হেফাজতের সাবেক নেতা মামুনুল হকের সোনারগাঁওয়ে রয়েল রিসোর্ট কান্ড পরবর্তী সহিংসতার ঘটনায় পুলিশের করা দুই মামলার এজাহার ভুক্ত আসামি এমদাদ হোসেনকে গ্রেফতার করেছে সোনারগাঁও থানা পুলিশ। ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে সোনারগাঁও থানার অফিসার ইনচার্জ মো. হাফিজুর রহমান জানান, গ্রেফতারকৃত আসামি এমদাদ (৪৬) বাড়ী মজলিশ এলাকার মহিউদ্দিন প্রধানের ছেলে। শনিবার পর্যন্ত এ ঘটনায় গ্রেফতার হওয়া মোট আসামীর সংখ্যা ১০১ জন।
তিনি আরও জানান, সিসিটিভি ফুটেজ ও বিভিন্ন আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার অনুসন্ধানে সত্যতা পেয়ে সোনারগাঁও থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই ইয়াউর রহমান গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অন্যান্য পুলিশ সদস্যদের সহযোগিতায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে। তিনি জানান, আসামী এমদাদ সহিংসতার ঘটনার পর থেকেই পলাতক ছিল।
সোনারগাঁও থানার সেকেন্ড অফিসার ইয়াউর রহমান জানান, গ্রেফতার হওয়া এমদাদকে হেফাজতের পুলিশ বাদীর দুই মামলায় ৫দিনের রিমান্ড চেয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা আদালতে পাঠানো হয়েছে।
শনিবার গ্রেফতার করে আজ সোমবার কেন আদালতে পাঠানো হয়েছে এ প্রশ্নের উত্তর জানতে একাধিকবার সেকেন্ড অফিসার ইয়াউর রহমানের মোবাইলে ফোন দিলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
উল্লেখ্য, গত ৩রা এপ্রিল সোনারগাঁও রয়েল রিসোর্টে কথিত দ্বিতীয় স্ত্রীকে নিয়ে অবস্থানের সময় স্থানীয় এলাকাবাসী ও স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের হাতে অবরুদ্ধ হোন হেফাজত ইসলামের মহাসচিব মামুনুল হক। সেই ঘটনায় মামুনুল হকের সমর্থকরা রয়েল রিসোর্টে ভেতরে প্রবেশ করে পুলিশের উপর হামলা,পুলিশের গাড়ি ও রয়েল রিসোর্ট ব্যাপক ভাংচুর চালিয়ে তাকে ছিনিয়ে নেয়। এছাড়াও তারা আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের বাড়ীঘর, আওয়ামীলীগের পার্টি অফিস ভাংচুরসহ ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে টায়ার জ্বালিয়ে গাড়ি ভাংচুর করে। এ ঘটনায় সোনারগাঁ থানা পুলিশ,রাজনৈতিক নেতা-কর্মী ও সাধারণ ক্ষতিগ্রস্ত মানুষ মোট ৮টি মামলা করেন।
Post a Comment