সোনারগাঁও দর্পণ :
সোনারগাঁওয়ে ত্রিবর্দী (টিপরদী)’তে অবস্থিত মেঘনা ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইকোনমিক জোনের ভিতরে মেঘনা গ্রুপের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান ‘সোনারগাঁও প্রিন্টিং এন্ড প্যাকেজিং নামের একটি কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। অগ্নিকাণ্ডের সময় জীবন বাঁচাতে বহুতল ভবনের উপর থেকে লাফিয়ে পড়ে এবং অগ্নিদগ্ধ হয়ে কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছে। আগুন নিভাতে প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব ফায়ার সার্ভিসসহ বিভিন্ন উপজেলার ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ১৪টি ইউনিট চেষ্টা করে আগুন নিয়ন্ত্রণে নেয়। সোমবার সকালে গ্রুপটির কার্টুন তৈরির ওই কারখানায় এ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে।
সোমবার সকাল সারে ৭ টার সময় ওই কারখানায় অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সোনারগাঁও ফায়ার সার্ভিস, মেঘনা গ্রুপের নিজস্ব ফায়ার সার্ভিস, গজারিয়া ফায়ার সার্ভিস, ঢাকা থেকে আগত ফায়ার সার্ভিসের স্পেশাল টিমসহ ১৪ টি ইউনিট কাজ করে যাচ্ছে।
ওই ইকোমিক জোনে কাজ করতে যাওয়া একাধিক শ্রমিক জানায়, তারা ৮টার সময় কাজে যোগ দিতে সকাল সাড়ে ৭ টার দিকে মেঘনা ইকোনেমিক জোনের গেইটের সামনে হাজির হন। জোনের ভেতর সোনারগাঁও প্রিন্টিং এন্ড প্যাকেজিং কারখানার উত্তর পশ্চিম পাশ থেকে ধোঁয়াসহ আগুন দেখতে পান। মূহুর্তের মধ্যেই আগুন পুরো কারখানায় ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় কারখানাটির উপর থেকে লাফিয়ে জীবন বাঁচাতে গিয়ে এক শ্রমিক আহত হয়। এছাড়াও ৮/৯ জন শ্রমিক অগ্নিদগ্ধ হয়েছে। আহতদের উদ্ধার করে বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের উপ সহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ আল আরেফীন জানান, আগুনের খবর পেয়ে বিভিন্ন স্টেশন থেকে ১৪ টি ইউনিট ঘটনাস্থলে যায় এবং আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। আগুনের সুত্রপাত বা ক্ষয়-ক্ষতির বিষয়ে এখনো স্পষ্টভাবে বলা যাচ্ছেনা।
এদিকে, অগ্নিকাণ্ডের পর ইকোনোমিক জোনের ভিতরে কোন গণমাধ্যম কর্মীকে তথ্য বা ছবি সংগ্রহ করতে দেয়নি জোন কর্তৃপক্ষ। ফলে, অগ্নিকাণ্ডের বিষয়ে এক প্রকার প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে ! আসলেই কি দুর্ঘটনা বশত এ অগ্নিকণ্ড না-কি কোন বড় স্বার্থ উদ্ধারে অগ্নিকাণ্ডের এ ঘটনা !
Post a Comment