সোনারগাঁও দর্পণ :
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে সোলমান নামে এক যুবলীগ কর্মীকে কুপিয়ে ও ইট দিয়ে মাথা থেতলে হত্যার অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষ স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের সমর্থকদের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার উপজেলার তারাব পৌরসভার গন্ধর্বপুর নামাপাড়া এলাকায় এ হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটে। নিহত পরিবারের সদস্যদের দাবি, নিহত সোলমান মুড়াপাড়া ইউনিয়ন যুবলীগকর্মী ও উপজেলা পরিষদ চত্বর এলাকার মজিদ শিকদারের ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শী, নিহতের পরিবারের সদস্য ও স্থানীয় সুত্র জানায়, মুড়াপাড়াসহ আশ-পাশের এলাকার আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে মুড়াপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তোফায়েল আহাম্মেদ আলমাছ ও তার সমর্থকদের সাথে যুবলীগ কর্মী সোলায়মানসহ তার সমর্থকদের দীর্ঘ দিন ধরেই বিরোধ চলে আসছিল। এর সূত্র ধরে চেয়ারম্যান সমর্থকদের সাথে সোলায়মান গ্রæপের প্রায় সময়ই মাছিমপুর, মীরকুটিরছেও, নাসিংগলসহ বিভিন্ন স্থানে একাধিকবার ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া, হামলা, ভাংচুর ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
সর্বশেষ গত ২৮ মে শুক্রবার রাত ১২টার দিকে মাছিমপুর এলাকায় দুই গ্রæপের সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও হামলার ঘটনা ঘটে। ওই সময় বেশ কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি বর্ষণ করা হয়। এসময় চেয়ারম্যানের বাড়িতে হামলা চালানো হয়। ওই ঘটনায় ইউপি চেয়ারম্যান তোফায়েল আহাম্মেদ আলমাছ বাদী হয়ে নিহত সোলমানসহ ২৫ জনকে আসামী করে থানায় মামলা করেন।
এ ঘটনার পর (০১ জুন) মঙ্গলবার দুপুরে নার্সিংগল এলাকার যুবলীগ কর্মী সোলায়মান মাছের খামারে খাবার দেয়ার সময় সোলমানকে মাছের খামার থেকে মোবাইল ফোনে ডেকে গর্ন্ধবপুর নামাপাড়া এলাকায় নিয়ে আসা যাওয়া হয়। এসময় চেয়ারম্যান তোফায়েল আহাম্মেদ আলমাছ সমর্থকরা প্রকাশ্যে দিবালোকে ইট দিয়ে মাথা থেতলে ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে। হত্যাকান্ডের পর মসজিদের মাইক দিয়ে ডাকাত পড়েছে বলে প্রচার করে। এলাকাবাসী লাঠিসোঠা নিয়ে গিয়ে সোলমানকে হত্যা করা হয়েছে দেখতে পান। এসময় সোলমানের কয়েকজন সমর্থক সোলমানকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে, এ হত্যাকান্ডের ঘটনাকে কেন্দ্র করে চরম আতঙ্কে ঘটনাস্থলসহ আশ-পাশের এলাকার মানুষ ঘরে তালা ঝুলিয়ে অন্যত্র চলে যায়। হত্যাকান্ডের ঘটনাকে কেন্দ্র করে যে কোন সময় বড় ধরনের সংঘর্ষের আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী।
এ বিষয়ে জানতে মুড়াপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তোফায়েল আহাম্মেদ আলমাছের মুঠোফোনে বার বার যোগাযোগের চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ এফ এম সায়েদ বলেন, নিহত সোলমানের লাশ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পাঠানো হয়েছে। এখন পর্যন্ত কেউ অভিযোগ করেনি। তবে, তার পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা করা হবে বলে জাননো হয়েছে।
Post a Comment