সোনারগাঁও দর্পণ :
প্রকাশ্যে এক সন্ত্রাসী কেটে দিল আরেক সন্ত্রাসীর "পা"। ঘটনাটি গত ১২ জুলাই রাত আটটার দিকে সোনারগাঁও উপজেলার সবচেয়ে ব্যস্ততম এলাকা মোগরাপাড়া চৌরাস্তায় ঘটানো হলেও স্থানীয় গণমাধ্যম এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমও অজ্ঞাত কারণে চুপ রয়েছে। ফলে, প্রতিবেদককে অনেকটা কটাক্ষ করেই বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) সোনারগাঁও দর্পণ এর এক পাঠক বলছিলেন, ভাই সবাইরে কি রাসেল বায়েস্ট করে নিলো।
প্রতিবেদক সঙ্গত কারণে কিছুদিন এলাকায় ছিলেন না, তাই তার কথার মর্ম বুঝতে না পারায় কথা হয় নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই পাঠকের সাথে। জানানো হয় গত ১২ জুলাই থেকে সোনারগাঁওয়ে স্ব-শরীরে না থাকার কথা।
পরে তার ( পাঠক ) সাথে আলাপ করে জানাগেছে, মাদক ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ আর প্রভাব বিস্তার দ্বন্দ্বে পরিবহন ডাকাত ও চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী পিয়েল গ্রুপের অন্যতম সদস্য লিজনের 'পা' কেটে নিয়েছে র্যাবের হাতে ক্রস ফায়ারে নিহত সোনারগাঁওয়ের এক সময়ের শীর্ষ সন্ত্রাসী, মাদক সম্রাট ও চাঁদাবাজ হ্নদয় ওরফে গিট্টু হ্নদয়ের বোনের স্বামী অপর চিহ্নত শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী ও নৌ ডাকাত রাসেল।
ওই পাঠক জানান, নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলার চৌরাস্তায় জালাল টাওয়ার এর পিছনে গত ১২, জুলাই রাত আনুমানিক আটটার দিকে রাসেল নিজে ধারালো অস্ত্র দিয়ে লিজেন এর পা কেটে দেয়। এর আগে, মাদকের টাকা পয়সা নিয়ে তাদের দুজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। কথা কাটাকাটির এক পর্যায় মাদক সম্রাট রাসেল এ ঘটনা ঘটায়।
তিনি জানান, এ সময় রাসেলের মুখ ঢাকা ছিল। রাসেল পিরোজপুর ইউনিয়নের ছোট কোরবানপুর গ্রামের মৃত সাফায়াত উল্লার ছেলে।
অপর সন্ত্রাসী আহত লিজন একই ইউনিয়নের আষাঢ়িয়ার চর গ্রামের সিএনজি চালক দ্বীন ইসলামের ছেলে।
এদিকে অপর একটি সূত্র জানায়, রাসেল ছিল ক্রসফায়ারে নিহত গিট্টু হৃদয়ের সেকেন্ড ইন কমান্ড। গিট্টু হৃদয় ক্রস ফায়ারে নিহত হওয়ার পর থেকে গিট্টু হৃদয়ের পুরো মাদক ও অপরাধ জগত নিয়ন্ত্রণ নেয় রাসেল। এর পর থেকে তাকে আর পিছনে তাকাতে হয়নি। রাসেল নাম লিখিয়েছে কোটিপতির খাতায়। ধীরে ধীরে রাসেল এতোটাই বেপরোয়া হয়ে উঠে যে, যদি কেউ তার মাদক ব্যবসায় অন্তরায় হয়ে দাড়িয়েছে, তাকেই পৃথিবী থেকে সরাতো রাসেল।
এরই ধারাবাহিকতায়, সোনারগাঁও উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়নের দুধঘাটা গ্রামের শাহজাহানকে পাওনা টাকা দেওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে মাদক ব্যবসায়ী রাসেল, কমল হক, ইমরান, বিজয়, সাকিবসহ ৮/১০জন মিলে কুপিয়ে পায়ের ও হাঁতের রগ কেটে হত্যা করে। ওই রাসেল পুলিশের চোখে পলাতক থাকলেও তার প্রতিদিনের মাদক বিক্রি, চাঁদাবাজি আর জমি জবর দখল করার কাজ চলছে আগের মতোই।
এ বিষয়ে সোনারগাঁও থানার ওসি তদন্ত রাশেদুল ইসলাম খান বলেন, মৌখিকভাবে এমন একটা ঘটনার কথা শুনেছিলাম। ভিকটিম প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে থানায় অভিযোগ করার কথা ছিল কিন্তু পরে আর আসেনি।
Post a Comment