সোনারগাঁও দর্পণ :
সোনারগাঁওয়ে নিখোঁজ হওয়ার ২ দিন পর ৮ বছরের শিশু হুমায়রার মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়নের নয়াগাঁও এলাকার নদীর তীরবর্তী একটি বে-সরকারি প্রতিষ্ঠানের বাগান থেকে মাটি চাঁপা অবস্থা থেকে উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় পুলিশ নিহত শিশুর ভাবি বৈশাখী আক্তার, বড় ভাই সজিব ও বৈশাখীর মাকে আটক করেছে। নিহত হুমায়রা উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়নের মৃধাকান্দি গ্রামের দুলাল মিয়ার মেয়ে এবং নাগেরগাঁও সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণীর ছাত্রী।
স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে, হুমায়রা গত মঙ্গলবার সকাল ১১ টা থেকে নিখোঁজ ছিল। সম্ভাব্য বিভিন্ন স্থানে খোঁজ করেও তার কোন সন্ধান না পেয়ে তার বাবা ওইদিন সন্ধ্যায় সোনারগাঁও থানায় একটি সাধারণ ডায়রী করেন। বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়নের নয়াগাঁও এলাকায় নদীর তীরবর্তী স্থানে একটি ব্যক্তিমালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের বাগানে মাটি চাঁপা দেওয়া অবস্থায় দেখে এলাকার লোকজন পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে হুমায়রার মরদেহ উদ্ধার করে।
এদিকে পরিবারের লোকজন নিহত হুমায়রার ভাবি বৈশাখী আক্তার এ হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত থাকতে পারে সন্দেহ করলে প্রথমে তাকে আটক করে। পরে অপর এক সূত্র থেকে তথ্য পেয়ে নিহত হুমায়রার ভাই সজিব এবং ভাইয়ের শাশুড়িকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে যায়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক এলাকাবাসী জানায়, হুমায়রার দাদা সম্প্রতি কিছু জমি কোন এক প্রতিষ্ঠানের কাছে বিক্রির জন্যে বেশ কিছু টাকা অগ্রিম গ্রহণ করেন। সেই টাকা থেকে হুমায়রার বাবা কিছু টাকা চান তার শশুরকে সহযোগিতা করার জন্যে। ওই টাকা থেকে এক টাকাও তার কোন সন্তানকে দিবেনা এবং সকল টাকা হুমায়রার নামে ব্যাংকে রেখে দিবেন বলে জানান। এ নিয়ে তাদের পরিবারে কিছু দিন ধরে বিবাদ চলছিল। হয়তো ছোট বোন হুমায়রাকে লুকিয়ে রেখে কিছু টাকা হাতিয়ে নেয়ার কোন চক্রান্ত করতে গিয়ে হুমায়রাকে বাধ্য হয়ে হত্যা করে ফেলতে পারে বলে অনেকে মনে করছেন।
এ বিষয়ে সোনারগাঁও থানার ওসি মোহাম্মদ হাফিজুর রহমান জানান, ধারণা করা হচ্ছে শিশুটি হত্যাকা-ের শিকার। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে মৃত্যু বিষয়ে জানা যাবে। ঘটনায় অভিযোগ করা হয়েছে। ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে নিহতদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।