সোনারগাঁও দর্পণ :
আসন্ন স্থানীয় সরকার নির্বাচনে পিরোজপুর ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যান হিসেবে, নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন আশরাফুল আলম আশরাফ প্রধান। এ লক্ষ্যে ইতোমধ্যে তিনি প্রাথমিক প্রচার-প্রচারণা শুরু করেছেন। পিরোজপুর ইউনিয়নবাসীকে নির্বাচনী সালাম ও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ইউনিয়নটির ৯ নং ওয়ার্ডের সাবেক এ মেম্বার ও সোনারগাঁও উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক আশরাফুল আলম আশরাফ প্রধান।
পিরোজপুর ইউনিয়নের মেঘনা শিল্পাঞ্চল এলাকার প্রতাবের চর গ্রামের ছমির উদ্দিন প্রধানের ছেলে ও বিএনপি নেতা আশরাফ প্রধান ছোট বেলা থেকেই মানুষের উপকার করতে ভালবাসতেন। ছোট বেলা থেকেই করতেন ব্যবসা। ২০১১ সাল থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত ইউনিয়ন পরিষদের নিজ ওয়ার্ড ৯নং থেকে মেম্বার নির্বাচিত হয়ে সদস্য হয়েছেন ইউনিয়ন পরিষদের।
পাঁচ বছরে তিনি তার আওতার মধ্যে সর্বোচ্চ চেষ্টা করে এলাকার মানুষের সুখে-দুঃখে পাশে দাড়িয়েছেন। এলাকার স্বাস্থ্য উন্নয়নে করেছেন কমিউনিটি ক্লিনিক ও মেঘনা স্কুলের পাশে গভীর নলকূপের মাধ্যমে নিরাপদ পানি সাপ্লাইয়ের ব্যবস্থা, নয়াচরে ১টি, ইসলামপুরে ১টি ও ঝাউচর তিনটিসহ মোট ৭টি ঘাঁট নির্মাণ করেছেন।
মানুষের সহজ ও নিরাপদ সড়ক যোগাযোগের জন্য কাদিরগঞ্জ শাহজালাল মেইলের পাশ দিয়ে ৪টা রাস্তা, ঝাউচর কেন্দ্রীয় মসজিদ থেকে আবুল খায়েরের বাড়ি পর্যন্ত দোতলা মসজিদ রাস্তা, মেইন রাস্তা থেকে আনোয়ার হোসেনের বাড়ি পর্যন্ত দোপাট রাস্তা, জামানের বাড়ি থেকে আছুরের হয়ে কবরস্থান পর্যন্ত রাস্তা, ঝাউচর ঈদগাঁহ থেকে কান্দারগাঁও যাওয়ার মেনিখালী নদ পর্যন্ত রাস্তা, শাহজালাল গেইট থেকে ঈদগাঁহ পর্যন্ত রাস্তা, শাহজালাল মেইল দেওয়ালের পাশ দিয়ে প্রধান বাড়ি লাকি ডগ পর্যন্ত রাস্তা, সাধু মৌলভীর বাড়ি পর্যন্ত রাস্তা, মেঘনা স্কুল থেকে মাসুম চেয়ারম্যানের বাড়ি হয়ে শাহজালাল গেইট পর্যন্ত রাস্তা, মেইন সড়ক থেকে আনন্দ ডগ হয়ে ইসলামপুর আদর্শ গ্রাম যাওয়ার রাস্তা, গঙ্গানগর ও ঈদগাঁহ মাঝের রাস্তা, কেন্দ্রীয় মসজিদ থেকে নুরে কাবা মসজিদ ও স্কুল পর্যন্ত রাস্তা, সামসুর বাড়ি থেকে ঈদগাঁহ পর্যন্ত ঝাউচর হালট দিয়ে ১৪ ফিটের রাস্তা এবং মেঘনা প্রাইমারি স্কুল মাঠের বাউন্ডারী নির্মাণসহ ৫ বছরে প্রচুর উন্নয়ন কাজ করেছেন, যা এলাকাবাসীর মুখে মুখে।
পিরোজপুর ইউনিয়নের পরিচিত নাম আশরাফ প্রধান সোনারগাঁও দর্পণ’ এর মাধ্যমে পিরোজপুর ইউনিয়নবাসীকে নির্বাচনী সালাম জানিয়ে বলেন, মানুষকে সহযোগিতা করলে বিভিন্নভাবেই করা যায়। আমি যখন মেম্বার ছিলাম তখন সরকারি অনুদানের সাথে ব্যক্তিগত অর্থ খরচ করে এলাকার সাধারণ মানুষের পাশে সাধ্যমতো দাড়িয়েছি। সেখান থেকে সহযোগিতার জায়গাটা অনেক ছোট।
পরিষদের চেয়ারম্যান হলে সহযোগিতার জায়গাটা আরও বেশি তৈরি হলে সাধারণ মানুষের সেবার জায়গাটাও প্রসারিত হবে। তাই জনগণের পাশে নিঃস্বার্থভাবে থাকতে চাই। এজন্য ইউনিয়নবাসীর দোয়া,সমর্থন আর ভোটের সহযোগিতা একান্তভাবে কামনা করছি।
Post a Comment