সোনারগাঁও দর্পণ :
সরকারী পদায়নে জনগণের টেক্সের বেতনের সেবক হলেও কর্মকাণ্ডে মহারাজা। দেশে প্রচলিত আইন ও নিয়ম-কানুনের তোয়াক্কা না করে নিজের তৈরী আইন ও নিয়ম বানিয়ে নিজ কর্মস্থলকে গড়ে তুলেছেন নিজস্ব সাম্রাজ্যে। চাহিদা মাফিক টাকা না মিললে গ্রাহকেরও মিলেনা নামজারীর সনদ। বলছিলাম, সোনারগাঁও উপজেলা ভূমি অফিসের সার্ভেয়ার মহাসিন পাটোয়ারীর কথা।
সঙ্গত কারণে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, গালে সুন্নতি দাড়ি আর কপালে নামাজ আদায়ের কালো দাগ থাকলেও এ সবই না-কি তার লেবাস। টাকা তার ধ্যান, টাকা তার জ্ঞান। কোন নামজারী মামলা নথী তার টেবিলে গেলে টাকা ছাড়া কোন কথাই বলেন না। নামজারী করার সকল সহযোগী কাগজ থাকলেও টাকা না দিলে কোন কাগজে স্বাক্ষর করেননা সার্ভেয়ার মহাসিন পাটোয়ারী। আর জমিতে কোন ঝামেলার ছিটেফোঁটা গন্ধ পেলেতো তার চোখে-মুখে না-কি চাঁদ রাতের আনন্দের ছবি ভেসে ওঠে। সে সকল মামলায় তার চাহিদা মতো টাকা না দিলে কোন কথাই বলেননা বলে অভিযোগ ভুক্তভোগী গ্রাহকদের।
ভুক্তভোগীরা জানান, সার্ভেয়ার মহাসিন সোনারগাঁও উপজেলা ভূমি অফিসের সোনারগাঁও জোনে নামজারী করতে আসা গ্রাহকদের কাছ থেকে এ সকল অনৈতিক কাজ করতে নাম সর্বস্ব বিশেষ পেশার কিছু ব্যক্তিদের ব্যবহার করে থাকেন। আর অর্থের বিনিময়ে ধরাকে সাড়া জ্ঞান করতে ওই সকল বিশেষ পেশার ব্যক্তিরা প্রায় প্রতিদিনই তার সাথে গোপন আঁতাতের ফায়দা লুটেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ভুক্তভোগীর অভিযোগ, একটি নামজারীর ক্ষেত্রে অনলাইনে আবেদন থেকে শুরু করে শেষ ফলাফল পর্যন্ত
৪৫ কার্যদিবসের মধ্যে সকল কাজ শেষ করার কথা। কিন্তু শুধু সার্ভেয়ার মহাসিনের টেবিলে কোন মামলার নথি গেলে ওই টেবিলেই ফাইল আটকে থাকে দিনের পর দিন। অভিযোগ করেন, কোন কোন মামলা কমপক্ষে ২৫ থেকে ৩৫ দিন তার টেবিলেই পড়ে থাকে। তরাপরও টেবওল থেকে ফাইল নড়েনা ততোক্ষণ পর্যন্ত, যতক্ষণ পর্যন্ত না তার সাথে আর্থিক চুক্তিমাফিক লেনদেন হয়।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত সার্ভেয়ার মহাসিন পাটোয়ারী বলেন, টাকা ছাড়া কাজ করিনা এমন প্রমাণ দিতে পারলে চাকুরিই ছেড়ে দিবো। তবে, কোন কোন মামলার ফাইল অনেক দিন আটকে থাকে সত্য। তবে সে সকল মামলাগুলো আবেদন করা হয় আরএস এ নামজারীর জন্য। কিন্তু গ্রাহক পর্চা জমা দেন এসএ বা সিএস এর। তাহলে আরএস এর জন্য নামজারী করতে দেওয়া ফাইল আমি কিভাবে দিবো।
আইন অনুযায়ী, কাগজপত্রের ঘাটতি থাকলে না মঞ্জুর করার যে বিধান রয়েছে তা অনুসরণ করবেন এমন পরামর্শ দিলে তিনি বলেন, তাতেও সমস্যা। তারা পূণরায় আবেদন করে এসিল্যান্ডকে দিয়ে তা করিয়ে নেন, এসিল্যান্ড সেগুলো আবার আমার কাছেই পাঠান বলে দাবি করেন।

Post a Comment