Halloween Costume ideas 2015
February 2022


সোনারগাঁও দর্পণ :

সোনারগাঁওয়ে মানসিক প্রতিবন্ধি এক নারী সন্তানের মা হয়েছে। কিন্তু এই সন্তানের বাবা কে তা জানেন না মানসিক প্রতিবন্ধি ওই নারী এবং স্থানীয় কেউই। হতভাগী ওই নারী বলতে পারেন না, তার এ সর্বনাশের মুল হোতাকে। তবে, স্থানীয়দের দাবি, মানসিক প্রতিবন্ধি ওই নারীর সন্তানের বাবা’কে খুঁজে বের করতে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন কাজ করবে। 

জানাগেছে, সোনারগাঁওয়ের বিভিন্ন এলাকার রাস্তাঘাটে ঘুরে বেড়াতো আনুমানিক ৩০ বছর বয়সের মানসিক ভারসাম্যহীন এক পাগলী। তবে, বেশ কয়েকদিন ধরে উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়ন পরিষদ এলাকায় ওই নারীকে গর্ভাবস্থায় দীর্ঘদিন ঘুরে বেড়তে দেখে স্থানীয়রা। পরে গত বৃহস্পতিবার (২৪ ফেব্রুয়ারী) গভীর রাতে পিরোজপুর ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন ডেংরা মিস্ত্রির বাড়ির পাশে রাস্তায় প্রসব বেদনা শুরু হলে পাগলীর কান্নাকাটিতে স্থানীয় এক ভাড়াটিয়া স্থানীয় সাংবাদিক মাহবুবুল ইসলাম সুমনের সহযোগিতা চায়। সাংবাদিক সুমনের সহযোগিতায় স্থানীয়রা তাকে সোনারগাঁও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়ার সময় পথেই পাগলী এক ফুটফুটে পুত্র সন্তান প্রসব করে। পরে নবজাতকসহ পাগলীকে সোনারগাঁও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। 

এদিকে পাগলীর জন্ম দেয়া সন্তানকে দত্তক নিতে হাসপাতালের নার্সসহ একাধিক ব্যক্তিদের মধ্যে প্রতিযোগিতা শুরু হয়। কিন্তু নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই হাসপাতালের একাাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারীর দাবি, এতো ছোট বাচ্চাকে দত্তক নিতে অনেকে উৎসাহিত হলেও তার (নবজাতক) ‘মা’ মানসিক ভারসাম্যহীন বলে কেউ দায়িত্ব নিতে চাচ্ছেনা। 

তবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তৌহিদ এলাহী, মানসিক ভারসাম্যহীন ওই নারী ও নবজাতককে সরকারী নিয়ম অনুযায়ী সরকারী হেফাজতে রাখার ব্যবস্থা করছেন বলে জানান তারা। পাশাপাশি সন্তানের প্রকৃত বাবা’কে খুঁজে বের করতেও সরকারের সংশ্লিষ্টদের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।



সোনারগাঁও দর্পণ :

অবশেষে মামলা হয়েছে বারদী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান লায়ন মাহবুবুর রহমান বাবুলের বিরুদ্ধে। প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে আপত্তিকর বক্তব্য দেয়ায় রোববার (২৭ ফেব্রুয়ারী) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শামসুর রহমানের আদালত মামলাটি করেন বারদী ইউনিয়নের চেঙ্গাকান্দী পাইকপাড়া গ্রামের আবুল হাশেমের ছেলে ও একই ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের সাবেক সদস্য (মেম্বার) ফারুক। 

অভযোগে বাদী ফারুক উল্লেখ করেন, বারদী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য লায়ন বাবুল প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে স্থানীয় একটি ওয়াজ মাহফিলে বেফাসঁ বক্তব্য দিয়েছেন। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের রাষ্ট্রপ্রধান। প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে বেফাঁস বক্তব্যের কারণে প্রধানমন্ত্রীর মানহানী হয়েছে। 

তাই লায়ন বাবুলের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করার আবেদন করেন তিনি।


 


সোনারগাঁও দর্পণ :

প্রেম করে বাড়ি থেকে পালিয়ে বিয়ে। পরে মৃত বোনের স্বামীর সাথে কথা বলার মতো তুচ্ছ কারণে কথিত স্ত্রীকে ১০ করে হত্যা করে স্বামী। ঘটনার ১০ মাস পর চাঞ্চল্যকর মামলার মূল হোতা রাসেল মিয়াকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) এর সদস্যরা। বৃহস্পতিবার (২৪ ফেব্রুয়ারী) ফ্রিজও জব্দ করেছে পুলিশ।

এরআগে, গতবছরের ৫ এপ্রিল মাসদাইর বাড়ৈভোগে ফারিয়া গার্মেন্টের সামনের একটি ডোবা থেকে অজ্ঞাত পরিচয়ে এক নারীর খন্ডিত মাথা উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের আসামি করে ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা করে হয়। পিবিআই এ মামলার তদন্তের দায়িত্ব পায়। শুরু হয় রহস্য উদঘাটনের কাজ। 

অনুসন্ধানে পিবিআই জানতে পারে ঘটনার আদ্যপান্ত। পিবিআই জানায়, রংপুর জেলার আব্দুল জলিলের মেয়ে তানজিনা। রংপুরের মিঠাপুকুর থানার এনায়েতপুর গ্রামের হাবিবুর রহমানের ছেলে রাসেলের সাথে মনবিনিময় পরবর্তী  দু’জনে বিয়ে করে ফতুল্লার মাসদাইর বাড়ৈভোগ এলাকার সিরাজখানের বাসায় ভাড়া থাকতেন।

পিবিআই জানান, রাসেল ২০০৮ সালে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে জিপিএ ৫ পেয়ে এসএসসি পাশ করে। ২০১০ সালে এইচএসসি পরীক্ষায় একই বিভাগ থেকে ৩.৭০ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়। পরবর্তীতে জীবিকার তাগিদে ঢাকার সাভার ও নারায়ণগঞ্জে বসবাস শুরু করে। এরমধ্যে পার্শ্ববর্তী এলাকার তানজিনার সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। কিন্তু আসামী দেখতে তেমন ভালো না হওয়ায় মেয়ের পরিবার তাদের সম্পর্ক মেনে নেয়নি। পরবর্তীতে ২০১৯ সালে মোনালিসা নামের একটি মেয়ের সাথে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় আসামী রাসেলের। বিয়ের সংবাদ শুনে তানজিনা বাড়ি থেকে বের হয়ে নারায়ণগঞ্জে চলে আসে এবং গার্মেন্টেস এ চাকুরী নেয়। এসময় আসামী রাসেরেল সাথে তানজিনার আবারো প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে এবং তারা স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে একসাথে বসবাস করা শুরু করেন। রাসেলের অভিযোগ, রাসেলের সাথে থেকেও তানজিনা তার মৃত বোনের স্বামী মোস্তফাসহ বিভিন্ন জনের সাথে ফোনে কথা বলতেন। এ কারণেই রাগান্বিত হয়ে ২৯ মার্চ রাতে বাড়ী ফিরে তানজিনাকে মারপিট করে। এক পর্যায়ে রাসেল ক্ষিপ্ত হয়ে রান্নার কাজে ব্যবহার করা ধারালো বটি দিয়ে গলা কেটে হত্যা করে ।

নারায়ণগঞ্জ পিবিআইয়ের উপ-পরিদর্শক (এসআই) শাকিল হোসেন বলেন, রাসেল তার বাড়িওয়ালা সিরাজ খানকে জানান, তার স্ত্রী তানজিনা করোনায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে মারা গেছেন। এরপর তিনি বাসা ছেড়ে চলে যান। পুলিশের সন্দেহ হলে রংপুর থেকে রাসেলকে গ্রেফতারের পর পিবিআই জানায়, মাথাটি যে ডোবায় পাওয়া গেছে সেখানেই দেহ কয়েক টুকরা করে ফেলে দেওয়া হয়েছে। এখন সেই ডোবায় সেচ মেশিন দিয়ে পানি সরানোর চেষ্টা চলছে। পানি সরানোর পর শরীরের বাকি অংশের খোঁজ করা হবে। ‘আসামির দেওয়া তথ্যে, আমরা এরই মধ্যে ভিকটিমকে হত্যায় ব্যবহৃত একটি দা জব্দ করেছি। এছাড়া ভিকটিমকে হত্যার পর মরদেহ কয়েক টুকরা করে যে ফ্রিজে রেখে দেওয়া ছিল সেই ফ্রিজটিও জব্দ করা হয়েছে।



সোনারগাঁও দর্পণ :

প্রায় ৪০ বছর ধরে আওয়ামী রাজনীতিতে থাকা দেওয়ান উদ্দিন চুন্নু আওয়ামী লীগ ছেড়ে জাতীয় পার্টিতে যোগ দিয়েছেন। গত বুধবার (২৩ ফেব্রুয়ারী) তিনি অনুষ্ঠানিকভাবে আওয়ামীলীগের রাজনীতি পরিহার করে জাতীয় পার্টিতে যোগ দেন। 

নোয়াগাঁও ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান দেওয়ার উদ্দিন চুন্নু জাতীয় পার্টিতে উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সবশেষ উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক ছিলেন। 

অনেকের ধারণা সম্প্রতি অনুষ্ঠিত ইউপি নির্বাচনে নৌকা প্রতিক না পাওয়ার ক্ষোভ থেকে তিনি এ সিদ্ধান্ত নেন। আবার কারো মতে, কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে নির্বাচনে অংশ গ্রহণকারীদের বিরুদ্ধে খুব শীঘ্রই দলীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ। সে ব্যবস্থায় হয়তো তাকে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গেও অভিযোগে বহিষ্কার করতে পারে এমন ধারণা থেকে আগেভাগেই নিজে সরে পড়লেন তিনি। যদিও তার কাঙ্খিত নৌকা প্রতিক না পেয়ে তিনি দলের কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তকে উপেক্ষা করে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচনে অংশ নেন এবং পর লজ্জাজনক পরাজিত হোন। 

এরআগে, জাতীয় পার্টির সোনারগাঁও আসনের সংসদ সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকার উপস্থিতিতে সোনারগাঁও উপজেলা জাতীয় পার্টি সভাপতি আবদুর রউফ এই কমিটি অনুমোদন  দেন। 



সোনারগাঁও দর্র্পণ :

জামিন পেয়েছেন নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি সোহাগ রনিসহ অভিযুক্ত তার ২৬ জন অনুসারি। সম্প্রতি সোনারগাঁওয়ের ঐতিহাসিক কাইকারটেক হাটের ইজারা নিয়ে উপজেলা যুবলীগ সভাপতি রফিকুল ইসলাম নান্নু ও জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি সোহাগ রনি’র অনুসারি দুই গ্রুপের দ্বন্দ্বে থানায় দায়ের হওয়া মামলায় জামিন তারা পান। বৃহস্পতিবার (২৪ ফেব্রুয়ারী ) সকালে নারায়ণগঞ্জ জেলার সিনিয়র জুডিশিয়ার ম্যাজিষ্ট্রেট নুর নাহার তাদের এ জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন।

সোহাগ রনি ছাড়া জামিন পাওয়া সোহাগ রনি’র অন্য অনুসারিরা হলো- সোহাগ রনি’র ভাই সোহেল (৩৬), চাচা শাহ আলম, তার বাবা শাহজামাল তোতা (৫৩), সিরাজুল ইসলাম সজল (৩২), আলমগীর (৪৩), মিন্টু (৪২), পারভেজ (৩৫), লিজন (২৮), আলাউদ্দিন (৫৬), মিঠু (৪২), জসিম (৩২), গাজী জাবেদ (৩৫), গাজী খলিল মেম্বার (৬২), সেলিম (৩৫), আব্দুল আলী (৩৮), মোঃ রানা (৩৩), গাজী সামসুদ্দিন (৪৮), নাছির ওরফে নাছিম (৩৪), মেহেদি (৩৫), শাহজালাল (৩৫), অর্ণী আলম (২৮), সজল (২৬), রিটু (৩১), শেখ আমান, ওয়ালিদ (২৮), ইয়াছিন আরাফাত (২৩) ও আদনান (২৩)।

এরআগে, সোহাগ রনি পক্ষের আইনজীবি খোকন সাহা আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়ার ম্যাজিষ্ট্রেট নুর নাহারের আদালতে হাজির হয়ে জামিন চান। 

উল্লেখ্য, গত ১৬ ফেব্রæয়ারী কাইকারটেক হাটের ইজারা নিয়ে সোনারগাঁও উপজেলা যুবলীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম নান্নু ও সোহাগ রনির অনুসারিদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া পরবর্তী সংঘর্ষ হয়। ওই সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ১২ জন আহত হয়। ওই ঘটনায় সোহাগ গ্রুপের পক্ষের সজল বাদী হয়ে একটি মামলা করেন। অপরদিকে, নান্নু অনুসারিদের পক্ষে ফারুক বাদী হয়ে সোহাগ রণিকে প্রধান আসামী করে ২৬ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ৩০/৪০ জনকে অজ্ঞাত আসামী করে একটি অভিযোগ করেন। এই অভিযোগে আগাম জামিন পেলেন সোহাগ রনি গ্রুপের ২৬ জন। 



সোনারগাঁও দর্পণ :

নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনের সাংসদ লিয়াকত হোসেন খোকার ব্যক্তিগত অর্থে সোনারগাঁওয়ে দুটি ব্রিজ নির্মাণের উদ্বোধন করা হয়েছে। পাশাপাশি একটি স্কুল ও ১টি রাস্তা নির্মাণের কাজেরও উদ্বোধন করা হয়েছে। বুধবার (২৩ ফেব্রুয়ারী) বিকেলে এ সকল কাজের উদ্ধোধন করেন তিনি।

নিজের অর্থায়নে নির্মিতব্য ব্রিজ দুটির মধ্যে একটি নির্মিত হবে উপজেলার সাদিপুর ইউনিয়নের কাজীপারা ও দ্বিতীয়টি হলো চৌরাপাড়া এলাকায়। আর স্কুল টি চৌরাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং গঙ্গাপুর বাজার থেকে নয়াপুর বাজার পর্যন্ত সড়ক।

উন্নয়ন কাজর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সামসুল ইসলাম ভূঁইয়া, সোনারগাঁও উপজেলা র্নিবাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তৌহিদ এলাহী, ভাইস চেয়ারম্যান বাবুল ওমর বাবু, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মাহমুদা আক্তার ফেন্সি, উপজেলা প্রকৌশলী আরজুরুল হক পজেলা, সাদিপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুর রশিদ মোল্লাসহ সোনারগাঁওয়ের মহাজোটের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা। 



সোনারগাঁও দর্পণ :

জেলার তিন চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে জেলা প্রশাস ও পুলিশ সুপারকে স্মারকলিপি দেয়ার বিষয়টি দলীয় সিদ্ধান্ত নয় জানিয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক আবু শহিদ মোহাম্মদ বাদল বলেছেন, বিষয়টি জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি’র ব্যক্তিগত। বুধবার (২৩  ফেব্রুয়ারী) দুপুরে জেলা প্রশাসক মঞ্জুরুল হাফিজ ও পুলিশ সুপার জায়েদুল আলমের সাথে সাক্ষাৎ শেষে নারায়ণগঞ্জের তিন চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে স্মারকলিপি প্রদানের ঘটনার পর এক প্রতিক্রিয়ায় তিনি একথা জানান।

বাদল বলেন, দলীয় সিদ্ধান্তে দল সোনারগাঁওয়ের বারদী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান লায়ন মাহবুবুর রহমান বাবুলকে সাময়িক বহিস্কার করেছে। এছাড়া কারণ দর্শানোর নোটিশও দিয়েছে। যার জবাব ইতোমধ্যে লায়ন বাবুল দিয়েছেও। এখন দল সিদ্ধান্তগুলো কেন্দ্রে পাঠাবে। কেন্দ্রীয় নেতারা সেগুলো বিচার বিশ্লেষণ করে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিকভাবে ব্যবস্থা নিবেন । জেলা আওয়ামী লীগ তাকে কোন শাস্তি দেয়ার এখতিয়ার রাখেনা। 

তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার আদর্শে যারা রাজনীতি করেন তাদের নিয়ে কেউ বেফাঁস মন্তব্যের মাধ্যমে অপমান করে এটা কোনভাবেই মেনে নিতে পারবো না। তবে, দলীয় চেয়ারম্যানদের স্থায়ীভাবে বহিস্কারের জন্য  কেন্দ্রে চিঠি দেয়া হবে। 



সোনারগাঁও দর্পণ :

সোনারগাঁওয়ের বারদী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান লায়ন বাবুলের বিরুদ্ধে মামলা হচ্ছে। শুধু বাবুলই নয়, নারায়ণগঞ্জের আরও দুই চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধেও মামলা হবে বলে জানিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাই। বুধবার (২৩ ফেব্রুয়ারী) দুপুরে জেলা প্রশাসক মঞ্জুরুল হাফিজ ও পুলিশ সুপার জায়েদুল আলমের সাথে সাক্ষাৎ করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য স্মারকলিপি প্রদান শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ তথ্য জানান। লায়ন বাবুল ছাড়া অন্য দুই চেয়ারম্যান হলেন, বন্দরের কলাগাছিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন এবং নারায়ণগঞ্জের আলীরটেক ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ মনোনীত নির্বাচিত চেয়ারম্যান জাকির হোসেন। 

স্মারকলিপিতে লায়ন বাবুলের বিষয়ে উল্লেখ করেছেন, সোনারগাঁওয়ের বারদী ইউনিয়নের নব-নির্বাচিত চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী লায়ন মাহবুবুর রহমান বাবুল বারদীর একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা সম্পর্কে বেফাঁস বক্তব্য দিয়েছে। তার (লায়ন বাবুল) এই অশালীন বক্তব্য ইতোমধ্যে সারাদেশের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, ইলেক্ট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ায় প্রকাশিত হয়েছে। যে বক্তব্যের কারনে লায়ন মাহবুবুর রহমান বাবুলকে সাথে সাথে নারায়ণগঞ্জ জেলা আওমীলীগ থেকে সাময়িক অব্যাহতি দেয়ার পাশাপাশি স্থায়ীভাবে বহিষ্কারের জন্য  কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ বরাবর চিঠি দেয়া হয়েছে। নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগ মনে করে, যারা দেশের  প্রধানমন্ত্রী ও জাতির পিতাকে মানে না তাদের বিরুদ্ধে অনতিবিলম্বে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন। 

স্বারকলিপি প্রদানের সময় অন্যান্যদের মধ্যে, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির সদস্য এড. আনিসুর রহমান দিপু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, মহানগর কৃষকলীগের যুগ্ম আহবায়ক শফিকুল ইসলাম লিটনসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।



সোনারগাঁও দর্পণ :

ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ভূষ্মিভুত হয়েছে দেশের সবচেয়ে বড় খুচরা বইয়ের বাজার রাজধানীর নীলক্ষেত বই মার্কেট। মঙ্গলবার (২২ ফেব্রুয়ারী) সন্ধ্যা আনুমানিক সাড়ে ৭টার দিকে এ আগুন লাগে। রাজধানীতে থাকা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের প্রায় ১০ টি ইউনিটের এক ঘন্টার প্রচেষ্টায় রাত সাড়ে ৮টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।

আগুনের সূত্রপাত সম্পর্কে তাৎক্ষনিৎ কিছু জানাতে পারেনি ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের লোকজন। দোকানগুলো ঘিঞ্জি হওয়ার পাশপাশি অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা তেমন না থাকায় আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে দিকবেদিক। এ ঘটনায় সায়েন্সল্যাবরেটরি থেকে আজিমপুর ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সড়ক পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।



সোনারগাঁও দর্পণ : 

নদীতে অবৈধভাবে বাঁধ দিয়ে নদী ও জলজ প্রাণীর স্বাভাবিক চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে ঘের তৈরিকারীদের বিরুদ্ধে আইননানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে হুশিয়ারী দিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ নৌ পুলিশ সুপার মিনা মাহমুদা। মঙ্গলবার (২২ ফেব্রুয়ারী) দুপুরে নৌ পুলিশ সুপার মিনা মাহমুদা ও  সোনারগাঁও উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা জেসমিন আক্তারের  নেতৃত্বে মেঘনা নদীতে অবৈধ মাছের ঘের উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনার সময় তিনি এ হুশিয়ারী দেন।

অভিযানে সদর নৌ-থানা, বৈদ্যোর বাজারখাককান্দা, গজারিয়াসহ প্রায় ৫টি নৌ ফাঁড়ি ও মৎস্য কর্মকর্তারা সহযোগীতা সহযোগিতা করেন। এ সময় মেঘনা নদীতে থাকা প্রায় ২৫ টি অবৈধ মাছের ঘের উচ্ছেদ করা হয়। 





সোনারগাঁও দর্পণ :

আজ (২২ ফেব্রুয়ারী) মঙ্গলবার থেকে শুরু হয়েছে মাসব্যাপী লোক ও কারুশিল্প মেলা ২০২২। বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশন আয়োজিত সোনারগাঁও যাদুঘরে এ মেলার উদ্বোধন করেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী  কে এম খালিদ।

বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশনের পরিচালক ড. আহমেদ উল্লাহ’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন নারায়ণগঞ্জ - ৩ আসনের সংসদ সদস্য লিয়াকত  হোসেন খোকা, সোনারগাঁও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগ আহ্বায়ক কমিটির আহ্বায়ক এডভোকেট সামসুল ইসলাম ভুইয়া, নারায়ণগঞ্জ - ৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও উপজেলা আওয়ামী লীগ আহ্বায়ক কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক আবদুল্লাহ আল কায়সার, নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মঞ্জুরুল হাফিজ, সোনারগাঁও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তৌহিদ এলাহী, নারায়ণগঞ্জ  জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (‘খ’ অঞ্চল) শেখ বিল্লাল হোসেন প্রমূখ।

ফাউন্ডেশন সূত্র জানায়, আগের মেলায় ১৭০টি স্টল থাকলেও এ বছর মেলায় মোট ১০০ টি স্টল রয়েছে। যে সকল স্টলে শোভা পাবে লোক কারুশিল্পীদের কারুপণ্য বিক্রয় ও প্রদর্শনীর স্টল, হস্তশিল্প, তৈরী পোশাক, দেশীয় খাবার, দেশীয় নানা ঐতিহ্য যুক্ত পণ্যের দোকান। মাসব্যাপী এ মেলা প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে শুরু হয়ে চলবে রাত ৮টা পর্যন্ত। মেলার পর্দা নামবে আগামী ২১ মার্চ।

উল্লেখ, বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশন দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের বিলুপ্ত এবং বিলুপ্তির পথে থাকা লোকজ ঐতিহ্য সংরক্ষণ, বিপনন, তৈরি,পুণরুদ্ধার ও প্রদর্শনের একমাত্র সংস্থা। এর মাধ্যমে বর্তমান প্রজন্মকে দেশীয় ঐতিহ্যের সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়ার পাশাপাশি চিরায়িত বাংলাকে তুলে ধরা হয় বিশ্বব্যাপী। 



সোনারগাঁও দর্পণ :

পানিতে পরে নোহা (৩) নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। সোমবার (২১ ফেব্রুয়ারী) দুপুরে সোনারগাঁও পৌর এলাকার দিঘীরপাড় গ্রামে মর্মান্তিক এক দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত নোহা দিঘিরপাড় গ্রামের ইলিয়াস মিয়ার মেয়ে। এ সময় মোস্তাকিম নামে অপর এক শিশু আহত হয়।

এলাকাবাসী সূত্রে জানাযায়, দুপুরে শিশু নোহা ও পাশের বাড়ির শিশু মোস্তাকিম খেলা করছিল। খেলার এক পর্যায় দু’জনই খাসনগর দিঘীরপাড়ে দিঘীর পানিতে পড়ে যায়। এ সময় মোস্তাকিম কোন মতে উপরে উঠতে সক্ষম হলেও  নোহা পানিতে তলিয়ে যায়।

নোহা পানিতে তলিয়ে যাওয়ার বিষয়টি মোস্তাকিম দৌড়ে  তার বাড়ি গিয়ে জানালে পরিবারের লোকজন নোহাকে পানি থেকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।



সোনারগাঁও দর্পণ :

মহান ২১ শে ফেব্রুয়ারী ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে ১৯৫২ সালে আত্মত্যাগদানকারী ভাষা শহীদদের শ্রদ্ধা জানিয়েছেন জাতীয় পার্টির যুগ্ম মহাসচিব ও নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস লিয়াকত হোসেন খোকা। ২১ শে  ফেব্রুয়ারী ভোরের সূর্য  ওঠার সাথে সাথে প্রথম পহরে স্ব-স্ত্রী সমেত দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে উপজেলা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুস্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে এ শ্রদ্ধা জানানো হয়। 

পুস্পস্তবক অর্পণের সময় সোনারগাঁও উপজেলা পরিষদের  চেয়ারম্যান এডভোকেট সামসুল ইসলাম ভুইয়া, নোয়াগাঁও ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান দেওয়ান উদ্দিন চুন্নু, উপজেলা মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যান ও লিয়াকত হোসেন খোকার সহধর্মীনি ডালিয়া লিয়াকত, বারদী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান জহিরুল ইসলাম, পিরোজপুর ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম ভূইয়া, ইউপি সদস্য মুজিবর রহমানসহ দলটির বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।



সোনারগাঁও দর্পণ :

মহান ২১ শে ফেব্রুয়ারী ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে ১৯৫২ সালে বাংলা ভাষা প্রতিষ্ঠার দাবিতে আত্মত্যাগকারী ভাষা সৈনিকদের বিনম্র শ্রদ্ধা জানিয়েছেন সোনারগাঁও উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাবেক সাধারণ সম্পাদক। সোমবার ভোরের সূর্য উদয়ের সাথে সাথে তার অনুসারী নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে সোনারগাঁও উপজেলা কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারের বেদিতে পুস্পস্তবক অর্পণ করে এবং কিছুক্ষণ নিরবতা পালন করে শহীদদের শ্রদ্ধা জানান তিনি।

এ সময় তার সাথে নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের সদস্য  ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান মাসুম, পৌরসভা আওমীলীগের যুগ্ম আহবায়ক গাজী আমজাদ হোসেন, সনমান্দি ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান শাহাবুদ্দিন সাবু, সনমান্দি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি ইসহাক মিয়া, স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা সামসুজ্জামান সামসু, পৌরসভা আওয়ামীলীগ নেতা ঈসমাইল আল মামুনসহ বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।



সোনারগাঁও দর্পণ :

মাতৃভাষা হিসেবে প্রতিষ্ঠার দাবিতে ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রæয়ারী বাংলা ভাষা বিদ্বেসীদের গুলিতে শহীদের শ্রদ্ধা জানিয়েছে সোনারগাঁও উপজেলা আওয়ামী লীগ। ২০ ফেব্রুয়ারী দিন শেষে ২১ ফেব্রæয়ারী প্রথম প্রহরে (রাত ১২.০১ মিনিট) উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এডভোকেট সামসুল ইসলাম ভূইয়া ও উপজেলা আওয়ামী লীগের ১ম যুগ্ম  আহ্বায়ক ও সাবেক সাংসদ আব্দুল্লাহ আল কায়সারের নেতৃত্বে উপজেলা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুস্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে এ শ্রদ্ধা জানানো হয়।

শ্রদ্ধাজ্ঞাপনের সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপজেলা আওয়ামী লীগের ২য় যুগ্ম  আহ্বায়ক ও পিরোজপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মাসুদুর রহমান মাসুম, জেলা পরিষদ সদস্য ও উপজেলা আওয়ামী লীগের  আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান মাসুম, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মাহমুদা আক্তার ফেন্সি, উপজেলা আওয়ামী লীগের  আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও মোগরাপাড়া ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আরিফ মাসুদ বাবু, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম নান্নু, উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি গাজী মজিবুর রহমানসহ উযপজেলা আওয়ামী লীগ ও এর সকল অঙ্গসংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।



সোনারগাঁও দর্পণ :

অপরাধের পর একটি সংবাদ সম্মেলন করে ভুল স্বীকার করে ক্ষমা চেয়ে কি শেষ রক্ষা হবে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত বারদী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান লায়ন মাহবুবুর রহমান বাবুল’র। সোনারগাঁও আওয়ামী লীগসহ স্থানীয় রাজনীতিতে এমন কথা চাউর হচ্ছে গত শনিবার সোনারগাঁও উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক কমিটির সভা শেষে। অনেকের মতে, স্থানীয় একটি ইসলামিক সভায় লায়ন বাবুল তার বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী সম্পর্কে যে উদ্ধত্বপূর্ণ শব্দ উচ্চারণ করেছেন তা কোনভাবেই ভুল নয়। এটি অন্যায়। 

আলোচক-সমালোচকদের মতে, তিনি (লায়ন বাবুল) তার বক্তব্যে এলাকার নানান সমস্যা-সম্ভাবনা নিয়ে কথা বলতেই পারেন। কিন্তু তার সে বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রীকে আনা এবং প্রধানমন্ত্রী আর তাঁর ক্ষমতার বিষয়ে অশালীন বক্তব্য শুধু প্রধানমন্ত্রীই নয়, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জন্যও লজ্জার এবং রাজনৈতির চরম শিষ্ঠাচারহীন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক উপজেলা আওয়ামী লীগ আহ্বায়ক কমিটির একজন সদস্য সোনারগাঁও দর্পণ’কে বলেন, লায়ন বাবুলের বক্তব্যের বিষয়ে জেলা আওয়ামী লীগ ইতোমধ্যে তাকে তার রাজনৈতিক পদ থেকে অব্যাহতি দিয়েছে। পাশাপাশি বাবুলকে আওয়ামী লীগ থেকে স্থায়ীভাবে বহিস্কারের জন্য সুপারিশ করেছে। আমরাও সোনারগাঁও উপজেলা আওয়ামী লীগ আহ্বায়ক কমিটি তাকে স্থায়ীভাবে বহিস্কারের জন্য সুপারিশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এখন কেন্দ্র কি করবে সেটি সম্পূর্ণই কেন্দ্রের ব্যাপার। 


সোনারগাঁও দর্পণ :

গত ১৬ ফেব্রুয়ারী কাইকারটেক হাটের ইজারা নিয়ে সোনারগাঁওয়ের স্থানীয় যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে সংগঠিত সংঘর্ষে আরও একটি অভিযোগ হয়েছে।  মোগরাপাড়া ইউনিয়নের ষোলপাড়া গ্রামের শাহজামাল তোতার ছেলে ও জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সোহাগ রনিকে প্রধান আসামী করে আজ (২০ ফেব্রুয়ারী) রবিবার সোনারগাঁও থানায় এ অভিযোগটি করেন মোগরাপাড়া ইউনিয়নের নালআলাবদী গ্রামের ডা. মো. আব্দুল হামিদের ছেলে ফারুক আহমেদ। 

অভিযোগে প্রধান আসামি ছাড়াও ২২ জনের নাম উল্লেখ করার পাশিপাশি অজ্ঞাত আরো ৪০ জনকে আসামী করা হয়। অভিযোগে অন্যান্যদের মধ্যে সোহাগ রনি’র বড় ভাই সোহেল (৩৬), ফুলবাড়িয়া গ্রামের মৃত মজিব দালালের দুই ছেলে এবং সোহাগ রনি’র চাচা শাহ আলম (৫৫), শাহজামাল তোতা (৫৩), একই এলাকার মৃত জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে সিরাজুল ইসলাম সজল (৩২), মৃত হাসন আলীর ছেলে আলমগীর (৪৩), নগর সাদীপুরের সাহাবুদ্দিনের ছেলে মিন্টু (৪২), হান্নানের ছেলে পারভেজ (৩৫), বাড়ি চিনিস গ্রামের সাহাবুদ্দিনের ছেলে লিজন (২৮), পুরান ত্রিবর্দী (টিপুরদি) গ্রামের নীল চাঁনকারীর ছেলে আলাউদ্দিন (৫৬), সালাউদ্দিনের ছেলে মিঠু (৪২), ফুলবাড়িয়া গ্রামের নসির উদ্দিন ওরফে নইচ্ছার ছেলে জসিম (৩২), কাফুরদী এলাকার এলাকার মৃত আনসর আলীর ছেলে গাজী খলিল মেম্বার (৬২) ও তার ছেলে গাজী জাবেদ (৩৫), আলাবদী এলাকার মৃত আবুল কাশেমের ছেলে সেলিম (৩৫), মৃত নুরুল নইসলামের ছেলে আব্দুল আলী (৩৮), উলুকান্দা গ্রামের শাহনেওয়াজের ছেলে রানা (৩৩), কাফুরদী এলাকার আনসার আলীর ছেলে গাজী সামসুদ্দিন (৪৮), মৃত নজরুৈ ইসলামের ছেলে নাছির ওরফে নাছিম (৩৪), কৃষ্ণপুরা এলাকার নুরুদ্দিন মাস্টারের ছেলে মেহেদি (৩৫), বাদশা মিয়ার ছেলে শাহজালাল (৩৫), ষোলপাড়ার জাহাঙ্গীরের ছেলে অর্ণী আলম (২৮), ছোট অর্জুন্দী এলাকার মৃত গোবিন্দ চন্দ্র ঘোষের ছেলে সঞ্জল চন্দ্র ঘোষ (২৬) , পুরান ত্রিবর্দী (টিপুরদী) এলাকার সালাহউদ্দিনের ছেলে রিটু (৩১), শেখ আমান, পিতা অজ্ঞাত, কাবিলগঞ্জ গ্রামের আব্দুর রবের ছেলে ওয়ালিদ (২৮), মৃত তাহেরের ছেলে ইয়াছিন আরাফাত (২৩) ও মুক্তিশপুর এলাকার আব্দুর রহমানের ছেলে আদনান (২৩)’কে আসামী করা হয়েছে।

এছাড়াও ৩০ থেকে ৪০ জন মাস্তান প্রকৃতির অজ্ঞাত ব্যক্তিদের কথা উল্লেখ করে বাদী উল্লেখ করেন, ফারুকসহ বেশ কয়েকজন গত ১৬ ফেব্রæয়ারী দরপত্র দাখিলের জন্য  সোনারগাঁও উপজেলা পরিষদের দিকে যাওয়ার সময় উল্লেখিত আসামীরা পূর্বশত্রæতার জের ধরে কাইকারটেক ও  সোনারগাঁও চৌরাস্তা বাজার এলাকায় অভিযুক্ত সন্ত্রাসীরা হাতে ধারালো চাকু, চাপাতি, লোহার রড, হকিস্টিকসহ দেশীয় অস্ত্রসস্ত্রসহ তাদের গতিরোধ করে এবং পাচ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। বাদী সন্ত্রাসীদের দাবিকৃত চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে বাদীসহ অন্যান্যদের ওপর হামলার নির্দেশ দেন। দাবিকৃত চাঁদার টাকা না দিলে কাইকারটেক হাটের ইজারার দরপত্র জমা দিতে পারবো না বলেও হুমকি দেয়। এ সময় বাদীকে অবথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে নানা ধরনের ভয়-ভীতি দেখায়। এক পর্যায় প্রতিবাদ করলে ১ নং ও ২ নং বিবাদীর নেতৃত্বে অন্যন্য অভিযুক্তরা ঐক্যবদ্ধভাবে বাদীকে কিলঘুষি ও লাথি মেরে যখম করে। ১০ নং বিবাদীর হাতে থাকা লোহার ধারালো চাপাতিটি ১ নং বিবাদীর হাতে আগাইয়া দেয়। এ সময় ১ নং বিবাদী উক্ত লোহার ধারালো চাপাতি দিয়ে বাদীকে খুন করার উদ্দেশ্যে মাথায় ধারলো অস্ত্র দিয়ে কোপ দেয়। এতে বাদীর কপালের ওপর ডান পাশে কেটে মারাত্মকভাবে রক্তাক্ত যখম হয়। এক পর্যায় ফারুক মাটিতে লুটিয়ে পরলে, ২ নং বিবাদীর হাতে থাকা ধারালো রামদা দিয়ে খুন করার উদ্দেশ্যে তার (বাদীর) মাথার বাম পাশে কপালের ওপর কোপ মারে। যাতে মারাত্মকভাবে রক্তাক্ত জখম হয় এবং অন্যান্য বিবাদীদের হাতে থাকা লোহার রড, হকি ঠিক, হাতুড়ি ও লাঠিসোটা দিয়ে শরীরের বিভিন্নস্থানে এলোপাথারিভাবে পিটিয়ে রক্তাক্ত আহত করে। এ সময় ৫ নং বিবাদী তার (বাদী ফারুক) গলায় পা দিয়ে চাঁপ দিয়ে ধরে হত্যার চেষ্টা করে। এ সময় ৬ নং বিবাদী ফারুকের কাছে থাকা ব্যাগের ভেতরে রাখা তিন লাখ টাকা ছিনিয়ে নেয়। এ সময় তিনি ডাক চিৎকার শুরু করলে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসতে থাকে। এক সময় তার সাথে থাকা তার ছেলে রোবায়েত, ভাই ডাঃ আক্তার হোসেন ও চাচাতো ভাই রাজিব প্রধান তাকে বাঁচাইতে এগিয়ে গেলে অভিযুক্তরা তাদেরকেও লোহার রড, হকি ষ্টিক ও লাঠিসোটা দিয়ে পিটায়। পরে তার চাচাতো ভাই রাজিব প্রধান আহত অবস্থায় উদ্ধার করে স্থানীয় সোনারগাঁও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করে।

অভিযোগ দেয়ার বিষয়টি স্বীকার করে সোনারাগাঁও থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হাফিজুর রহমান বলেন, বিষয়টি তদন্তনাধীন। অভিযোগের সত্যতা পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

উল্লেখ্য, এরআগে ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত সজল বাদী হয়ে উপজেলা যুবলীগের সভাপতি রফিকুলেইসলাম নান্নুকে প্রধান আসামী করার পাশাপাাশি মোগরাপাড়া ইউনিয়েনের চেয়ারম্যান আরিফ মাসুদ বাবু এবং ১ নং ওংয়ার্ড  সদস্য শিপন সরকারসহ আরও বেশ কয়েকজনকে আসামী করে একটি মামলা করে।



সোনারগাঁও দর্পণ :

বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত বারদী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান লায়ন মাহবুবুর রহমান বাবুল নিজেকে বারদীর নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট দাবি করে প্রধানমন্ত্রী সম্পর্কে বে-ফাঁস বক্তব্য দেয়ায় তাকে দল থেকে বহিস্কার করেছে জেলা আওয়ামী লীগ। পাশাপাশি বিষয়টি কেন্দ্রীয় কার্যালয়কে চিঠির মাধ্যমেও জানানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৭ ফেব্রুয়ারী) নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক এম এ রাসেল স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে অব্যাহতির বিষয়টি জানানো হয়েছে।

বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে, বারদীতে একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানে বারদী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান বাবুল আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ্য করে যে বক্তব্য দিয়েছেন তা ক্ষমার অযোগ্য। এছাড়া, দলীয় মনোনয়ন পেয়ে চেয়ারম্যান হওয়ার পর লায়ন বাবুল দলীয় শৃঙ্খলা বিরোধী কর্মকান্ডে জড়িয়ে পড়েছেন।

লায়ন বাবুলকে দলীয় পদ থেকে অব্যাহতির বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল হাই জানান, আপাতত বাবুলকে সাময়িক অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। তাকে স্থায়ীভাবে বহিস্কারের সুপারিশ করা হবে।

উল্লেখ্য, সম্প্রতি সোনারগাঁও উপজেলার বারদী ইউনিয়নের পাইকপাড়া এলাকায় এক ওয়াজ মাহফিলে বারদী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান বাবুল নিজেকে বারদীর নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট দাবি করে বলেন, তিনি (লায়ন বাবুল) যতক্ষণ বারদীর চেয়ারম্যান ততক্ষণ তিনি বারদীর নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট। তার এলাকায় শেখ হাসিনা যেতে চাইলেও লায়ন বাবুলের অনুমতি নিয়ে যেতে হবে। তিনি যা বলবেন তা-ই শুনতে হবে। তিনি সুইচ অফ বললে সুইচ অফ হবে, অন বললে অন হবে। প্রশাসন তার পক্ষেই কাজ করবে। কারও ফোনে প্রশাসন আসবে না। এছাড়াও নিজের জন্য নিজেকে অহংকারী ভেবে বিভিন্ন অসঙ্গত মন্তব্য করেন লায়ন বাবুল।



সোনারগাঁও দর্পণ : 

সোনারগাঁওয়ের জামপুরে আধুনিক মানের শপিং কমপ্লেক্স হচ্ছে। বুধবার (১৬ ফেব্রুয়ারী ) সকালে জামপুরের মাঝেরচর বাসষ্ট্যান্ডে এ উপলক্ষে শপিং সেন্টার নির্মাণকল্পে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়।

জামপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবির ভুঁইয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন নারায়ণগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম বাবু। মাঝেরচর শপিং সেন্টারের প্রতিষ্ঠাতা ও আওয়ামী লীগ নেতা রাসেল আহম্মেদ খোকনের সার্বিক তত্ত¡াবধানে অনুষ্ঠানের উদ্ভোদক ছিলেন সোনারগাঁও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্ববায়ক ও নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আবদুল্লাহ আল কায়সার হাসনাত।

জামপুর ও নিকটবর্তী আধুনিক মানের কোন শপিং কমপ্লেক্স বা শপিং মার্কেট না থাকায় নির্মিতব্য শপিং কমপ্লেক্সটি জামপুর ইউনিয়নসহ আড়াইহাজার ও আশেপাশের এলাকার বাসিন্দাদের ভালমানের বিভিন্ন পণ্য পাওয়ার পাশাপাশি নানা কর্মসংস্থানের পথ তৈরি হবে বলে বক্তারা বলেন। 

ভিত্তিপ্রস্তর অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে সোনারগাঁও উপজেলা যুবলীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম নান্নু, সোনারগাঁও উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক কামাল হোসেন, জামপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন ওয়ার্ডের সদস্য, ইউনিয়নের বিভিন্ন ওয়ার্ডের নেতাকর্মী ও নানান শ্রেণীপেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন। 



সোনারগাঁও দর্পণ :

সোনারগাঁওয়ে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের দুই গ্রæপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। সংঘর্ষে উভয় গ্রæপের কমপক্ষে ১৫জন আহত হয়েছে। বুধবার (১৬ ফেব্য়ারুরী) সকালে উপজেলা পরিষদ চত্ত¡রে হাটের ইজারা জমা দেওয়াকে কেন্দ্র করে সোনারগাঁও উপজেলা যুবলীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম নান্নু ও জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি সোহাগ রনি’র সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের এ ঘটনা ঘটে। আহতদের মধ্যে বেশ কয়েকজনকে স্থানীয় হাসপাতালে এবং গুরুতর আহতদের আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডেকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

স্থানীয় সূত্র জানায়, আগামী এক বছরের জন্য উপজেলার ১০টি হাটের ইজারার দরপত্র আহ্বানের বিপরীতে দরপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন ছিল আজ (বুধবার)। এ নিয়ে সকাল  থেকেই উপজেলা যুবলীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম নান্নু ও নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি সোহাগ রনি’র সমর্থকেরা পৃথকভাবে দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্র নিয়ে উপজেলা পরিষদ চত্বরে মহড়া দেয়। এ নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে চরম আতঙ্ক এবং উভয় গ্রুপে উত্তেজনা দেখা দেয়। বেলা ১১টার দিকে সোহাগ রনির সমর্থকেরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অফিসে রাখা নির্দিষ্ট স্থানে দরপত্র জমা দিতে  গেলে বাঁধা দেয় রফিকুল ইসলাম নান্নু গ্রুপের মোগরাপাড়া ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক সজিব মিয়া ওরফে এসকে সজিবের নেতৃত্বে ১০-১৫ জন যুবলীগ কর্মী। এ নিয়ে পরিষদ চত্বরের ভেতরেই দুই গ্রুপের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, এ সংঘর্ষ প্রায় ঘন্টা ধরে চলে। পরে পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এতে সোহাগ রনির পক্ষের ১০ থেকে ১২ জন কর্মী আহত হন। আহতদের মধ্যে মেহেদী হাসান, জাবেদ ও সজলকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা  মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। 

অপরদিকে, রফিকুল ইসলাম নান্নু গ্রুপের যুবলীগ কর্মী রবিউল ও ফারুকসহ তিনজন আহত হন। তাদের মধ্যে ফারুকের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁকেও ঢাকা  মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

সংঘর্ষ নিয়ে উভয় গ্রুপের প্রধানরা একে অপরকে দায়ি করেছেন। সোহাগ রনি’র অভিযোগ, যুবলীগের নেতা-কর্মীরা পূর্বপরিকল্পিতভাবে তার সমর্থকদের বাঁধা দেয়াতেই এ হামলার ঘটনা। আর রফিকুল ইসলাম নান্নু বলেন, ছাত্রলীগের নাম করে মূলত মাদক ব্যবসায়ী ও সন্ত্রাসীরা পরিষদ চত্বরে অস্ত্রের মহড়া দিয়ে তার নেতাকর্মী ও সমর্থকদের উপর হামলা করেছে। 

সোনারগাঁও থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ হাফিজুর রহমান বলেন, ছাত্রলীগ ও যুবলীগের দু’পক্ষের সংঘর্ষের বিষয়ে দুই পক্ষই থানায় পাল্টাপাল্টি লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে। 



সোনারগাঁও দর্পণ :

আগ্নেয়াস্ত্র ও ইয়াবাসহ সামসুল হুদা ওরফে সেলিম নামে এক সন্ত্রাসীকে গ্রেফতার করেছে সোনারগাঁও থানা পুলিশ। মঙ্গলবার (১৫ ফেব্রুয়ারী ) সন্ধ্যার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের আষাঢ়িয়ার চর এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার হওয়া সেলিম একই এলাকার সানোয়ার  হোসেনের ছেলে। 

সোনারগাঁও থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ হাফিজুর রহমান জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাকে একটি বিদেশী পিস্তল ও ১’শত পিস ইয়াবাসহ গ্রেফতার করা হয়। তার বিরুদ্ধে এরআগেও ৪টি বিভিন্ন মামলা রয়েছে। এ ঘটনায়ও তার বিরুদ্ধে অস্ত্র ও মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা হবে। বুধবার সকালে তাকে আদালতে পাঠানো হবে।



সোনারগাঁও দর্পণ :

পুলিশ বলছে কাউসার মটরসাইকেলে থাকাকালীণ সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছে। অপরদিকে নিহত কাউসারের পরিবারের দাবি, কাউসারকে হত্যা করা হয়েছে। কারণ হিসেবে জানায়, নিহত কাউসারের অন্ডকোষ ছিল থেতলানো আর ডান কানের লতির দিকে কিছু দিয়ে ছিদ্র করা হয়েছে এমন ছিদ্রও দেখেছে মরদেহ গোসল করা একাধিক ব্যক্তি আর পরিবারের সদস্যরা। কাউসারের পরিবারের দাবি, নিহত কাউসারের বন্ধু গোলজার তাকে নিয়ে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে। নিহত কাউসারের বাড়ি সোনারগাঁও উপজেলার মোগরাপাড়া ইউনিয়নের ষোলপাড়া গ্রামে। তার বাবার নাম মৃত জাফর মিয়া। আর কাউসারের বন্ধু গোলজার পিরোজপুর ইউনিয়নের পাঁচআনী গ্রামের তাইজউদ্দিনের ছেলে। গত রেবাবার (১৩ ফেব্রুয়ারী) সকালে কুমিল্লার ইলয়টগঞ্জে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে কাউসারের লাশ পায় পুলিশ। ঘটনার পর থেকে কাউসারের বন্ধু গোলজার লাপাত্তা। তবে, গোলজারের ব্যবহৃত মোবাইল সেটটি কাউসারের প্যান্টের পকেট থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। পাশাপাশি মরদেহের সাথে সামনে পুলিশ লেখা একটি মটরসাইকেলও সম্পূর্ণ অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। যে মটরসাইকেলটি কাউসারের বন্ধু গোলজারের মেয়ে স্বামীর বলে জানায় নিহতের পরিবারের সদস্য ও পাঁচআনী গ্রামের স্থানীয়রা।

নিহত কাউসারের ছোট ভাই মাহবুব সোনারগাঁও দর্পণ’কে জানায়, শনিবার দুপুর আড়াইটার দিকে গোলজারের মেয়ে জামাতা মটরসাইকেলে করে তাদের বাড়ি থেকে কাউসারকে ইলিয়গঞ্জ গরু কিনতে নিয়ে যায়। বাড়ি থেকে যাওয়ার সময় কাউসার তার মায়ের কাছ থেকে গরু কেনার জন্য একলাখ টাকাও সাথে নেয়। পরে তার সাথে কথা রাত আনুমানিক সাড়ে ৯টার দিকে। সে সময় কাউসার জানায় তারা দু’জন ঢাকা কোন এক কাজে রয়েছে। ফিরতে দেরি হবে। পরে শনিবার রাত দুইটার দিকে কাউসারের স্ত্রী পরিবারের সদস্যদের জানায়, কাউসার বাড়িতে না ফেরার কথা। সে সময় মাহবুব ফোন দিলে কাউসার জানায়, তাকে পুলিশ আটক করেছে এবং ছাড়িয়ে নিতে টাকা চায় পুলিশ। কেন ধরেছে, কত টাকা চায় বা সাথে কে আছে জানতে চাইলে কাউসার জানায়, সাথে গোলজার ছিল। তবে সে তাকে রেখে চলে গিয়েছে। কোথায় গিয়েছে জানতে চাইলে কাউসার জানেনা বলে জানায়। কোন জায়গার পুলিশ ধরেছে এমন প্রশ্ন করলে পুলিশের কাছে কাউসার কোন থানা জানতে চাওয়ার সাথে সাথে মোবাইলের অপর প্রান্ত থেকে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হয়। 

সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার ১৫ থেকে ২০ মিনিট পর কাউসার তার ভাই মাহবুবের মোবাইলে কল দিয়ে জানায় পুলিশ তাকে ছেড়ে দিয়েছে চিন্তা না করার জন্য। সে বাড়ি ফিরছে বলেই সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয় অপর প্রান্ত থেকে। এরপর বেশ কয়েকবার কল করলেও কাউসার আর ফোন রিসিভ করেনি।

এ ঘটনার ১০ থেকে ১৫ মিনিট পর আবার কাউসারের মোবাইল সেটে ফোন দিলে মোবাইলের অপর প্রান্ত থেকে কেউ একজন রিসিভ করে মোবাইলের ব্যক্তি (কাউসার) অজ্ঞান অবস্থায় মহাসড়কের পাশে পরে রয়েছে বলে জানানো হয়। কোন জায়গায় পড়ে আছে জানতে চাইলে ইলিয়টগঞ্জ ইটখোলার পাশে বলে জানায়। মোবাইলে কে কথা বলছেন জানতে চাইলে পরিচয় না দিয়ে সেখানে যাওয়ার কথা বলে কেটে দেয় সংযোগ। 

পরে কাউসারসহ পরিবারের সদস্যদের মোবাইলে দেয়া স্থানে গিয়ে আবার ফোন দিলে পুলিশ তাদের থানায় যেতে বললে পরিবারের সদস্যরা থানায় যায়। সেখানে গিয়ে কাউসারের পরিচয় সনাক্ত করার পর এবং তারাই কাউসারের পরিবারের সদস্য প্রমাণ পাওয়ার পর পোষ্টমর্টেম তদন্ত শেষে লাশ হস্তান্তরের একটি কাগজ দিয়ে লাশ নিয়ে যাওয়ার কথা বলে পুলিশ এবং রোড এক্সিডেন্টে নিহত হয়েছে জানিয়ে কোন মামলা করতে হবেনা জানিয়ে লাশসহ পাঠিয়ে দেয়। এমনকি পোষ্টমর্টেম করার খরচ বাবদ ৬ হাজার ৪শ টাকাও রেখে দেয় পুলিশ। 

মরদেহ উদ্ধার করা ইলয়টগঞ্জ হাইওয়ে থানা পুলিশের এসআই (নিঃ) সুজন চন্দ্র হালদারের বরাত দিয়ে মাহবুব সোনারগাঁও দর্পণকে জানায়, কাউসারের পকেট থেকে গোলজারের মোবাইল সেট উদ্ধারের সময় তার মোবাইলের সিম ছিল উল্টানোবস্থায়। সিম ঠিক করে পুণরায় প্রবেশ করানোর পরই গোলজারের মোবাইলে একজন ফোন দিলে পুলিশ রিসিভ করে। পরিচয় জানতে চাইলে জানায়, ফোন দেয়া ব্যক্তি আজহার। তিনি নারায়ণগঞ্জ পুলিশের একজন সদস্য। আর যে মোবাইলে কথা হচ্ছে সে ওই পুলিশ সদস্যের মেয়ের স্বামী। এ সময় ভিডিও কলে মটরসাইকেল দেখানোর পর মৃত ব্যক্তিকে (কাউসার) চিনেন না এবং মটরসাইকেল তার বলে সনাক্ত করেন।  

সুরতকহাল রিপোর্ট করার সময় নিহতের শরীরের মটর সাইকেলে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতের মতো কোন সিনডম দেখা যায়নি স্বীকার করে ইলয়টগঞ্জ হাইওয়ে পুলিশের এসআই সুজন চন্দ্র হাওলাদার সোনারগাঁও দর্পণ’কে জানান, মটরসাইকেলটি অক্ষত ছিলনা। মটরসাইকেলের ব্যাটারী ও এক সাইট ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। হেলম্যাট ভাঙ্গা ছিল। কানের নিচে ছিদ্র তাদের চোখে পড়েনি তবে, যদি এমন কিছু থাকে তা অবশ্যই পোষ্টমর্টেম রিপোর্টে উঠে আসবে। আর কাউসারের পকেটে গোলজারের মোবাইল পাওয়ার বিষয়ে বলেন, অনেক সময় যিনি মটরসাইকেল চালান তিনি চালানো অবস্থায় ফোনে কথা বলতে পারবেননা ভেবে সাথে থাকা ব্যক্তির কাছে মোবাইল রাখেন এমন ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। তবে, সবকিছুর সমাধান পাওয়া যাবে গোলজারের হদিস পেলে বলে তিনি জানান।

এদিকে কাউসারের লাশ পাওয়ার পর গত রবিবার মাগরিব নামাজের পর দরগাহ্ বাড়ি মসজিদে নামাজে জানাজা শেষে দরগাহ্ বাড়িতেই লাশ দাফন করা হয়েছে।



সোনারগাঁও দর্পণ : 

অবশেষে পর্দা উঠছে করোনা এবং অমিক্রম প্রাদুর্ভাব রোধে বন্ধ হয়ে যাওয়া বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশনের মাসব্যাপী লোকজ মেলা। আগামী ২২ ফেব্রুয়ারী  সোনারগাঁও জাদুঘর কম্পাউন্ডে এ মেলা শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। 

বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক রবিউল হোসাইন জানান, গত ২২ জানুয়ারী মেলা শুরু হওয়ার সকল প্রস্তুতি থাকলেও করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব হঠাৎ বেড়ে যাওয়ায় তখন মাসব্যাপী লোকজ মেলার স্থগিতের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল এবং অবস্থার উন্নতি হলে মেলা হবে বলেও ঘোষণা দিয়েছিল। তারই ধারাবাহিকতায় সোমবার সকালে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের এক সভায় পূণরায় স্থগিত হওয়া লোকজ মেলা শুরু করার সিদ্বান্ত হয়। সিদ্ধান্ত মোতাবেক আগামী ২২ ফেব্রুয়ারী অনুষ্ঠিত হবে বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশনের মাসব্যাপী লোক ও কারুশিল্প মেলা ও লোকজ উৎসব।


 


সোনারগাঁও দর্পণ :

আগামী রোববার (১৩ ফেব্রুয়ারী) প্রকাশ করা হবে বলে জানিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। বৃহস্পতিবার (১০ ফেব্রুয়ারী) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা এম এ খায়েরের পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, আগামী ১৩ ফেব্রুয়ারী এইচএসসি, আলিম, এইচএসসি ভোকেশনাল, এইচএসসি ব্যবসা ব্যবস্থাপনা ও ডিপ্লোমা-ইন-কমার্স পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হবে।

সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় সূত্রে জানাযায়, রোববার (১৩ ফেব্রুয়ারী) রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে এইচএসসি-সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশের অনুষ্ঠানটির আয়োজন করা হবে। শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি’র সভাপতিত্বে প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হবেন। অনুষ্ঠান শুরু হবে রোববার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে। বেলা ১১টার দিকে দেশের সব শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যানরা প্রধানমন্ত্রীর কাছে ২০২১ সালের এইচএসসি-সমমান পরীক্ষার ফলাফল তুলে দেয়ার কথা রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী আনুষ্ঠানিকভাবে ফলাফল প্রকাশের ঘোষণা করবেন। দুপুর ১২টার দিকে শিক্ষামন্ত্রী সংবাদ সম্মেলন করে ফলাফলের সার্বিক বিষয় গণমাধ্যমকে জানাবেন। সংবাদ সম্মেলনের পরই সকলের জন্য ফলাফল উন্মুক্ত করা হবে।



সোনারগাঁও দর্পণ :

বিচার চেয়ে পালিয়ে বেড়াতে বাধ্য হচ্ছে সুবিধা বঞ্চিত নদী বেষ্টিত চরাঞ্চল সোনারগাঁওয়ের নুনেরটেকের শিশুদের অবৈতনিক স্কুল ‘মায়াদ্বীপ জেলেশিশু পাঠশালা’র প্রধান শিক্ষক মরিয়ম আক্তার পাখি ও তার পরিবারের সদস্যরা। এমনই অভিযোগ করেছেন সূবর্ণগ্রাম ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান কবি শাহেদ কায়েস। বৃহস্পতিবার সকালে নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন তিনি।

শাহেদ কায়েস জানান, সোনারগাঁওয়ের নুনেরটেকের মায়াদ্বীপে সামাজিক ও সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান সুবর্ণগ্রাম ফাউন্ডেশন পরিচালিত সুবিধাবঞ্চিত জেলে সম্প্রদায়ের শিশুদের জন্য অবৈতনিক স্কুল  ‘মায়াদ্বীপ জেলেশিশু পাঠশালা’টি বন্ধ করে দেওয়ার ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে গত ২২ জানুয়ারি স্কুলের প্রধান শিক্ষকের বাড়িতে একদল দুষ্কৃতকারী হামলা করেছিল। সেই হামলার নৃশংসতা থেকে বাদ পরেনি প্রধান শিক্ষক পাখির দেড় বছরের শিশুটিও। পাখির মা-কে অমানবিকভাবে মারধর করা হয়েছে, তার দুইভাই শরিফ ও রাশেদকে নৃশংসভাবে পিটানো হয়েছে। এ ঘটনায় সোনারগাঁও থানায় মামলা করলে তদন্ত শেষে আদালতে চার্জশিট দেয় পুলিশ। ইতোমধ্যে মাত্র একজন আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। পরে তারও জামিন হয়। এদিকে, প্রধান শিক্ষক পাখি ও তার পরিবারের সদস্যরা বর্তমানে গ্রামছাড়া। বিভিন্ন জায়গায় আত্মগোপন করে থাকতে বাধ্য হচ্ছে। অপরদিকে, গ্রামে তাদের গবাদি পশুগুলো অনাহারে, অর্ধাহারে দিন কাটাচ্ছে। তাদের আয়ের প্রধান উৎস মুদি দোকানটিও বন্ধ হয়ে গেছে। মাছ ধরতে যেতে পারছেন না পাখির বাবা। সুবর্ণগ্রাম ফাউন্ডেশনের স্কুলটি বন্ধ রয়েছে, যে স্কুলটিতে গ্রামের হত-দরিদ্র পরিবারের ছেলে মেয়েরা পড়াশুনার সুযোগ পায়। 

নুনেরটেকে মেঘনা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধ করতে শাহেদ কায়েস এরআগেও বহুবার হামলা মামলা ও অফহরণের শিকার হয়েছেন উল্লেখ করে শাহেদ কায়েস বলেন, যারা স্কুল শিক্ষক মরিয়ম আক্তার পাখি ও তার পরিবারের ওপর হামলা চালিয়েছে তারা আগে বালু সন্ত্রাসী ছিল। এখন তারা এলাকায় অবৈধ হুন্ডি ব্যবসা, মাদক ব্যবসাসহ নানা অপকর্মে জড়িত। এখানে স্কুল থাকায় অনেক ছেলে মেয়েরা শিক্ষিত হচ্ছে। তাদের অপকর্মে বাঁধা দিচ্ছে। তারা ভাবছে স্কুল না থাকলে আমি বা প্রশাসনের কেউ সেখানে যাবে না। তারা সকল অপকর্ম অবাধে চালিয়ে যেতে পারবে। এজন্যই স্কুলটি বন্ধ করতে চায় তারা। স্কুল বন্ধের জন্য ৪ জন শিক্ষককে তারা গত পাঁচ মাস ধরে হুমকি দিয়ে আসছিল। এর মধ্যে ওই রাতে তারা এ হামলা চালিয়েছে। হামলাকারীদের অধিকাংশ এক সময় রাজনীতি করতেন, এখনো কেউ কেউ করেন। বারদী ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড রাজনৈতিক নেতা হাশেমের নেতৃত্বে এ হামলা হয়েছে বলে জানান শাহেদ কায়েস। এছাড়া হামলাকারী মেহেদী বারদী ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডে একটি রাজনৈতিক সংগঠনের সাবেক সভাপতি  এবং স্থানীয় নেতা ওসমান মেম্বারের ছেলে।

এদিকে, বর্তমানে হামলার ঘটনায় মামলা করায় প্রধান শিক্ষক মরিয়ম আক্তার পাখিকে হত্যার হুমকি দিচ্ছে হামলাকারীরা। হামলাকারীদের হুমকির কারণে ভয়ে বাড়ি ফিরতে পারছেন না তাঁরা। 

তাই হামলার সাথে জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি জানান তিনি। 



সোনারগাঁও দর্পণ :

একটি কলোনিতে সংগঠিত অগ্নিকাণ্ডে ঝলসে প্রতিবন্ধি এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (৯ ফেব্রুয়ারী) দিবাগত রাত ৩টার দিকে সোনারগাঁও উপজেলার কাঁচপুর শিল্পাঞ্চলের উত্তর সেনপাড়া এলাকায় মর্মান্তিক এ দুর্ঘটনাটি ঘটে। শিকলে বাঁধা মানসিক প্রতিবন্ধী নিহত রুমা আক্তার (৩২) মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলার পশ্চিমবাগড়া এলাকার বাদশা মিয়ার  মেয়ে। অগ্নিকাণ্ডে ওই কলোনীর ৪১টি ঘর পুড়ে ছাঁই হয়ে গেছে। এ সময় প্রতিবন্ধি নিহত রুমা’র মা তাছলিমা বেগম আহত হয়েছেন। 

প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়রা জানায়, বুধবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে উপজেলার কাঁচপুরের সেনপাড়া এলাকার ফজলুল হক ও  মোতালেব মিয়ার কলোনীতে থাকা বিদ্যুতের তার থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। মুহূর্তের মধ্যেই আগুন ছড়িয়ে পরে ফজলুল হক কলোনির ৩৩টি ও মোতালেব মিয়ার কলোনির ৮টি টিনসেটসহ ৪১টি ঘরে। 

স্থানীয়রা জানায়, অগ্নিকাণ্ডের কয়েকদিন আগে থেকে ওই কলোনীতে মানসিক প্রতিবন্ধি রুমা আক্তারকে শিকলে বেঁধে রাখতো তার পরিবারের লোকজন। রাতে হঠাৎ অগ্নিকাণ্ডের ফলে শিকলে বাঁধাবস্থায় মানসিক প্রতিবন্ধী রুমা আক্তার ঝলসে যায়। তার মা রুমাকে বাঁচাতে গেলে আগুনের প্রখর তাপে নিজেও ঝলসে যান। এদিকে, মেয়েকেও তিনি বাঁচাতে পারেননি। 


আগুনের লেলিহান শিখার কাছে ব্যর্থ হয় স্থানীয় বাসিন্দারা। পরে সোনারগাঁও, ডেমরা ও আড়াইহাজার ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

নিহতের স্বজনরা জানায়, রুমা গত ৬ ফেব্রুয়ারী তার বড় বোন ঝুমার বাড়িতে আসে। রাত ৩টার দিকে ঘরের চালে আগুন দেখে সকলে তাড়াহুড়ো করে ঘর থেকে বাইরে বের হয়ে যান। রুমার মা তার প্রতিবন্ধি মেয়েকে আনার চেষ্টা করেও শেষ রক্ষা হয়নি। 

ডেমরা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশনের সিনিয়র  স্টেশন কর্মকর্তা ওসমান গনি জানান, বিদ্যুৎ থেকেই আগুনের সূত্রপাত হতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। আর ক্ষয়ক্ষতির পরিমান তাৎক্ষণিকভাবে বলা সম্ভব নয়।

সোনারগাঁও থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ হাফিজুর রহমান জানান, অগ্নিদগ্ধ নিহত রুমার মরদেহ তার গ্রামের বাড়ি মুন্সিগঞ্জে পাঠানো হয়েছে।



সোনারগাঁও দর্পণ : 

সোনারগাঁওয়ের ইতিহাস ঐতিহ্য নিয়ে লেখা বই “আমাদের সোনারগাঁও” এর মোড়ক উন্মোচন করা হয়েছে। সোনারগাঁও সাহিত্য নিকেতন’র প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মোফাখখার সাগরের রচনায় বইটির মোড়ক উন্মোচিত হয় সোনারগাঁও প্রেস ক্লাব কার্যালয়ে। সোনারগাঁ সাহিত্য নিকেতনের সহ সভাপতি আসমা আকতারীর সভাপতিত্বে ও অর্থ সম্পাদক  সেলিম আহমেদের সঞ্চালনায় শনিবার সকালে অনুষ্ঠিত মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন  সোনারগাঁ সাহিত্য নিকেতনের উপদেষ্টা লেখক ও গবেষক শামসুদ্দোহা চৌধুরী, সোনারগাঁ সাহিত্য নিকেতনের উপদেষ্টা কবি শাহেদ কায়েস, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক লেখক ও সাংবাদিক রবিউল হুসাইন, আমাদের সোনারগাঁও বইয়ের লেখক মোফাখখার সাগর, ব্যাংকার মতিউর রহমান, উদিচী  সোনারগাঁও শাখার সভাপতি শংকর প্রকাশ, ব্যাংকার ও লেখক মোয়াজ্জেনুল হক, সাংবাদিক মাহবুবুল ইসলাম সুমনসহ বিভিন্ন লেখক, সাংবাদিক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।



সোনারগাঁও দর্পণ : 

সোনারগাঁওয়ে আশ্রয় কেন্দ্র হচ্ছে। এ উপলক্ষে আজ শনিবার (৫ ফেব্রুয়ারী ) দুপুরে এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আশ্রয় কেন্দ্রের ভিত্তি স্থাপন করেন নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকা এবং ও বগুড়া-৩ (আদমদিঘি ও দুপচাঁচিয়া উপজেলা) আসনের সংসদ সদস্য এডভোকেট নুরুল ইসলাম তালুকদার। 

‘অসহায় ও দুস্থ নারীদের জন্য বিকশিত সমাজ কল্যাণ সংস্থা’র উদ্যোগে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সোনারগাঁও উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা এডভোকেট শামসুল ইসলাম ভূইয়া। 

কোন বাবা-মা আশ্রয় কেন্দ্রে থাকবে বিষয়টি ভাবতেও খারাপ লাগে। তারপরও বর্তমান সামাজিক অবস্থায় আশ্রয় কেন্দ্রের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে জানিয়ে সাংসদ খোকা বলেন, সরকারিভাবেও সোনারগাঁওয়ে আশ্রয় কেন্দ্র করার উদ্যোগ নিয়েছি। তবে বিকশিত সংস্থার এ আশ্রয় কেন্দ্র করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। তাই বলে ব্যক্তিগত পর্যায় হবেনা তা নয়। সরকারের পাশাপাশি ব্যক্তিগত উদ্যোগে বিভিন্ন সামাজিক কর্মকাÐ হলে যে কোন সমস্যা মোকাবিলা করতে সহজ হয়। তাই বিকশিত সংস্থার আশ্রয় কেন্দ্রের প্রতিও তার সহযোগিতা থাকবে বলে জানান।

বগুড়া-৩ (আদমদিঘি ও দুপচাঁচিয়া উপজেলা) আসনের সংসদ সদস্য এডভোকেট নুরুল ইসলাম তালুকদার সকল অভিভাবকদের প্রতি আহ্বান জানান, নিজ সন্তানদের জন্য সম্পদ না করে সন্তানদেরকে সু-শিক্ষায় শিক্ষিত করে সম্পদে পরিণত করতে। যেন জীবনের পরন্ত সময়ে আশ্রয় কেন্দ্র নয়, সন্তানই হয় নিরাপদ আশ্রয়স্থল।

বিকশিত নারী সংঘের চেয়ারম্যান তাওফিকা শাহেদ’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মাহমুদা আক্তার ফেন্সী, মোগরাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদেও চেয়ারম্যান আরিফ মাসুদ বাবু, মানিকগঞ্জ সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ আবু সিদ্দিক মোল্লা এবং নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি শাহ মোহাম্মদ সোহাগ রনিসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন। 



সোনারগাঁও দর্পণ :

নিখোঁজের ৮ দিন পর ফয়সাল নামে এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে র‌্যাব-১১’র সদস্যরা। বৃহস্পতিবার রাত ৪টার দিকে সোনারগাঁও পৌর এলাকার বাগমহিষা ঋষিপাড়া এলাকার একটি ডোবা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। নিহত ফয়সাল পৌর এলাকার লাহাপাড়া গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে। 

র‌্যাব-১১’র প্রধান নির্বাহী লেফটেন্যান্ট কর্ণেল তানভীর মাহমুদ পাশা এ মরদেহ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, গত ২৬ জানুয়ারি রাত ৯টার দিকে লাহাপাড়ার মামার বাড়ি থেকে  বের হয়ে ফয়সাল আর ফেরেনি। এমনকি তার ব্যবহৃত  মোবাইল সেটটিও বন্ধ থাকে। পরিবারের সদস্যরা সম্ভাব্য বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুজি করে পরের দিন তার মামা মানিক বাদী হয়ে সোনারগাঁও থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করে। 

পরে ঘটনাটি র‌্যাব-১১’র গোয়েন্দা বিভাগকে অবহিত করলে নিখোঁজ ফয়সালের সন্ধানে নামে র‌্যাব-১১’র সদস্যরা। তারা তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে বৃহস্পতিবার বিকেলে সোনারগাঁও  পৌর এলাকা থেকে বাগমহিষা ঋষিপাড়া গ্রামের তপন শীলের  ছেলে অপূর্ব শীল নামে এক যুবককে গ্রেফতার করে। 

র‌্যাব সদস্যদের হাতে গ্রেফতার হওয়া অপূর্ব র‌্যাবের জিজ্ঞাসাবাদে ফয়সালকে হত্যার কথা স্বীকার করে। অপূর্ব’র বরাত দিয়ে র‌্যাব-১১’র প্রধান নির্বাহী লেফটেন্যান্ট কর্ণেল তানভীর মাহমুদ পাশা আরও জানান, অপূর্ব তাদের জানায় নীল রঙের রশি দিয়ে প্রথমে তারা ফয়সালকে গলায় ফাঁস  দেয়। পরে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর  মরদেহ পাশের  ডোবায় ফেলে দেন। 

পরবর্তীতে অপূর্ব’র দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে তার দেখানো ডোবা থেকে বৃহস্পতিবার রাত ৪টার দিকে ফয়সালের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তিনি ধারণা করেন, পূর্ব শত্রæতার কারণে এই হত্যাকাÐ ঘটাতে পারে। 

সোনারগাঁও থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ হাফিজুর রহমান জানান, নিহত ফয়সালের মরদেহ জেলা হাসপাতাল মর্গে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।



সোনারগাঁও দর্পণ :

সোনারগাঁওয়ে এক কিশোরী অপহরণের অভিযোগে দেলোয়ার  হোসেন নামে ইউনিয়ন যুবলীগের এক নেতাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সোমবার (৩১ জানুয়ারি) রাতে জামপুর ইউনিয়নের মাঝেরচর এলাকা থেকে দোলোয়ারকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত দোলোয়ার জামপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও পাকুন্ডা গ্রামের মৃত আলী  হোসেনের ছেলে। এ  ব্যাপারে সোনারগাঁও থানায় একটি অভিযোগ করেছে অপহৃত কিশোরীর মা।

অভিযোগ থেকে জানাযায়, অপহৃত কিশোরীর পরিবার ৪ মাস আগে ভাড়াটিয়া হিসেবে স্থানীয় আমির হোসেনের বাড়ি ভাড়া নেন। আমির হোসেন পেশায় নিজেকে কোন আইনজীবির মূহুরি হিসেবে তাদের জানান। আর অভিযুক্ত দেলোয়ার আমির হোসেনের পরিচিতি হওয়ায় তাদের বাড়িতে প্রায়ই যাওয়া-আসা করতেন। এভাবে গত ৪ মাসে কিশোরীর পরিবারের সাথে একটা ঘনিষ্ঠতা তৈরি হয়। এরই সুযোগে অভিযুক্ত দেলোয়ার তার মেয়েকে ফুসলিয়ে অন্যত্র নিয়ে আত্মগোপন করে। খবরপেয়ে, পুলিশের সহযোগিতায় দেলোয়ারকে জামপুরের মাঝেরচর থেকে সোমবার রাতেই গ্রেফতার করে তালতলা তদন্ত কেন্দ্র পুলিশ। পাশাপাশি অপহৃত কিশোরীকে উদ্ধার করা হয়।

এদিকে, অভিযুক্ত দেলোয়ার জামপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হওয়ায় তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছে উপজেলা যুবলীগ। সোনারগাঁও উপজেলা যুবলীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম নান্নু সোনারগাঁও দর্পণ’কে জানান, কিশোরী অপহরণের ঘটনাটি তিনি শুনেছেন। উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদকের সাথে কথা বলে খুব অল্প সময়ের মধ্যে অভিযুক্ত দেলোয়ারের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, দেলোয়ারকে তার পদ থেকে বহিস্কার করা হবে।


MKRdezign

Contact Form

Name

Email *

Message *

Powered by Blogger.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget