ্রেফতারকৃত মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে সোনারগাঁয় থানায় মাদক আইনে মামলা করা হয়েছে।


MKRdezign

Contact Form

Name

Email *

Message *

Powered by Blogger.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget