Halloween Costume ideas 2015
February 2023


সোনারগাঁও দর্পণ :

জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে সম্প্রতি  সোনারগাঁওয়ের কাঁচপুর ইউনিয়নের পাঁচপাড়া এলাকায় দুই সহোদরকে কুপিয়ে হত্যা ও অপর ভাইকে কুপিয়ে আহত করার ঘটনায় দায়ের করা মামলার এজাহারভুক্ত ৬ নং আসামী মোর্শেদা আক্তারকে গ্রেফতার  করেছে পুলিশ।  

এরআগে, গতকাল সোমবার (২৭ ফেব্রুয়ারী) নিহতদের মেজ বোন সামসুন নাহার (৪০) বাদী হয়ে তার চাচা মহিউদ্দিন ও চাচাতো ভাই মোস্তফাসহ তাদের পরিবারের ৯ জনের নাম উল্লেখ করে সোনারগাঁও থানায় একটি হত্যা মামলা  করেন। 

মামলার এজাহার থেকে জানাযায়, উপজেলার কাঁচপুর পাঁচপাড়া এলাকায় ২নং ওয়ার্ডের মৃত সানাউল্লাহর ছেলে আসলাম সানী ওই এলাকার গ্রাম্য চিকিৎসক আতাউর রহমানের কাছ থেকে ৩ শতাংশ জমি ক্রয় করেন। এ জমিসহ পার্শ্ববতী আরো একটি জমি দাবি করেন তার চাচা মহিউদ্দিন, চাচাতো ভাই মোস্তফা, মামুন ও মারুফ। এ নিয়ে আসলাম সানী, শফিকুল ইসলাম রনি ও রফিকুল ইসলামের সাথে দীর্ঘদিন ধরে দ্বন্ধ চলে আসছিল। তাদের জমির পাশ দিয়ে সরকারী অর্থায়নে ৩ লাখ ১১ হাজার ২শ ৪১ টাকা ব্যয়ে এলজিএসপি -৩ এর আওতায় খাস পাড়া আলী হোসেনের বাড়ি থেকে হারুনের বাড়ি পর্যন্ত আরসিসি ও ড্রেন নির্মাণ কাজ শুরু হয়। এ ড্রেন মহিউদ্দিনের জায়গার উপর দিয়ে যাচ্ছে এমন দাবী করে তারা।

এ নিয়ে গত রোববার দুপুরে চাচা মহিউদ্দিনের সঙ্গে আসলাম সানীর তর্ক বিতর্ক হয়। এক পর্যায়ে চাচাতো ভাই মোস্তফার নেতৃত্বে তারা আসলাম সানী ও শফিকুল ইসলাম রনি ও রফিকুল ইসলামকে এলোপাথাড়িভাবে কুপিয়ে ও পিটিয়ে আহত করে। মুমূর্ষু অবস্থায় তাদেরকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক আসলাম সানী ও শফিকুল ইসলাম রনিকে মৃত ঘোষনা করেন। এ ঘটনায় অপর ভাই রফিকুল ইসলাম (৪০) গুরুতর আহত অবস্থায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। 

একজন আসামি গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করে সোনারগাঁও থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহাবুব আলম সুমন জানান, বাকি আসামীদের ধরতে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

 


সোনারগাঁও দর্পণ ; 

সোনারগাঁওয়ে ডাকাতির সময় দুই ডাকাতকে হাতেনাতে ধরে গণপিটুনি দিয়ে রাস্তার পাশে ফেলে রেখেছে স্থানীয় এলাকাবাসী।  মঙ্গলবার ভোরে উপজেলার মোগরাপাড়া ইউনিয়নের সোনাখালী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্র জানায়, মোগরাপাড়া এলাকার সোনাখালী এলাকা দিয়ে যাতায়াত করা বিভিন্ন ব্যবসায়ীসহ সাধারণ জনগণ প্রায়ই ডাকাতের কবলে পড়ে সর্বস্ব হারাচ্ছিল। দ্রব্যমূল্যের উর্ধগতির বাজারে প্রায়ই এ ধরনের ঘটনায় ভুক্তভোগীরা অতিষ্ট হয়ে ওঠে। এরআগেও একাধিকবার ডাকাতদের অত্যাচারে স্থানীয়রা তাদের ধরতে চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। এরই ধারাবাহিকতায় সোমবার রাত শেষে মঙ্গল ভোরে কয়েকজন ব্যবসায়ী তাদের মালামাল নিয়ে হাট-বাজারে যাওয়ার সময় সোনাখালী এলাকায় ডাকাতির কবলে পরে। 

এ সময় একজন ব্যবসায়ী একজন ডাকাতকে ঝাপটে ধরে ডাকাত-ডাকাত বলে চিৎকার শুরু করলে বাকি ৪ জন দৌড়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। তখন অন্যান্য ব্যবসায়ীরা আরও এক ডাকাতলে ধরে ফেলে। 

পরে তাদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে দুই ডাকাতকে গণপিটুনি দিয়ে সোনাখালী এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে ফেলে রাখে। স্থানীয়রা জানায়, গণপিটুনির শিকার ডাকাতূের বাড়ি নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াই হাজার থানায়।

এ ব্যাপারে সোনারগাঁও থানার অফিসার ইনচার্জ মাহবুবুব আলমকে তার মোবাইলে কল করলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।


সোনারগাঁও দর্পণ : 

সোনারগাঁও উপজেলার কাঁচপুরের পাঁচপাড়া এলাকায় জমি-সংক্রান্ত বিরোধে খুন হওয়া আসলাম সানি (৪৮) ও শফিকুল ইসলাম রনি (৩৫)’র দাফন সম্পন্ন হয়েছে। সোমবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) রাতে কাঁচপুর রহিম স্টিল মিলের পাশে সামাজিক কবরস্থানে তাদের দাফন সম্পন্ন হয়।

এরআগে বিকেলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ থেকে ময়নাতদন্ত শেষে দুই ভাইয়ের মরদেহ নিজ এলাকায় পৌঁছলে স্বজনদের আহাজারিতে এক হৃদয় বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়।

পরে বাদ মাগরিব কাঁচপুর মঞ্জিলখোলা ঈদগাহ ময়দানে তাদের নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। নিহতের স্বজনসহ হাজারো মানুষ জানাজায় অংশ নেন। এসময় জানাজায় অংশ নেয়া সকলে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।

এরআগে, পূর্ব শত্রæতার জেরে রোববার (২৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে নিহতদের বাড়ির পাশ দিয়ে সরকারি একটি সড়কের ড্রেনে পাইপ বসানোকে কেন্দ্র করে চাচাতো ভাই মহিউদ্দিনের সাথে বাকবিতন্ডার একপর্যায় আসলাম সানি ও শফিকুল ইসলাম রনি খুন হন। এসময় তাদের আরেক ভাই রফিকুল ইসলাম আহত হন।


সোনারগাঁও দর্পণ :

সোনারগাঁওয়ে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে আপন চাচা এবং চাচাতো ভাইদের হাতে দুই সহোদর আসলাম সামি (৫০) ও শফিকুল ইসলাম রনি (২৮)’কে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত ৫ জনের ঘরে অগ্নিসংযোগ করেছে উত্তেজিত এলাকাবাসী। বরিবার রাত ৯টার দিকে উপজেলার কাঁচপুর ইউনিয়নের বিসিক শিল্পনগরী খাঁসপাড়া (পাঁচপাড়া) এলাকায় অগ্নিসংযোগের এ ঘটনা ঘটে। 

স্থানীয় সূত্র জানায়, দুপুরে উপজেলার কাঁচপুর ইউনিয়নের খাঁসপাড়া (পাঁচপাড়া) এলাকায় সরকারি অর্থায়নে নির্মিত একটি রাস্তায় ড্রেন নেয়াকে কেন্দ্র করে আপন চাচা ও চাচাতো ভাইদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সেই সংঘর্ষে আসলাম সামি ও শফিকুল ইসলাম রনি নামে দুই সহোদর নিহত হয়। অপর সহোদর রফিকুলকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। 

এদিকে, রাত ৯ টার দিকে খবর আসে ঢামেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রফিকুল মারা গেছেন। এ সংবাদ শুনে, কোন যাচাই-বাছাই না করেই স্থানীয় এলাকাবাসী উত্তেজিত হয়ে অভিযুক্ত মোস্তফা, মামুন, মাফিজুর রহমান ও মারুফসহ ৫ জনের ঘরে অগ্নিসংযোগ করে। এ সময় ঘরে থাকা সকল মালামাল পুড়ে ছাঁই হয়ে যায়। 

এদিকে, নিহতদের মরদেহ পোষ্টমর্টেমের জন্যে মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে। 



সোনারগাঁও দর্পণ ঃ 

সোনারগাঁয়ে  জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে আপন দুই ভাইকে কুপিয়ে হত্যা  করেছে আপন চাচা এবং চাচাতো ভাইয়েরা। একই ঘটনায় রফিকুল ইসলাম নামে আরও একজন আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

নিহতরা হলেন মোঃ আসলাম সামি (৫০) ও মোঃ শফিকুল ইসলাম রনি (২৮)।  

রবিবার দুপুরে দুপুরে উপজেলার কাঁচপুর ইউনিয়নের বিসিক শিল্পনগরী খাঁসপাড়া (পাঁচপাড়া) এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। 

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার কাঁচপুর ইউনিয়নের খাঁসপাড়া (পাঁচপাড়া) এলাকায় সরকারি অর্থায়নের একটি রাস্তা ও ড্রেন নির্মাণের কাজ প্রায় শেষ দিকে। ওই ড্রেনে নিহত আসলাম ও সামিদের বাড়ির নিষ্কাষন লাইন নিতে গেলে নিহত আসলামের সাথে তার চাচাতো ভাই মোস্তফা মিয়ার তর্ক-বিতর্ক হয়। এক পর্যায়ে উত্তেজিত হয়ে মোস্তফার নেতৃত্বে মামুন, মাফিজুর রহমান ও মারুফ চাপাতি, রামদা ও লোহার রড নিয়ে আসলাম মিয়া, মো: রনি ও রফিকুল ইসলামের ওপর হামলা করে। এ সময় তাদের কুপিয়ে ও পিটিয়ে আহত করে। আহত অবস্থায় তাদের ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে মো: আসলাম মিয়া ও মো: রনি মিয়াকে মৃত ঘোষণা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। 

খবর পেয়ে সোনারগাঁ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। এ ঘটনার পর এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।

সোনারগাঁও থানার অফিসার ইনচার্জ মাহবুব হোসেন জানান, ঘটনার পর ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।


সোনারগাঁও দর্পণ :

সোনারগাঁওয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় এক মটরসাইকেল আরোহি নিহত হয়েছেন। শুক্রবার (২৪ ফেব্রæয়ারী) রাত আনুমানিক সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার মোগরাপাড়া ইউনিয়নের অন্তর্গত ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ত্রিবর্দী এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতের নাম মামুন (২৬)। তিনি উপজেলার আনন্দবাজারের দামোদরদী এলাকার শফিকুল ইসলামের ছেলে। 

দুর্ঘটনার পর মহাসড়কের দুপাশে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। খবর পেয়ে হাইওয়ে পুলিশের সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে।




সোনারগাঁও দর্পণ : 

সোনারগাঁওয়ে নতুন সেবা হাসপাতালের ফার্মেসী কর্মচারী জহিরুল ইসলাম জহির (৪০)’র নিথর দেহ হাসপাতালের ঘুমানো রুম থেকে বুধবার সকালে উদ্ধার করেছে সোনারগাঁও থানা পুলিশ। জহিরের মরদেহ উদ্ধারের পর তার পরিবারের সদস্য ও স্বজনরা অভিযোগ করেন, জহিরকে পরিকল্পিতভাবে হাত-পাঁ বেঁধে হত্যা করা হয়েছে। 

পরে ঘটনাস্থল থেকে তাৎক্ষণিকভাবে হাসপাতালের মালিক মনিরুল ইসলাম, দুই ম্যানেজার, একজন চিকিৎসকসহ মোট ৫ জনকে আটক করে পুলিশ। পরবর্তীতে নিহত জহিরের স্ত্রী তাহিরা শবনম জুবাইদা বাদি হয়ে হাসপাতালের মালিকসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। 

জহির নিহতের পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে তার বন্ধু, স্বজন, ঘনিষ্ট আত্মীয় এবং স্থানীয় এলাকাবাসী তার অকাল মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করে। ঘটনাটির পেছনের প্রকৃত কারণ খুঁজতে ‘সোনারগাঁও দর্পণ’ এক অনুসন্ধান চালায়। ‘সোনারগাঁও দর্পণ’র অনুসন্ধানে বেড়িয়ে আসে বেশ কিছু অজানা তথ্য। যা অনেকেরই অজানা। অনুসন্ধান করতে গিয়ে ‘সোনারগাঁও দর্পণ’র কথা হয় নিহত জহিরের বন্ধু, স্বজন, ঘনিষ্ট আত্মীয়, হাসপাতালের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মী এবং স্থানীয় এলাকাবাসীর সাথে। তবে, অনুসন্ধানে সংশ্লিষ্ট তথ্যদাতাদের নাম-পরিচয় সংগত কারণে গোপন রাখা হলো।  

এখন মুল কথায় আসা যাক। প্রথম কথা হলো - তার পরিবারের পক্ষ থেকে যে পরিকল্পিত হত্যার অভিযোগ আনা হলো, তা কতটুকু যুক্তিসংগত।

সাধারণভাবে প্রশ্ন আসে, একজন ব্যক্তিকে যদি কেউ পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে, হত্যা করতে যে ধরণের ঘটনা বা কারণ থাকা দরকার, সে ধরণের কোন ঘটনা বা কারণ কি জহিরের সাথে কারো ছিল ?

‘সোনারগাঁও দর্পণ’র অনুসন্ধানে সে ধরণের কোন কারণ খুঁজে পাওয়া যায়নি। এমনকি নিহত জহিরের স্ত্রী থানায় যে লিখিত অভিযোগ করেছেন, সে অভিযোগেও তেমন কোন কারণ উল্লেখ করেননি। 

‘সোনারগাঁও দর্পণ’র অনুসন্ধানে খোঁজ করেছে আটককৃত অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিষয়েও। কিন্তু আটককৃত বা অভিযুক্তদের বিষয়ে তেমন কোন কারণ অর্থাৎ একজন মানুষকে হত্যা করার মতো চরিত্রের বা আচরণের বলে কেউ কোন তথ্য জানাতে পারেনি। 

‘সোনারগাঁও দর্পণ’ মনে করে, দোষ-গুণেই মানুষ। কোন মানুষের যদি দোষই না থাকে তাহলে তার নাম ওলিদের খাতায় লিপিবদ্ধ করেন আল্লাহ সোবহান তায়ালা।

জহিরের স্কুল জীবনের একাধিক বন্ধু’র সাথে কথা হলে তারা জানায়, জহির নিঃসন্দেহে একজন ভালো মনের মানুষ ছিলেন। সে কখনো কারো সাথে ঝগড়া-বিবাদ বা খারাপ আচরণ করতেন না। তবে, স্কুল জীবন থেকেই জহির মাদকের প্রতি একটু বেশি আসক্ত ছিল। শুধু তা-ই নয়, সে হাসপাতালে থেকেও প্রায় প্রতি রাতেই ইনজেকশন দ্বারা মাদক গ্রহণ করতো। বিষয়টি হাসপাতালের মালিককে অন্যান্য সহকর্মীরা জানায়। মালিক মনির হোসেন একাধিক দিন তাকে এ সকল কাজ না করার জন্যে বুঝাতেন। মাদক ছেড়ে সুস্থ পথে জীবন গড়তে উদ্বুদ্ধ করতেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হাসপাতালের একটি বিশ্বস্ত সূত্র দাবি করে, জহিরের লাশের পাশ থেকে লাশ উদ্ধারের সময় নেশাজাতীয় একটি ইনজেকশনও উদ্ধার করে পুলিশ। 

প্রশ্ন আসে - জহিরকে যদি হত্যা করা না হয়, তাহলে তার শরীরে ছোঁপ ছোঁপ দাগ কিসের ? এছাড়া তার পায়েও দড়ি বা রশি দিয়ে বাঁধার দাগ ছিল।

চিকিৎসকের মতে, নিহত জহিরের শরীরে যে ছোঁপ ছোঁপ দাগ ভেসে উঠেছে তা ওষুধের রিয়েকশন থেকে হতে পারে। অর্থাৎ সে রাতে যে ইনজেকশনের মাধ্যমে নেশা করতো সে ইনজেকশনের মাত্রা হয়তো বেশি হওয়ায় তার মৃত্যু হয়েছে আর সে দাঁগের কারণ হতে পারে সেটি। 

আর জহিরের পায়ে রশি দিয়ে বাঁধার দাগ এক পায়ে পাওয়া গেছে। তা হলো বাম পায়ে। যে পায়ে ৫টি ইনজেকশন পুশ করার চিহৃও রয়েছে। যদি তাকে হত্যা করা হতো তাহলে দুই পা বাঁধা থাকাটাই স্বাভাবিক ছিল। 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অপর একটি সূত্র জানায়, পুলিশ জহিরের ব্যবহৃত মোবাইল উদ্ধারের পাশাপাশি হাসপাতালের সিসিটিভি’র যে ফুটেজ উদ্ধার করেছে, সে সিসিটিভি ফুটেজেও তাকে হত্যা করা বা সন্দেহজনক কাউকে হাসপাতালে প্রবেশ করতে দেখা যায়নি বা হত্যা করার মতো কোন কারণ দেখা যায়নি।

তবে, তার মোবাইলে প্রতি রাতে বিভিন্ন জনের সাথে চ্যাটিং করার আলামত পাওয়া গেছে বলে একটি সূত্র দাবি করেছে। 

সবকিছুর পর ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন না আসা পর্যন্ত হলফ করে কিছুই বলা সম্ভব নয়। ‘সোনারগাঁও দর্পণ’ শুধুমাত্র তার অনুসন্ধানটি পাঠকদের সাথে শেয়ার করেছে মাত্র। তবে, ‘সোনারগাঁও দর্পণ’ মনে করে, সত্যিই যদি জহিরকে হত্যা করা হয় তাহলে, প্রকৃত দোষিরা যেন অবশ্যই দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি পায়।



সোনারগাঁও দর্পণ :

সোনারগাঁওয়ে নতুন সেবা ক্লিনিকের ফার্মেসী কর্মচারী জহিরুল ইসলাম জহির হত্যা মামলায় অভিযুক্ত আটক হওয়া ৫ জনকে আদালতে পাঠিয়েছে থানা পুলিশ। বৃহস্পতিবার (২৩ ফেব্রæয়ারী) সকালে তাদের আদালতে পাঠানা হয়। 

আদালতে পাঠানো অভিযুক্তরা হলো - হাসপাতালের মালিক মনিরুল ইসলাম, দুই ম্যানেজার আক্তার হোসেন ও মোস্তাফিজুর রহমান, ঘটনার দিন হাসপাতালের ডিউটিরত চিকিৎসক নাজমুল আলম ও ওয়ার্ড বয়  মিন্টু মিয়া। 

এরআগে, বুধবার (২২ ফেব্রæয়ারী) সকালে সোনারগাঁও উপজেলার মোগরাপাড়া বাসস্ট্যান্ড এর অদূরে থানা রোড়ে নতুন সেবা হাসপাতালের ফার্মেন্সী কর্মচারী জহিরুলের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। 

এ ঘটনায় নিহত জহিরের স্ত্রী তাহিরা শবনম জুবাইদা বাদি হয়ে হাসপাতালের মালিকসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। 


 


সোনারগাঁও দর্পণ :

সোনারগাঁওয়ে নতুন সেবা হাসপাতালের স্টাফ জহিরুল ইসলাম জহির (৪০)’ কে হাত-পাঁ বেঁধে হত্যার অভিযোগে মোট ৫ জনকে আটক করেছে সোনারগাঁও থানা পুলিশ। বুধবার (২২ ফেব্রæয়ারী) ঘটনার পর নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলার মোগরাপাড়া চৌরাস্তা বাস স্ট্যান্ডের অদূরে থানা রোডে ভূইয়া প্লাজায় নতুন সেবা হাসপাতাল থেকে তাদের আটক করে। 

আটককৃতরা হলো -হসপিটালের মালিক মনিরুল ইসলাম, ম্যানেজার (নাইট শিফট) মুস্তাফিজুর রহমান, চিকিৎসক নাজমুল আলম হাসান, ওয়ার্ড বয় মিন্টু মিয়া, ম্যানেজার (ডে শিফট) আক্তারুজ্জামান। 

এরআগে, বুধবার (২২ ফেব্রæয়ারী) উপজেলার মোগরাপাড়া চৌরাস্তা বাস স্ট্যান্ডের অদূরে থানা রোডে ভূইয়া প্লাজায় নতুন সেবা হাসপাতালে জহিরুলকে হাত- পাঁ বেঁধে হত্যার অভিযোগ করে তার পরিবারের সদস্যরা।

এ ব্যাপারে সোনারগাঁও থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ইমরান জানান, আটককৃতদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্যে আটক করা হয়েছে। তবে, ঘটনার প্রকৃত তথ্য জানতে পুলিশ তদন্ত করছে। 



সোনারগাঁও দর্পণ :

সোনারগাঁওয়ে নতুন সেবা হাসপাতালের স্টাফ জহিরুল ইসলাম (৪০)কে হাত-পাঁ বেঁধে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। বুধবার (২২ ফেব্রæয়ারী) নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলার মোগরাপাড়া চৌরাস্তা বাস স্ট্যান্ডের অদূরে থানা রোডে ভূইয়া প্লাজায় নতুন সেবা হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে। জহিরুল একই হাসপাতালের ওষুধের দোকানে কাজ করত। সে উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়নের কান্দারগাঁও গ্রামের মৃত আবুল হোসেনের ছেলে। 



মৃত জহিরুলের ছোট ভাই বাবু (ডাক নাম) অভিযোগ করেন, তার ভাই জহিরুল গতকাল মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে বাড়ি থেকে রাতের খাবার শেষে সেবা হাসপাতালে তার কাজে প্রতিদিনের মতো যোগ দেয়। আজ বুধবার (২২ ফেব্রæয়ারী) সকালে কাজ শেষে বাড়ি না ফেরায় খোঁজ নিতে তার পরিবারের সদস্যরা তার (জহিরুল) কর্মস্থলে খোঁজ নিতে আসলে হাসপাতাল কর্র্তৃপক্ষ জানায়, জহিরুল মারা গেছে। 

পরে পরিবারের সদস্যরা জহিরুলের মরদেহ দেখলে, মৃতের শরীরের বাম পায়ে একাধিক ইনজেকশন পুশ (প্রবেশ) করার চিহৃ দেখতে পান। এছাড়া, মৃতের দু’পা দড়ি জাতিয় কিছু দিয়ে বাঁধার চিহৃ ছাড়াও একাধিক আঁঘাতের চিহৃ আছে।

এ ব্যাপারে সোনারগাঁও থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ইমরান জানান, এখনো আমরা ঘটনাস্থলে আছি। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এ মূহুর্তে হলফ করে কিছু বলা সম্ভব নয়। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে বিস্তারিত জানা যাবে।



সোনারগাঁও দর্পণ :

যথাযথ মর্যাদায় মহান ২১ ফেব্রæয়ারী ও আর্ন্তজাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করেছে সোনারগাঁও উপজেলা আওয়ামী লীগ। ২১ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার সকালে উপজেলা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের বেদিতে ফুল দিয়ে নিহত ভাষা সৈনিকদের শ্রদ্ধা জানান তারা। 

সোনারগাঁ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা এডভোকেট সামসুল ইসলাম ভুঁইয়ার নেতৃত্বে অন্যান্যদের মাঝে উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি ও পিরোজপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মাসুদুর রহমান মাসুম, নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডাঃ আবু জাফর চৈাধুরী বিরু, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান বাবুল ওমর বাবু, উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মাহমুদা আক্তার ফেন্সি , মোগড়াপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আরিফ মাসুদ বাবু, জামপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা হুমায়ুন কবির ভুঁইয়া, বারদী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান লায়ন বাবু, বৈদ্যারবাজার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আল আমিন সরকার, সনমান্দি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহিদ হাসান জিন্নাহ, পৌরসভার মেয়র প্রার্থী এডভোকেট ফজলে রাব্বি, কেন্দ্রীয় যুব মহিলা লীগ নেত্রী নাসরিন সুলতানা ঝরাসহ অন্যান্য নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।



সোনারগাঁও দর্র্পণ :

যথাযথ মর্যাদায় সারাদেশের মতো আন্তর্জাতিক মার্তৃভাষা দিবস ও মহান শহীদ দিবস পালন করেছে সোনারগাঁও প্রেসক্লাব। মঙ্গলবার উপজেলা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের বেদিতে ফুল দিয়ে এবং পরবর্তীতে ভাষা সৈনিকদের সম্মানে এক আলোচনা সভার মাধ্যমে দিবসটি পালন করা হয়।

এরই অংশ হিসেবে, ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারী ভাষা আন্দোলনে নিহত বীর শহীদদের শ্রদ্ধাস্বরূপ বিভিন্ন শ্লোগান সংবলিত ব্যানারসহ সকালে প্রভাতফেরীর মাধ্যমে উপজেলার উদ্ববগঞ্জ এলাকায় উপজেলার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের বেদীতে পুষ্পার্ঘ অর্পণ করেন। 


পরে প্রেসক্লাবে সোনারগাঁও প্রেস ক্লাবের সভাপতি এম এম সালাহ উদ্দিনের সভাপতিত্বে ও সোনারগাঁও প্রেস ক্লাবের যুগ্ম সম্পাদক রবিউল হুসাইনের সঞ্চালনায় দিবসটি উপলক্ষ্যে আলোচনা সভায় সংগঠনটির সহ সভাপতি মোক্তার হোসেন মোল্লা, সহ সভাপতি ফজলে রাব্বি সোহেল, সাধারণ সম্পাদক আবু বকর সিদ্দিক, দপ্তর সম্পাদক আনোয়ার হোসেন, সাংবাদিক কল্যাণ সম্পাদক মাহবুবুল ইসলাম ( সুমন), ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক মাসুম মাহমুদ, নির্বাহী সদস্য মনির হোসেন, সদস্য মাসুদ শায়ান, সদস্য হারুন অর রশিদ, সদস্য সদস্য মোঃ মাহবুবুর রহমান, সদস্য মোকাররম মামুম, সদস্য কাজী সেলিম রেজা, সদস্য গিয়াস কামাল, উদীচি সোনারগাঁও শাখার সভাপতি শংকর প্রকাশসহ সোনারগাঁও প্রেস ক্লাবের অন্যান্য সদস্যরা বক্তব্য রাখেন।


 


সোনারগাঁও দর্পণ :

সোনারগাঁওয়ে এক নারী শ্রমিক গণধর্ষনের শিকার হয়েছে। গণধর্ষণের শিকার ওই নারী উপজেলার সাদিপুর ইউনিয়নের নানাখী এলাকায় অলিম্পিক বিস্কুট কারখানার শ্রমিক। গত ১০ ফেব্রæয়ারী নানাখী গোলনগর এলাকায় আবু হানিফের পরিত্যাক্ত মুরগীর ফার্মে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ গণধর্ষণের সাথে জড়িত ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে। 

পুলিশ জানায়, উপজেলার লালাটি এলাকার অলিম্পিক বিস্কুট কারখানার ওই  নারী শ্রমিকের সাথে সহকর্মী সাখাওয়াত এর বন্ধুত্বপূর্ণ সর্ম্পক হয়। গত ১০ ফ্রেব্রæয়ারি রাতে সাদিপুর ইউনিয়নের নয়াপুর বাজারে সহকর্মী সাখাওয়াতের সাথে ওই নারী শ্রমিকের দেখা হয়। সাখাওয়াত তাকে (নারী শ্রমিকে) ফুসলিয়ে সাখাওয়াতের বন্ধু মমিনের বাড়িতে বেড়াতে যাওয়ার কথা বলে নানাখী গোলনগর এলাকায় তার আরক বন্ধু আবু হানিফের পরিত্যাক্ত মুরগীর ফার্মে নিয়ে যায়। সেখানে জোরপূর্বক ওই নারী শ্রমিকের হাত, মুখ বেধেঁ উপজেলার সাদিপুর ইউনিয়নের নানাখী পূর্বপাড়া গ্রামের অহিদুর রহমানের ছেলে মমিন(২১), একই ইউনিয়নের নানাখী গোলনগর এলাকার হালিমের ছেলে আবু হানিফ (২৫) এবং শরীয়তপুর জেলার ভেদরগঞ্জ থানার মনুয়া গ্রামের ফয়জুল হক দপ্তরির ছেলে ফয়সাল (২০) ও তার বন্ধু সাখওয়াত গণধর্ষণ করে। 

পরে বাড়ি ফিরে বিষয়টি ওই নারী শ্রমিক তার স্বামী শাহরিয়ার আলম শুভ’কে  জানায়। পরবর্তীতে ভুক্তভোগীর স্বামী শুভ বাদি হয়ে সোনারগাঁও থানায় ধর্ষণ মামলা করলে তালতলা তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মোঃ জাকির রব্বানী শনিবার রাত ও দিনের বিভিন্ন সময় উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে মমিন(২১), আবু হানিফ (২৫) এবং ফয়সাল (২০)’কে গ্রেফতার করে।

তালতলা তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ জাকির রব্বানী জানান, ধর্ষণের ঘটনায় তিনজন অভিযুক্তকে গ্রেফতারের পর রবিবার আদালতে পাঠানো হয়েছে। বাকী আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।



সোনারগাঁও দর্পণ :

নারায়ণগঞ্জ - ৩ সোনারগাঁও আসনের সংসদ সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকাকে ঈঙ্গিত করে মোগরাপাড়া ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হাসান সজিব বা এসকে সজিব অভিযোগ করেছেন, একটি কুচক্রি মহল তাকে মাদক সম্রাট ও ছোট বদি বানাতে চেষ্টা করছে। শনিবার (১৮ ফেব্রুয়ারী  ) বিকালে সোনারগাঁও উপজেলার চৌরাস্তা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় একটি রেস্তোরায় সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন। 

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠে সজিব জানান, ১৮  ফেব্রুয়ারী শনিবার নারায়ণগঞ্জ জেলার স্থানীয় কিছু পত্রিকায় তাকে সোনারগাঁওয়ের মাদক সম্রাট  এবং ছোট বদি খ্যাতাব দিয়ে সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে। যেখানে উল্লেখ করা হয়েছে এ জনপদের মাদক ব্যবসা তিনিই নিয়ন্ত্রণ করেন। যে সংবাদকে তিনি (সজিব) ভীত্তিহীন, ষড়যন্ত্র মুলক উদ্দেশ্য প্রণোদিত আখ্যায়িত করে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। 

তিনি আরও জানান, এরআগে গত ১৫ ফেব্রুয়ারী সোনারগাঁওয়ে মাদক বিরোধী এক আলোচনা সভায় পুলিশ সুপার ও জেলা প্রশাসকের উপস্থিতিতে সোনারগাঁওয়ের সাংসদ লিয়াকত হোসেন খোকা “সোনারগাঁওয়ে ছোট বদি নামে নতুন এক মাদক সম্রাটের  আবির্ভাব হয়েছে বলে বক্তব্যের একটি অংশে উল্লেখ করেন। অথচ তিনি (সাংসদ লিয়াকত হোসেন খোকা) একবারও ছোট বদি হিসেবে নাজমুল ইসলাম সজিবের নাম বলেননি। অথচ পত্রিকার মাধ্যমে একটি মহল তাকে (সজিব) ছোট বদি এবং মাদক সম্রাট  হিসেবে আখ্যায়িত করার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করেন।

সংবাদ সম্মেলনে নাজমুল হাসান সজিব দাবি করেন, তিনি কখনো মাদক ব্যবসা করেননি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা কোন দিন তাকে মাদকসহ গ্রেফতারও করেননি। তাকে এক সময় আরমান হত্যা মামলায় আসামী করা হলে মাননীয় আদালত তাকে বেকসুর খালাস দেন। 

এ সময় তিনি তার আরও দুই সহকর্মী এবং উপজেলা যুবলীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম নান্নু’র বিরুদ্ধেও মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করার নিন্দা জানান এবং সত্যিকারের মাদক সম্রাট  ছোট বদি’কে গ্রেফতার করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহীনির প্রতি আহŸান করেন।

উল্লেখ্য, গত ১৫  ফেব্রুয়ারী সোনারগাঁওয়ে মাদক বিরোধী এক আলোচনা সভায় পুলিশ সুপার ও জেলা প্রশাসকের উপস্থিতিতে সোনারগাঁওয়ের সাংসদ লিয়াকত হোসেন খোকা “সোনারগাঁওয়ে ছোট বদি নামে নতুন এক মাদক সম্রাটের আবির্ভাব হয়েছে বলে বক্তব্যের একটি অংশে উল্লেখ করার পর গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তা প্রচার হলে তা সোনারগাঁওয়ের টক অব দ্যা সিটি’তে পরিণত হয়। 



সোনারগাঁও দর্পণ :

অবশেষে নিবন্ধন পেয়েছে বিএনপি থেকে চলে যাওয়া ব্যারিস্টার নাজমুল হুদার প্রতিষ্ঠিত রাজনৈতিক দল তৃণমূল বিএনপি। বৃহস্পতিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সচিব জাহাংগীর আলমের সই করা এক প্রজ্ঞাপনে দলটিকে নিবন্ধন দেওয়ার কথা বলা হয়। প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী উচ্চ আদালতের আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে তৃণমূল বিএনপিকে নিবন্ধন দেয়া হয়েছে। দলটির নিবন্ধন নম্বর ৪৫। আর প্রতীক ‘সোনালি আশঁ’

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ‘বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের রিট পিটিশন নং-১০৯৪২/২০১৮ এর বিগত ৬/১১/২০১৮ তারিখের রায় ও আদেশ এবং আপিল বিভাগে দায়ের করা সিভিল পিটিশন ফর লিভ টু আপিল নং- ৩০২৪ অব ২০১৯ উইথ সিভিল পিটিশন ফর লিভ টু আপিল নং- ৩০২৩ অব ২০১৯ এর ওপর আপিল বিভাগ রায় দেন। ওই রায় ও আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে দ্য রিপ্রেজেন্টেশন অব দ্য পিপল অর্ডার ১৯৭২ চ্যাপ্টার ৬এ- এর বিধান অনুযায়ী তৃণমূল বিএনপিকে পুনরায় আদেশ না দেওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন করেছে। দলটির প্রধান কার্যালয় ৩৩ তোপখানা রোড, ১৫/সি মেহেরবা প্লাজা (১১ তলা), পল্টন ঢাকা-১০০০ এ অবস্থিত। দলটির জন্য সোনালি আঁশ প্রতীক সংরক্ষণ করা হয়েছে এবং নিবন্ধন নং-০৪৫, তারিখ ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩।

এরআগে, ২০১২ সালে বিএনপির সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করে বিএনএফ নামে নতুন একটি রাজনৈতিক দল গঠন করেন নাজমুল হুদা। পরে সেই দল থেকে তাকে বহিষ্কার করে ২০১৪ সালে জাতীয় নির্বাচন করে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন দলটির প্রতিষ্ঠাকালীন প্রধান সমন্বয়ক আবুল কালাম আজাদ। এরপর বাংলাদেশ ন্যাশনাল অ্যালায়েন্স (বিএনএ) ও বাংলাদেশ মানবাধিকার পার্টি (বিএমপি) নামে দুটি নতুন রাজনৈতিক দল গঠন করে আওয়ামী লীগের জোটে ভেড়ার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। পরে ‘তৃণমূল বিএনপি’ নামে নতুন দল গঠন করেন, যা এখন নিবন্ধন পেলো।

এরআগে, ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা বিএনপির প্রতিষ্ঠাকালীন সময় থেকে দলটির নির্বাহী কমিটিতে ছিলেন। দলের নীতিনির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৯১ সালে ও ২০০১ সালে খালেদা জিয়ার সরকারে মন্ত্রী ছিলেন।


সোনারগাঁও দর্পণ :

সোনারগাঁওয়ে মাদক বিরোধী গণসচেতনতামূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশনের ময়ুরপঙ্খী মঞ্চে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। 

‘মাদক সেবন রোধ করি, সুস্থ সুন্দর জীবন গড়ি’ এই প্রতিপাদ্যে নারায়ণগঞ্জ জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর ও সোনারগাঁও উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে এ সভায় অংশ নেন মুক্তিযোদ্ধা, জনপ্রতিনিধি শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবকসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। 

আলোচনা সভায় মাদকের নানা ক্ষতিকর দিক নিয়ে আলোচনা করা হয় এবং মাদক থেকে বিরত থাকার জন্য শপথ করানো হয়।

আলোচনা সভায় নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মো. মঞ্জুরুল হাফিজের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন নারায়ণগঞ্জ-৩ সোনারগাঁও আসনের সংসদ সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকা। বিশেষ অতিথি ছিলেন, জেলা পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেল, বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশনের পরিচালক এস এম রেজাউল করিম, ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক মো. জাফরুল্ল্যাহ কাজল, সোনারগাঁও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট সামসুল ইসলাম ভূঁইয়া, জেলা সিভিল সার্জনের প্রতিনিধি ডা. মেহেদী হাসান। 

অন্যান্যদের মধ্যে সোনারগাঁও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রেজওয়ান উল ইসলাম, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. ইব্রাহীম, সোনারগাঁও থানার অফিসার ইনচার্জ মাহবুবল আলম, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মাহমুদা আক্তার ফেন্সি, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি ও পিরোজপুর ইউপি চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মাসুদুর রহমান মাসুম, নারায়ণগঞ্জ জেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ সদস্য আবু নাঈম ইকবাল, মোগরাপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান আরিফ মাসুদ বাবু, বারদী ইউপি চেয়ারম্যান লায়ন মাহবুবর রহমান বাবুল, বৈদ্যেরবাজার ইউপি চেয়ারম্যান আল আমিন সরকার, উপজেলা প্রকৌশলী আরজুরুল হক প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন। 



সোনারগাঁও দর্পণ :

স্ত্রী’বিউটি আক্তার পৈতৃক ও ক্রয় সূত্রে জমির মালিক। স্বামী রফিকুল ইসলাম নান্নু সোনারগাঁও উপজেলা যুবলীগ সভাপতি। বিউটি আক্তারকে মামলা দিলে যুবলীগ সভাপতি স্বামী হয়তো রাজনৈতিক প্রভাব দেখাবে। শুধুমাত্র এমন ধারণা থেকেই উপজেলা সভাপতি নান্নুকে মিথ্যা চাঁদাবাজী মামলায় আসামী করা হয়েছে।

মঙ্গলবার বিকালে সোনারগাঁওয়ের চৌরাস্তা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় একটি রেষ্টুরেন্টে সংবাদ সম্মেলন শেষে ‘সোনারগাঁও দর্পণ’র সাথে এমন দাবি করেছেন সোনারগাঁও উপজেলা যুবলীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম নান্নু। সংবাদ সম্মেলনটি আয়োজন করে উপজেলা যুবলীগ। 

নান্নু জানান, উপজেলার মোগরাপাড়া ইউনিয়নের সাবেক চরমেনিখালি মৌজায় (বর্তমানে হাবিবপুর মৌজায়) এস,এ- ৯  ও ১১ এবং আর,এস- ১১৮ ও ৬ নং খতিয়ানে এস,এ-৯৭, ৯৮, ৯৯ ও ১০০ আর,এস- ৭৯ ও ৮০ দাগে ৮ শতাংশ জমি তার স্ত্রী বিউটি আক্তার এর নামে। জমিটি তার স্ত্রী বিউটি আক্তার ও অন্যান্য ওয়ারিশরা পৈতৃক এবং ক্রয় সূত্রে মালিক হয়ে দীর্ঘদিন ধরেই ভোগ দখল করছে। সম্প্রতি একটি স্বার্থান্বেসী মহল জমিটিতে ভবন নির্মাণ করতে গেলে জমির মালিক বিউটি গংরা বাঁধা দেয়। 

এ নিয়ে গত ২৪ জানুয়ারি উভয় পক্ষের উপস্থিতিতে পঞ্চায়েত বৈঠকে একটি সিদ্ধান্ত হয়। বৈঠকের ফয়সালা না মেনে স্বার্থান্বেসী মহলের প্ররোচনায় সামসুলের ছেলে শরিফ হোসেন নান্নু’র বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জ বিজ্ঞ আদালতে গত ২৮ জানুয়ারি একটি মিথ্যা চাঁদাবাজী মামলা (মামলা নং ১১২৫/২০২৩) দেন। অথচ ওই সম্পত্তির সাথে উপজেলা যুবলীগ সভাপতি নান্নু’র কোন সম্পৃক্ততাই নেই বা বাদী শরীফ হোসেনসহ কারো সাথে কোন রকম বাক-বিতন্ডাও হয়নি। এ মামলা হওয়ায় তিনি সাংগঠনিক, রাজনৈতিক ও সামজিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন হয়েছেন বলেও সংবাদ সম্মেলনের লিখিত বক্তব্যে উল্লেখ করেন। 

তাই সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তার বিরুদ্ধে দেয়া মিথ্যা চাঁদাবাজী মামলার তীব্র নিন্দা জানান। পাশাপাশি ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে যথাযথ আইনি পদক্ষেপ নিতে প্রশাসনের কাছে জোর দাবি জানান তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলী হায়দার, সাংগঠনিক সম্পাদক কামাল হোসেন ও জমির মালিক মোসা: বিউটি আক্তার উপস্থিত ছিলেন।



সোনারগাঁও দর্পণ :

অজ্ঞাতপরিচয় এক যুবকের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করেছে সোনারগাঁও থানা পুলিশ। সোমবার (১৩ ফেব্রুয়ারী) সকালে উপজেলার সাদিপুর ইউনিয়নের বেইলর এলাকায় রাস্তার পাশে পানিতে থাকা কম্বল দিয়ে মোড়ানো অবস্থায় মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।

সোনারগাঁও থানা পুলিশ জানায়, মরদেহটি উদ্ধারের পর পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা চলছে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি নারায়ণগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানোর কাজ চলছে। 



সোনারগাঁও দর্পণ :

মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিনের জন্ম ১৯৪৯ সালে পাবনা শহরের জুবিলি ট্যাঙ্কপাড়ায়। বাবা মরহুম শরফুদ্দীন আনসারী এবং মা মোসাম্মৎ খায়রুন্নেছা।

মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমএসসি ও এলএলবি ডিগ্রি অর্জনের মাধ্যমে শিক্ষাজীবন শেষ করেন। ছাত্রাবস্থায় ভারত থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। স্বাধীন বাংলা ছাত্রপরিষদের পাবনা জেলার নেতা হিসেবে পাবনায় স্বাধীন বাংলার প্রথম পতাকা উত্তোলনকারীদের অন্যতম তিনি।

পাবনা ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মী ছিলেন তিনি। এরপর ১৯৭১ সালে পাবনা জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নির্বাচিত হন। সাহাবুদ্দিন স্বাধীনতা সংগ্রামে অংশ গ্রহন করেন। বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য। শুধু তা-ই নয়। তিনি একাধারে আইনজীবী, অধ্যাপক, সাংবাদিক ও বিচারক ছিলেন। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সাবেক কমিশনারও ছিলেন মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের ঘটনায় বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদ করায় ২০ আগস্ট সামরিক আইনের ৭ ধারায় আটক হোন। প্রায় তিন বছর কারাগারে কাটিয়েছেন মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন।

১৯৮২ সালে বিসিএস (বিচার) বিভাগে যোগদান করেন। ১৯৯৫ সালে জুডিসিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব হিসেবে নির্বাচিত হন। কর্মজীবনে তিনি সহকারী জজ, যুগ্ম জেলা জজ, অতিরিক্ত জেলা জজ ও জেলা জজ হিসেবে বিভিন্ন জেলায় দায়িত্ব পালন করেন। শহীদ বুলবুল কলেজের অধ্যাপকও ছিলেন তিনি।

অধুনালুপ্ত বাংলার বাণী পত্রিকার পাবনা জেলা প্রতিনিধি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন। তিনি পাবনা প্রেস ক্লাব ও অন্নদা গোবিন্দ পাবলিক লাইব্রেরির আজীবন সদস্য।


সোনারগাঁও দর্পণ :

দেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি হচ্ছেন পাবনার ছেলে ও আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন রোববার (১২ ফেব্রুয়ারী) রাষ্ট্রপতি পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাওয়া একমাত্র মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিনের মনোনয়নপত্র জমা পড়েছে।

ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, সোমবার (১৩ ফেব্রুয়ারী) মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ের পর ১৪ ফেব্রুয়ারী বিকেল ৪টা পর্যন্ত মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করা যাবে। সে ক্ষেত্রে আর কোনো প্রার্থী না থাকায় তিনিই পরবর্তী রাষ্ট্রপতি হওয়ার পথে এগিয়ে আছেন। মনোনয়ন প্রত্যাহারের দিনই তাকে রাষ্ট্রপতি হিসেবে ঘোষণা করা হবে বলে আওয়ামী লীগের একাধিক সূত্র দাবি করেছে।

এরআগে, সকালে মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিনকে নিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে একটি দল প্রধান নির্বাচন কমিশনারের দপ্তরে যান। সেখানে মনোনয়ন ফরম তোলা ও জমাদানের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়।
ফলে সবকিছু ঠিক থাকলে দেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি হতে যাচ্ছেন মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন।

 


সোনারগাঁও দর্পণ :

সোনারগাঁও থানার সাবেক অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোর্শেদ আলম এবং সাবেক সেকেন্ড অফিসার এস,আই সাধন বসাকের বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। ৯ ফেব্রæয়ারী (বৃহস্পতিবার) দুপুরে বিজ্ঞ জজ আদালত, নারায়ণগঞ্জ এর বিচারক মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেন এ আদেশ দেন। 

এরআগে, ২০১৮ সালের ১১ নভেম্বর নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও উপজেলার চিলারবাগ এলাকার মকবুল হোসেনের ছেলে আনিসুর রহমান আলমগীর বাদী হয়ে জেলা ও দায়রা জজ নারায়গঞ্জ আদালতে সোনারগাঁও থানার তৎকালীণ অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোর্শেদ আলম এবং একই থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই সাধন বসাকের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ করেন। 

অভিযোগে বাদী উল্লেখ করেন, ওই বছরের ৮ অক্টোবর রাত আড়াইটার দিকে উপজেলার মোগরাপাড়া ইউনিয়নের নগর সাদিপুর গ্রামের ওয়ালিউল্লাহর ছেলে জাহিদুল ইসলাম স্বপনের বাড়িতে হানা দেন সোনারগাঁ থানার ওসি মোর্শেদ আলম ও সেকেন্ড অফিসার এসআই সাধন বসাক। এ সময় স্বপনকে ঘুম থেকে উঠিয়ে পৌরসভা এলাকার  চৌদানা মৌজায় থাকা তার ১৭২ শতাংশ জমির দখল ছেড়ে দিতে বসতঘরের জমি ছেড়ে দিতে বিভিন্ন হুমকী-ধমকী দেয়। স্বপন পুলিশের কথার বিরোধীতা করলে তার স্ত্রী-সন্তানের সামনে হাত ও চোখ বেঁধে ধরে সোনারগাঁও থানায় নিয়ে যায়। পরে লকাপে রেখে ওসি এবং এসআই ব্যাপক নির্যাতন করে চৌদানা মৌজার ১৭২ শতাংশ জমির দখল ছেড়ে দিতে আবারো চাঁপ দেয়। এমনকি দখল ছেড়ে না দিলে ক্রসফায়ার করে জীবনে মেরে ফেলার হুমকিও দেয় তারা। নির্যাতনের এক সময় স্বপন অসুস্থ হয়ে পরলে পুলিশ স্বপনকে মুমুর্ষবস্থায় সোনারগাঁও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। পরদিন সোনারগাঁও থানা যুবলীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম নান্নু ও পৌরসভা যুবলীগের সভাপতি আসাদ গিয়ে জাহিদুল ইসলাম স্বপনকে মারাত্মক অসুস্থ অবস্থায় মুচলেকা দিয়ে থানা থেকে নিয়ে আসে।

পরে জমির মালিক জাহিদুল ইসলাম স্বপন গং জমি বেদখল হওয়ার আশঙ্কায় সিনিয়র সহকারী জজ, সোনারগাঁও আদালতে সোনারগাঁও থানার ওসি মোরশেদ আলম ও এসআই সাধন বসাকসহ আরো কয়েকজনকে বিবাদী করে একটি চিরস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার মামলা করে। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে বিবাদীদের শোকজ করে এবং আগামী ১০ দিনের মধ্যে জবাব দাখিলের নির্দেশ দেয়। যার নং ১৬৩/১৮। 




সোনারগাঁও দর্পণ:

জাকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে সোনারগাঁও প্রেসক্লাবের ৩৫ বছর পূর্তি ও ৩৬ বছরে পদার্পণ অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে। বুধবার (৮ ফেব্রুয়ারী) দিনব্যাপী নানা অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সোনারগাঁও রয়েল রির্সোটে বেলা ১১টায় পায়রা উড়িয়ে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি সোনারগাঁও উপজেলা আওয়ামী সভাপতি ও সোনারগাঁও উপজেলা  পরিষদ চেয়ারম্যান এডভোকেট শামসুল ইসলাম ভূইয়া।

সোনারগাঁও প্রেস ক্লাবের সভাপতি এম এম সালাহউদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সোনারগাঁও প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আবু বকর সিদ্দিক। 

সোনারগাঁও প্রেস ক্লাবের অর্থ সম্পাদক মিজানুর রহমান মামুনের সঞ্চালনায় এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সোনারগাঁও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রেজওয়ার-উল-ইসলাম, সোনারগাঁও প্রেস ক্লাবের উপদেষ্টা মাহফুজর রহমান ও ফিরোজ হোসাইন মিতা, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মাহমুদা আক্তার ফেন্সি,  সোনারগাঁও থানার ওসি (তদন্ত ) আহসানউল্লাহ, জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য এডভোকেট নুরজাহান বেগম ও কেন্দ্রীয় যুব মহিলা লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক নাসরিন সুলতানা ঝরা।

পায়ড়া উড়িয়ে উদ্বোধনের পর কোরআন তেলোয়াত এবং জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের প্রথম পর্ব শুরু হয়।

এরপর সোনারগাঁও প্রেসক্লাবের ৩৫ বছর পূর্তিতে ৩৫ পাউন্ডের কেক কাটা হয়। এছাড়া দুর্বার নামে একটি স্মরনিকাও প্রকাশ করা হয়।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, সোনারগাঁও প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি মোক্তার হোসেন মোল্লা, যুগ্ম সম্পাদক রবিউল হুসাইন, প্রচার সম্পাদক খায়রুল আলম খোকন, দপ্তর সম্পাদক আনোয়ার হোসেন, নির্বাহী সদস্য মনির হোসেন, সদস্য হারুন অর রশিদ, সোনারগাঁও প্রেসক্লাবের সাবেক কোষাধ্যক্ষ মোকাররম মামুন, সদস্য আনিসুর রহমান সজিব, সালমা আক্তার কণা, সুমন আল হাসান, মাহবুব হোসেন, জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য ও জি আর ইন্সটিটিউশনের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য ফারুক হুসেইন, মোহাম্মদ হোসাইন, সিনিয়র সাংবাদিক জাকির হোসেন ঝন্টু,বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের সোনারগাঁওয়ের সমন্বয় বেলায়েত হোসেন,  আক্তার হাবীব, গাজী মোবারক প্রমুখ।

সোনারগাঁও প্রেস ক্লাবের যুগ্ম সম্পাদক রবিউল হুসাইন সংস্কৃতি মন্ত্রনালয়ের মিডিয়া ফেলোশিপ পুরস্কার পাওয়ায় অনুষ্ঠানের একপর্য়ায় ক্লাবের পক্ষ থেকে তাকে সম্মাননা দেয়া হয়।

অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করেন সুজন মাহমুদ ও তার দল।





সোনারগাঁও দর্পণ : 

সোনারগাঁওয়ে সম্প্রতি আলোচিত ‘হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে স্ত্রী’কে হত্যা’ ঘটনার মুলহোতা ঘাতক স্বামী  সাইদুর রহমান (৩৫)’কে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১১’র সদস্যরা। ০৪ ফেব্রæয়ারি শনিবার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র‌্যাব-১১’র সদস্যরা  কক্সবাজার সদর এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। 

গ্রেফতারকৃত সাইদুরের বরাত দিয়ে র‌্যাব-১১ জানায়, হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে স্ত্রী আখিকে হত্যায় অভিযুক্ত সাইদুর সোনারগাঁও উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়নের চেঙ্গাকান্দী গ্রামের নুরুল ইসলাম প্রধান ওরফে সুধা’ ছেলে। 

প্রায় ১৫ বছর আগে আখির সাথে তার বিয়ে হয় এবং বর্তমানে তাদের দুই ছেলে ও চার মাসের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। সাইদুর মাদকাসক্ত এবং বিয়ের পর থেকেই পরকীয়া সন্দেহে প্রায়ই আখির সাথে কলহ লেগেই থাকতো। এরই রেশ ধরে গত ২ ফেব্রæয়ারি রাত আনুমানিক ১০টার দিকে আখির হাত-পা লোহার শিকল দিয়ে বেঁধে দুই ছেলের সামনেই লোহার হাতুড়ি দিয়ে মাথায় এলোপাথাড়ি আঘাতে রক্তাক্ত জখম করে। 

এ সময় তাদের দুই ছেলে সিয়াম ও অর্ণবের চিৎকারে আশে-পাশের লোকজন এগিয়ে আসলে সাইদুর দৌড়ে পালিয়ে যায়। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় সোনারগাঁও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আখিকে মৃত ঘোষণা করে। 

পরের দিনে আখি’র পিতা ইব্রাহীম বাদী হয়ে সোনারগাঁও থানায় একটি মামলা (মামলা নং- ০৫, তারিখ ০৩ ফেব্রæয়ারী ২০২৩) করে। আসামীকে থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হবে। 

 


সোনারগাঁও দর্পণ :

আখি  আক্তার (২৮) নামে এক গৃহবধূকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করেছে স্বামী সাইদুল। গত বৃহস্পতিবার ( ০২ ফেব্রুয়ারী) রাতে এমনই অভিযোগ করেছে আখির পরিবার। পারিবারিক কলহের জেরে বৃহস্পতিবার ( ০২ ফেব্রুয়ারী) আনুমানিক রাত ১০ টার দিকে উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়নের চেঙ্গাকান্দি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত আখি আক্তার সোনারগাঁ উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়নের পিরোজপুর গ্রামের মো: ইব্রাহীম মিয়ার মেয়ে। 

অভিযুক্ত সাইদুল একই ইউনিয়নের চেঙ্গাকান্দি গ্রামের নুরুল ইসলাম সুধার ছেলে। 

নিহতের পরিবারের সদস্যরা জানায়, প্রায় ১৫ বছর আগে সাইদুল ইসলামের সঙ্গে ইসলামী শরিয়ত মোতাবেক পারিবারিক ভাবে বিয়ে হয় আখির। তাদের ঘরে মোট তিন সন্তান রয়েছে। দুই ছেলের মধ্যে  অর্নবের বয়স ১২ আর সিয়ামের বয়স ১০ বছর। এছাড়া চার মাসের একটি কন্যাসন্তান রয়েছে। 

বিয়ের পর থেকেই অভিযুক্ত স্বামী সাইদুল নানা অজুহাতে তার স্ত্রীকে মারধর করত। তারই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার রাত ১০ টায় অমানুষিক নির্যাতনের একসময়  হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে সাইদুর। পরে স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

এ বিষয়ে সোনারগাঁ থানার অফিসার ইনচার্জ মো: মাহবুব আলম সুমন জানান ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে হত্যাকান্ডের ঘটনায় আইনানুগ ব্যবস্থা পক্রিয়াধীন।


সোনারগাঁও দর্পণঃ

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমরা এত বছর কাজ করলাম, মানুষের উপকার করলাম, যার ফলে মানুষ আমাদেরকে ভোট দিচ্ছে। জনগণের আস্থা-বিশ্বাস আমরা পাচ্ছি। আমাদের কাজের মধ্যদিয়ে জনগণের মন জয় করেই আমরা ভোট পাচ্ছি।

বৃহস্পতিবার (২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রূপগঞ্জের পূর্বাচল সেক্টর ৪-এ পাতাল রেলের নির্মাণকাজের উদ্বোধনী ফলক উন্মোচন শেষে সুধী সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।

নির্মাণকাজের উদ্বোধনী ফলক উন্মোচন শেষে সুধী সমাবেশে তিনি বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় আরেকটি মাইলফলক স্থাপিত হলো। এর আগে মেট্রোরেল উপহার দিয়েছি। সেটি উপর দিয়ে যাবে। এবার মাটির নিচ দিয়ে যাবে পাতাল রেল।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থাকে আমূল বদলে দিয়েছে আওয়ামী লীগ সরকার। এই সরকার নিজেদের কাজের মাধ্যমে জনগণের আস্থা-বিশ্বাস অর্জন করে মন জয় করে নিয়েছে। গণতন্ত্রের ধারাটা বজায় রয়েছে বলেই দেশ এগিয়ে যাচ্ছে, উন্নয়ন-অর্জন সম্ভব হচ্ছে। দেশের অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রা আর কেউ থামাতে পারবে না।

শেখ হাসিনা বলেন, আমরা স্বাধীন দেশের নাগরিক, স্বাধীন রাষ্ট্র পেয়েছি। আমাদের স্বাধীন রাষ্ট্র দিয়েছেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। স্বাধীনতার পর জাতির পিতা সময় পেয়েছিলেন মাত্র সাড়ে তিন বছর। একটা জাতির জন্য এই সময় কিছুই না। তিনি উন্নত, সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে চেয়েছিলেন। সাড়ে তিন বছরে আর কতটুকু করা যায়।

তিনি বলেন, গত ১৪ বছরে এই বাংলাদেশের আমূল পরিবর্তন হয়েছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করেছি। এবার বাংলাদেশকে স্মার্ট বাংলাদেশ করা হবে।

তিনি আরও বলেন, গত ২৮ ডিসেম্বর মেট্রোরেল উদ্বোধন করেছি। এই কাজ যখন শুরু করতে যাই, তখন জঙ্গির উত্থান হলো। হলি আর্টিজানে জঙ্গি হামলায় বিদেশি নাগরিকদের হত্যা করা হয়। সাত জাপানি নাগরিককে হত্যা করা হয়। যারা মেট্রোরেলের কাজে যুক্ত ছিলেন। আমি তাদের স্মরণ করি। এ ঘটনার পরও জাপান সরকার তাদের সহযোগিতার হাত গুটিয়ে নেননি। তাদের আমি ধন্যবাদ জানাই।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রা কেউ থামাতে পারেনি, পারবেও না। প্রকল্পের বিবরণ অনুযায়ী, এমআরটি লাইন ১-এর দুটি অংশ থাকবে। একটি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে কমলাপুর পর্যন্ত (বিমানবন্দর রুট) ১৯.৮৭২ কিলোমিটার অংশ। এটি হবে ভূগর্ভস্থ এবং এতে ১২টি স্টেশন থাকবে। অপর অংশটি নতুনবাজার থেকে প্রায় ১১.৩৭ কিলোমিটার এলিভেটেড লাইনসহ পূর্বাচল পর্যন্ত (পূর্বাচল রুট)। এতে সাতটি স্টেশন থাকবে। 

অন্যদিকে বিমানবন্দর রুটের অংশ হিসেবে নতুনবাজার এবং নদ্যা স্টেশন হবে ভূগর্ভস্থ । বাংলাদেশ সরকার ও উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন (জাইকা) এমআরটি লাইন ১-এর নির্মাণকাজের জন্য ৫২,৫৬১.৪৩ কোটি টাকার ব্যয়ভার বহন করবে। 

এর মধ্যে জাইকা প্রকল্প সহায়তা (পিএ) হিসাবে দেবে ৩৯,৪৫০.৩২ কোটি টাকা এবং বাংলাদেশ সরকার দেবে ১৩ হাজার ১১১ কোটি ১১ লাখ টাকা। জাপানি ফার্মের নেতৃত্বাধীন কনসোর্টিয়াম বিমানবন্দর-কমলাপুর-পূর্বাচল মেট্রো লাইন নির্মাণকাজ তদারকি করবে।  এর আগে ২০১৯ সালে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) ৫২,৫৬১.৪৩ কোটি টাকায় এমআরটি লাইন-১ প্রকল্প অনুমোদন দেয়।

তিনি আরও বলেন, পাকিস্তানিরা ২৭৮টি রেল ব্রিজ ধ্বংস করেছিল। তারা ২৭০টি সড়ক ব্রিজ ধ্বংস করে। এক কোটি শরণার্থী, তিন কোটি গৃহহারা, একটা টাকা রিজার্ভ নেই। সেই ধ্বংসস্তুপের উপর দাঁড়িয়ে যাত্রা শুরু করে জাতির পিতা বাংলাদেশকে স্বল্পোন্নত দেশে উন্নীত করেন।

 


সোনারগাঁও দর্পণ:

ভারতের কলকাতা ও ত্রিপুরা এবং বাংলাদেশে একযোগে প্রকাশ পেয়েছে সোনারগাঁওয়ের সন্তান কবি শাহেদ কায়েসের 'স্বনির্বাচিত কবিতা'র বই। ‘স্বনির্বাচিত কবিতা’ গ্রন্থটি গত সোমবার (৩০ জানুয়ারি) আনুষ্ঠানিকভাবে ৪৬ তম আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলায় প্রকাশিত হয়।
শাহেদ কায়েস জানান, পশ্চিমবঙ্গে বইটি প্রকাশ করেছে প্রকাশনা সংস্থা ‘কবিতা আশ্রম’, বাংলাদেশে প্রকাশক হিসেবে রয়েছে ‘ভাষাচিত্র’ এবং ত্রিপুরা থেকে বইটি প্রকাশ করেছে ‘নীহারিকা’ প্রকাশনি।

কলকাতা বইমেলায় অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রেখেছেন কবি রাহুল পুরকায়স্থ, কবি বিভাস রায়চৌধুরী, কবি শামীম শাহান, কবি বনানী চক্রবর্তী, কবি সুস্মিতা বিশ্বাস, গল্পকার সব্যসাচী সরকার, লেখক মারুফ হোসেন, প্রকাশক তীর্থংকর দাস প্রমুখ।
বইটি পাওয়া যাবে কলকাতা বইমেলার 'কবিতা আশ্রম' (স্টল নম্বর ২৫২), এবং 'অভিযান' এর স্টলে (স্টল নম্বর ৩৯৪)।
কাব্যগ্রন্থটির প্রচ্ছদ করেছেন  রাজীব দত্ত।

MKRdezign

Contact Form

Name

Email *

Message *

Powered by Blogger.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget