Halloween Costume ideas 2015
December 2022


সোনারগাঁও দর্পণ :

যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস পালন করেছে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও প্রেসক্লাবের সদস্যরা। এ উপলক্ষে ১৬ ডিসেম্বর শুক্রবার সকালে প্রথম প্রহরে পৌরসভার শহীদ মজনু পার্কে অবস্থিত বিজয়স্তম্ভে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। 

পরে সোনারগাঁও প্রেসক্লাব কার্যালয়ে এক বিশেষ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ এবং মুক্তি পাগল বাঙ্গালীদের মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহণ ও তাদের আত্মত্যাগের কথা শ্রদ্ধার সাথে স্থান পায়। 

পরে প্রেস ক্লাবের সভাপতি এম এম সালাউদ্দিনের সভাপতিত্বে দেশের কল্যাণ কামনার পাশাপাশি শহীদ বীর শহিদদের আত্মার শান্তি কামণায় দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।

এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে সোনারগাঁও প্রেস ক্লাবের উপদেষ্টা মাসুদ শায়ান, সাধারণ সম্পাদক আবু বকর সিদ্দিক, সহ-সভাপতি মোক্তার হোসেন মোল্লা ও ফজলে রাব্বি সোহেল, যুগ্ম সম্পাদক রবিউল হুসাইন, দপ্তর সম্পাদক আনোয়ার হোসেন, সাংবাদিক কল্যাণ সম্পাদক সুমন মাহমবুু, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক খাইরুল ইসলাম, ক্রিড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক মাসুম মাহমুদ, সদস্য মাজহারুল ইসলাম, মনির হোসেনসহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।



সোনারগাঁও দর্পণ :

নারায়ণগঞ্জের বন্দরের মুছাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাকসুদ হোসেনের ছেলে মাহমুদুল হাসান শুভ (৩২) কে গ্রেফতার করেছে বন্দর থানা পুলিশ।  রেজিষ্ট্রেশন বিহীন মোটরসাইকেলের কাগজপত্র চাওয়ায় মদ খেয়ে গভীর রাতে টহলরত পুলিশের ওপর হামলা চালানোর অভিযোগে  বৃহস্পতিবার গভীর রাতে বন্দরের কুড়িপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এর আগে বুধবার রাতে লাঙ্গলবন্দ বাসস্ট্যান্ডে টহল ডিউটিতে থাকা কামতাল তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশের ওপর এ হামলার ঘটায় চেয়ারম্যান পুত্র শুভ ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা।

জানাগেছে, প্রতিদিনের মতো বুধবার রাত ১২ টার দিকে কামতাল তদন্ত কেন্দ্রের এএসআই শফিউল্লাহ অন‍্যান‍্য পুলিশ সদস‍্যদের নিয়ে টহল ডিউটি পুলিশের কর্তব‍্যরত অবস্থায় লাঙ্গলবন্দ বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অবস্থান নেয়। এসময়  রেজিষ্ট্রেশন বিহীন মোটরসাইকেল নিয়ে এক যুবক দ্রুতগতিতে যাওযার সময় পুলিশ তার গতিরোধ করে গাড়ির কাগজ  চায় এবং পরিচয় জানতে চান। সে সময় ওই যুবক বন্দরের মুছাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাকসুদের ছেলে শুভ'র বন্ধু পরিচয় দেয় এবং সে কোন এক বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে আসে বলে পুলিশকে জানায়। পরে পুলিশ মটরসাইকেলসহ ওই যুবককে চলে যেতে বললে যুবক চলে যায়। চলে যাওয়ার কিছুক্ষণ পর মুছাপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মাকসুদ হোসেনের ছেলে মাহমুদুল হাসান শুভ’র নেতৃত্বে ১৫-২০ জনের একটি দল পুলিশের ওপর উপর্যুপরি হামলা চালায়। এসময় পুলিশের গাড়ি চালকসহ ৫ পুলিশ সদস্য আহত হন। এঘটনায় পুলিশের এএসআই শফিউল্লাহ বাদী হয়ে বন্দর থানায় একটি মামলা করেন।

বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি আবু বকর ছিদ্দিক জানান, পুলিশের দায়িত্ব পালনে বাধা এবং পুলিশকে মারধরের ঘটনায় মামলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে মুছাপুর ইউপি চেয়ারম্যান মাকসুদের ছেলে মাহমুদুল হাসান শুভকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শুক্রবার দুপুরে তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত শুভ’র বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা সহ সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে।


সোনারগাঁও দর্পণ :

বিভিন্ন আয়োজনের মধ্য দিয়ে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস পালন করেছেন সোনারগাঁও উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। এর অংশ হিসেবে শুক্রবার ১৬ ডিসেম্বর সকালে সোনারগাঁও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শামসুল ইসলাম ভূইয়া, সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সংসদ আব্দুল্লাহ আল কায়সার হাসনাত এবং সহ-সভাপতি ও পিরোজপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মাসুদুর রহমান মাসুম এর যৌথ নেতৃত্বে বিজয় র‌্যালী বের হয়। 

র‌্যালিটিতে অংশ নেয়া নেতাকর্মীরা ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে আত্মত্যাগকারী বীর শহীদদের নিয়ে বিভিন্ন শ্লোগানে শ্লোগানে শ্রদ্ধা জানানোর পাশাপাশি শহীদ মজনু পার্কে বিজয়স্তম্ভে¢ ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। পরে বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশেনে অবস্থিত বঙ্গবন্ধুর ভাষ্কর্যে পুস্পস্তবক অর্পন করেন। পরে সোনারগাঁওয়ের  মুক্তিযোদ্ধাদের শরীরে শেখ মুজিবুর রহমান ও শেখ হাসিনার ছবি সম্বলিত লাল-সবুজের উত্তোরিয় পড়িয়ে দেন।  

এ সময় সোনারগাঁও উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও আওয়ামী লীগ এবং এর বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। 


সোনারগাঁও দর্পণ :

সোনারগাঁও উপজেলা ভুমি অফিসের কানোনগো ও সার্ভেয়ারসহ ৭ জনের নামে নারায়ণগঞ্জ চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা হয়েছে। নারায়ণগঞ্জ চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সানজিদা সারোয়ারের আদালতে প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে মসজিদের জমি ব্যক্তির নামে নামজারি করে দেয়ার অভিযোগে ৭ ডিসেম্বর এ মামলা করেন মো. আবুল কালাম নামে এক ভুক্তভোগী। মামলা নয় ৪২৩/২০২২। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে নারায়ণগঞ্জ সিআইডিকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। 

মামলার বিররণ থেকে জানা যায়, ১৯৭৮ সালে মাইজউদ্দিন নামে এক ব্যক্তি উপজেলার সনমান্দি ইউনিয়নের দড়িকান্দি জামে মসজিদের নামে  দৌলতপুর মৌজায় ১১.৫০ শতাংশ জমি দান করেন। এর পর থেকে ওই জমি মসজিদ কর্তৃপক্ষ ভোগ দখল করে আসছিল। পরে সোনাবান নামে জনৈক এক নারী এ জমির মালিকানা দাবি করে ২০১১ সালে জমিটি নিজের নামে নামজারি করেন। এ নামজারিতে  জাল দলিল, ভূয়া তথ্য ও জালিয়াতির আশ্রয় নিয়েছেন বলে দাবি করেছেন মামলার বাদি আবুল কালাম।

পরবর্তীতে এ নামজারির বিরুদ্ধে উপজেলা ভূমি অফিসে মিস কেইস করলে মিস কেইস চলমান থাকা অবস্থায় সোনাবান ওই জমি আ.খলিল নামে অপর এক ব্যক্তির কাছে বিক্রি করে দেন। মিস কেইস চলমান থাকা অবস্থায়ই খলিল ভুমি অফিসে ঘুষের বিনিময়ে ওই জমি নিজের নামে নামজারি করে নেন। 

এ ঘটনায় মসজিদের পক্ষে আবুল কালাম সোনারগাঁও ভূমি অফিস, নারায়ণগঞ্জ অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ও বিভাগীয় কমিশনার ঢাকায় রিভিউ আপিল করেও কোন প্রতিকার পাননি। 

পরে তিনি জমির মালিকানা দাবিদার সোনাবান,  মো. আউয়াল হোসেন ও আ. খলিলের নামে একটি পিটিশন মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় আরো আসামী করা হয় সোনারগাঁও উপজেলা ভূমি অফিসের কানোনগো ফারুক আলম,  সাবেক সার্ভেয়ার নূরে আলম, ওমেদার ইমরান মিয়া ও সনমান্দি ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা বিপুল চন্দ্রকে।

জমির মিস কেইস এর মামলাটির প্রতিবেদন দাখিলের জন্যও সার্ভেয়ার নূরে আলম বাদি আবুল কালামের কাছে ৫০ হাজার টাকা ঘুষ দাবি করেছেন বলে উল্লেখ করা হয়েছে মামলার বিবরণীতে।

মামলার বিবরনীতে বলা হয় ভুমি অফিসের উক্ত কর্মকর্তারা ঘুষের বিনিময়ে অবৈধ প্রক্রিয়ায় সহয়োগিতা করে জাল দলিল সৃজন করে জালিয়াতির মাধ্যমে মসজিদের জমি ব্যক্তি নামে নামজারি করে দিয়েছেন।

জাল দলিলের বিষয়টি সন্দেহ হলে দলিলের নাম্বার অনুয়ায়ি তল্লাশী করে আবুল কালাম জালিয়াতির বিষয়টি পুরোপুরি নিশ্চিত হন। এতে দেখা যায় এ দলিল নারায়ণগঞ্জ জেলার ফতুল্লা উপজেলার মাসদাইর মৌজার। উল্লেখিত জমির নয়। 

এ ব্যাপারে মামলার বাদী আবুল কালাম বলেন, মসজিদের নামে দানকৃত জমিটি ভূয়া কাগজপত্র দিয়ে ব্যক্তি নামে নামজারি করে নিয়ে গেছেন সোনাবান নামে জনৈক এক নারী। এতে ভূমি অফিসের বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা-কর্মচারী জড়িত। তাই তাদের বিরুদ্ধে আদালতে পিটিশন মামলা দায়ের করেছি।

সোনারগাঁও উপজেলা ভূমি অফিসের কানোনগো ফারুক আলম এ বিষয়ে কিছুই জানেন না এবং নামজারি কিংবা মিস কেইসের কাজের সাথেও জড়িত নন বলে দাবি করেন।


সোনারগাঁও দর্পণ :

সোনারগাঁও বিএনপি ও এর বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের ১১৯ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দিয়েছে পুলিশ। কেন্দ্রীয় বিএনপি’র নির্বাহী সদস্য ও সোনারগাঁও উপজেলা বিএনপির সভাপতি আজহারুল ইসলাম মান্নানকে প্রধান আসামী করে ৩৯ নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করে নাশকতার অভিযোগে সোনারগাঁও থানার এসআই আব্দুল কাদের ভূইয়া বাদী হয়ে মঙ্গলবার মামলাটি করেন। মামলায় অজ্ঞাত আসামী হিসেবে ৮০ জনকে রাখা হয়েছে।

থানা সূত্রে জানাগেছে যে মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, গত ৪ ডিসেম্বর রাতে উপজেলার আওতাধীন ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মোগরাপাড়া ইউনিয়নের ছোট সাদিপুর এলাকায় বিএনপি জামায়াতের ৭০-৮০ জন নেতাকর্মী লোহার রড, হকিস্টিক, মশাল, লাঠি ও দেশীয় অস্ত্রসস্ত্রে সজ্জিত হয়ে শ্লোগান দিয়ে মহাসড়কে টায়ার জ্বালিয়ে আগুন ধরিয়ে দিয়ে ৩/৪ টি গাড়ি ভাঙচুর করে। এ সময় তারা মহাসড়কে ককটেল বিষ্ফোরণ ঘটায়। ফলে জনমনে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে নেতাকর্মীরা সটকে পরে। এ সময় মহাসড়কের বিভিন্নস্থান থেকে লাল কসটেপে মোড়ানো বিস্ফোরিত ৪টি ককটেলের অংশ বিশেষ, ২ টি পোড়া টায়ারের অংশ, মশাল মিছিলে ব্যবহৃত ৭টি পোড়া লাঠি, ৮ টুকরা ভাঙ্গা কাঁচ উদ্ধারপূর্বক জব্দ করে।

সূত্রটি আরও জানায়, মামলায় কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সোনারগাঁও থানা বিএনপি’র সভাপতি আজহারুল ইসলাম মান্নান ছাড়াও উপজেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক মোশারফ হোসেন, সোনারগাঁও পৌরসভা বিএনপি’র সভাপতি শাহজাহান মিয়া ওরফে শাহজাহান মেম্বার, পৌরসভা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক মোতালেব কমিশনার, সোনারগাঁও থানা যুবদলের আহবায়ক শহিদুর রহমান স্বপন, উপজেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক আশরাফ উদ্দিন ভুঁইয়া, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক সালাহউদ্দিন সালু, জেলা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও আজহারুল ইসলাম মান্নানের ছেলে খাইরুল ইসলাম সজীব, সোনারগাঁও থানা ছাত্রদলের সভাপতি জাকারিয়া ভুঁইয়া, সোনারগাঁও পৌরসভা ছাত্রদলের সভাপতি ফরহাদ সিকদার, সদস্য সচিব তানভীর, বিএনপি নেতা মামুন, আমিনুল ইসলাম, সফি মেম্বার, নূরে ইয়ামিন নোবেল, সোহেল, মোক্তার হোসেন, আবুল হোসেন, মনির হোসেন, আমিনুল ইসলাম, আফজাল হোসেন, মুছা মিয়া, আজিজুল্লাহ, শহিদ সরকার, সানোয়ার হোসেন, রউফ প্রধান, শরিফ, কবির, কামাল হোসেন, লাতিফ, নেহাল উদ্দিন, মোকলেছ, শাহআলম, তাজুল ইসলাম সরকার, আব্দুর রউফ, জয়নাল, আওলাদ, ফারুক ও জালালের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।

মাধবদী নরসিংদী প্রতিনিধি: মাত্র ১০ বছরেই থেমে গেলো দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রী শিশু মাইশার জীবন। মাইশা নরসিংদীর মাধবদী কুড়েরপাড়
গ্রামের জামিয়া ক্বওমিয়া মহিলা মাদরাসার দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রী । তার পিতা  মাধবদী ভগীরথপুর গ্রামের মোঃ নেছারউদ্দিন। মাদরাসা কর্তৃপক্ষের দাবি গতকাল ১ ডিসেম্বর বিকালে মাদরাসার বাথরুম থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করে শিশু মাইশাকে নরসিংদী সদর হাসপাতালে নিয়ে যায় শিক্ষকরা। অন্যদিকে শিশু মাইশার পরিবারের দাবি মাইশাকে হত্যা করে তারপর ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। তারা মাইশার শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলে জানান।


জামিয়া ক্বওমিয়া মহিলা মাদরাসার মুহতামীম মুফতি আসানউল্লাহ বলেন আসরের নামাজে সময় ছাত্রীরা এস্তেঞ্জা করতে গিয়ে মাইশা ঝুলন্ত অবস্থায় দেখে দৌড়াদৌড়ি শুরু করে। আমাকে মাদরাসার হুজুর ও খাদেম ঘটনা বললে আমরা গিয়ে দেখি এই অবস্থা। পরে আমরা উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাই। পাসপাতালে নিলে হাসপাতালের কর্তব্যরত ডাক্তার মাইশাকে  মৃত বলে ঘোষনা করে। 


মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা সামছুল আলম বকুল কাছে ঘটনা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমি সেখেরচর হাটে ছিলাম। শিক্ষকরা আমাকে ফোন দিয়ে জানায় একজন ছাত্র কে মাদরাসার বাথরুমে  ঝুলন্ত অবস্থায় পায়। পরে তারা হাসপাতালে নিয়ে যায় ও মেয়েটির মৃত্যু হয়। তবে ঘটনাটি কিভাবে ঘটনা আমরা বলতে পারছিনা।


ঘটনা সম্পর্কে শিশু মাইশার চাচা মাওলানা মোছলেহ উদ্দিন জানান মাইশার বাবা নেছারউদ্দিন সকালে মেয়েকে মাদরাসায় গিয়ে নাস্তা করিয়ে রেখে আসে। পরে দুপুরে পারিবারিক একটি দাওয়াতে মাইশার পরিবারসহ আমরা আত্মীয়র বাড়িতে যাই। সেখানে বিকাল ৪টার দিকে মাদরাসার হুজুরদের ফোন  করে জানানো হয় আপনার মেয়ে অসুস্থ। তাকে আমরা নরসিংদী সদর হাসপাতালে নিয়ে আসছি আপনারা আসেন। পরে আমার পরিবারের লোকজন হাসপাতালে গিয়ে দেখতে পায় মাইশা মৃত। কর্তব্যরত ডাক্তাররা জানায় মাইশাকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।  মাইশার চাচা আরো বলেন নিহতের শরীরে বিভিন্ন অঙ্গে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ১০ বছরের শিশু বাচ্চা কিভাবে ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যা করতে পারে? নিশ্চয় তাকে হত্যা করা হয়েছে।

মাইশার ফুফা আইনুল হক জানান আমরা খবর পেয়ে হাসপাতালে গিয়ে মাইশার শরীরের বিভিন্ন অংশে জখম দেখতে পাই। দেখেই বুঝা যায় এটা একটি হত্যা। আমরা এই হত্যাকান্ডের বিচার চাই।

নিহত মাইশার মা বলেন আমার মেয়েকে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে। তার সারা শরীরে মাইরের চিহ্ন রয়েছে। আমি খুনের বিচার চাই। মাদরাসার হুজুরই এই ঘটনার সাথে জড়িত। আমি এই হত্যাকান্ডের বিচার চাই।

নিহতের বাবা নেছার উদ্দিনও তার মেয়ের হত্যাকান্ডের বিচার দাবি করেছেন।

রাতে নরসিংদীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(সদর সার্কেল) কে এম শহিদুল ইসলাম সোহাগ ও মাধবদী থানার অফিসার ইনচার্জ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

ঘটনা সম্পর্কে মাধবদী থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ রকিবুজ্জামান মোবাইল ফোনে জানান আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিদর্শণ করেছি। এখন তদন্ত রিপোর্ট আসার পর প্রকৃত ঘটনা বলা যাবে।

সরেজমিন ঘুরে দেখা গেলো ৭ ফুট উচু পাইপে উরনা ও গামছা বাঁধ দিয়ে ফাঁসি নেওয়ার কথা বলা হচ্ছে। প্রায় ৩ ফুটের শিশু ৭ ফুট উচু পাইপে বাঁধ দিল কিভাবে আর নিজে নিজে ফাঁসি নিল কিভাবে জনমনে প্রশ্ন।

উল্লেখযোগ্য যে গত কিছু দিন পূর্বেও একই মাদরাসায় একই অবস্থায়  আরেকজন ছাত্রীর ঝুলন্ত লাশ পাওয়া যায়। 


সোনারগাঁও দর্পণ :

আগামী ২৩ জানুয়ারী মেঘনা গ্রুপের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান ইউনিডেব (বিডি) লিঃ এর অবৈধ দখলে রাখা স্থানীয় আব্দুল আজিজের ২৭০ শতাংশ জমি উচ্ছেদাদেশ দিয়েছেন আদালত। দীর্ঘ ২২ বছর নিন্ম আদালত, হাইকোর্ট, সুপ্রিম কোট এবং পরবর্তীতে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে মামলা পরিচালিত হওয়ার পর চলতি মাসের ২৮ নভেম্বের নারায়ণগঞ্জ বিজ্ঞ যুগ্ম জেলা জজ, ২য় আদালতের বিচারক কাজী ইয়াসিন হাবিব এ আদেশ দেন। 

আদেশেনামা অনুযায়ী, নারায়ণগঞ্জ বিজ্ঞ যুগ্ম জেলা জজ, ২য় আদালতের চলতি মাসের ১০ নভেম্বর ৭২ নং আদেশে ও ১৭ নভেম্বর ৭৪ নং আদেশে মেঘনা গ্রæপের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান ইউনিডেব (বিডি) লিঃ এর অবৈধ দখলে রাখা ২৭০ শতাংশ জমি উচ্ছেদে বিভিন্ন রাহা খরচ প্রদান করেন জমির মালিক আবদুল আজিজ। পরে গত ২৮ নভেম্বর উচ্ছেদাদেশের জন্যে দিন ধার্য্য থাকলেও প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে কার্যক্রম স্থগিতাদেশ চান প্রতিষ্ঠানটির আইনজীবি। কিন্তু তাদের এ আবেদন আইনসম্মত না হওয়ায় আদালত তা নামঞ্জুর করে গত ২৮ নভেম্বর আগামী ২৩ জানুয়ারী দখলী পরওয়ানা ইস্যু করার জন্যে আদেশ দেন। 

উল্লেখ্য, ২০০১ সালে মেঘনা গ্রæপ অব ইন্ডাষ্ট্রিজ লিঃ নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও উপজেলার পিরোজপুর ইউনয়িনে তাদের প্রতিষ্ঠানের জন্যে জমি ক্রয় করার সময় একই ইউনিয়নের ছয়হিস্যা গ্রামের মৃত আফির উদ্দিনের ছেলে আবদুল আজিজের ২ একর ৭০ শতক (২৭০ শতাংশ) জমি ক্রয় না করে অবৈধভাবে জোর পূর্বক বালু ফেলে দখলে নেয় এবং নিরাপত্তা প্রাচীরসহ বেশ কিছু স্থায়ী স্থাপনা নির্মাণ করে। জমির মালিক আব্দুল আজিজ জমির অর্থ চাইলে তাকে জীবননাশসহ বিভিন্ন ভয়-ভীতি দেখায় এবং একাধিক মিথ্যা মামলা দেয়। পরে আব্দুল আজিজ ২০০১ সালে নারায়ণগঞ্জ বিজ্ঞ যুগ্ম জেলা জজ ২য় আদালতে ০৮/২০০১ একটি প্রিয়েমশন মামলা দায়ের করে। পরবর্তীতে বিভিন্ন সময় মামলাটি মাননীয় হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্ট শেষে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে গড়ায়। সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ আব্দুল আজিজের পক্ষে রায় দিয়ে চলতি বছরের ২১ এপ্রিল মামলাটি নিষ্পত্তির জন্য পূণরায় নারায়ণগঞ্জ বিজ্ঞ যুগ্ম জেলা জজ ২য় আদালতে পাঠিয়ে দেন। নারায়ণগঞ্জ বিজ্ঞ যুগ্ম জেলা জজ ২য় আদালতে মামলাটি আসলে বাদি আঃ আজিজ চলতি বছরের ১৩ জুলাই নারায়ণগঞ্জ বিজ্ঞ যুগ্ম জেলা জজ ২য় আদালতে জমি উদ্ধারের জন্যে আবেদন করেন এবং চলতি বছরের ৪ আগস্ট আদালত দখলী পরওয়ানা জারী করেন।

এদিকে, দখলী পরওয়ানা জারির খবর ইউনিডেব (বিডি) লিঃ এর কাছে পৌঁছালে প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ হয়ে আব্দুল আজিজের বিরুদ্ধে তিনটি মিথ্যা মামলা (মামলা নং ৫৬২, ৫৬৩ এবং ৫৭৯/২০২২) দেয়া হয়। যা গত ২৮ নভেম্বর প্রতিষ্ঠানটির আইনজীবি আদালতে তুলে ধরেন। বিজ্ঞ আদালত তা শুনানী করেন এবং মামলার সাথে ৩য় পক্ষের কোন সংশ্লিষ্টতা না থাকায় মামলার আবেদনগুলো না মঞ্জুর করে আগামী ২৩ জানুয়ারী উচ্ছেদাদেশ দেন।

MKRdezign

Contact Form

Name

Email *

Message *

Powered by Blogger.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget