সোনারগাঁও দর্পণ :
প্রাইভেটকার স্ট্যান্ড দখলে রাখতে আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের দু’গ্রপের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়েছে। সংঘর্ষে উভয় দু’গ্রুপের লোকজন আগ্নেয়াস্ত্র প্রদর্শণ করে গুলি ছোড়ায় এবং ধারালো অস্ত্রের আঁঘাতে কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। বুধবার (২২ ডিসেম্বর) দুপুরে সোনারগাঁও উপজেলার কাচঁপুর বাসস্ট্যান্ডে সংঘর্ষের এ ঘটনা ঘটে। পরে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়।
স্থানীয়রা জানায়, কাঁচপুরে দীর্ঘ দিন ধরেই চাঁদাবাজি করে আসছিল উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান বাবুল ওমর বাবু ও উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম সম্পাদক শফিকুল ইসলাম খাঁন ওরফে লিটন খাঁনের লোকজন। এ নিয়ে তাদের মধ্যে প্রায়ই দ্বন্দ্ব হয়। এরই ধারাবাহিকতায় বুধবার দুপুরে যথারীতি কাঁচপুর বাসস্ট্যান্ড ও প্রাইভেট কার স্ট্যান্ডে শফিকুল ইসলাম খান ওরফে লিটন খাঁনের লোকজন চাঁদা উত্তোলন করে আসছিল। এ সময় বাবুল ওমর বাবুর চেলা মনু মেম্বারের নেতৃত্বে একটি দল লিটন খাঁনের লোকজনকে চাদাঁ তুলতে বাঁধা দেয়। এ নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে প্রথমে কথা কাটাকাটি পরবর্তী হাতাহাতি শুরু হয়। বিষয়টি দুই দু’গ্রুপের অন্যান্য সমর্থক ও অনুসারিরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসলে দু’গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া শুরু হয়। ধীরে ধীরে যা রূপ নেয় সংঘর্ষে। সংঘর্ষের এক পর্যায় তারা (উভয়দল) গোলাগুলিতে লিপ্ত হয়।
আগ্নেয়াস্ত্রের গুলির শব্দে স্থানীয় এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। সেই সংঘর্ষে দু’পক্ষের কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়। আহতদের সোনারগাঁও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেসহ বিভিন্ন হাসপাতাল ও ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সংঘর্ষের সময় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে দীর্ঘ যানজটের কবলে পরে কয়েকশ যানবাহন। একপর্যায় সোনারগাঁও থানা পুলিশ ও কাচঁপুর হাইওয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এদিকে, আগ্নেয়াস্ত্রের ব্যবহার হয়েছে বলে জানা নেই এমন তথ্য জানিয়ে সোনারগাঁও থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) শফিকুল ইসলাম জানান, দু’পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। যারা আহত হয়েছে তারা ধারালো অস্ত্রের আঁঘাতে আহত হয়েছে। বর্তমানে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে।
Post a Comment