সোনারগাঁও দর্পণ :
২৬ ডিসেম্বর ৪র্থ ধাঁপে ইউনিয়ন পরিষদের যে নির্বাচন হতে যাচ্ছে সে নির্বাচনে বৈদ্যেরবাজার ইউনিয়নে যাতে নির্বাচন না হয় সে জন্য একটি কুচক্রি মহল ষড়যন্ত্র করেছে। সে ষড়যন্ত্রে শুধু বর্তমান চেয়ারম্যানই নয়, এর সাথে অনেক বড় নেতাও জড়িত ছিল বলে মন্তব্য করেছেন নারায়ণগঞ্জ- ৩ আসনের সাবেক সাংসদ ও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহবায়ক আব্দুল্লাহ আল কায়সার হাসনাত।
২৬ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিতব্য বৈদ্যেরবাজার ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষ্যে বৈদ্যেরবাজার ইউনিয়ন পরিষদের আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী আল-আমিন সরকারের নির্বাচনী প্রচারণায় সোমবার (২০ ডিসেম্ব) রাতে ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডে উঠান বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
রোববার (১৯ ডিসেম্বর) রাতে ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের দামোদরদি ইউনিয়নে নৌকার ক্যাম্পে আগুন দিয়ে আওয়ামী লীগের প্রতিক নৌকা ও প্রধানমন্ত্রী’র ছবি পুড়িয়ে ফেলার প্রসঙ্গ টেনে আব্দুল্লাহ আল কায়সার বলেন, আগুনে পোড়ানোর পর আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা আবেগে অপ্রিতিকর কিছু না করে যে শান্ত রয়েছে তার জন্য ধন্যবাদ জানান। পাশাপাশি আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মী ও সমর্থকরা যে তাদের মতো রুচীহীন না তার সাক্ষরও রেখেছেন বলে জানান।
প্রতিবাদের ভাষা অনেক। মারামারি করলে আর চিল্লাফাল্লা করলেই প্রতিবাদ হয়না জানিয়ে কায়সার বলেন, আগামী ২৬ ডিসেম্বর ব্যালট পেপারে নৌকায় ভোট দিয়ে আলামিন সরকারকে বিজয়ী করে আনাটাই হবে আগুনে পোড়ানোর বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ। আর আইন যা করার তা তারা সময়মতো ঠিকই করে নিবেন বলে জানান কায়সার। এ সময় আলামিন সরকারকে একটিবারের জন্য বিজয়ী করতে ১ নং ওয়ার্ডের সকলের প্রতি উদাত্ত আহŸান জানান তিনি।
উঠান বৈঠকে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির নেতা এএইচএম মাসুদ দুলাল, কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির নেতা দিপক কুমার বণিক, জেলা পরিষদের সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান মাসুম, আওয়ামী লীগ নেতা ও বিশিষ্ট শিল্পপতি মনির হোসেন, আওয়ামী লীগ নেতা এইচ এম জামান, উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি গাজী মুজিবর রহমান, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ও উপজেলা আওয়ামী লীগের আহবায়ক কমিটির সদস্য রফিকুল ইসলাম নান্নু, সাধারণ সম্পাদক আলী হায়দারসহ অনেকে।
Post a Comment