পরিবহনে ছিনতাইকালে ছিনতাইকারীদের ছুরিকাঘাতে তিন যাত্রী আহত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। শনিবার (১১ ডিসেম্বর) রাত আনুমানিক ৯টার দিকে সোনারগাঁও উপজেলার ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার সাথে জড়িত এক ছিনতাইকারীকে আটক করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছে জনতা। তাৎক্ষণিকভাবে আহত বা আটককৃতের নাম জানা যায়নি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি সূত্র সোনারগাঁও দর্পণ’কে জানায়, শনিবার রাত আনুমানিক ৯টার দিকে কাঁচপুর থেকে বেশ কয়েকজন যাত্রী লোকাল বাসে চড়ে কাঁচপুর থেকে মেঘনা যাওয়ার সময় মদনপুর থেকে কয়েকজন যুবক গাড়িতে যাত্রীবেশে ওঠে। কিছুদুর যাওয়ার পর ওই যুবকেরা মূহুর্তের মধ্যে গাড়িতে থাকা যাত্রীদের এলোপাথারী ছুরিকাঘাত করে আতঙ্ক সৃষ্টি করে ছিনতাই করতে থাকে। এ সময় এক যুবক প্রতিবাদ করলে তাকে উপর্যপুরি ছুরিকাঘাত করে। গাড়িটি দড়িকান্দি এলাকায় আসলে ছিনতাইকারীরা নেমে পালিয়ে যাওয়ার সময় এক ছিনতাইকারীকে আটক করে জনতা। পরে তাকে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশের কাছে সোপর্দ করে। এ সময় বাকী ছিনতাইকারীরা দৌড়ে পালিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে কাঁচপুর হাইওয়ে পুলিশ ও সোনারগাঁও থানা পুলিশের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করলে তারা ফোন রিসিভি করেননি।
এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সোনারগাঁও থানা পুলিশের এক দায়িত্বশীল কর্মকর্তা জানান, এমন একটি ঘটনা শুনেছি যে লোকাল কোন গাড়িতে ছিনতাইয়ের সময় এক যুবক (যাত্রী) ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত হয়েছে। গাড়িতে থাকা অন্যযাত্রীরা ছুরি দিয়ে আঘাতকরা এক যুবককে ধরে পুলিশের কাছে দিয়েছে। ছুরিকাঘাতে আহত ওই যাত্রী আশঙ্কাজনক অবস্থায় বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। অপরদিকে, ছিনতাইকারী আটককৃত যুবকের সাথে অন্য কারা জড়িত আছে তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।
সূত্রটি জানায়, আটককৃত ছিনতাইকারী তার সাথে থাকা যে সহযোগীদের নাম পুলিশের কাছে বলেছে তার মধ্যে একজনের বাড়ি চৌরাস্তা এলাকায়। অপরজন মোগরাপাড়া এলাকায় ভাড়া থাকে। তবে, সূত্রটি নাম প্রকাশ করেনি।
অপরদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক সূত্র দাবি করে, ওই ঘটনার পর সোনারগাঁও থানা পুলিশের একটি দল শনিবার রাতেই উপজেলা বিএনপি’র এক নেতার ভাতিজাকে খুঁজতে ওই নেতার চৌরাস্তা এলাকার বাড়িতে যায়। অপরদিকে, অন্যদের ধরতে গোহাট্টা এলাকায়ও অভিযান চালায় সোনারগাঁও থানা পুলিশের একটি দল।
Post a Comment