সোনারগাঁও দর্পণ :
আধিপত্য টিকিয়ে রাখার নেশায় আবারও বে-পরোয়া হয়ে উঠেছে সোনারগাঁওয়ের মাদক ও ডাকাতির গডফাদার রাসেল ও পিয়েল গ্রুপ। আবারও তারা মেতে উঠেছে রক্তের হলি খেলায়। তারই অংশ হিসাবে
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলার মোগরাপাড়া ইউনিয়নের হাবিবপুর এলাকায় রাসেল বাহিনী পিয়েল গ্রুপের অপর সন্ত্রাসী মুনসুরকে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা চালিয়েছে।
বুধবার (৩ ডিসেম্বর) রাত আনুমানিক ৯টার দিকে হাবিবপুর এলাকার সফির বাড়ির সামনে মহসিনের চায়ের দোকানের সামনে এ হামলা ঘটে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক প্রত্যক্ষদর্শী জানায়, সোনারগাঁওয়ের এক সময়ের কুখ্যাত সন্ত্রাসী র্যাবের হাতে ক্রস ফায়ারে নিহত গিট্টু হৃদয়ের বোনের স্বামী ও হৃদয়ের মৃত্যুর পর তার অন্ধকার জগতের একচ্ছত্র আধিপত্য নিয়ন্ত্রণে নেওয়া বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তালিকাভুক্ত মাদক ব্যবসায়ী ও ডাকাত দলের সর্দার এক ডজনের অধিক মামলার আসামি রাসেল বাহিনীর ১২–১৫ জনের একটি সশস্ত্র দল দেশীয় ধারালো অস্ত্র নিয়ে মুনসুরের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। হামলাকারীরা এলোপাতাড়ি কুপিয়ে তাকে গুরুতর জখম করে। এ সময় স্থানীয়রা এগিয়ে এলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। গুরুতর আহত অবস্থায় মুনসুরকে প্রথমে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে নেয়া হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে তাকে জাতীয় পঙ্গু হাসপাতাল পাঠায় চিকিৎসক। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত মুনসুরের অবস্থা শঙ্কাজনক।
এদিকে, আহত মুনসুরের পরিবারের দাবি, রাসেল বাহিনী পরিকল্পিতভাবে মুনসুরকে হত্যা করতেই হামলা করে।
ঘটনার পর হাবিবপুরসহ আশপাশের এলাকায় চরম আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিন ধরে এই দুটি গ্রুপের দ্বন্দ্বে কিছু দিন পরপর এ ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে সাধারণ মানুষ নিরাপত্তাহীনতা ও চাঁপা আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে।
অপরদিকে, সন্ত্রাসী গ্রুপ দুটি নানা অপকর্ম করে প্রকাশ্য দিবালোকে নির্বিঘ্নে বীরদর্পে সকল দৈনন্দিন কাজ করায় সন্ত্রাস নির্মূলে আইনশৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীর স্বদিচ্ছা নিয়েও প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
এ বিষয়ে সোনারগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত পরিদর্শক (তদন্ত) রাশেদ হাসান খান বলেন, লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Post a Comment