সোনারগাঁও দর্পণ :
জামিনে বেরিয়ে এসে এক সহোদরসহ একই এলাকার ছয়জনকে কুপিয়ে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলার শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী ও পুলিশের তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়নের ছোট কোরবানপুর গ্রামের রাসেল এবং খাঁসেরগাঁও গ্রামের বাসিন্দা ও একই ইউপির সাবেক মেম্বার মনির গ্রুপের সদস্যরা এ ঘটনা ঘটায়। বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) দুপুর আড়াইটার দিকে ইউপির পাঁচআনী মাদ্রাসার অদূরে থাকা একটি কালভার্টের সামনে ঘটনাটি ঘটে। ধারালো অস্ত্রের আঁঘাতে আহতরা হলেন, পাঁচআনী গ্রামের আছানুল্লাহর দুই ছেলে ফারুক ও বজলুল, মাইদুলের ছেলে রতন, দরবেশ মৌলভীর ছেলে আল আমিন, মোতালেবের ছেলে দেলোয়ার ও রহমান মিস্ত্রির ছেলে আয়নাল হক।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় সূত্র জানায়, বুধবার নারায়ণগঞ্জের একটি আদালতে একটি মামলার স্বাক্ষী দিয়ে বাড়ি ফেরার পথে পিরোজপুর ইউপির পাঁচআনী মাদ্রাসার অদূরে থাকা একটি কালবার্টের সামনে যাওয়া মাত্র আগে থেকে ওৎ পেতে থাকা স্থানীয় সন্ত্রাসী ও মাদক ব্যবসায়ী রাসেল ও মনির মেম্বার গ্রুপের ৩৫/৩০ জনের একটি ঐক্যবদ্ধ দল ধাঁরালো দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ফারুক, বজলুল, রতন, আল আমিন, দেলোয়ার ও আয়নাল হকের উপর হামলা করে। এতে আল আমিনের দুই হাতের আঙ্গুল হাত থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এছাড়া আল আমিনসহ সকলকে সারা শরীরে উপর্যুপরি কুপিয়ে রক্তাক্ত আহত করে। পরে স্থানীয়রা খবর পেয়ে এগিয়ে গেলে সন্ত্রাসীরা দ্রুত পালিয়ে যায়।
সূত্রটি আরও জানায়, রাসেল চৌরাস্তা হাবিবপুর এলাকার র্যাবের হাতে ক্রস ফায়ারে নিহত অপর সন্ত্রাসী গিট্টু হৃদয়ের বোনের স্বামী হওয়ার সুবাদে, হৃদয় মারা যাওয়ার পর থেকে তার সকল সহযোগিরা অদ্যবদী রাসেলের রাজত্বে বিচরণ করে। আর তারাই সোনারগাঁওয়ের স্থল ও নৌপথসহ বিভিন্ন স্থানে চাঁদাবাজি, ছিনতাই, ডাকাতি, অপহরণ, লুটতরাজ, মাদক ব্যবসাসহ এমন কোন অপরাধ নেই যা তারা করে না।
এর আগে, গত ১০ আগস্ট রবিবার দিবাগত রাত আনুমানিক ৩টা থেকে ১১ আগস্ট সোমবার
সকাল ১০টা পর্যন্ত উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়নের পাঁচআনী গ্রামে ইউনিয়নটির ২নং ওয়ার্ডের সাবেক মেম্বার মনির হোসেনের বাড়িতে অভিযান চালায় র্যাব -১১ এর সদস্যরা। ওই অভিযানে মনির মেম্বার, তার ছেলে বাবু, যুবরাজ, ডাকাত সাদ্দামসহ ছয়জন দেশীয় অস্ত্রসহ গ্রেফতার হয়।
পরে কিছুদিন আগে গ্রেফতার হওয়া ছয়জনের মধ্যে দুইজন জামিনে বের হয়ে স্থানীয় এলাকায় অস্ত্র হাতে মহড়া দিলে গ্রামবাসীরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে ধাঁওয়া দিয়ে এলাকা ছাড়া করে। এরপর থেকে সন্ত্রাসীরা এলাকায় প্রবেশ করতে পারেনি।
এদিকে সম্প্রতি সকল আসামীরা জামিনে বাইরে বেরিয়ে গ্রামবাসীদের ঐক্যবদ্ধ করার ক্ষেত্রে অবদান রাখাদের বিষয়ে খোঁজ নিয়ে পরিকল্পিতভাবে এই হামলা করে।
এ ব্যাপারে সোনারগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) রাশেদ হাসান খান বলেন, আমরা লোক মারফত খবর পেয়ে ওই এলাকায় পুলিশ দ্বারা নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। ঘটনাস্থল সার্কেল স্যার পরিদর্শন করেছেন। আহতরা ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে। সময় করে যত দ্রুত সম্ভব তাদেরকে অভিযোগ দিতে উৎসাহিত করা হয়েছে
Post a Comment