Best Viral Premium Blogger Templates

হোটেল- রেস্তোরাঁয় মৃত ছাগলের মাংস যায় !

Sunday, December 19, 2021 | December 19, 2021 WIB Last Updated 2021-12-19T21:28:13Z


সোনারগাঁও দর্পণ :

রাজধানীর বিভিন্ন হোটেল-রেস্তোরাঁয় মৃত ছাগল,গরু বা মুরগীর মাংস সরবরাহ নতুন কোন ঘটনা নয়। তবে, ঢাকার বাইরে এমন জঘন্য কান্ডের ঘটনা তেমন একটা শোনা যায়না। কিন্তু এবার রাজশাহীর বিভিন্ন হোটেল-রেস্তোরায় মৃত ছাগলের মাংস সরবরাহের প্রমাণ পেয়েছে রাজশাহী গোয়েন্দা পুলিশ। রাজশাহী মহানগর পুলিশের (আরএমপি) গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) এমন একটি চক্রকে গ্রেপ্তার করেছে। অভিযানে চারজন কসাই ও মাংস দোকানীকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের কাছে থেকে ১৫০ কেজি মৃত ছাগলের মাংস ও মৃত জবাইকৃত চারটি ছাগল এবং অসুস্থ-রুগ্ন ২৭টি জীবিত ছাগল জব্দ করা হয়েছে।


শনিবার (১৮ ডিসেম্বর) রাতে রাজশাহীর বালিয়ার মোড়ে অভিযান চালিয়ে একটি পিকআপ থেকে রাজশাহী নগরীর দরগাপাড়া এলাকার মশিউর রহমান আপেল, মো. ফায়সাল, মো. কায়েস ও ফয়সাল হোসেন নামে ৪ অপরাধীকে আটক করেছে গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল। তাদের আটকের সময় মৃত ছাগলের ১৫০ কেজি মাংস এবং রুগ্ন বেশ কয়েকটি ছাগল জব্দ করা হয়। আটককৃতদের বরাত দিয়ে গোয়েন্দা পুলিশ গণমাধ্যমকে জানায়, ছাগল কেনার পর মারা গেলে সেগুলোকে জবাই করে মাংস করা হয়। শুধু হোটেল-রেস্তোরাঁয়ই নয়, ঠিকাদারের মাধ্যমে বিভিন্ন হাসপাতাল এবং কারাগারেও কম দামে এসব মাংস সরবরাহ করা হয়ে থাকার কাজ দীর্ঘদিন ধরে করছে চক্রটি।


পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে আটকৃতরা স্বীকার করেনে, বিভিন্ন হোটেল- রেস্তোরায় ৪০০ টাকা কেজিতে এসব মাংস সরবরাহ করতো। এছাড়া বিভিন্ন বিশেষ দিনে সরকারি প্রতিষ্ঠানের ঠিকাদারদেরও সরবরাহ করা হতো এসব মাংস। 


নগর ডিবি পুলিশের উপ-কমিশনার আরেফিন জুয়েল জানান, অভিযানে মাংস, জবাই করা ছাগল ও জীবিত ছাগল সিভিল সার্জনের কার্যালয়ের স্যানিটারী ইন্সপেক্টর শহিদুল ইসলামকে দিয়ে পরীক্ষা করানো হয়। তিনি জানান, ছাগলগুলো মারা যাওয়ার পর জবাই করা। মাংসগুলোও মৃত ছাগলের। তাই সেগুলো ধ্বংস করা হয়েছে।


জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক হাসান আল-মারুফ অভিযুক্ত মশিউর রহমান আপেল ও মো. ফায়সালকে ৮০ হাজার টাকা করে ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন।


যদিও কারাগার এবং হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, এ সকল মৃত পশুর মাংস তাদের সংস্থায় প্রবেশের কোন সুযোগ নেই। কারণ যদি কখনো মাংসের প্রয়োজন হয় তাহলে তাদের সামনেই জবাই করা হয়। 

জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক হাসান আল-মারুফ জানান, হোটেল-রেস্তোরায় এ ধরনের মাংস সরবরাহ করার যে তথ্য পাওয়া গেছে সেটি তারা এখন আরও ভালোভাবে খতিয়ে দেখা হবে। 


Comments
comments that appear entirely the responsibility of commentators as regulated by the ITE Law
  • হোটেল- রেস্তোরাঁয় মৃত ছাগলের মাংস যায় !

Trending Now

Advertisement