সোনারগাঁও দর্পণ :
জমি নিয়ে ভাইয়ের সাথে ভাইয়ের দ্বন্দ্বের বলি হলো নিরাপরাধ শ্রমিক খোরশেদ আলম। দৈনিক মজুরিতে কাজ করার সময় মালিকের প্রতিপক্ষের নির্মম বর্বরতার শিকার হয়েছেন তিনি। মামলাবাজ ও লোভী ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত আব্দুর রউফ মোল্লা (৮০) ও তার মেয়ে মুনিরা আক্তার মুন্নি (৪২) ছাঁদের উপর থেকে শ্রমিকের শরীরে গরম পানি ঢেলে ঝলসে দিয়েছে। রবিবার (২২ জুন) বেলা ১১টার দিকে সোনারগাঁও উপজেলার পৌরসভা এলাকার অর্জুন্দি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পরে রাত সাড়ে ৯টার দিকে দরপত গ্রামবাসী পলাতক রউফ মোল্লাকে আটক করে থানা পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে।
এ ব্যাপারে আহত খোরশেদের ছোট ভাই থানায় তার ভাইকে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ এনে মামলা করেছেন।
মামলার অভিযোগে বাদী উল্লেখ করেন, তার বাড়ি পৌরসভার দরপত এলাকায়। তার বড় ভাই খোরশেদ আলম দিনমজুর হিসেবে অর্জুন্দি গ্রামের মৃত তমিজ উদ্দিনের ছোট ছেলে পনির মোল্লার বাড়িতে দিন-মজুর হিসেবে কাজ করতে যায়। পনির মোল্লার বাড়ির সীমানা পিলার দেওয়ার কাজ কারর সময় পনির মোল্লার বড় ভাই আব্দুর রউফ মোল্লা ও তার মেয়ে মুনিরা আক্তার তাদের ছাঁদ থেকে ফুটন্ত গরম পানি তার ভাই খোরশেদ মোল্লার উপর ঢেলে দিয়ে হত্যার চেষ্টা চালায়। এতে খোরশেদের মুখমন্ডলসহ প্রায় পুরো শরীর ঝঁলসে যায়। এ সময় তার আর্তচিৎকারে আশেপাশের লোকজন ছুটে গিয়ে আহত শ্রমিককে উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার জাতীয় বার্ণ এন্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নিয়ে যায়। বর্তমানে সেখানেই আশঙ্কাজনক অবস্থায় তিনি চিকিৎসাধীন আছেন।
এদিকে, এ ঘটনার পর থানায় অভিযোগ হলে আব্দুর রউফ মোল্লা তার মেয়েকে নিয়ে অর্জুন্দির পাশবর্তী গ্রাম দরপত এলাকায় তার ভায়রা জানু মিয়ার বাড়িতে আত্মগোপনে থাকেন। পরে দরপত এলাকার মানুষ টের পেয়ে তাকে রাত ৮টার দিকে দরপত ঈদগাঁহ বাজারে আটক করে। পরে রাত ৯টার দিকে পুলিশের কাছে তুলে দেয়।
এলাকাবাসী জানায়, আব্দুর রউফ মোল্লা সাথে জমি নিয়ে তার ভাইদের সাথে প্রায় দ্বন্দ্ব হয়। এমন কি তিনি নিজের বাবা বেঁচে থাকতে তার বাবাকেও জমির জন্য মেরে ফেলার চেষ্টা করেন। এ ঘটনার সময় আব্দুর রউফ মোল্লা উপজেলায় কোন কাজে অবস্থান করছিলেন। বাড়ি থেকে তাকে ফোনে সীমানা দেওয়ার কাজ চলছে জানানো হয়। তখন তিনি উপজেলা থেকেই টেলিফোনে তার স্ত্রীকে দুই হাড়ি গরম পানি করতে বলেন। পরে বাড়ি গিয়ে তিনি ও তার মেয়ে এ কাণ্ড ঘটায়।
এ ব্যাপারে সোনারগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মফিজুল রহমান বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Post a Comment