Halloween Costume ideas 2015
June 2022


সোনারগাঁও দর্পণ :

সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশন প্রবর্তিত মিডিয়া ফেলোশিপ পুরষ্কার-২০২২ গ্রহণ করেছেন  সোনারগাঁওয়ের বিশিষ্ট লেখক ও সাংবাদিক রবিউল হুসাইন।

বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালা ভবনের সেমিনার কক্ষে আনুষ্ঠানিকভাবে পুরষ্কার বাবদ এক লাখ টাকা ও সনদ প্রদান করেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আবুল মনসুর প্রধান। 

রবিউল হুসাইন সোনারগাঁও দর্পণকে জানান, লোক ও কারুশিল্পের বিভিন্ন উপাদানের উপর নিবন্ধ ও ফিচার লেখার নৈপুণ্যতার জন্য এ পুরস্কার দেয়া হয়। তিনি জানান, প্রিন্ট মিডিয়া ক্যাটাগরিতে রবিউল হুসাইন এবং ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া ক্যাটাগরিতে পুরষ্কার পেয়েছেন বেসরকারি স্যাটেলাইট চ্যানেল ডিবিসি নিউজের প্রতিবেদক তাহমিনা সাদেক। এরআগে, বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে বুধবার পুরষ্কার প্রাপ্তদের নামের তালিকা প্রকাশ করা হয়। 

বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশনের পরিচালক ড. আহমেদ উল্লাহর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক নিসার হোসেন। এছাড়ও বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক মো. রবিউল ইসলাম, ডিসপ্লে কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ প্রমূখ।

উল্লেখ্য, রবিউল হুসাইন দৈনিক দেশ রূপান্তর পত্রিকার  সোনারগাঁও প্রতিনিধি ও সোনারগাঁও প্রেস ক্লাবের যুগ্ম সম্পাদক হিসেবে কাজ করছেন। এছাড়া তিনি সোনারগাঁও সাহিত্য নিকেতনের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বের পাশাপাশি ‘চারদিক’ নামে একটি গবেষণাধর্মী সাময়িকীর সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন। 

সাংবাদিক রবিউল হুসাইন সোনারগাঁও পৌরসভার চৌদানা গ্রামের আব্দুল আউয়াল মোল্লার বড় সন্তান। রবিউল হুসাইনের বাবা কারুশিল্পে বিশেষ অবদানের জন্য একাধিকবার জাতীয় পুরস্কার অর্জনের পাশাপাশি ২০০৪ সালে এশিয়া এশিয়ার কারুশিল্প সম্মেলনে অংশ নিতে বাংলাদেশের কারুশিল্প প্রতিনিধি হিসেবে মালয়েশিয়া সফর করেন। এছাড়া তার ছোট ভাই রফিকুল ইসলাম বিসিক থেকে কারুশিল্পে বিশেষ অবদানের জন্য ‘কারুগৌরব’ পুরস্কারে ভ‚ষিত হওয়ার পাশাপাশি চীন, উজবেকিস্তান ও ভারতের নয়া দিল্লীতে কারুশিল্প প্রদর্শনীতে সরকারের উদ্যোগে অংশ গ্রহণ করেন।  



সোনারগাঁও দর্পণ :

আওয়ামী লীগের অন্যতম সংগঠক, প্রয়াত এমসিএ এডভোকেট সাজেদ আলী মিয়া, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সোনারগাঁও আসনের সাবেক সাংসদ প্রয়াত মোবারক হোসেন এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি প্রয়াত আবুল হাসনাতসহ সোনারগাঁওয়ের জ্যেষ্ঠ নেতাদের নিয়ে ভবিষ্যতে কোন রকম কটাক্ষ করলে জিহ্বা টেনে ছিড়ে ফেলার হুমকী দিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও সোনারগাঁও উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাহঝুজুর রহমান কালাম।

মঙ্গলবার বিকালে মোগরাপাড়া ইউনিয়নের ৭ নম্বার ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের কর্মী সভায় বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলার সময় তিনি এ হুশিয়ারী দেন।

মোগরাপাড়া ইউনিয়নকে স্থানীয় রাজনীতির রাজধানী আখ্যায়িত করে কালাম বলেন, যারা সমাজে ডাষ্ট তাদের বিষয়ে কথা বলা বা তারা কি বলল তা দেখার কোন ইচ্ছা নাই কিন্তু গত ১৫ জুন মোগরাপাড়া ইউনিয়নে নির্বাচন হয়েছে। নির্বাচনে বা নির্বাচনের আগে কে কি করেছে, কে কি বলেছে সেটাও তার দেখার বিষয় নয় জানিয়ে কালাম তার কষ্টের কথা জানাতে গিয়ে বলেন, যারা আজকে উপজেলা আওয়ামী লীগের হাইব্রীট, সুযোগ সন্ধানী, যাদেরকে কেউ কোন দিন সোনারগাঁও আওয়ামী লীগে দেখে নাই। এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বহিরাগত ওই তথাকথিত আওয়ামী লীগ নেতারা এসে, যখন ২৭ বছর আগে, এডভোকেট সাজেদ আলী মিয়া মারা গিয়েছেন, যাকে আমরা সোনারগাঁওবাসী দেবতাতুল্য মনে করি, যে সাজেদ আলী মিয়া সোনারগাঁওয়ে আলোক বর্তিকা দিয়ে গেছেন, স্কুল-কলেজ দিয়ে গেছেন, সেই সাজেদ আলী মিয়াকে যখন অকথ্য ভাষায় কথা বলে, মোক্তার সাহেবকে নিয়ে যখন অকাট্য কথা বলে, তখন কিন্তু আমরা কষ্ট পাই। 

এ সকল আচরণ আওয়ামী রাজনীতির জন্য একটা ভয়ঙ্কর উল্লেখ করে কালাম আরো বলেন, সাজেদ আলী মিয়া ২৭ বছর আগে মারা যাওয়ার পর তার সম্পর্কে একজন মানুষও কোন কটু কথা বলার সাহস পায়নি। ২৬ বছর আগে মোবারক হোসেন মারা গিয়েছেন, তার সম্পর্কেও কেউ কোন কটু কথা বলতে পারেনি। আর ৭৫ পরবর্তীতে সোনারগাঁও আওয়ামী লীগের প্রাণ সঞ্চার ছিল আবুল হাসনাত। আজ সেই আবুল হাসনাতকে নিয়েও তারা কথা বলে, এটা কিসের গন্ধ ? এটা ষড়যন্ত্র। এটা সোনারগাঁও আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র। মোগরাপাড়াবাসী হিসেবে এটা আমাদের গাঁয়ে লাগে। এটাকে ষড়যন্ত্র হিসেবে আখ্যায়িত করেন তিনি। 

কালাম বলেন, আওয়ামী লীগের দুঃসময়ে কাউকে পাওয়া যায়না। কেউ থাকেনা। আমরা যদি রাজ পথে না যাই, আন্দোলনে না নামি, তাহলে সোনারগাঁও এমন কোন মায়ের সন্তান নাই ওই সরকার বিরোধী আন্দোলন করার। যার প্রমাণ হিসেবে স্বৈরাচার এরশাদ সরকার ও বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের কথা তুলে ধরেন তিনি।

কালাম বলেন, আমরা জাতীয় স্বার্থে ছাড় দিয়েছি। ৮৫ হাজার ভোট বেশি পেয়ে নির্বাচনে জয়ী হয়েও আমরা দুই বার ছাড় দিয়েছি, শুধু জাতীয় স্বার্থের কথা বিবেচনা করে। তার মানে এই না যে আমরা সকল ক্ষেত্রেই আপনাদেরকে ছাড় দিব। আপনারা রাজনীতি করবেন বিএনপি আর জাতীয় পার্টির সাথে। আর আমাদেরকে বলবেন আমরা আওয়ামী লীগের কিছু না। আমরা কিছু না কি সেটার শিক্ষা, সেটার জবাব আমরা আগামীতে ইনশাল্লাহ দিয়ে দিব। এখন আওয়ামী লীগের তমতমি অবস্থা দেখে উড়ে এসে জুড়ে বসতে চান।


এ সময় গত ইউপি নির্বাচন উপলক্ষে সোনারগাঁও আসা ওই সকল বহিরাগত নেতাদের উদ্দেশ্যে কালাম দ্বের্থহীন ভাষায় হুশিয়ারি দিয়ে বলেন, নির্বাচন ছিল বলে কিছু বলি নাই। কিন্তু ভবিষ্যতে সোনারগাঁও আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতাদের নিয়ে যদি কেউ কোন দিন কোনরকম বাঁজে কথা বলে, তাহলে তার জিহ্বা টেনে ছিড়ে ফেলবেন বলে জানান তিনি।   

কর্মীসভায় উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহবায়ক ও সাবেক সাংসদ আব্দুল্লাহ আল কায়সার প্রধান অতিথি ছিলেন। এছাড়া অন্যান্যদের মধ্যে জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান কালাম, উপজেলা আওয়ামী লীগের আহবায়ক কমিটির সদস্য আশরাফুজ্জামান জামান, জেলা পরিষদের সদস্য ও উপজেলা আওয়ামী লীগ আহবায়ক কমিটির সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান মাসুম, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ও উপজেলা আওয়ামী লীগ আহবায়ক কমিটির সদস্য রফিকুল ইসলাম নান্নু, মোগরাপাড়া ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি ও সদ্য অনুষ্ঠিত ইউপি নির্বাচনে  মোগরাপাড়া ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য আবুল কালাম প্রধান, ১ নম্বর ওয়ার্ড থেকে তিন তিনবার নির্বাচিত সদস্য এবং প্যানেল চেয়ারম্যান -১ শিপন সরকারসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।  



সোনারগাঁও দর্পণ :

জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও সোনারগাঁও উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান কালাম বলেছেন, তিনি সব সময়ই আওয়ামী লীগের ছিলেন, আছেন এবং থাকবেন। তিনি কখনোই দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে যাননি। আর কখনো যাবেনও না। এছাড়া দলও তাকে কখনোই বহিস্কার করেনি। সম্প্রতি (৬ মে ২০২২ ইং মধ্যরাত) সোনারগাঁও দর্পণ’র সাথে সোনারগাঁও উপজেলা আওয়ামী রাজনীতির বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করতে গিয়ে তিনি এমন দাবি করেন। 


তৃণমুল থেকে ওঠে আসা সোনারগাঁও আওয়ামী লীগের বর্ষিয়ান এ নেতা বলেন, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আমার স্বতন্ত্র প্রার্থীতাকে অনেকে দলীয় সিদ্ধান্তের বিরোধীতা করেছি আখ্যায়িত করে আমার প্রতি দলীয় সিন্ধান্তের বিরোধী হিসেবে জাহির করার চেষ্টা করেছেন। এ ব্যাপারে দলের কেন্দ্রেও আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে। দল আমাকে ক্লোজড কেেরছ। আমাকে কেন্দ্রে ডাকা হয়েছে, আমি জবাব দিয়েছি। কেন্দ্র আমার জবাবে সন্তুষ্ট হয়ে আমাকে ক্ষমা করেছেন। আমি এখনও জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য।

কালাম বলেন, আসলে রাজনীতিতে পক্ষ-বিপক্ষ থাকবে এটা স্বাভাবিক। আমি কখনোই ব্যক্তিগতভাবে দ্ব›েদ্ব জড়াইনি। অনেকের সাথে আমার রাজনৈতিক মতপার্থক্য বা রাজনৈতিকভাবে দ্ব›দ্ব থাকতে পারে কিন্তু ব্যক্তিগতভাবে কারো সাথে আমার কোন দ্ব›দ্ব আছে একথা কেউ বলতে পারবেনা।

প্রয়াত মোশারফ হোসেনের সাথে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে নৌকার বিপক্ষে প্রার্থী হওয়া কি দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে যাওয়া নয় ? এমন প্রশ্নের জবাবে কালাম বলেন, আমি মোশারফ ভাইকে সব সময়ই শ্রদ্ধা-সম্মান করতাম। আমাকে তিনি কখনোই কেন জানি রাজনীতিতে মেনে নিতে পারেননি। তিনি আমাকে তার পরিবার বিরোধী মনে করতেন। আর আমি যখন প্রয়াত আবুল হাসনাত সাহেবের অন্তিম ইচ্ছা পূরণ করতে গিয়ে আব্দুল্লাহ আল কায়সারকে প্রকাশ্য রাজনীতিতে নিয়ে আসলাম। তাকে বিভিন্ন সভা-সমাবেশে বক্তৃতা থেকে শুরু করে কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে পরিচিত করতে শুরু করলাম, তারপর থেকে একমাত্র কায়সার ছাড়া তার পরিবারের সদস্যতো বটেই, তার বাড়িতে যে কুকুর ছিল সেও আমার বিরোধীতা শুরু করে।


এ সময় মাহফুজুর রহমান কালাম তার ছাত্র জীবনে আওয়ামী রাজনীতি জড়ানো থেকে শুরু করে অদ্যবদি দীর্ঘ ৩৫ বছরের রাজনৈতিক জীবনের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা উল্লেখ করে আক্ষেপের সাথে সোনারগাঁও দর্পণ’কে বলেন, মোশারফ ভাই আমাকে সবসময় যেখানেই দেখতেন আমার মৃত বাবাকে তুলে আমাকে বকাঝকা করতেন। আমাকে সকলের সামনে হেয় করার চেষ্টা করতেন। আমার মা’কে গালাগাল করতেন। আমি এগুলো রাজনৈতিকভাবেই মোকাবিলা করেছি। কিন্তু আমি যখন প্রথম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থী হই তিনি তখন মোগরাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান। তিনি কি করলেন, ইউপি চেয়ারম্যান থেকে পদত্যাগ করে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নির্বাচনে প্রার্থী হলেন। আমরা দু’জনেই দলীয় মনোনয়ন চাই। দল তখন তৃণমুলের ওপর ছেড়ে দিয়ে নির্বাচন করতে বললেন। কায়সার তখন নতুন এমপি। আমার দুঃখ লাগে, আমি যাকে তার পিতার শেষ ইচ্ছা পূরণ করতে গিয়ে তার পরিবারের সবার কাছে খারাপ হয়েছি তিনি আমাকে সমর্থন না দিয়ে পরিবারের সদস্যকে সমর্থন দিয়েছেন। চাচার পাশে ছিলেন। তিনি রাজনীতিতে আসায় যে চাচা এবং যে পরিবারের প্রতিটি সদস্য তার বিরোধীতা করেছে সে পরিবার আর পরিবারের সদস্যরা তার কাছের মানুষ হয়ে যায়। 


সে সময় আওয়ামী লীগ আর কায়সারের জনপ্রিয়তা তুঙ্গে। কায়সার তার চাচাকে মৌনভাবে সমর্থন দেয়ায় আমি পরাজিত হই। পরবর্তীতে তিনি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর আমার প্রতি তার ক্রোধ আরও বেড়ে যায়। তিনি যেখানেই আমাকে দেখতেন, সেখানেই তিনি আমাকে আর আমার মৃত বাবাকে নিয়ে বাঁজে বাঁজে কথা বলে, আমাকে অপমাণিত করার চেষ্টা করতেন। এ সকল বিষয় বিভিন্নভাবে আমার মা’য়ের কাছে যায়। আমার যে বাবা কখনো রাজনীতি করেননি, সে বাবাকে নিয়ে যখন বকাঝকা আর খারাপ কথা বলে সে ক্ষোভ থেকেই আমার মা আমাকে পরবর্তীতে মোশারফ ভাইয়ের বিরুদ্ধে নির্বাচন করার নির্দেশ দেন। কিন্তু তখন দুর্ভাগ্যক্রমে দলের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে নির্বাচন না করার সিদ্ধান্ত আসে। আমিও আমার মায়ের কথা ফেলতে পারিনি। মায়ের আদেশ রাখতে গিয়ে মোশারফ ভাইয়ের বিরুদ্ধে প্রার্থী হই। আর এ বিষয়টি আমি দলের নীতি নির্ধারকদের বুঝাতে সক্ষম হলে জননেত্রী ও বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা আমাকে ক্ষমা করে দিয়ে আমাকে ক্লোজড করা থেকে মুক্তি দেন।

এখানে অনেকের বুঝার ভুল আছে বলে মনে করেন কালাম। তিনি বলেন, দল আমাকে ক্লোজড করেছে অর্থাৎ সাময়িকভাবে আমাকে দলীয় কাজ করতে নিষেধ করেছে। বলেনি আমাকে দল থেকে বহিস্কার করেছে। দল যখন আমাকে ডেকেছে, আমি আমার জবাব দিয়েছি তখন তারা সবকিছু শুনে-বুঝে ক্লোজড উইথড্রো করেছে। তাহলে কিভাবে আমাকে বহিস্কার করা হলো তা আমার বোধগম্য না। আসলে ক্লোজড সশব্দটিকে কিছু স্বার্থান্বেসী মহল অন্যভাবে উপস্থাপন করে রাজনীতি থেকে আমাকে চিরতরে নিশ্চিহ্ন করার চেষ্টা করেছে মাত্র। যার প্রমাণ উপজেলা আওয়ামী লীগের আহবায়ক কমিটি থেকে আমাকে বাদ দেয়া।



সোনারগাঁও দর্পণ :

আওয়ামীলীগের ৭৩তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন করেছে সোনারগাঁও উপজেলা আওয়ামী লীগ। এ উপলক্ষে সোনারগাঁও উপজেলা অডিটরিয়ামে উপজেলা আওয়ামীলীগ আয়োজিত এক আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। 


এরআগে, দিবসটি উপলক্ষে সকাল ১০টায় সোনারগাঁও উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা উপজেলা অডিটরিয়ামে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুলেল শ্রদ্ধা জানান। পাশাপাশি বঙ্গবন্ধুর পরিবারের সদস্যসহ সকল শহীদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় দোয়া করেন।

অনুষ্ঠানে উপজেলা আওয়ামী লীগের আহবায়ক এডভোকেট সামসুল ইসলাম ভ‚ইয়ার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রথম যুগ্ম আহবায়ক ও সাবেক সাংসদ কায়সার হাসনাত। এছাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের   দ্বিতীয় আহবায়ক ও পিরোজপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমান মাসুম, উপজেলা আহবায়ক কমিটির সদস্য ও সাবেক জেলা পরিষদ সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান মাসুম, আহবায়ক কমিটির সদস্য গাজী মুজিবর রহমান, আহবায়ক কমিটির সদস্য নাসরিন সুলতানা ঝরা, এডভোকেট ফজলে রাব্বি, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম নান্নুসহ উপজেলা আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।



সোনারগাঁও দর্পণ :

সোনারগাঁওয়ে আওয়ামী লীগের বর্তমান কমিটিকে স্বাধীনতা পরবর্তী সবচেয়ে দূর্বল কমিটি বলে মন্তব্য করেছেন জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান কালাম। আওয়ামীলীগের ৭৩তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে সোনারগাঁও উপজেলা অডিটরিয়ামে উপজেলা আওয়ামীলীগ আয়োজিত অনুষ্ঠানে বর্তমান উপজেলা আওয়ামী লীগের অসাংগঠনিক কর্মকান্ডে ক্ষোভ প্রকাশ করে অনুষ্ঠান ত্যাগের পর উপস্থিত সাংবাদিকদের কাছে তিনি এ মন্তব্য করেন। 



ক্ষোভের কারণ হিসেবে মাহফুজুর রহমান কালাম বলেন, মনোয়ারা চৌধুরী নামে উপজেলা আওয়ামী লীগের মহিলা সম্পাদিকা পদে এক নারীকে সম্মাননা ক্রেস্ট দেয়া হয়। অথচ তার রাজনৈতিক জীবনের দীর্ঘ ৩৫ বছরে কখনো কোন দিন এই নামে উপজেলা মহিলা সম্পাদিকা ছিলেন বলে জানেন না। 

এই মনোয়ারা চৌধুরী কোন জীবনে কোন কালে এই পদে ছিলেন এমন প্রশ্ন করে কালাম বলেন, একজন মিথ্যা ব্যক্তির নামে ক্রেস্ট হয়েছে দেখে এর প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়ে তিনি অনুষ্ঠান ত্যাগ করেন। 

কালাম বলেন, স্বাধীনতা পরবর্তী সোনারগাঁও উপজেলা আওয়ামী লীগের মোবারক হোসেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং সৈয়দ মজিবুর রহমান সাধারণ সম্পাদক হিসেবে গঠিত কমিটিতে মহিলা সম্পাদিকা হিসেবে ছিলেন সাবিকুন্নাহার পরি। 


আর আবুল হাসনাতকে সভাপতি এবং আব্দুল হাইকে সম্পাদক করে গঠিত উপজেলা আওয়ামী লীগের কমিটিতে মহিলা সম্পাদিকা ছিলেন মিসেস মমতাজ বেগম। এরআগে, সোনারগাঁও উপজেলা আওয়ামী লীগে কোন দিন কোন কালে কিছু ছিল বলে তার জানা নাই বলে জানান।

কালাম আরও বলেন, আওয়ামী লীগকে ধ্বংস করার ষড়যন্ত্র দীর্ঘ দিন যাবতই হচ্ছে। এটাও তারই একটা অংশ। এখানে তাদের মুল কমিটি ভেঙ্গে অন্যায় ও অনৈতিকভাবে একটা আহ্বায়ক কমিটি নাম দেয়া হয়েছে। যে কমিটিতে এ সংগঠন চালানোর মতো সর্বনিন্ম কোন যোগ্যতা কারোর নেই।



তিনি বলেন, তার রাজনৈতিক জীবনে কোন দিন দেখেননি, বিএনপি কোন মশাল মিছিল করে কিন্তু আজ বিএনপি চৌরাস্তায় মশাল মিছিল করে। বর্তমানে বিএনপি আওয়ামী লীগের পার্টি অফিসের সাথে জিয়াউর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী হয়। এর থেকে লজ্জার আর কি হতে পারে আওয়ামী লীগের জন্য বলেও তিনি প্রশ্ন ছুড়ে এর চেয়ে বেশি বর্তমান উপজেলা কমিটি থেকে কিছু আশা করা যায়না বলেও তিনি মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন এখন তারা যেটা করছে সেইটা শুধুমাত্র রাজাকারদের সার্টিফিকেটস দেয়ার জন্যই এই আওয়ামী লীগটা হচ্ছে বলে তার দাবি।

এরআগে, দিবসটি উপলক্ষে সকাল ১০টায় সোনারগাঁও উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা উপজেলা অডিটরিয়ামে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুলেল শ্রদ্ধা জানান। পাশাপাশি বঙ্গবন্ধুর পরিবারের সদস্যসহ সকল শহীদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় দোয়া করেন।



সোনারগাঁও দর্পণ :

ঘরের প্রয়োজনীয় তৈজষপত্র বন্ধক রেখে স্বামীকে জুয়া খেলতে বাঁধা দেয়ায় স্ত্রীকে শারীরিক নির্যাতন করেছে জুয়ারি স্বামী। স্বামীর শারীরিক নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে কীটনাশক পানে আত্মহত্যা করেছে দুই সন্তানের জননী রেহেনা আক্তার (৩৬) নামে এক নারী। সোনারগাঁও পৌরসভার সাহাপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। 



স্থানীয় সূত্র জানায়, কুমিল্লা জেলার লালমাই উপজেলার জগতপুর গ্রামের রেহেনা আক্তার তার স্বামী আর দুই সন্তানের সাথে ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন। ওই মহিলার স্বামী পেশায় দিনমজুর হলেও জুয়া খেলার অভ্যাস ছিল। এ নিয়ে প্রায়ই তাদের সংসারে ঝগড়া লেগেই থাকতো। গত সোমবার ওই নারীর স্বামী ঘরের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র বন্ধক রেখে জুয়া খেলতে যাওয়ার সময় রেহেনা বাঁধা দিলে তাদের মধ্যে আবাও ঝগড়া হয়। এ সময় রেহেনাকে বেধরক শারীরিক নির্যাতন করে তার স্বামী। পরে রাত আনুমানিক ১২টার দিকে রেহেনা ঘরে থাকা কীটনাশক পান করে। বিষয়টি টের পেয়ে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে চিকিৎধীন অবস্থায় ভোরে মৃত্যু হয়। ঘটনার পর থেকে স্বামী আত্মগোপন করে আছে বলেও সূত্র জানায়। 



সোনারগাঁও দর্পণ :

নারায়ণগঞ্জে স্বপ্নের পদ্মা সেতুর জন্ম হয়েছে। জানাগেছে,  এক নারী একই সাথে তিন সন্তানের জন্ম দিয়েছেন। তিন সন্তানের মধ্যে একজন পুত্র ও দুই জন কন্যা। এই খুশিতে  ছেলের নাম রেখেছেন স্বপ্ন। আর দুই মেয়ের মধ্যে একজনের নাম পদ্মা এবং অপরজনের নামে সেতু রেখেছেন। রোববার (১৯ জুন) বিকেলে ওই তিন সন্তানদের বাবা আশরাফুল ইসলাম অপু এ তথ্য নিশ্চিত করেন। 



এর আগে শনিবার (১৮ জুন) নারায়ণগঞ্জ শহরের হেলথ রিসোর্ট হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে একসাথে এক ছেলে ও দুই মেয়ের হয়। বর্তমানে মা ও সন্তানরা সুস্থ আছেন। তিন নবজাতকের মা হলেন, নারায়ণগঞ্জের বন্দরের নবীগঞ্জ এলাকার আশরাফুল ইসলাম অপুর স্ত্রী অ্যানি বেগম।

জানা গেছে, শনিবার (১৮ জুন) আশরাফুল-অ্যানি দম্পতি ছেলের নাম রেখেছেন ‘স্বপ্ন’। আর দুই মেয়ের নাম রেখেছেন ‘পদ্মা’ ও ‘সেতু’, যা একসঙ্গে হয় স্বপ্নের পদ্মা সেতু।

আশরাফুল ইসলাম অপু বলেন, পদ্মা সেতুর উদ্বোধনের মাসে আমার স্ত্রী একসঙ্গে ৩ সন্তানের জন্ম দিয়েছে। এ জন্য ডাক্তার শখ করে তাদের নাম রেখেছেন স্বপ্নের পদ্মা সেতু। আমাদের কাছেও নামটি পছন্দ হয়েছে।

হাসপাতালটির ডা. বেনজির হক পান্না বলেন, ওই নারী শুরু থেকেই তার তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন ছিলেন। পরিপূর্ণ সময় নিয়ে তিন নবজাতকের জন্ম হয়েছে। তাদের শারীরিক  কোনো সমস্যা নেই। নরমাল ডেলিভারি করা যেত। কিন্তু  রোগীর চাহিদাতেই সিজার করেছেন তিনি। 

আশরাফুল ইসলাম অপু বলেন, চলতি মাসে পদ্মা সেতু উদ্বোধন হবে। একসাথে তিন নবজাতকের জন্ম। এ কারণে এটাকে স্মরণীয় রাখার জন্যই স্বপ্নের পদ্মা সেতুর নামকরণ হিসেবে নবজাতকদের নাম রাখা হয়েছে , স্বপ্ন, পদ্মা আর সেতু। যার অর্থ দাড়ায় “স্বপ্নের পদ্মা সেতু।” তথ্য সূত্র - আরটিভি



সোনারগাঁও দর্পণ :

১ জুলাই নয়, আগামীকাল সোমবার থেকে সারাদেশে বন্ধ হচ্ছে সবধরণের দোকান, বিপণিবিতান, মার্কেট ও কাঁচাবাজার। বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সাশ্রয়ের উদ্দেশ্যে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। আজ রোববার (১৯ জুন) শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ে এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। 

এর আগে গত ১৬ জুন গত মঙ্গলবার (১৬ জুন) শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রাণালয়ের সচিব মো. আহসান কিবরিয়া সিদ্দিকী স্বাক্ষরিত ৩.০০.২৬৯০.০৮২.০৪৬.০৭৬.২০২২.০৬ নম্বর চিঠিতে এ সংক্রান্ত এক আদেশ দেয়া হয়। 

চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, বিশ্বব্যাপী জ্বালানীর অব্যাহত মূল্যবৃদ্ধিজনিত বিদ্ধমান পরিস্থিতিতে বিদ্যুৎ ও জ্বালানী সাশ্রয়ে নিমিত্ত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সানুগ্রহ নির্দেশনা প্রদান করেছেন। এ লক্ষ্যে বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ এর ১৪৪ ধারা বিধান কঠোরভাবে প্রতিপালন পূর্বক সারাদেশে রাত ৮টার পর দোকান, শপিং মল, মার্কেট, বিপনী বিতান, কাঁচাবাজারসহ ইত্যাদি খোলা না রাখার বিষয়টি যথাযথভাবে নিশ্চিত করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো। 

এই নির্দেশনার বাইরে থাকবে সিগারেট, পান-বিড়ি, বরফ, খবরের কাগজ, সাময়িকী বিক্রির দোকান এবং দোকানে বসে খাওয়ার (হালকা) নাশতা বিক্রির খুচরা দোকানসহ বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। তবে বন্ধ থাকবে মুদির দোকান।

এদিকে ক্লাব, হোটেল, রেস্তোরাঁ, খাবার দোকান, সিনেমা বা থিয়েটারের মতো জায়গাগুলো খোলা রাখার ক্ষেত্রে কোনো কঠোরতা দেওয়া হয়নি।

শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. এহছানে এলাহী জানান, তরি-তরকারি, মাংস, মাছ, দুগ্ধজাতীয় সামগ্রী, রুটি, পেস্ট্রি, মিষ্টি এবং ফুল বিক্রির দোকান, ওষুধ, অপারেশন সরঞ্জাম, ব্যান্ডেজ অথবা চিকিৎসাসংক্রান্ত প্রয়োজনীয় সামগ্রীর দোকান, দাফন ও অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া সম্পাদনের জন্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী বিক্রির দোকান, তামাক, সিগারেট, পান-বিড়ি, বরফ, খবরের কাগজ, সাময়িকি বিক্রির দোকান এবং দোকানে বসে খাওয়ার (হালকা) নাশতা বিক্রির খুচরা দোকান, খুচরা পেট্রোল বিক্রির জন্য পাম্প


এবং মেরামত কারখানা নয় এমন মোটর গাড়ির সার্ভিস স্টেশন, নাপিত এবং কেশ প্রসাধনীর দোকান, যেকোনো ময়লা নিষ্কাশন অথবা স্বাস্থ্য ব্যবস্থা, যেকোনো শিল্প, ব্যবসা বা প্রতিষ্ঠান যা জনগণকে শক্তি আলো অথবা পানি সরবরাহ করে, ক্লাব, হোটেল, রেস্তোরাঁ, খাবার দোকান, সিনেমা অথবা থিয়েটার এবং ডক, জেটি, স্টেশন অথবা বিমানবন্দর এবং পরিবহন সার্ভিস টার্মিনাল অফিস রাত ৮টার পরও খোলা রাখা যাবে। এর বাইরে সকল দোকানপাট বন্ধ থাকবে বলে জানান তিনি।



শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ানের সভাপতিত্বে সভায় ঢাকা সিটি করপোরেশন উত্তর/দক্ষিণ, এমপ্লোয়ার্স ফেডারেশন, এফবিসিসিআই, এমসিসিআই, বিজিএমইএ, বিকেএমইএ, বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতি, ঢাকা চেম্বারসহ বিভিন্ন ব্যবসায়ী মালিক সংগঠন, বাণিজ্য, বিদ্যুৎ, শিল্প মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি এবং শ্রমিক সংগঠনের প্রতিনিধিরা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।  তথ্য সূত্র - কালের কন্ঠ


সোনারগাঁও দর্পণ :

আগামী ১ জুলাই থেকে রাত ৮টার পর থেকে কোন ধরণের দোকান, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, শপিং মলসহ খোলা না রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। গত মঙ্গলবার (১৬ জুন) শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রাণালয়ের সচিব মো. আহসান কিবরিয়া সিদ্দিকী স্বাক্ষরিত ০৩.০০.২৬৯০.০৮২.০৪৬.০৭৬.২০২২.০৬ নম্বর চিঠিতে এ এমনই আদেশ দেয়া হয়। 


চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, বিশ্বব্যাপী জ্বালানীর অব্যাহত মূল্যবৃদ্ধিজনিত বিদ্ধমান পরিস্থিতিতে বিদ্যুৎ ও জ্বালানী সাশ্রয়ে নিমিত্ত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সানুগ্রহ নির্দেশনা প্রদান করেছেন। এ লক্ষ্যে বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ এর ১৪৪ ধারা বিধান কঠোরভাবে প্রতিপালন পূর্বক সারাদেশে রাত ৮টার পর দোকান, শপিং মল, মার্কেট, বিপনী বিতান, কাঁচাবাজারসহ ইত্যাদি খোলা না রাখার বিষয়টি যথাযথভাবে নিশ্চিত করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো। 


এরআগে সম্প্রতি ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিষ্টার ফজলে নুর তাপস আগামী ১ জুলাই ঢাকা শহরে রাত ৮টার পর থেকে সকল ধরণের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার ঘোষণা দেন।



ফলে আগামী ১ জুলাই থেকে রাত ৮টার পর থেকে সারাদেশে দোকান, শপিং মল, মার্কেট, বিপনী বিতান, কাঁচাবাজারসহ সকল ধরণের প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখতে নির্দেশনা আসতে পারে। যা গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জনগণকে অবহিত করা হতে পারে।



সোনারগাঁও দর্পণ :

সিএনজি’র যাত্রী এক গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে বিজয় (৩৫) নামে এক সিএনজি চালকের বিরুদ্ধে। শনিবার (১৮ জুন) সকালে উপজেলার জামপুর ইউনিয়নের মাঝেরচর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। তালতলা তদন্ত কেন্দ্র পুলিশ এ ঘটনায় মাঝেরচর পূর্বপাড়া গ্রামের রাজা মিয়ার ছেলে অভিযুক্ত সিএনজি চালক বিজয়কে আটক করেছে।


স্থানীয় সূত্র জানায়, শনিবার সকাল ৭ টার দিকে আড়াইহাজার থানার বিষ্ণন্দি ফেরিঘাট থেকে সিএনজিতে করে ধর্ষণের শিকার ওই গৃহবধূ মদনপুর যাওয়ার সময় সিএনজি চালক বিজয় মাঝেরচার এলাকায় ওই নারীকে গাড়িতে একা পেয়ে রাস্তার পাশে বাবুল মিয়ার মুরগির খামারের পাশে ঝোপে নিয়ে ধর্ষণ করে। 


খবর পেয়ে তালতলা তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ জাকির রব্বানীর তার অন্যান্য সহকর্মীদের নিয়ে অভিযান চালিয়ে দুপুরে অভিযুক্ত বিজয়কে মাঝেরচর এলাকা থেকে গ্রেফতার করে। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ। 



সোনারগাঁও দর্পণ :

রূপগঞ্জে সোনারগাঁও থানা পুলিশের উপর হামলা চালিয়ে আসামি ছিনতাইয়ের ঘটনার সাথে জড়িত ৪ আসামীকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১১ এর সদস্যরা। শুক্রবার বিভিন্ন সময় ও স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। র‌্য্যাব-১১ এর ভারপ্রাপ্ত উপ-অধিনায়ক স্কোয়াড্রন লিডার মুনিরুল আলম এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান। 


সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তিনি উল্লেখ করেন, গত ১১ জুন রূপগঞ্জের যাত্রামুড়া এলাকায় পুলিশর উপর হামলা চালিয়ে ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় সোনারগাঁও থানার উপ-পরিদর্শক ফারুক হাসান বাদী হয়ে একটি মামলা করেন। ঘটনার ছায়া তদন্ত করে ওয়ারেন্টের আসামি আমিন উদ্দিন (৪০), তার বোন রিনা বেগম (৪১), রিপন মিয়া (৩৮), আছমা (৩৮) কে গ্রেফতার করা হয়।



তিনি আরও জানান, আসামী ছিনতাইয়ের সময় পুলিশের খোয়া যাওয়া একটি ওয়াকিটকি, পুলিশের একটি আইডি কার্ড এবং আরো গুরুত্বপূর্ণ আলামত উদ্ধার করা হয়। 



সোনারগাঁও দর্পণ :

বন্দর থানা জাতীয় পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান সানাউল্লাহ সানুকে নারায়ণগঞ্জ জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি এবং  সোনারগাঁও উপজেলা জাতীয়পার্টির সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম ইকবালকে জেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক করেছে কেন্দ্রীয় জাতীয় পার্টি। শুক্রবার বিকালে বন্দরের সমরকক্ষে অনুষ্ঠিত জাতীয়পার্টির সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন জাতীয়পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের (জিএম কাদের)। 

সম্মেলনে জাতীয় পার্টির সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান ব্যারিষ্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, জাতীয় পার্টির মহাসচিব ও সংসদ সদস্য মুজিবুল হক চুন্নু, প্রেসিডিয়াম সদস্য ও নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য একেএম সেলিম ওসমান, পার্টির যুগ্ম মহাসচিব ও নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য লিয়াকত  হোসেন খোকাসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।


 


সোনারগাঁও দর্পণ :

অসুস্থ এক নাতিকে দেখতে যাওয়ার পথে রাস্তা পারাপারের সময় গাড়ির ধাক্কায় অপর এক নাতিসহ মারাগেছেন শামসুন্নাহার বেগম (৫৬) নামে এক মহিলা। শুক্রবার দুপুরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের উপজেলার কাঁচপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত নাতনির নাম আরপি আক্তার (৮)। নিহতরা নারায়ণগঞ্জ জেলার বন্দর থানার  সোনাকান্দা গ্রামের বাসীন্দা। 


নিহতের পারিবারিক সূত্র জানায়, নরসিংদীতে তার এক মেয়ে ঘরের নাতিন অসুস্থ। সেই নাতিনকে দেখতে আরেক নাতিন আরপিকে সাথে নিয়ে শামসুন্নাহার নরসিংদি যাওয়ার পথে রাস্তা পার হওয়ার সময় বাসের ধাক্কা দিলে দু’জনই গুরুতর আহত হয়। 



দুজনকেই ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক শামসুন্নাহারকে মৃত ঘোষণা করেন। আর অরপিকে হাসপাতালটির আইসিইউতে ভর্তি করে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিকালে তারও মৃত্যু হয়। 



সোনারগাঁও দর্পণ :

৮ম ধাঁপে অনুষ্ঠিত সোনারগাঁও ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে প্রিজাইটিং অফিসারকে অমানুষিক শারীরিক নির্যাতনের ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। বুধবার রাতে নির্যাতনের শিকার প্রিজাইডিং অফিসার ফখরুল ইসলাম বাদি হয়ে ঘটনার সাথে জড়িত ১৫ জনের নাম উল্লেখের পাশাপাশি অজ্ঞাত আরও ৫শ জনের বিরুদ্ধে এ মামলা করেন।



সোনারগাঁও থানা পুলিশের একটি সূত্র জানায়, মোগরপাড়া ইউপি নির্বাচনে প্রিজাইটিং অফিসারকে মারধরের ঘটনায় বুধবার রাতে বাদী মামলা করার পর বৃহস্পতিবার সকালে ঘটনার সাথে জড়িত অভিযুক্ত আল মাহবুব ও তার ভাতিজা রাজুকে নারায়ণগঞ্জ আদালতে রিমান্ড চেয়ে পাঠানো হয়েছে। 

উল্লেখ্য, ১৫ জুন উপজেলার মোগরাপাড়া ইউনিয়নের পাঁচপীর দরগা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মহিলা কেন্দ্রে প্রিজাইডিং অফিসারের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। যা পরবর্তীতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছেড়ে দিলে ভাইরাল হয় এবং অমানবিক নির্যাতনের বিরুদ্ধে বিচার চেয়ে সোচ্চার হয় সাধারণ মানুষ।



সোনারগাঁও দর্পণ :

সোনারগাঁওয়ে নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের উলুকান্দা গ্রামের আমানউল্লাহর বাড়িতে হামলা করে তার ঘরের টিন ও ঘরের আসবাবপত্র ভাঙচুর করেছে স্থানীয় সন্ত্রাসী আলালসহ তিনজন। গতকাল ১৫ জুন বিকালে নির্বাচনের পর এ ঘটনা ঘটে। 



অপরদিকে, বৃহস্পতিবার সকালে নৌকার সমর্থক মিনহাজকে ছুরিকাঘাতে আহত করেছে স্থানীয় সন্ত্রাসীরা। আহত মিনহাজকে উদ্ধার করে সোনারগাঁও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। 

স্থানীয় সূত্র জানায়, ১৫ জুন নির্বাচন শেষে ৯নং ওয়ার্ডের কাইকারটেক হাইস্কুলের পাশের গ্রাম উলুকান্দা এলাকার আমানউল্লাহর বাড়িতে দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্র নিয়ে হামলা চালায় স্থানীয় সন্ত্রাসী আলালের নেতৃত্বে ৩ জনের একটি দল। সে সময় বাড়িতে কেউ ছিলনা। পরে আশপাশের লোকজনের কাছ থেকে জানতে পারে যে, স্থানীয় পিয়ার আলীর ছেলে আলাল ও তার অপর দুই সহযোগিসহ তিনজন মিলে নৌকার সমর্থক আমানউল্লাহ বাড়িতে হামলা চালিয়ে তার বাড়ির টিন কুপিয়ে কেটে ফেলে এবং ও ঘরে থাকা আসবাবপত্র ভাঙচুর ও তছনছ করে। 

অপরদিকে, ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের ষোলপাড়া গ্রামের লিয়নের ছেলে মিনহাজের ওপর স্থানীয় সন্ত্রাসী নুরুল ইসলামের ছেলে রাজু ও তার অপর সহযোগি সাজিত ও আশিকসহ ৫/৬ জনের একটি দল হামলা করে। এ সময় তাদের হাতে থাকা ছুরি দিয়ে মিনহাজের বাম হাতে আঘাত করলে রক্তাক্ত আহত হয় সে। স্থানীয়রা আহত মিনহাজকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যায়। এ ঘটনায় পুলিশ নরুল ইসলামের ছেলে রাজুকে গ্রেফতার করেছে। 

এ ব্যাপারে স্বতন্ত্রপ্রার্থী থেকে আনারস প্রতিক নিয়ে বিজয়ী চেয়ারম্যান আরিফ মাসুদ বাবু জানান, আমার কোন সমর্থক করেছে কি-না আমি জানিনা। এছাড়া মুলত কি নিয়ে ঘটনা ঘটেছে তাও জানিনা। এটা কি নির্বাচন নিয়ে কোন ঘটনা না-কি পূর্বশত্রæতা মুলক কিছু তাও জানিনা। আমি বিজয়ী হওয়ার পর আমার কর্মী-সমর্থকদেরকে নির্দেশ দিয়েছি যেন কোন রকম ঝামেলায় না জড়ায়। এমনও হতে পারে,


 আমার সুনামকে নষ্ট করার জন্য পরিকল্পিতভাবে এ ঘটনা ঘটানো হয়েছে। সার্বিক বিষয়গুলো তদন্তের ব্যাপার। তবে, এটা বলতে পারি যদি ঘটনা সত্যি হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই খারাপ হয়েছে এবং তার বিচার হবে। 



MKRdezign

Contact Form

Name

Email *

Message *

Powered by Blogger.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget