সোনারগাঁও দর্পণ :
আধিপত্য বিস্তার নিয়ে অটোস্ট্যান্ড দখলকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই গ্রপের সংঘর্ষে আব্দুল কুদ্দুস (৬০) এবং মেহেদী (৩৮) নামে দুই জন নিহত হয়েছেন। শনিবার (২১জুন) রাতে আনুমানিক সাড়ে ৯টার দিকে নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলা শাহী মসজিদ এলাকায় এবং একই দিন গভীর রাতে সিরাজউদ্দৌল্লা ক্লাবের সামনে ঘটনা দুটি ঘটে।
নিহত কুদ্দুস বন্দর উপজেলার হাফেজীবাগ এলাকার মৃত সাদেক আলীর ছেলে এবং রনি-জাফর গ্রুপের সমর্থক। অপরদিকে, নিহত মেহেদী সালেহ নগর এলাকার জলিল মুন্সির ছেলে এবং বাবু-মেহেদী গ্রুপের সমর্থক।
স্থানীয় সূত্র জানায়, বন্দর রেললাইন অটোস্ট্যান্ড দখলকে কেন্দ্র করে বেশ কিছু দিন ধরেই বন্দর সিটি করপোরেশন এলাকার ২২ নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ও মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক আবুল কাউসার আশার অনুসারী রনি-জাফর গ্রুপের সাথে ২১ নম্বর ওয়ার্ড এর সাবেক কাউন্সিলর ও মহানগর বিএনপি নেতা হান্নান সরকারের অনুসারী ও সমর্থক বাবু-মেহেদী গ্রুপের দ্বন্দ্ব চলছিল।
উভয় গ্রুপ ধারালো ও দেশীয় অস্ত্র-লাঠিশোটা নিয়ে দফায়-দফায় মহড়া দিচ্ছিল। যা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরালও হয়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্বে থাকা বিভিন্ন বাহিনী এ দ্বন্দ্ব নিরসনে এলাকায় একাধিকবার অভিযানও টরিচালনা করে। তারপরও নিজেদের আধিপত্য বজায় রাখতে শুক্রবার প্রথম উভয় গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
ওই ঘটনায় ৮/১০ জন আহত হয়। এরই রেশ ধরে, শরিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে বাবু-মেহেদী গ্রুপের সদস্যরা রনি-জাফর গ্রুপের সমর্থক আব্দুল কুদ্দুসকে ধাঁরালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে আহত করে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় কুদ্দুসকে স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে দায়িত্বে থাকা চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে, আব্দুল কুদ্দুসের মৃত্যুর খবর এলাকায় পৌঁছালে নিহত কুদ্দুসের আত্মীয়-স্বজন ও রনি-জাফর গ্রুপের সদস্যরা রেললাইন এলাকায় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখায়। পরে শনিবার দিবাগত রাত ১টার দিকে বন্দর সিরাজউদ্দৌলা ক্লাব মাঠ দিয়ে মেহেদী ও তার লোকজন যাওয়ার সময় রনি-জাফর গ্রুপের লোকজন মেহেদীকে ধাওয়া দিয়ে ধরে গণপিটুনি ও ছুরিকাঘাতে আহত করে। আহত অবস্থায় স্থানীয়রা খানপুর তিনশ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।
এ বিষয়ে বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা লিয়াকত আলী বলেন, নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পরিস্থিতি বর্তমানে শান্ত রয়েছে। এ বিষয়ে পরবর্তী আইনি কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
Post a Comment