সোনারগাঁও দর্পণ :
একটি কলোনিতে সংগঠিত অগ্নিকাণ্ডে ঝলসে প্রতিবন্ধি এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (৯ ফেব্রুয়ারী) দিবাগত রাত ৩টার দিকে সোনারগাঁও উপজেলার কাঁচপুর শিল্পাঞ্চলের উত্তর সেনপাড়া এলাকায় মর্মান্তিক এ দুর্ঘটনাটি ঘটে। শিকলে বাঁধা মানসিক প্রতিবন্ধী নিহত রুমা আক্তার (৩২) মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলার পশ্চিমবাগড়া এলাকার বাদশা মিয়ার মেয়ে। অগ্নিকাণ্ডে ওই কলোনীর ৪১টি ঘর পুড়ে ছাঁই হয়ে গেছে। এ সময় প্রতিবন্ধি নিহত রুমা’র মা তাছলিমা বেগম আহত হয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়রা জানায়, বুধবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে উপজেলার কাঁচপুরের সেনপাড়া এলাকার ফজলুল হক ও মোতালেব মিয়ার কলোনীতে থাকা বিদ্যুতের তার থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। মুহূর্তের মধ্যেই আগুন ছড়িয়ে পরে ফজলুল হক কলোনির ৩৩টি ও মোতালেব মিয়ার কলোনির ৮টি টিনসেটসহ ৪১টি ঘরে।
স্থানীয়রা জানায়, অগ্নিকাণ্ডের কয়েকদিন আগে থেকে ওই কলোনীতে মানসিক প্রতিবন্ধি রুমা আক্তারকে শিকলে বেঁধে রাখতো তার পরিবারের লোকজন। রাতে হঠাৎ অগ্নিকাণ্ডের ফলে শিকলে বাঁধাবস্থায় মানসিক প্রতিবন্ধী রুমা আক্তার ঝলসে যায়। তার মা রুমাকে বাঁচাতে গেলে আগুনের প্রখর তাপে নিজেও ঝলসে যান। এদিকে, মেয়েকেও তিনি বাঁচাতে পারেননি।
আগুনের লেলিহান শিখার কাছে ব্যর্থ হয় স্থানীয় বাসিন্দারা। পরে সোনারগাঁও, ডেমরা ও আড়াইহাজার ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
নিহতের স্বজনরা জানায়, রুমা গত ৬ ফেব্রুয়ারী তার বড় বোন ঝুমার বাড়িতে আসে। রাত ৩টার দিকে ঘরের চালে আগুন দেখে সকলে তাড়াহুড়ো করে ঘর থেকে বাইরে বের হয়ে যান। রুমার মা তার প্রতিবন্ধি মেয়েকে আনার চেষ্টা করেও শেষ রক্ষা হয়নি।
ডেমরা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশনের সিনিয়র স্টেশন কর্মকর্তা ওসমান গনি জানান, বিদ্যুৎ থেকেই আগুনের সূত্রপাত হতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। আর ক্ষয়ক্ষতির পরিমান তাৎক্ষণিকভাবে বলা সম্ভব নয়।
সোনারগাঁও থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ হাফিজুর রহমান জানান, অগ্নিদগ্ধ নিহত রুমার মরদেহ তার গ্রামের বাড়ি মুন্সিগঞ্জে পাঠানো হয়েছে।
Post a Comment