সোনারগাঁও দর্পণ :
ঘরে মাত্র ৬ মাসের সন্তান। স্বামী সংসার রেখে পরকীয়ার টানে ঘরে থাকা নগদ ৫ লাখ টাকা আর স্বর্ণালংকার নিয়ে পালিয়েছেন তাহমিনা নামে এক গুণধারী বধু। এমনই অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী স্বামী নুহুল আমিন। এ ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর থেকে ছি ছি রব উঠেছে সোনারগাঁওয়ের সর্বত্র। সকলেই একটাই প্রশ্ন, কেমন মা ওই মহিলা। দুধের সন্তান রেখে পরকীয়ার টানে স্বামী সংসার রেখে চলে গেছে। আর কেমনই ওই নারীর পরিবারের লোকজন। তারাই সমাজে মুখ দেখান কি করে ?
সোনারগাঁও উপজেলার বারদী ইউনিয়নের বাগেরপাড়া গ্রামের গিয়াসউদ্দিনের ছেলে রুহুল আমিন থানায় দেয়া তার লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করেন, উপজেলার সনমান্দি ইউনিয়নের বাংলাবাজার যাত্রাবাড়ী গ্রামের মৃত কবির মিয়ার মেয়ে তাহমিনার সাথে রুহুল আমিনের ৩ বছর আগে বিয়ে হয়। ৬ মাস আগে এক কন্যা সন্তান হলে নাম রাখেন রাইসা।
তিনি উল্লেখ করেন, এরআগেও তাহমিনা এক ছেলের সাথে পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করে। শুধু সন্তানের মুখের দিকে তাকিয়ে পারিবারিকভাবে সেই বিয়ের ঝামেলা শেষে আবারও ঘরে তোলেন। এছাড়া, তার চলাফেরা ছিল উশৃঙ্খল। সংসারের প্রতি তার কখনো মন ছিলনা। হৈ হুল্লোর আর ঘুরাঘুরি করে সময় কাটাতেই পছন্দ করতো। এ নিয়ে একাধিকবার কলহ হলে আত্মীয় স্বজনদের মাধ্যমেই মীমাংসা হতো।
এরই ধারাবাহিকতায় ঘরের আলমারিতে থাকা জমি কেনার জন্য রাখা নগদ ৫ লাখ টাকা, ৫ ভরি স্বর্ণালঙ্কার ও কাপড়-চোপড় নিয়ে গত ১০ সেপ্টেম্বর শনিবার ভোরে তাহমিনা পালিয়ে যায়। এমনকি যাওয়ার সময় বুকের দুধ খাওয়া ছোট শিশু সন্তানের কথাও ভাবেনি। তাকে রেখেই চলে যায় পরকীয়ায় আসক্ত তাহমিনা।
পরে বিষয়টি তাহমিনার পরিবারকে জানালে তার শাশুরির দাবি, তাদের মেয়ে তাহমিনা তাদের বাড়িতে যায়নি। এমনকি কোথায় আছে তা-ও তারা জানেনা। আর এ বিষয়ে কোন বাড়াবাড়ি করলে থানায় মিথ্যা মামলা দিয়ে জেলে পাঠাবে।
তাহমিনার পরিবার থেকে এ বিষয়ে সমস্যার কোন সমাধান করতে না পেরে অবশেষে একপ্রকার উপায়ন্তু না পেয়ে বুধবার সোনারগাঁও থানায় একটি অভিযোগ করে।
সোনারগাঁও থানার ওসি মোহাম্মদ হাফিজুর রহমান জানান, এ ঘটনায় থানায় একটি অভিযোগ নেয়া হয়ে। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।