অর্ধশতাধিক (বিকাল সাড়ে ৪টায় প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ৫৩ জন) শ্রমিকের পোড়া গন্ধ আর স্বজন হারানোর কান্না ও আহাজারিতে ভারি হয়ে গেছে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের বাতাস। সজীব গ্রæপের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান হাশেম ফুড অ্যান্ড বেভারেজ লিমিটেডের কারখানায় (সেজান জুস ব্রান্ড) গত বৃহস্পতিবার সংগঠিত ভয়াবহ অগ্নিকাÐ শুক্রবার দুপুরে নিয়ন্ত্রণের পর ধ্বংস্তুপ থেকে ৫০ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা ৫৩জনে দাড়ালো।
শুক্রবার ( ৯ জুলাই) দুপুরে আগুন নিয়ন্ত্রণের পর ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের সদস্য জানান, আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার পর ছয়তলা ভবনের চতুর্থতলা পর্যন্ত তারা যেতে পেরেছেন। ছয়তলা কারখানা ভবনের ওপরের দুই ফ্লোরে তখনও আগুন জ্বলছিল। ধ্বংস্তুপে তল্লাশিও এখনো শেষ হয়নি। ময়নাতদন্তের জন্য তারা এ পর্যন্ত ৫০ জনের মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছেন। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানান তারা।
রূপগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহ নুসরাত জাহান ঘটনাস্থলে যান। সেখানে দায়িত্বে থাকা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সদস্যদের সাথে কথা বলে খোজ-খবর নেন। তিনি জানান, অগ্নিকাÐের ঘটনা তদন্তে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শামীম ব্যাপারীকে আহ্বায়ক করে পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করেছে জেলা প্রশাসন। কমিটির অন্য সদস্যদের মধ্যে রূপগঞ্জের ইউএনও নিজে, ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক, পুলিশের একজন প্রতিনিধি এবং কলকারখানা অধিদফতরের একজন প্রতিনিধি।
এরআগে, বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টার দিকে ওই কারখানা ভবনের নিচতলায় আগুন লাগে। মুহূর্তেই আগুন ভবনের অন্যান্য ফ্লোরে ছড়িয়ে পরলে তিন শ্রমিক ছাদ থেকে লাফিয়ে পরে মারা যান।
Post a Comment