Halloween Costume ideas 2015
October 2024


সোনারগাঁও দর্পণ:

সোনারগাঁওয়ে প্রাইভেটকার চালক আবু হানিফকে হত্যার পর প্রাইভেটকার ছিনতাইয়ের ঘটনার তিন ছিনতাইকারীকে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ। গত রবিবার নারায়ণগঞ্জের বন্দর এলাকা থেকে প্রথমে ছিনতাইকারী কামরুলকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তার দেওয়া তথ্যের ওপর ভিত্তি করে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল এলাকা থেকে অপর দুই ছিনতাইকারীকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর তাদের নিয়ে তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল এলাকার সাত রাস্তা ভূমি ও জরিপ অধিদপ্তরের পুরাতন ভবনে সচিবদের গাড়ী পার্কিং এর গ্যারেজ থেকে প্রাইভেটকার (ঢাকা-মেট্রো-প-২৫-৪৭৭১)টি উদ্ধার করে জব্দ করা হয়। 


সোমবার বেলা ১২ টার দিকে প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান, সোনারগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: আব্দুল বারী। 


ওসি আরও জানান, ছিনতাইকারী কামরুল (২৩) বন্দর উপজেলার ধামঘর ইউনিয়নের নয়ামাটি এলাকার বাবুল মিয়ার ছেলে এবং ওমর হোসেন ওরফে বাবু গজারিয়া উপজেলার পুরাচক বাউশিয়ার মনির হোসেনের ছেলে। অপর আসামি মুজাহিদুল ইসলাম কাউছার বেগমগঞ্জ উপজেলার মধুপুর এলাকার গোলাম মোহাম্মদের ছেলে। 


তিনি বলেন, আসামিদের সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।



সোনারগাঁও দর্পণঃ  

বাংলাদেশ হেফাজত ইসলাম’র সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মামুনুল হক স্ত্রীসহ সোনারগাঁও রয়েল রিসোর্টে অবকাশ যাপনকালের ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে। সোনারগাঁও উপজেলার হামছাদি গ্রামের মৃত সালাহউদ্দিনের ছেলে মো. শাহজাহান শিবলী বাদী হয়ে আড়াইহাজার উপজেলার সাবেক এমপি নজরুল ইসলাম বাবুকে প্রধান আসামী করে ১২৮ জনের নাম উল্লেখ করার পাশাপাশি ১শ থেকে দেড়শতাধিক ব্যক্তিকে অজ্ঞাত আসামী উল্লেখ করে সোমবার মামলাটি করেন। মামলায় নারায়ণগঞ্জ-২ ও ৩ আসনের এমপি, তৎকালীণ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, থানার ওসি, একাধিক এসআই ও রাজনৈতিক নেতাকর্মী সহঅনেককে আসামী করা হয়।

এজাহারে শাহজাহান শিবলী অভিযোগ করেন, বাংলাদেশ হেফাজত ইসলাম এর সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মামুনুল হক বিগত ২০২১ সালের ৩ এপ্রিল রাতে স্ত্রীসহ সোনারগাঁও থানাধীন খাসনগর দিঘীরপাড় সাকিনস্থ রয়েল রিসোর্ট হোটেলে অবকাশ যাপনকালে নারায়ণগঞ্জ-২ আসন (আড়াইহাজার) আসনের সাবেক এমপি নজরুল ইসলাম বাবু এবং নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনের সাবেক এমপি আব্দুল্লাহ আল কায়সার হাসনাতের গোপন ষড়যন্ত্রে মামুনুল হককে হেনস্থা করার উদ্দেশ্যে এবং রাজনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ করার হীন মানসে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ মদদে ৩নং আসামী হইতে ১২নং আসামীর ((৩) মোহাম্মদ জায়েদুল আলম, (সাবেক পুলিশ সুপার), নারায়ণগঞ্জ, (৪) আতিকুল ইসলাম মুরাদ, এডিসি, ডিবি, (মতিঝিল জোন-২০২১) (৫) এস,এম, শফিকুল ইসলাম, বিপি-৮৫১০১৩৭৭৪৬, ইন্সপেক্টর (নিরস্ত্র), সোনারগাঁও থানা, (৬) মোঃ এনামুল কবির (সাবেক), পুলিশ ইন্সপেক্টর, ডিবি, নারায়ণগঞ্জ, (৭) হাফিজুর রহমান, ইন্সপেক্টর, সোনারগাঁও থানা, (৮) এমদাদ হোসেন তৈয়ব, পুলিশ ইন্সপেক্টর ধামগড় ফাড়ী, (৯) ফরিদ আহমেদ, এস.আই. তালতলা পুলিশ ফাঁড়ী, সোনারগাঁও থানা নারায়ণগঞ্জ, (১০) এস.আই ইয়াউর, ভিপি নং-৯০১৭১৯৯৯৩৭, (১১) এ.এস আই, এজাজুল হক, ভিপি নং-৮৫০৬০৮৬২৮৪, (১২) এইচ এম ইমন, এস আই (নিরস্ত্র), কলাবাগান থানা, (ডিএমপি ঢাকা ২০২১ সাল) নির্দেশে অন্যান্য সকল আসামীগন সহ আরো অজ্ঞাতনামা ১০০/১৫০ জন আসামীরা একত্রে জোটবদ্ধভাবে পরস্পর যোগসাজসে একে অপরের সহায়তায় জনাব মামুনুল হক সাহেবকে স্ত্রী সহ রিসোর্ট হতে জোরপূর্বক বাহির করে জিজ্ঞাসাবাদ করতে থাকে। এর ধারাবাহিকতায় রাত অনুমান সাড়ে ১১টার সময় সোনারগাঁও থানা এলাকার সাহাপুর গ্রামের মৃত আবু সাঈদ এর ছেলে হেফাজতকর্মী মাওলানা ইকবাল হোসেন (৬০)’কে সহ আরো অনেকে সোনারগাঁও থানাধীন মোগরাপাড়া চৌরাস্তা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে অবস্থান করিয়া একত্রিত হইয়া মাওলানা মামুনুল হক সাহেবকে স্ত্রী সহ ধরার বিরুদ্ধে জোরালো প্রতিবাদ করায় নজরুল ইসলাম বাবু এবং আব্দুল্লাহ আল কায়সার হাসনাতের পরোক্ষ উস্কানীতে আসামী ৩ নং আসামী হইতে ১২নং আসামীদের হুকুমে অপরাপর উল্লেখিত আসামীগন সহ আরো ১০০/১৫০ জন আসামী একত্রে সেখানে উপস্থিত হইয়া মাওলানা ইকবাল হোসেনকে খুন করার উদ্দেশ্যে জোটবদ্ধ ভাবে এলোপাথারী ভাবে কিলঘুষি মারিয়া ও লোহার রড, লাঠি দিয়া মাথাসহ শরীরের অন্যান্য জায়গায় আঘাত করিয়া গুরুতর জখম করে। জখম অবস্থায় ইকবাল হোসেনকে পুলিশ গ্রেফতার করে সোনারগাঁও থানায় মামলা নং ০৬ (৪) ২০২১ ও মামলা নং ০৭ (৪) ২০২১ মামলায় কোর্টে চালান দেয়। 

উক্ত মামলায় মাওলানা ইকবাল হোসেনকে সোনারগাঁও থানা পুলিশ রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করার নামে নজরুল ইসলাম বাবু ও কায়সার হাসনাতের উস্কানীতে ৩নং হইতে ১২নং আসামীরা তাহাকে পুলিশ রিমান্ডে নিয়া ব্যাপক অত্যাচার নির্যাতন করে। পুলিশের নির্যাতনে মাওলানা ইকবাল হোসেন গুরুতর অসুস্থ্য হয়ে পড়লে তাহাকে পুলিশ চিকিৎসাধীন অবস্থায় মাওলানা ইকবাল হোসেনকে শহীদ সোহরাওয়াদী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ২১ এপ্রিল ২০২১ সালে দুপুর টার দিকে মারা যায়। পুলিশ লাশের পোষ্টমর্টেম করে এবং পরিবারের নিকট লাশ হন্তান্তর করে। মৃতের আত্মীয় স্বজন লাশ বাড়িতে নিয়ে পারিবারিক ভাবে দাফন কাফন করে। উল্লেখিত আসামীরা পরস্পর যোগসাজসে উস্কানী ও হুকুমের মাধ্যমে খুন করার উদ্দেশ্যে মাওলানা ইকবাল হোসেনকে পরিকল্পিতভাবে মারপিট করিয়া ও নির্যাতন করিয়া হত্যা করিয়াছেন। ঘটনার পর মৃত মাওলানা ইকবাল হোসেন এর পরিবার মামলা করিতে সাহস পায় নাই। বর্তমানে পরিস্থিতি অনুকূলে থাকায় ও পূর্বের জালেম ও স্বৈরাচার সরকার বিদায় গ্রহণ করায় এবং মৃত মাওলানা ইকবাল হোসেন হেফাজত ইসলামের একজন কর্মী হওয়ায় কর্তৃপক্ষের সহিত আলোচনা করে মামলাটি করেন। 



সোনারগাঁও দর্পণ:

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবীতে আদিব (১০) নামের এক মাদ্রাসা ছাত্র অপহরণের ঘটনায় ৩ অপহরণকারীকে গ্রেফতার ও অপহৃত ছাত্রকে উদ্ধার করেছে সোনারগাঁ থানা পুলিশ। সিলেটের হযরত শাহজালাল (রহঃ)’র মাজার এলাকার একটি আবাসিক হোটেল থেকে গত বৃহস্পতিবার অপহৃত ছাত্রকে উদ্ধার ও অপহরণের সাথে জড়িত ৩ জনকে বিভিন্ন স্থান থেকে গ্রেফতার করা হয়।

জানা গেছে, উপজেলার নোয়াগাঁও ইউপির বিষ্ণাদী গ্রামের প্রবাসী শফিকুল ইসলামের ছেলে আদিব (১০) পাশর্^বর্তী বানেশ^রদী এলাকার বানেশ^রদী আরাফাত নগর মাদ্রাসায় লেখাপড়া করে। গত মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) সন্ধ্যায় মাদ্রাসা থেকে ছাত্র আদিবের মাকে ফোন করে বলা হয় তার ছেলে মাদ্রাসায় নেই। পরে ছাত্রের মা ও স্বজনেরা বিভিন্ন স্থানে খুঁজতে থাকলে ঐ রাতে এবং পরদিন অপহরণকারীরা একাধীক মোবাইল থেকে অপহৃত ছাত্রের মা ও মামীর মোবাইলে ফোন করে ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবী করে এবং মুক্তিপণ না দিলে অপহৃত ছাত্র আদিবকে হত্যা করার হুমকি দেয়। এই ঘটনায় অপহৃত ছাত্রের মা আরিফা বেগম সোনারগাঁ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। পরে উন্নত প্রযুক্তি ও এনালগ পদ্ধতি ব্যবহার করে শাহেদ (১৯) নামের একজনকে জামপুর ইউপির বস্তল ও সিলেটের হযরত শাহজালাল (রহঃ)’র মাজার এলাকার গ্রেট ওসমান আবাসিক হোটেল থেকে মাহফুজ ওরফে ফরহাদ মাষ্টার (৩১) ও রাইয়ান (১৮) নামের আরো দু’জনকে গ্রেফতার এবং অপহৃত মাদ্রাসা ছাত্র আদিবকে সেখান থেকে উদ্ধার করে সোনারগাঁ থানা পুলিশের একটি দল। সোনারগাঁ থানার অফিসার ইনচার্জ এম এ বারী জানান, মাদ্রাসা ছাত্র অপহরণের ঘটনায় সু-কৌশলে অভিযান চালিয়ে অতি দ্রুততম সময়ের মধ্যে অপহৃতকে উদ্ধার ও ৩ অপহরণকারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃত ফরহাদ মাষ্টার উপজেলার পরমেশ^রদী গ্রামের আঃ রশিদের ছেলে, শাহেদ বস্তল গ্রামের বাবুল মিয়া ও রাইয়ান দৌলরদী গ্রামের শহিদুল্লাহর ছেলে। অপহৃত ছাত্র আদিব জানায়, তার পিতাকে এয়ারপোর্ট থেকে আনার কথা বলে রাইয়ান ও অন্যরা তাকে গাড়িতে উঠিয়ে অন্যত্র নিয়ে আটক করে রাখে। পরে পুলিশ গিয়ে তাকে উদ্ধার করে।

MKRdezign

Contact Form

Name

Email *

Message *

Powered by Blogger.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget