সোনারগাঁও দর্পণ :
দেশের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি রক্ষা, সংরক্ষণ ও তার বিকাশে যে কোন প্রকল্প বাস্তবায়নে সরকার বদ্ধ পরিকর বলে জানিয়েছেন সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব ইলিয়া সুমনা।
সোমবার (১৪ এপ্রিল) দুপুরে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে অবস্থিত বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশন আয়োজিত পক্ষকাল ব্যাপী বৈশাখী উৎসব-২০২৫ এবং প্রতিষ্ঠানটির ৫০ বছর পূর্তিতে স্বুর্ণজয়ন্তি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
এরআগে, অনুষ্ঠানের সভাপতির বক্তব্যে দেশের প্রায় বিলুপ্ত, প্রায় বিলুপ্ত হয়ে যাওয়া ও উদ্ধার করা সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের জন্য পৃথক তালিকা প্রণয়ন ও তা ভবিষ্যতের জন্য সংরক্ষণে প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে ফাউন্ডেশনের পরিচালক কাজী মাহবুবুল আলমের উত্থাপিত এক প্রকল্প নিতে সরকারের দৃষ্টি নেয়ার আহ্বান করেন।
পরে প্রধান অতিথি বলেন, দেশের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি সংরক্ষণ, উদ্ধার, বিপনন ও প্রায় বিলুপ্ত ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে তথা দেশের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি রক্ষায় সরকার যে কোন প্রকল্প বাস্তবায়নে প্রস্তুত। বাংলাদেশের সকল মন্ত্রণালয়গুলোর মধ্যে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের একটি উজ্জল অংশ বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশন উল্লেখ করে প্রধান অতিথি বলেন, আপনারা দেশের ভালোর জন্য ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে যে কোন প্রকল্প নেন তা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের কসল কর্মকর্তারা বাস্তবায়ন করতে প্রস্তুত।
পরে পক্ষকাল ব্যাপী বৈশাখী মেলার উদ্বোধন করে মেলার বিভিন্ন দোকান ঘুরে দেখেন এবং নিজ পরিবারের জন্য শীতল পাটিসহ বিভিন্ন দেশীয় ঐতিহ্যবাহী পণ্য ক্রয় করেন।
এরআগে, বৈশাখী উৎসব ও সুবর্ণজয়ন্তি উপলক্ষে ফাউন্ডেশন চত্ত¡রকে সাঁজানো হয় বর্ণিল সাঁজে।
সকাল থেকে বাসন্তি রঙে নানা পোশাকে নানা বয়সের পর্যটকরা প্রিয়জনদের সাথে মেলায় ঘুরতে আসেন। বৈশাখ উপলক্ষে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা দেশীয় ঐতিহ্যবাহী খেলা প্রদর্শণ করে।
এরআগে, সকাল ১০টার দিকে বৈশাখী উৎসব এবং লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশনের ৫০ বছর পূর্তিতে ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে এক বর্ণাঢ্য র্যালী বের হয়। ফাউন্ডেশন চত্ত¡রের মুল ফটকে গ্রামীণ ও নানা রংয়ের সাজে সজ্জিত করা হয়েছে।
পক্ষকাল ব্যাপী মেলায় দেশের সেরা কারুশিল্পীরা অংশ গ্রহণ করে তাদের নিজেদের হাতে তৈরি বিভিন্ন পসরা সাজিয়েছেন মেলায়। কেউ করেছেন হালখাতা। প্রধান অতিথি ইলিয়া সুমনা সেই হালখাতায় স্বাক্ষর করেছেন। স্বাক্ষর করেছেন ফাউন্ডেশনের পরিচালক মাহবুবুল আলম, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারজানা রহমান। পরে তারা মিষ্টি মুখ করেন।
মেলায় কারুশিল্পীদের হাতের তৈরি নকশি কাথা, জামদানি, শীতল পাটি, শতরঞ্জি, মৃৎশিল্প, দারুশিল্প, কাঁঠ খোদাই শিল্প, হাতপাখা, কাঁঠ খোদাই শিল্প, শোলা বাঁশ-বেত শিল্প পণ্যসহ উপ-জাতীয়দের বিভিন্ন পণ্যও শোভা পাচ্ছে বৈশাখী মেলায়। এছাড়া, নাগরদোলা, বায়োস্কোপের পাশাপাশি গ্রামীণ খাবারতো রয়েছেই।
পক্ষকাল ব্যাপী লোক ও কারুশিল্প মেলা চলবে আগামী ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত।
Post a Comment