সোনারগাঁও দর্পণ :
সোনারগাঁওয়ে সাদা পোশাকে র্যাবের অভিযানে গ্রামবাসীর হামলার ঘটনায় মামলা হয়েছে। র্যাব-১১ বিজিও সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার নাসির উদ্দিন ২১ জনের নাম উল্লেখ করে সোনারগাঁও থানায় শনিবার রাতে এ মামলা করেন। সোনারগাঁও থানা সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
মামলায় রোজিনা হত্যা মামলার সন্দেহভাজন আসামি সেলিম মিয়াকে প্রধান আসামি করা হয়। ইতোমধ্যে নিহত আবুল কাশেমের ছেলে নজরুল ইসলামসহ ৬ জনকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠিয়েছে সোনারগাঁও থানা পুলিশ।
এদিকে, রোজিনা হত্যা মামলার প্রধান আসামী সেলিম মিয়াকে দুটি মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। গ্রেফতারকৃতরা হলেন, সোনারগাঁওয়ের বরগাঁও গ্রামের আমীর আলীর ছেলে সেলিম মিয়া (২১), আব্দুল বাতেনের ছেলে রুবেল (৩১), মৃত ইমান আলীর ছেলে হযরত আলী (৩৬), আব্দুল মোতালেবের ছেলে জাহাঙ্গীর হোসেন (৪২), আবুল কাশেমের ছেলে নজররুল ইসলাম (৪০) ও মৃত মালেকের ছেলে আমানউল্লাহ (৩৮)।
সোনারগাঁও থানার ওসি (তদন্ত) মোহাম্মদ আহসান উল্লাহ জানান, র্যাবের ওপর হামলা ঘটনায় দায়ের করা মামলার ২১ আসামির মধ্যে ৬ জনকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। বাকিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
এরআগে, গত ১৭ মার্চ রাতে র্যাব পরিচয়ে সাদা পোশাকে গার্মেন্ট কর্মী রোজিনা হত্যা মামলার প্রধান সন্দেহভাজন সেলিম মিয়াকে গ্রেফতার করতে র্যাব - ১১’র একটি বিশেষ দল উপজেলার সাদিপুর ইউনিয়নের চেয়ানম্যান বাড়ির বড়গাঁও এলাকায় যায়। সেখানকার স্থানীয়রা ডাকাত সন্দেহ করে র্যাবকে আসামী ধরতে বাঁধা দেয়। এ নিয়ে র্যাব ও গস্খামবাসীর মধ্যে বাকবিতন্ডার এক পর্যায় হাতাহাতি এমনকি ধাওয়ার ঘটনাও ঘটে। সে সময় র্যাব আত্মরক্ষার্থে গুলি চালালে আবুল কাসেম নামে এক ব্যক্তি নিহত হয় এবং হুমায়ন নামে অপর একজন গুলিবিদ্ধ হয়।
এরও আগে, ১৬ মার্চ বৃহস্পতিবার উপজেলার সাদিপুর ইউনিয়নের চেয়ানম্যান বাড়ির বড়গাঁও এলাকায় রোজিনা নামে এক গার্মেন্ট কর্মীর গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
Post a Comment