সোনারগাঁও দর্পণ :
আওয়ামী লীগ বা এর কোন অঙ্গসংগঠনের ট্যাগ লাগিয়ে স্বার্থ উদ্ধারকারী কাউকে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের স্বমন্বয়ক হিসেবে গ্রহণ করা হবেনা বলে হুশিয়ারী দিয়েছেন সোনারগাঁওয়ের বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারী মোহাম্মদ মহিবুল্লাহ। বৃহস্পতিবার দুপুরে সোনারগাঁও প্রেস ক্লাবের সামনে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নাম ভাঙ্গিয়ে আওয়ামী লীগ সন্ত্রাসীদের অপকর্মের প্রতিবাদে বিক্ষোভ ও মানববন্ধনে এ হুশিয়ারী দেন তিনি।
বন্দরের নাজিমউদ্দিন ভূইয়া কলেজের শিক্ষার্থী মহিবুল্লাহ প্রধান বলেন, ৫ তারিখের পর গায়েবিভাবে সোনারগাঁওয়ে কিছু সমন্বয়ক তৈরি হয়েছে। তাদের মধ্যে কেউ কেউ আওয়ামী লীগের দোষর হয়ে এখনো অপকর্ম চালিয়ে যেতে চায়। তাদেরকে ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের ট্যাগ লাগিয়ে আর স্বৈরাচারী কর্মকান্ড করতে দেওয়া হবেনা বলে হুশিয়ারী দেন।
তিনি আরও বলেন, সোনারগাঁওয়ে ছাত্রলীগের কোন নেতার মামাতো ভাইকে স্বমন্বয় পদে আনা যাবেনা। সে সভাপতি রাসেল ও সাধারণ সম্পাদক সাগরের সাথে ছবি তোলার কথা জিজ্ঞাসা করলে বলেন, তাদের সাথে ছবি তোলা যেতেই পারে। এ সময় মহিবুল্লাহ ট্যাগ লাগানো ওই ছাত্রকে উদ্দেশ্য করে বলেন, আওয়ামী লীগ-ছাত্রলীগের দোষর হিসেবে আপনাকে সোনারগাঁওবাসী চিনে গেছে। আমরা আজ এখানে যারা এসেছি আমরা সবাই আন্দোলনকারী। কেউ আমরা সমন্বয়ক পরিচয় দেইনা। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন করে আমরা হামলা-মামলার শিকার হয়েছি।
তবুও রাজপথ ছেড়ে যাইনি। পুলিশের বন্দুকের সামনে বুক পেতে দিয়েছি ছাত্রদের-সাধারণ মানুষের অধিকার আদায় করতে। আর আপনি আওয়ামী লীগ-ছাত্রলীগের সাথে মিলে টেন্ডারবাজী করে স্বার্থ উদ্ধার করে এখন পিঠ বাঁচাতে স্বমন্বয় সেজেছেন।
মহিবুল্লাহ বলেন, সোনারগাঁও উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক যখন তাদের ক্যাডার বাহিনী নিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের ওপর ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ে হামলা করে, তখনও আপনি সে হামলাকারীদের সাথে ছিলেন। আজ আপনি সোনারগাঁওয়ে স্বমন্বয়ক সাজতে চান। আপনার এ আশা কখনো পূরণ হবেনা।
উল্লেখ্য, সাকিল সাইফুল্লা নামে ছাত্রলীগের সভাপতির মামাতো ভাই আছেন। যিনি ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ে লেখাপড়া করেন। তাঁকে বিভিন্ন সময় সোনারগাঁও, আড়াইহাজারসহ আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতাদের সাথে অন্তরঙ্গ ছবি তুলতে ও বিভিন্ন কর্মসূচীতে দেখা গেছে। মহিবুল্লাহ প্রধান ওই সাকিল সাইফুল্লাহকে উদ্দেশ্য করেই কথাগুলো বলেছেন বলে একটি বিশ^স্ত সূত্র জানায়।
Post a Comment