সোনারগাঁও দর্পণ :
পুলিশকে সাথে নিয়ে বিএনপি নেতার অব্যাহত চাঁদাবাজী ও মামলাবাজীর প্রতিবাদে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে এলাকাবাসী। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলার বারদী ইউনিয়নের মান্দারপাড়াসহ আশে পাশের গ্রামের কয়েকশত নারী-পুরুষ মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করে।
মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীরা অভিযোগ করেন, গত ৫ আগষ্ট আওয়ামী সরকারের পতনের পর উপজেলা বিএনপির প্রচার সম্পাদক ও উপজেলা বিএনপি সভাপতি আজহারুল ইসলাম মান্নানের কথিত পিএস সেলিম হোসেন দীপু ও তার লোকজন এলাকার সাধারণ মানুষদেরকে মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে হয়রানি করে আসছে। এছাড়া এলাকায় থাকতে হলে সেলিম হোসেন দিপুকে তার চাহিদা মতো টাকা দিতে হবে দাবি করে। না দিলে পুলিশের সাথে আঁতাত করে বিভিন্ন মামলায় জড়ানো হবে বলে হুমকী দেয়। এছাড়াও থানায় দায়েরকৃত মামলা থেকে নাম বাদ দেয়ার কথা বলে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়েছে সেলিম হোসেন দিপু।
এলাকাবাসী জানায়, সেলিম ও তার লোকজন যখন তখন ভুক্তভোগীদের বাড়ি-ঘরে উপস্থিত হয়ে র্যাব, পুলিশ ও ডিবি সদস্যদের দিয়ে ভয় দেখায়। তাদের অন্যায় কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে যে মুখ খুলবে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে কারাগারে পাঠানো হবে বলে হুমকি দেয়।
মানববন্ধনে অংশ নেওয়া গ্রামবাসীর প্রত্যাশা, সেলিমের ধারাবাহিক অত্যাচারে অতিষ্ঠের প্রতিকার চেয়ে তারা এ কর্মসূচী পালন করতে বাধ্য হয়েছেন। তারপরও যদি প্রতিকার না পান তাহলে তারা আরও কঠোর কর্মসূচী পালন করবে বলে হুশিয়ারী দেন।
এ সময় তারা সেলিমের বিভিন্ন অনৈতিক কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে শ্লোগান দেয়।
এ ব্যাপারে সেলিম হোসেন দীপুর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, একটি বেসরকারি টেলিভিশনে স্থানীয় ডাকাত, চোর ও মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কথা বলায় তার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ এনে সম্পূর্ন পরিকল্পিতভাবে এ মানববন্ধন করা হয়েছে।
তবে, সুনির্দিষ্টভাবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারীবাহিনীর কোন সদস্যের নাম উল্লেখ না করায় সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
এ সোনারগাঁও উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোশারফ হোসেন বলেন, মানববন্ধন করার বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে মানববন্ধন হয়ে থাকলে বিষয়টি দুঃখজনক। এছাড়া, আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কড়া বার্তা, বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের কোন নেতাকর্মী যদি দলের নাম ভাঙিয়ে কোন অনৈতিক কাজ করে তাহলে অভিযোগের প্রমাণ পেলে সাংগঠনিক কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Post a Comment