Halloween Costume ideas 2015
August 2022


সোনারগাঁও দর্পণ :

কলাপাতা রেস্টুরেন্ট সোনারগাঁও উপজেলা ও আশপাশের কয়েকটি উপজেলার মধ্যে অন্যতম। দাম যা-ই হোক খাবারের গুণগত মান, পরিবেশ, পরিচ্ছন্নতা আর পরিবেশনার জন্যে খুবই জনপ্রিয় একটি নাম কলাপাতা। মাত্র কয়েক বছরের ব্যবধানে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন স্থানে প্রতিষ্ঠানটি তাদের শাখাও খুলেছে। অথচ কলাপাতার এমন একটি প্রতিষ্ঠানের সকল কর্মকঅন্ড চলতো অবৈধ গ্যাস সংযোগের মাধ্যমে। ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক। মঙ্গলবার (৩০ আগষ্ট) দুপুরে  উপজেলার মোগরাপাড়া চৌরাস্তা বাসট্যান্ড এলাকার কলাপাতা রেস্টুরেন্টে তিতাসের ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানে কলাপাতা রেস্টুরেন্টের অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার খবর স্থানীয় এলাকায় প্রচার হলে এমন মন্তব্যই করতে শোনা গেছে স্থানীয়দের।

তিতাস কর্তৃপক্ষ জানায়, সোনারগাঁও এলাকার বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠান ও হোটেল রেস্তোরায় অবৈধ গ্যাস সংযোগে তাদের কার্যক্রম চালাচ্ছে এমন সংবাদ বেশ কিছুদিন ধরেই আমাদের কাছে আসছে বিভিন্ন মাধ্যমে। তারই অংশ হিসেবে আজ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোহাম্মদ ইব্রাহিম এর নেতৃত্বে আমরা অভিযান চালাই। অভিযানে কলাপাতা রেস্ট্ররেন্টে অবৈধ গ্যাস সংযোগ পাওয়ায় তা বিচ্ছিন্ন করা হয়। পাশাপাশি অপরিচ্ছন্ন পরিবেশে খাদ্য তৈরির অপরাধে ভোক্তা অধিকার আইনে রেস্টুরেন্টটিকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।



সোনারগাঁও দর্পণ :

সোনারগাঁও পৌরসভায় একটি অবৈধ চুন ফ্যাক্টরীতে অভিযান চালিয়েছে তিতাসের ভ্রাম্যমান আদালত। মঙ্গলবার (৩০ আগষ্ট) দুপুরে পৌরসভার দলালপুর এলাকার ওই চুন ফেক্টরীতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন সোনারগাঁও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ ইব্রাহিম। 

ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোহাম্মদ ইব্রাহিম জানান, বন্দর ইউনিয়নের কামতাল এলাকার নুরে আলম চুন ফ্যাক্টরীটিতে অবৈধ গ্যাস-সংযোগের মাধ্যমে দীর্ঘ দিন যাবৎ চুর তৈরি করে আসছিল। খবর পেয়ে তিতাসের লোকজন চুন ফ্যাক্টরীতে অভিযান চালিয়ে অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে তা গুড়িয়ে দেয়। অবৈধভাবে গ্যাস সংযোগ দিয়ে কাজ করায় সরকারের প্রচুর গ্যাস নষ্ট হওয়ার পাশাপাশি প্রচুর পরিমাণে রাজস্ব হারিয়েছে। 

অভিযানের সময় তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার সুরুজ আলম, সোনারগাঁও থানার ওসি অপারেশন মাহফুজুর রহমানসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন। 



সোনারগাঁও দর্পণ :

সোনারগাঁও উপজেলার শম্ভুপুরা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুর রউফ। সুনামের সাথে জনপ্রতিনিধি হয়ে জনসেবা করেছেন দীর্ঘ সময়। এবারও বিপুল ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন। তবে শেষ সময়ে ভীমরতি না-কি পেয়েছে তাকে! অভিযোগ উঠেছে, টাকা ছাড়া কোন সেবাই পাননা শম্ভুপুরাবাসী। ব্যাপক অনিয়ম আর দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে ট্রেড লাইসেন্স,জন্মসনদ, জন্ম ও মৃত‍্যু সনদ, ওয়ারিশ সার্টিফিকেটসহ নানা সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে। এসব সনদ নিতে গেলে সরকারি নির্ধারিত ফি'র অতিরিক্ত ফি প্রদানে সেবা গ্রহণ করতে যাওয়া এলাকাবাসীকে বাধ‍্য করা হয়। তবে সবচেয়ে বেশি সমস‍্যায় পরতে হচ্ছে বিদেশগামী ও নতুন জাতীয় পরিচয় তৈরি করতে আগ্রহীদের। 


নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ইউপি'র সাধারণ সদস‍্য এবং ভুক্তভোগী জানান, ২০০-৩০০ -৫০০ টাকা ছাড়া মেলেনা জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন সনদপত্র। আর বিদেশে যেতে আগ্রহীদের কাছ থেকে এ টাকা আদায় হয় পাচ থেকে দশ হাজার টাকা। এছাড়া অন্যান্য সেবা বিড়ম্বনায় প্রতিদিন হয়রানী ও চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছে সাধারন মানুষ। এ সকল অনিয়ম ও অপরাধের প্রতিবাদ করতে গেলেই নানারকম হয়রানি হতে হয় প্রতিবাদকারীদের। এমনকি ভয়-ভীতি আর হুমকি-ধমকী দেয়া হয় দেয়া হয় সেবা নিতে যাওয়া ব‍্যক্তিদের।


নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অপর এক ইউপি সদস্য জানান, শম্ভুপুরা ইউনিয়ন পরিষদে তারা এর আগে কখনো এমন অনিয়ম ও দুর্নীতি দেখেননি।  সরকার ইউনিয়ন পরিষদের সেবা সাধারণ মানুষের হাতের নাগালে পৌঁছে দিতে নানা উদ্যোগ নিয়েছে। অথচ সাধারণ মানুষ তাদের সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। তারা এ  থেকে পরিত্রাণ চান। 


এ বিষয়ে শম্ভুপুরা ইউনিয়নপরিষদ সচিব মোঃ মহিউদ্দিন দেওয়ানকে ফোন করলে প্রথমে অস্বীকার করলেও পরে সবকিছুই অকপটে স্বীকার কর বলেন, তাদের ইউনিয়ন পরিষদে যা হচ্ছে সব কিছুর বিষয়ে আব্দুর রউফ চেয়ারম্যান অবগত আছেন। তার বিনা অনুমিতে কোন কাজই হয় না।


এ বিষয়ে আব্দুর রউফ চেয়ারম্যানের সাথে কথা বডলতে চাইলে তিনি কথা বলতে চাননি। যদিও পরবর্তিতে ইউপি'র ১নং ওয়ার্ডের  সদস‍্য সাবেদ আলীকে দিয়ে  তার অনিয়ম ও দূর্নীতি প্রকাশ না করার অনুরোধ করেন।

তবে ভুক্তভোগীরা  এই সব অনিয়ম ও দুর্নীতির প্রতিকার ও অভিযোগের সুষ্ঠু তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছে ইউনিয়নবাসী।


সোনারগাঁও
দর্পণ

সোনারগাঁওয়ে ডাকাত সর্দারসহ ছয় সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব ১১ এর সদস্যরা। শুক্রবার দিবাগত রাতে উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়নের পূর্ব ভবনাথপুর এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে একটি বিদেশী পিস্তল, এক রাউন্ড গুলি, একটি ছোরা, একটি রামদা, একটি চাইনিজ কুড়াল, দুটি তালা ভাঙ্গার কাটার ও শাবল উদ্ধার করা হয়।

 

গ্রেফতারকৃত ডাকাতরা হলো, সাখাওয়াত হোসেন রনি (২৫), মোঃ সোহেল (৩২), শহিদুল ইসলাম (২৬), আল আমিন (২৩), মোঃ ইসমাইল (৩৮) ও সুজয় দে (৩০)।

 

র‌্যাব-১১ জানায়, ডাকাত চক্রটি গত ৬ এপ্রিল এবং ২৪ এপ্রিল আড়াইহাজার থানা এলাকায় সংঘটিত ডাকাতির ঘটনায় জড়িত ছিল। আটককৃত ডাকাত সর্দার সাখাওয়াত হোসেন রনির বিরুদ্ধে আড়াইহাজার থানায় তিনটি এবং সোনারগাঁও থানায় অস্ত্রসহ ডাকাতি, সোহেলের বিরুদ্ধে আড়াইহাজার থানায় তিনটি এবং সোনারগাঁও থানায় একটি অস্ত্রসহ ডাকাতি ও একটি মাদক মামলা, মোঃ শহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে ধামরাই থানায় একটি অস্ত্রসহ ডাকাতি ও দুটি ধর্ষণ এবং বিভিন্ন থানায় চারটি অস্ত্রসহ ডাকাতি মামলা, সুজন দের বিরুদ্ধে গোপালগঞ্জ থানায় একটি চুরি এবং মকছেদপুর থানায় একটি ধর্ষণসহ হত্যা মামলা রয়েছে।

 

র‌্যাব আরো জানায়, আটককৃত ডাকাত দলের সর্দার সাখাওয়াত হোসেন রনি নিজেকে কাঁচপুর এলাকায় “বন্ধু ড্যান্স একাডেমী নামের একটি ডান্স গ্রুপের গ্র্যান্ড মাষ্টার হিসেবে পরিচয় দিয়ে থাকে। সে বিভিন্ন সময়ে বিয়ে, জন্মদিন বা অন্যান্য সামাজিক অনুষ্ঠান উপলক্ষ্যে ড্যান্স কনসার্ট নামে বিভিন্ন প্রবাসী বা ধনী ব্যক্তিদের বাড়ী টার্গেট করে ওই বাড়ির লোকজনের সঙ্গে সখ্যতা গড়ে তোলে। পরবর্তীতে সে তার টার্গেট করা বাড়িগুলোতে পরিকল্পনা করে ডাকাতি পরিচালনা করে। গ্রেপ্তারকৃত ডাকাতদের বিরুদ্ধে সোনারগাঁও থানায় আইনগত কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।


সোনারগাঁও দর্পণ:

মাহফুজুর রহমান কালাম এক শক্তিশালী সাংগঠকের নাম। সোনারগাঁও আওয়ামী লীগের চরম দুর্দিনে যিনি হাল ধরেছিলেন শরীর ও মনের সর্বোচ্চ শক্তি দিয়ে। যে শক্তি ব্যবহার করে সোনারগাঁওয়ের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রভাবশালী অনেক নেতাকে রাজনৈতিকভাবে মোকাবেলা করে পরাজিত করেছেন তার দুরদর্শী রাজনৈতিক প্রজ্ঞায়। শিকার হয়েছেন বহু হামলা, মামলা, হুমকী-ধমকীসহ নানান প্রতিবন্ধকতায়। সোনারগাঁও আওয়ামী লীগের যে কোন নেতা-কর্মীর চেয়ে সবচেয়ে বেশি নির্যাতিন, নিপিড়ীত অবহেলিত হতে হয়েছে কালাম পরিবারকে। 

উপজেলা আওয়ামী লীগের এক সময়ের উপদেষ্টা কান্ডারি মাহফুজুর রহমান কালাম নেই উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক কমিটিতে। আছেন জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য হয়ে। কেন উপজেলা আওয়ামী লীগে মাহফুজুর রহমান কালামের বর্তমান এ অবস্থান ? এ বিষয়ে ‘সোনারগাঁও দর্পণ’ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ ও এর অন্যান্য অঙ্গ সংগঠনের গুরুত্বপূর্ণ নেতাকর্মীদের সাথে কথা বলেছে। অনেকেই অনুরোধ করেছেন নাম প্রকাশ না করতে। কেউ আবার বলেছেন, কখনো পদের জন্যে রাজনীতি করিনি। তবে, সত্যিটা সব সময় বলেছি, ভবিষ্যতেও বলে যাব। নাম প্রকাশ করলে যদি পদ থাকে, না থাক। তবে, সবার দাবি একটা জায়গায় এক। ‘ষড়যন্ত্রের শিকার কালাম’। জেলা ও উপজেলা পর্যায় কোন কোন নেতার ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছেন তিনি। 

তাদের মতে, একটি রাজনৈতিক সংগঠনকে শক্তিশালী করতে মাহফুজুর রহমান কালাম অপ্রতিদ্বন্দ্বি। অনেকেই নেতা হয় কিন্তু সাংগঠনিক জ্ঞান সবার থাকেনা। মাঠ সবাই ধরে রাখতে পারেনা। অনেকের মতে, বর্তমান উপজেলা আওয়ামী লীগ চলছে লোক দেখানো ফটোসেশন আর গলাবাজিতে। সাংগঠনিক দিক বিবেচনায়, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান কালামের বিকল্প নেই। এমনটাই দাবি উপজেলা আওয়ামী লীগের তৃণমুল নেতাকর্মীদের। 

সনমান্দি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ১০ বছর সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন শেষে ১৯ বছর ধরে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালনকারী নেতা আবু ইসহাক ‘সোনারগাঁও দর্পণ’কে বলেন, আমি ৫০ বছর ধরে আওয়ামী লীগের রাজনীতি করি। বর্তমান উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক কমিটিতে তিনজন সদস্য রয়েছে যাদের জীবনে কখনো কোন মিছিল-মিটিং দুরের কথা কোন দিন নামও শুনিনি। তারা হয় উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য। অথচ আমি ও শম্ভুপুরা ইউনিয়নের সিদ্দিক মোল্লার মতো ত্যাগী নেতারা উপজেলা আওয়ামী লীগে স্থান পাইনি।

উপজেলা যুবলীগসহ আওয়ামী লীগের অঙ্গ সংগঠনের কয়েকজন নেতার নাম ও পদবি উল্লেখ করে আবু ইসহাক বলেন, তারা যুবলীগেও আছে, তারা আওয়ামী লীগের কমিটিতেও আছে। আসলে আমরা রাজনীতি করে টাকা কামাইনি। আমাদের সে রকম টাকা পয়সাও নাই। যারা কমিটি গঠন করবে তাদের দিব। কারণ কমিটিতে স্থান পেতে হলে টাকার বিকল্প নাই। এটাতো আজকাল অনেকের ব্যবসায় পরিণত হইছে। 

ইসহাক বলেন, এটা সত্যি যে পৃথিবীতে কারও জন্যে কিছু থেমে থাকেনা। তবে, উপজেলা আওয়ামী লীগে কালামের প্রয়োজন কতটুকু তা প্রত্যেক নেতাই ভালো জানেন। হয়তো স্বার্থের কথা চিন্তা করে তা অনেকে প্রকাশ করবেননা। 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জামপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের এক প্রভাবশালী নেতা বলেন, কালাম সোনারগাঁও আওয়ামী লীগের দুঃসময়ের পরীক্ষিত বন্ধু। উপজেলা আওয়ামী লীগ শুধু তাকে ব্যবহারই করেছে। আর তিনি অবোধের মতো ব্যবহার হয়েছেন। সেই কারণেই আজ তিনি অবহেলিত, তিনি অনেকের ষড়যন্ত্রের শিকার।

শম্ভুপুরা ইউনিয়নের প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা সিদ্দিক মোল্লা ‘সোনারগাঁও দর্পণ’কে বলেন, মাহফুজুর রহমান কালাম কায়সার হাসনাতের বাবা আবুল হাসনাতের হাত ধরে আওয়ামী রাজনীতিতে আসে। আর আবুল হাসনাতের অন্তিম সময় কায়সার রাজনীতিতে আসে মাহফুজুর রহমান কালামের হাত ধরে। আবুল হাসনাতকে যদি কালাম কায়সারকে রাজনীতিতে এনে সোনারগাঁও আওয়ামী লীগের হাল ধরতে না বলতেন, তাহলে আজ হয়তো কায়সারের রাজনীতিতে আসা হতো না, পার্লামেন্টের সদস্য হতে পারতেন না। রেজাউল করিমের মতো হ্যাভিওয়েট প্রার্থীকে ৮৫ হাজার ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী করার একমাত্র উপদেষ্টা মাহফুজুর রহমান কালাম। সেই কালামকে মাইনাস করে সোনারগাঁও উপজেলা আওয়ামী লীগ অন্তঃতপক্ষে আমি কল্পনাও করতে পারিনা। 

এছাড়া, গতকাল ২৪ আগস্ট আগামী ৩ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিতব্য উপজেলা আওয়ামী লীগের কাউন্সিলের বিষয়ে যে সভা হয়েছে সেখানে আমি কায়সারকে স্পষ্ট করে বলেছি যে, মাহফুজুর রহমান কালামের ৩৫ হাজারের ওপর ভোট ব্যাংক আছে। যা বিগত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রমাণ হয়েছে। আর বর্তমান সভাপতি তিনিতো নিজের কেন্দ্রে কখনোই নৌকাকে বিজয়ী করতে পারেনি, পারবেও না। কালাম ছাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের কমিটি পূর্ণতা পাবেনা। একথা বলার পর কায়সার আশ্বস্ত করেছেন কমিটিতে কালামকে রাখার সর্বোচ্চ চেষ্টা তিনি করবেন।

উপজেলা আওয়ামী লীগ আহ্বায়ক কমিটির আহ্বায়ক এডভোকেট সামসুল ইসলাম ভূইয়া ২৪ আগস্ট বুধবার রাতে সোনারগাঁও দর্পণ’কে বলেন, কেন্দ্রীয় নেতারা যদি চান কালাম থাকবে। না চাইলে থাকবেনা। 

অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এ বিষয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগ কোন সুপারিশ করবেনা। এ বিষয়ে আমি আর কোন কথা বলতেও চাইনা বলে ফোন রেখে দেন সামসুল ইসলাম ভূইয়া।



সোনারগাঁও দর্পণ :

অবশেষে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে সোনারগাঁও উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন। আগামী ৩ সেপ্টেম্বর শনিবার এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। সোনারগাঁও উপজেলা আওয়ামীলীগের আহ্বায়ক কমিটি বুধবার (২৪ আগষ্ট)  সোনারগাঁও উপজেলা পরিষদ সভাকক্ষে এক বৈঠকে এ দিন ধার্য করেন। 

সোনারগাঁও উপজেলা আওয়ামীলীগের আহ্বায়ক কমিটি আহবায়ক এডভোকেট সামসুল ইসলাম ভুইয়ার সভাপতিত্বে এবং ১ম যুগ্ম আহ্বায়ক ও নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনের সাবেক সাংসদ আব্দুল্লাহ আল কায়সার হাসনাত, ২য় যুগ্ম আহ্বায়ক ও পিরোজপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমান মাসুম আহ্বায়ক কমিটির সকল সদস্যদের সাথে আলাপ শেষে যৌথভাবে এ সিদ্ধান্ত জানান। 

সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আগামী ৩ সেপ্টেম্বর শনিবার সোনারগাঁও শেখ রাসেল স্টেডিয়ামে (সোনারগাঁও যাদুঘর ২য় গেইটের পাশে)  এক জনসভার মাধ্যমে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।

এরআগে, ২০১৯ সালে ১৫ জুলাই জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাই এবং সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত শহীদ বাদল স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে সোনারগাঁও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এডভোকেট সামসুল ইসলাম ভূইয়াকে আহ্বায়ক ও উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমান মাসুমকে যুগ্ম আহ্বায়ক করে উপজেলা আওয়ামীলীগের আহ্বায়ক কমিটির প্রথম অনুমোদন দেন। 

পরবর্তীতে তৃণমুল পর্যায় ওই কমিটির বিষয়ে সমালোচনা ও ক্ষোভের সৃষ্টি হলে ২০২১ সালের ২৩ মার্চ পূর্বের আহ্বায়ক কমিটিতে কিছুটা পরিবর্তন এনে এডভোকেট সামসুল ইসলাম ভূঁইয়াকে আহ্বায়ক ও আবদুল্লাহ্ আল কায়সারকে ১ম যুগ্ম আহ্বায়ক এবং মাসুদুর রহমান মাসুমকে ২য় যুগ্ম আহ্বায়ক করে ২১ সদস্যবিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করে নাারয়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগ। ওই কমিটিতে  অন্যান্য সদস্যদের মধ্যে ছিলেন, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক ডা. আবু জাফর চৌধুরী বিরু, জেলা আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক এস এম জাহাঙ্গীর,  মোগরাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আরিফ মাসুদ বাবু,  সোনারগাঁও উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান বাবু ওমর, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মাহমুদা আক্তার ফেন্সী ও জামপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক সামসুদ্দিন খান আবু, জেলা পরিষদের সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান মাসুম, উপজেলা যুবলীগ সভাপতি রফিকুল ইসলাম নান্নু, সাধারণ সম্পাদক আলী হায়দারসহ অনেককে নতুন কমিটিতে সদস্য করা হয়েছে।



সোনারগাঁও দর্পণ :

তুহিন (১৫) মিয়া নামে এক যুবককে নির্যাতন পরবর্তী শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে। বুধবার (২৪ আগস্ট)  সকালে উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়নের পিরোজপুর বাসস্ট্যান্ডের অদূরে মিম বোডিং এর পাশের একটি গ্যারেজ থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত তুহিন উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়নের চেঙ্গাকান্দি গ্রামের মনির হোসেনের ছেলে।

নিহতের পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, উপজেলার মোগরাপাড়া ইউনিয়নের বাড়ি মজলিস গ্রামের ভাড়াটিয়া ও হোটেল হিরাঝিলের মালিক মোস্তফার ছেলে আল আমিন ও রনি দীর্ঘদিন ধরে পিরোজপুর এলাকায় বিভিন্ন মাদক দ্রব্য বিক্রি করে আসছে। গত  সোমবার (২২ আগস্ট) রাতে হোটেলের পাশের কক্ষে মাদক নিয়ে রাখার সময় তুহিন দেখে ফেলে। বিষয়টি যেন কাউকে না জানায় এই বলে তাকে (তুহিন) মারধর করে এবং ভয়ভীতি দেখায়। এ বিষয়ে কাউকে কিছু বললে প্রাণে মেরে ফেলারও হুমকি দেয় বলে তুহিন তার বাবার কাছে পরে জানায়। এ ঘটনার একদিন পর হোটেলের পাশ থেকে কিশোর তুহিনের লাশ পাওয়া গেল।

সোনারগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ হাফিজুর রহমান জানান, ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। তদন্ত করে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।



সোনারগাঁও দর্পণ :

২০০৪ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের শাসনামলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের প্রধান কার্যালয়ে আওয়ামী লীগের জনসভায় বর্বরোচিত গ্রেনেড হামলায় বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাকে হত্যার চেষ্টা ও  আওয়ামী লীগের ২৪ নেতাকর্মী নিহতের ঘটনার প্রতিবাদ ও জড়িতদের শাস্তির দাবিতে  বিক্ষোভ মিছিল, প্রতিবাদ সমাবেশ, নিহতদের স্বরণে মিলাদ মাহফিল ও আলোচনা সভা করেছে সোনারগাঁও উপজেলা আওয়ামী লীগ। রবিবার বিকালে উপজেলার মোগরাপাড়া চৌরাস্তা উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রধান কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুল হাই। 

সোনারগাঁও উপজেলা আওয়ামীলীগের উদ্যোগে সভায় উপজেলা আওয়ামীলীগের আহবায়ক এডভোকেট সামসুল ইসলাম ভূইয়ার সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত শহীদ মো. বাদল, শিল্প বিষয়ক সম্পাদক এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন, নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও উপজেলা আওয়ামীলীগ আহবায়ক কমিটির যুগ্ম আহবায়ক আব্দুল্লাহ আল কায়সার হাসনাত, আওয়ামীলীগ আহবায়ক কমিটির যুগ্ম আহবায়ক ও পিরোজপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমান মাসুম, সদস্য ও স্বাচিপ’র সাংগঠনিক সম্পাদক ও উপজেলা আওয়ামীলীগ আহবায়ক কমিটির সদস্য ডা. আবু জাফর চৌধুরী বিরু, উপজেলা আওয়ামী লীগ আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান মাসুম, সোনারগাঁও উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মাহমুদা আক্তার ফেন্সি, উপজেলা আওয়ামীলীগ আহবায়ক কমিটির সদস্য আশরাফুজ্জামান, মোগড়াপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আরিফ মাসুদ বাবু, সনমান্দি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহিদ হাসান জিন্নাহ, বারদী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান লায়ন মাহবুবুর রহমান বাবুল, সাদিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রশিদ মোল্লা, জামপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হুমায়ন কবীর ভূইয়া, আহবায়ক কমিটির সদস্য এডভোকেট ফজলে রাব্বী, আহবায়ক কমিটির সদস্য নাসরিন সুলতানা ঝরা, সোনারগাঁও উপজেলা যুবলীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম নান্নু, সাধারণ সম্পাদক আলী হায়দারসহ অনেকে।

আলোচনা শেষে গ্রেনেড হামলা নিহতের রূহের মাগফিরাত কামনায় দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।

পরে গ্রেনেড হামলার প্রতিবাদে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে একটি বিক্ষোভ মিছিল মহাসড়কের বিভিন্ন পয়েন্ট প্রদক্ষিণ করে। 



সোনারগাঁও দর্পণ :

সোনারগাঁওয়ে মেঘনা নদীতে গোসল করতে গিয়ে নিখোঁজের ২দিন পর কিশোরের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (১৬ আগষ্ট) সকালে নিখোঁজ জাহিদুলের অর্ধগলিত লাশ ভেসে উঠলে এলাকাবাসী পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ গিয়ে লাশটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।

এরআগে, গত রবিবার পিরোজপুর ইউনিয়নের ভাটিবন্দর এলাকায় মেঘনা নদীতে গোসল করতে নেমে জাহিদুল আলম মেহেদী (১৮) নামের এক কিশোর নিখোঁজ হয়।

পরবর্তীতে ফায়ার সার্ভিস সহ এলাকাবাসী উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করেও নিখোঁজ কিশোরের খোঁজ পায়নি। 

জাহিদুল ইসলাম মোগরাপাড়া ইউনিয়নের বাড়ি মজলিস গ্রামের মনির হোসেনের ভাড়াটিয়া শহিদুল ইসলামের ছেলে। তার গ্রামের বাড়ি গাইবান্ধা জেলার সদর থানার কোনারপাড়া গ্রামে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়নের ভাটিবন্দর এলাকায় দুপুর ২টার দিকে ৮জন কিশোর মেঘনা নদীতে গোসল করতে নামে। তারা শাতরিয়ে নদীর দূরবর্তী স্থানে চলে যায়। এক পর্যায়ে তিনজন তীরে আসলেও জাহিদুল ইসলাম নদীর স্রোতের সাথে নদীর পানিতে তলিয়ে যায়। খবর পেয়ে সোনারগাঁ ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে গিয়ে সন্ধ্যা পর্যন্ত উদ্ধারের চেষ্টার পরও নিখোঁজের সন্ধান পাওয়া যায়নি।

সোনারগাঁও থানার অফিসারর্স ইনচার্জ হাফিজুর রহমান বলেন, আজ নিখোঁজ কিশোরের অর্ধগলিত লাশ ভেসে উঠেছে। লাশটি থানা থেকে ময়না তদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে


সোনারগাঁও দর্পণ :

বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যে পুষ্পার্ঘ অর্পণ, রূহের মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া এবং নিজ হাতে গরীবের মাঝে খাদ্য বিতরণের মাধ্যমে ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস পালন করেছেন জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও সোনারগাঁও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান কালাম।

দিবসটি উপলক্ষ্যে রবিবার সকালে সোনারগাঁও জাদুঘরে নির্মিত বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যে নেতাকর্মীদের নিয়ে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান তিনি। শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে যাদুঘরের মুল ফটকের সামনে দোয়া এবং গণভোজে নিজ হাতে খাবার বিতরণের মাধ্যমে দিনের কর্মসুচী শুরু করেন। পরে সোনারগাঁওয়ের বিভিন্ন ইউনিয়ন ও পৌরসভায় অনুষ্ঠিত দোয়াা ও গণভোজের আয়োজনে নেতা কর্মীদের সাথে নিয়ে অংশগ্রহন করেন নারায়নগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের কার্যকরী সদস্য সদস্য মাহ্ফুজুর রহমান কালাম।



সোনারগাঁও দর্পণ :

ওয়াজ মাহফিল, শহিদদের রূহের মাগফিরাতে বিশেষ দোয়া আর গণভোজের মধ্য দিয়ে জাতীয় শোক দিবস পালন করেছে জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি ও সদ্য সমাপ্ত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নৌকা প্রতিকের পরাজিত প্রার্থী সোহাগ রনি। দিবসটি উপলক্ষে সোমবার সকালে জেলা যুবলীগের ব্যানারে উপজেলার মোগরাপাড়া ইউনিয়নের ৭টি স্পটে এ দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। তার অনুসারী নেতাকর্মীদের নিয়ে প্রতিটি স্পটে গিয়ে স্বস্ব এলাকার নেতাকর্মীদের সাথে দেখা করেন।

পরে বাদ আসর মোগরাপাড়া ইউনিয়নের কাঁচারী মাঠে  জেলা যুবলীগের ব্যানারে আয়োজিত ওয়াজ ও দোয়া মাহফিলে অংশ নেন। 

দোয়ায় ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ সকল শহিদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া করা হয়। এরআগে, পবিত্র কোরআন খতম দেয়া হয়। 



সোনারগাঁও দর্পণ :

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদাৎ বার্ষিকী জাতীয় শিশু দিবস পালন করেছে  সোনারগাঁও উপজেলা আহ্বায়ক কমিটি। দিবসটি উপলক্ষে  সোনারগাঁও উপজেলা আহবায়ক কমিটির উদ্যোগে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ অর্পণ, কালো ব্যাজ ধারণ, আলোচনা সভা, মিলাদ মাহফিলে বিশেষ দোয়া ও গণভোজের আয়োজন করে। 

এরই অংশ হিসেবে উপজেলা চত্ত¡রে সকালে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ অর্পণের মাধ্যমে শুরু হয় জাতীয় শোক দিবসের কার্যক্রম। এছাড়া উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার বিভিন্ন উপাসনালয়ে মিলাদ মাহফিল ও বিশেষ দোয়া পরবর্তী গণভোজের আয়োজন করা হয়।


গণভোজ ও আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ -৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও উপজেলা আওয়ামী লীগ আহবায়ক কমিটির ১ম যুগ্ম আহবায়ক আব্দুল্লাহ আল কায়সার, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের আহবায়ক এডভোকেট সামসুল ইসলাম ভূইয়া,  পজেলা আওয়ামী লীগ এর সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান কালাম, ২য় যুগ্ম আহবায়ক ও পিরোজপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমান মাসুম, ভাইস চেয়ারম্যান মাহমুদা আক্তার ফেন্সী, উপজেলা আওয়ামীলীগের আহবায়ক কমিটির সদস্য ও উপজেলা যুবলীগ সভাপতি রফিকুল ইসলাম নান্নু, সাধারণ সম্পাদক আলী হায়দার, উপজেলা আওয়ামীলীগের আহবায়ক কমিটির সদস্য নাসরিন সুলতানা ঝরা ও গাজী মুজিবুর রহমানসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও এর বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা।



সোনারগাঁও দর্পণ :

সোনারগাঁওয়ের মেঘনার নদীতে গোসল করতে গিয়ে পানিতে তলিয়ে গেছে জাহিদ (২২) নামের এক যুবক। রবিবার (১৪ আগস্ট) দুপুরে উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়নের ভাটিবন্দর এলাকার অদূরে মেঘনা নদীতে বড় ভাইয়ের সাথে গোসল করতে নেমে সে তলিয়ে যায়। পরে খবর পেয়ে সোনারগাঁও ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিদল ঘটনাস্থলে গিয়ে সন্ধ্যা পর্যন্ত খোঁজ করলেও মরদেহ উদ্ধার করতে ব্যর্থ হয়। ধারণা করা হচ্ছে প্রবল ¯্রােতে হয়তো মরদেহটি অনত্র চলে গেছে।  

স্থানীয়রা জানায়, নিখোঁজ জাহিদের বাড়ি গাইবান্ধায়। তার বাবার নাম শহিদুল ইসলাম। জাহিদ মোগরাপাড়া ইউনিয়নের বাড়িমজলিশ গ্রামের মনির হোসেনের বাড়িতে ভাড়া থেকে ত্রিবর্দী (টিপরদী) এলাকায় অবস্থিত চৈতি কম্পোজিট এ কাজ করত। স্থানীয়রা আরও জানায়, গোসল করার সময় তার বড় ভাই নয়ন তার সাথে ছিল। সূত্রমতে, সাতার জানত জাহিদ। তাহলে কিভাবে পানিতে তলিয়ে গেল এ নিয়ে প্রশ্ন উঠে অনেকের মনে। 



সোনারগাঁও দর্পণ :

সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশনের দেয়া মিডিয়া ফেলোশিপ পুরস্কার -২০২২ পাওয়ায় লেখক সাংবাদিক ও সোনারগাঁও সাহিত্য ও নিকেতনের সাধারণ সম্পাদক রবিউল হুসাইনকে সংবর্ধনা দিয়েছে সোনারগাঁও সাহিত্য নিকেতন। ৬ আগস্ট শনিবার বিকেলে সোনারগাঁও পৌরসভা সংলগ্ন সুবর্ণগ্রাম কালচারাল সেন্টারে এ সংবর্ধনা দেয়া হয়। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সোনারগাঁও সাহিত্য নিকেতনের সভাপতি কবি রহমান মুজিব’র সভাপতিত্বে ও অর্থ সম্পাদক সেলিম আহমেদ প্রধানের সঞ্চালনায় শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন সাহিত্য নিকেতনের সহ সভাপতি আসমা আখতারী।

অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সাহিত্য নিকেতনের উপদেষ্টা ও শিশুতোষ টিভি অনুষ্ঠান সিসিমপুরের নির্মতা প্রতিষ্ঠান সিসেমি ওয়ার্কশপ বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ শাহ আলম, সাহিত্য নিকেতনের উপদেষ্টা মো . মতিউর রহমান, সোনারগাঁ প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আবু বকর সিদ্দিক, সাংবাদিক মাহবুবর রহমান সুমন, খায়রুল আলম খোকন, সাংবাদিক ফরিদ হোসেন, আক্তার হাবীব, সাংবাদিক ও লেখক এরশদ হুসাইন অন্য, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মোফাখখার সাগর, সাংস্কৃতিক সম্পাদক মোয়াজ্জেনুল হল, নির্বাহী সদস্য রোকেয়া আক্তার, নির্বাহী সদস্য শংকর প্রকাশ, নির্বাহী সদস্য সম্মোহনী অজিবুর, সদস্য আলী নূর হাসান, কবি খন্দকার পনির ভূঁইয়া, এলমা মরিয়ম জুস্মিসহ অনেকে। 

সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সংগঠনের পক্ষ থেকে সাংবাদিক রবিউলের হাতে ক্রেস্ট ও ফুল তুলে দেয়া হয়। 

এ সময় সাংবাদিক রবিউল হুসাইন তার ফেলোশিপ পুরষ্কার সোনারগাঁওয়ের প্রয়াত সাংবাদিক ও লেখক বাবুল মোশাররফকে উৎসর্গ করেন।



সোনারগাঁও দর্র্পণ :

মাদক ব্যবসা সোনারগাঁও থানা ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক মাসুদ রানা বাবু ও তার মা ছানোয়ারা’র ওপর সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে রক্তাক্ত আহত করেছে সন্ত্রাসী মাহফুজ ও তার সহযোগিরা। শনিবার সকালে মোগরাপাড়া ইউনিয়নের পশ্চিম হাবিবপুর গ্রামের বাবুদের বাড়িতে গিয়ে এ হামলা, লুটপাট ও ভাংচুর করে সন্ত্রাসীরা। আহত যুবদল নেতা মাসুদ রানা বাবু সোনারগাঁও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় মাসুদ রানার বড় ভাই সানাউল্লাহ রনি বাদি হয়ে অভিযোগ করেছেন।

আহত মাসুদ রানা বাবু জানায়, জেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মাহফুজ পশ্চিম হাবিবপুর গ্রামে সোনারগাঁও থানা ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক বাবুর সাথে পারিবারিক ও মাদক ব্যবসায় বাধাসহ বিভিন্ন বিষয়ে আগে থেকেই শত্রæতা চলছিল। শনিবার সকালে কোন কিছু বুঝার আগেই মাহফুজ ও তার লালিত সন্ত্রাসী রাসেল, কমল হক ও টোকাই সজিবসহ ২০ থেকে ২৫ জনের একটি সন্ত্রাসী দল দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্র নিয়ে তার বাড়িতে গিয়ে বাবুর ওপর হামলা চালায়। সে সময় বাবুর মা ছানোয়ারা ছেলেকে বাচাতে এগিয়ে আসলে তাকেও মারধর করে। এক পর্যায় মাকে নির্যাতনের হাত থেকে বাঁচাতে বাবু নিজেই নির্যাতনের শিকার হয়।

মাসুদ রানা বাবু আরও জানান, সোনারগাঁও উপজেলার মাদকের অন্যতম গডফাদার কোরবানপুর গ্রামের সন্ত্রাসী রাসেল মাহফুজের ছত্রছায়ায় মাদকের ব্যবসা চালিয়ে আসছে। মাদক ব্যবসায় বাঁধা দেয়াকে কেন্দ্র করেই মুলত তার সাথে বিরোধের সৃষ্টি রাসেল ও মাহফুজের। 

সোনারগাঁও থানার ওসি মোহাম্মদ হাফিজুর রহমান বলেন, হামলা ভাংচুরের ঘটনায় অভিযোগ গ্রহণ করা হয়েছে। ঘটনাটি তদন্তের পর দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।



সোনারগাঁও দর্পণ :

গোলাম রাব্বানি নামে নামধারী এক সাংবাদিকের মরদেহ উদ্ধার করেছে সোনারগাঁও থানা পুলিশ। বৃহস্পতিবার সকালে সোনারগাঁও পৌরসভার ঐতিহাসিক খাসনগর দিঘিরপাড় এলাকার দিঘিতে ভাসমান অবস্থায় তার মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।

সোনারগাঁও থানা পুলিশ জানায়, পৌরসভার দিঘিরপাড় এলাকার দিঘিতে একটি লাশ ভাসতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে জিন্সের প্যান্ট ও গেঞ্জি পরা ভাসমান অবস্থায় লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্যে জেলা হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। 

পুলিশ আরও জানায় মৃতের গলায় ‘দৈনিক মাতৃজগত’ নামে একটি পত্রিকার কার্ড পাওয়া গেছে। যেখানে তার পদবি স্টাফ রির্পোটার হিসেবে উল্লেখ করা আছে। সে খাস নগর দিঘিরপাড় গ্রামের রতন মিয়ার ভাড়াটিয়া বলেও জানায় পুলিশ।


এদিকে, রাব্বানীর স্ত্রী আঁখি জানান, পিয়াল বা পায়েল নামে এক যুবক তার স্বামীকে গত মঙ্গলবার রাতে ডেকে নিয়ে যায়। এরপর থেকে মুলত সে নিখোঁজ ছিল। তার স্বামী রাব্বানি পিয়াল বা পায়েলসহ স্থানীয় কিছু মাদক ব্যবসায়ী ও সন্ত্রাসী ছেলেদের সাথে মাদক ব্যবসার পাশাপাশি মাদক সেবনও করতো। 

সোনারগাঁও থানার ওসি হাফিজুর রহমান জানান, দিঘিরপাড় এলাকার দিঘি থেকে যে যুবকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে সেটা ময়না তদন্তের জন্যে জেলা হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এখনো কেউ কোন অভিযোগ করেনি। তদন্ত রিপোর্ট এলে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। 


 



সোনারগাঁও দর্পণ :

সম্প্রতি সোনারগাঁওয়ে আলোচিত শিশু হুমায়রা (৭)’র ভাই সজিবকে ফাঁসাতেই শিশু হুমায়রাকে হত্যা করা হয়। র‌্যাব-১১’র সদস্যদের হাতে সোমবার মুন্সিগঞ্জ থেকে গ্রেফতার হওয়া উদয় ও শুক্কুর আলীকে জিজ্ঞাসাবাদের পর এ তথ্য জানান র‌্যাব-১১ এর সিপিসি ১ এর কোম্পানি কমান্ডার স্কোয়াড্রন লিডার এ কে এম মুনিরুল আলম। 



এরআগে, আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে সোমবার মুন্সীগঞ্জ সদর থানার দক্ষিণ কেওয়ার এলাকা হতে মামলার প্রধান আসামী পিরোজপুর ইউনিয়নের চেংগাকান্দি এলাকার মৃত হাসন আলীর ছেলে শুক্কুর আলী (৫০) ও শুক্কুর আলীর ছেলে সেলিম মিয়া ওরফে উদয়(২২)’কে গ্রেফতার করে র‌্যাব-১১’র সদস্যরা। 

র‌্যাব-১১ থেকে পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তি থেকে জানাগেছে, নিহত হুমায়রার ভাই সজীবের সাথে সজিবের ভায়রা আসামী সেলিম মিয়া ওরফে উদয় (আসামী মোছাঃ বৈশাখী আক্তারের ভগ্নিপতি) এর বিরোধ চলছিল। ওই বিরোধের জের ধরে সেলিম সজিবের প্রতি প্রতিশোধ পরায়ণ হয়ে হুমায়রাকে হত্যার পরিকল্পনা করে ঘাতকেরা। পরিকল্পনায় সেলিম তার  শ্যালিকা ও হুমায়রার ভাবি বৈশাখীকে ট্রামকার্ড হিসেবে ব্যবহার করে। অপরদিকে, বৈশাখীর সাথে তার শশুরবাড়ীর লোকজনের পারিবারিক সম্পর্কের অবনতি হওয়ায় শশুরবাড়ির লোকদের প্রতি ক্ষিপ্ত ছিল বৈশাখী। 


তাই পরিকল্পনার অংশ হিসেবে হুমায়রাকে বেড়াতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে বৈশাখী তার বোনের স্বামী আসামী সেলিমের কাছে হুমায়রাকে তুলে দিয়ে শশুরবাড়িতে গিয়ে প্রচার করে যে হুমায়রা হারিয়ে গেছে। এ ব্যাপারে সোনারগাঁও থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি বের শিশু হুমায়রার পরিবার। 

এদিকে, আসামী সেলিম তার অন্যান্য সহযোগিদের নিয়ে শিশু হুমাইরাকে হত্যা করে লাশ মাটিতে পুতে রাখে। 

পরে নিখোঁজের দুইদিন পর তার লাশ সোনারগাঁও থানার পিরোজপুর ইউনিয়নের বড় নয়াগাঁও এলাকায় একটি বে-সরকারি প্রতিষ্ঠানের বালুর মধ্যে অর্ধেক পুঁতে রাখাবস্থায় পাওয়া যায়। পরে গত শুক্রবার নিহতের মা সেতেরা বেগম বাদী হয়ে সোনারগাঁও থানায় একটি হত্যা মামলা করে। যেখানে ৬ জনের নাম উল্লেখসহ আরও ৫/৬ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে। ঘটনার সাথে জড়িত থাকা সন্দেহে ঘটনার দিন নিহত হুমায়রার ভাবি বৈশাখী আক্তার ও বৈশাখীর মা মনোয়ারা বেগমকে মামলা আসামী করে আদালতে পাঠায় সোনারগাঁও থানা পুলিশ।


MKRdezign

Contact Form

Name

Email *

Message *

Powered by Blogger.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget