সোনারগাঁও দর্পণ :
সদ্য বিলুপ্ত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ফুটবল প্রতিক নিয়ে নির্বাচিত সাবেক সোনারগাঁও উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শ্যামলী চৌধুরী পরিবারের করা একটি ভিডিও কনটেন্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। যে কনটেন্টের বিষয় সমাজের দুস্থ্য ও গরীব সাধারণ মানুষদের উপহাস করে তৈরি করা হয়েছে দাবি করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। ভিডিওতে শ্যামলী চৌধুরী ও তার স্বামী দলিল লেখক সেলিম চৌধুরী ছাড়াও তার এক মেয়ে ও দুই জন ছোট শিশুকে অভিনয় করতে দেখা গেছে।
তিন কন্যা নামে তাদের একটি ফেসবুকে সেই ভিডিওটি পোস্ট করার পর তা নেটিজনরা শেয়ার করেন এবং সে সকল শেয়ারে কনটেন্টটি বিষয়ে প্রচুর নেতিবাচক সমালোচনার পাশাপাশি তাদেরকে আইনের আওতায় আনার দাবিও তোলা হয়েছে।
ভিডিওটিতে দেখা গেছে, ভিডিওর শুরুতে কিছু গোস্ত দেখানোর সাথে বৃষ্টিতে ভিজে কোরবানির মাংসের জন্য শ্যামলী চৌধুরীর স্বামী সেলিম চৌধুরী, শ্যামলী চৌধুরী এবং দুজন ছোট শিশু। তার স্বামী শারীরিক প্রতিবন্ধি বসে আছেন এবং শ্যামলী অন্ধ হয়ে তার স্বামীকে ধরে আছেন। পরক্ষণেই তারা বৃষ্টির মধ্যে বসে আছেন জানিয়ে বাড়ির মালিকের কাছে গরুর গোস্ত চান। সাথে সাথে গরুর আস্ত রান চান।
কিছুক্ষণ পর একটি কিশোরী একটি হলুদ শপিং ব্যাগের কিছু একটা এনে তার স্বামীর হাতে দিকেই কম হয়েছে জানিয়ে বিভিন্ন অঙ্গভঙ্গির সাথে বাড়িতে ১০জন ছেলে মেয়ে রয়েছে জানায়। পাশাপাশি কমপক্ষে ১০টি মাংসের টুকরো দিলেও একটি করে সবাই খেতে পারতেন জানিয়ে হাদে থাকা মাংসের ব্যাগটি ছুঁড়ে ফেলে দেন। পরক্ষণেই বদ দোয়া করতে করতে চলে যান।
এমন একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে বিভিন্ন জন বিভিন্ন নেতিবাচক মন্তব্য করেন। আফজাল শিকদার নামে একজন লিখেছেন,‘আমার মনে হয় তাদের পুরাটা পরিবারই মেন্ডেল হয়ে গিয়েছে, সবাই দোয়া করো আল্লাহ যেন তাদের হেদায়েত দান করেন।’
এসএম রবি নামে একজন লিখেছেন,‘সোনারগাঁর মধ্যে বেয়াদব নির্লজ্জ ফালতু ফ্যামিলি থাকলে শ্যামলীর ফ্যামিলি আছে। মেয়েকে দিয়ে নৃত্য করিয়ে টিকটক এর ভিউয়ার্স বাড়ায়। সামনে থেকে ভোটের জন্য আসলে জুতা ঝাড়– রেডি রাখবেন। গরিবদের নিয়ে উপহাস করার ফল তখন বুঝবে।’
তৌফিকা শাহেদ নামে একজন মন্তব্য করেছেন,‘চিন্তা করবেন না তাদেরকে এখনই কিন্তু প্রতিবন্ধী ভিক্ষুকের মতো লাগছে। আল্লাহ কাকে কখন কি করে বলা যায় না। কোরবানির গোশত কারো নিজস্ব না, এটা আল্লাহর নেয়ামত, যার জন্য যতটুকু নির্ধারণ করা হয়েছে, সেটা সে পাবেই। এটা নিয়ে এরকম ব্যাঙ্গাত্মক অভিনয় করা মোটেও উচিত হয়নি, আল্লাহ তাদের হেদায়েত দান করুন।
মো. সালাম নামে এক জন মন্তব্য করেছেন,‘ আমার মনে হয় পুরো পরিবারই মেন্টেল হয়ে গেছে।’
আরিফুল ইসলাম লিখেছেন.‘ভাইরাল হওয়ার নেশায় পাগল হয়ে গেছে।’
আমিনুল ইসলাম লিখেছেন,‘সোনারগাঁয়ের নাম্বার ওয়ান মেন্টাল পরিবার।’
রাশেদুল ইসলাম সাদ্দাম লিখেছেন.‘ আসলে তার কর্মই ছিল এরকম কোনভাবে সে হয়তো অবৈধভাবে সম্পত্তির মালিক হয়েছে, এরজন্য এ রকম করতেছে।’
এমন বহু মন্তব্য করেছেন নেটিজনরা। পাশাপাশি গরীবদের আত্ম সম্মানে আঘাত করা হয়েছে দাবি করে অনেকে তাদেরকে আইনের আওতায় আনতে বলেছেন।
Post a Comment