সোনারগাঁওয়ে অন্ত:সত্বা যুবতীর বস্তাবন্দী মরদেহ উদ্ধার, আটক এক, আলামত জব্দ, বিয়ার ক্যান উদ্ধার
সোনারগাঁও দর্পণ :
সোনারগাঁওয়ে বস্তাবন্দী অবস্থায় এক তরুণীর মরদেহ উদ্ধার করেছে সোনারগাঁও থানা পুলিশ। মোটা কাগজের কার্টুনের ভিতর কালো পলিথিনের ওপর সাদা কসটেপে মোড়ানো অবস্থায় একটি বড় ব্যাগ থেকে মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) বিকাল ৪টার দিকে উপজেলার মোগরাপাড়া ইউনিয়নের ঐতিহাসিক গ্রান্ড ট্রাংক রোডের বন্দরগামী কাইকারটেক ব্রীজ এলাকার ওই রোডের দক্ষিণ পাশ থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
এরআগে দুপুর আড়াইটার দিকে স্থানীয়রা পুলিশকে ফোন করলে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহটি উদ্ধার করে। পরে নিহতের মামা সাগর ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশটি তার ভাগনির বলে শনাক্ত করে। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে রায়হান নাম এক যুবককে উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়নের মঙ্গলেরগাঁও এলাকায় একটি ওষুধের দোকান থেকে সন্ধ্যার পর আটক করে।নিহত সায়মার মামা সাগর জানায়, মোগরাপাড়া ইউনিয়েনের আমতলা এলাকার শহিদুল্লাহর বাড়িতে তার বোনের সাথেই ভাড়ায় বসবাস করতো সায়মা আক্তার মীম। তার বাবার বাড়ি পাবনা জেলার সুজানগর থাকার দয়াল নগর গ্রামে। বাবার নাম সাইফুল ইসলাম। সায়মা আক্তার মীম স্থানীয় এলাকায় একটি ফাস্টফুড দোকানে কাজ করতো।
তিনি আরও জানান, গত শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে সায়মা নিখোঁজ হয়। নিখোঁজের পর বিভিন্ন স্থানে সন্ধান করে না পেয়ে মঙ্গলবার সকালে সোনারগাঁও থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
নিহত সায়মার মামা সাগর জানান, তার ভাগ্নি কুমিল্লার রায়হান নামের এক যুবকের সাথে দু’বছর আগে প্রেমের সম্পর্কে বিয়ে করে। তার দাবি, স্বামী রায়হান তার ভাগ্নিকে শ্বাসরোধে হত্যার পর ব্যাগ ভর্তি করে লাশ ফেলে দেয়। তার স্বামীকে গ্রেপ্তার করলেই হত্যাকান্ডের রহস্য বেরিয়ে আসবে।
এদিকে, সন্ধ্যার পর মঙ্গলেরগাঁও এলাকায় সন্দেহাতীতভাবে অটক রায়হানকে অটকের পর আমতলা এলাকায় নারায়ণগঞ্জ নৌ পুলিশের সার্কেল এসপি আলমগীর হোসেনের নেতৃত্বে সায়মার ভাড়া বাড়িতে নিয়ে যায়। পরে রায়হানের কথার সূত্রধরে সায়মার ব্যবহার করা মোবাইল উদ্ধার করেছে বলে একটি সূত্র দাবি করেছে। এ সময় সায়মার বাড়ি থেকে ক্যান বিয়ারসহ বেশ কিছু আলামত জব্দ করে নৌপুলিশ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় একটি সূত্র দাবি করে, নিহত সায়মা আড়াই মাসের মাসের অন্ত:সত্তা ছিল।
সোনারগাঁও থানার পরিদর্শক মো. রাশেদুল হাসান খাঁন রাত ১০টা ৪৯ মিনিটের দিকে বলেন, কসটেপে মোড়ানো ব্যাগ থেকে নারীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িতদের আটক করতে এখনও অভিযান চলছে। তবে, তদন্তের স্বার্থে এর বেশি কিছু বলা সম্ভব না।