সোনারগাঁও দর্পণ :
সোনারগাঁওয়ে রোকসানা (৩২) নামে এক সন্তানের জননীকে প্রেমিকের বাড়ির লোকজনের নির্যাতনে হত্যার ঘটনায় করা মামলায় অভিযুক্ত দুই আসামীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১’র সদস্যরা। শুক্রবার রাতে মুল আসামী উপজেলার বাইশটেকি গ্রামের মৃত রাইজউদ্দিনের ছেলে মনির হোসেন (৪৫) ও আমির হোসেনকে মুন্সিগঞ্জ জেলার গজারিয়া উপজেলার ভবেরচর এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়।
শনিবার দুপুরে জেলার সিদ্ধিরগঞ্জ উপজেলার আদমজীতে অবস্থিত র্যাব-১১ এর সদর দফতরে এক সংবাদ সম্মেলনে এতথ্য জানান র্যাব-১১’র অধিনায়ক লে. কর্ণেল তানভীর মাহমুদ পাশা।
এরআগে, গত ১৮ জুলাই সোনারগাঁওয়ের সাদীপুর ইউনিয়নের বাইশটেকি দেওয়ান বাড়িতে বিয়ের দাবিতে অবস্থান নেয় এক সন্তানের জননী ও গ্রেফতার হওয়া মনির হোসেনের প্রেমিকা রোকসানা। পরে রোকাসানাকে পিটিয়ে হত্যা করে প্রেমিক মনির হোসেন ও তার পরিবারের সদস্যরা।
আসামীদের স্বীকারোক্তির বরাত দিয়ে র্যাব জানায়, নির্যাতনে নিহত রোকসানার আগের সংসারে এক ছেলে আছে। তার স্বামীর সাথে ৭/৮ বছর আগে বিচ্ছেদ হয়।
এরপর থেকেই একমাত্র সন্তানকে নিয়ে ছোট ভাই এনামুলের বাড়িই বসবাস করছিল। এরই মধ্যে রোকসানা একাকিত্ব কাটাতে ও জীবিকার জন্যে সাদিপুর ইউনিয়নের বাইশটেকি দেওয়ান বাড়িতে জামদানি কাপড় বুননের কাজ করার সুবাদে পরিচয় হয় ওই বাড়ির মৃত রাজু মিয়ার ছেলে মনির হোসেনের। বিয়ের আশ্বাসে মনির ও রোকসানার মধ্যে একাধিকবার দৈহিক সম্পর্কও হয়। এক পর্যায় রোকসানা বিয়ের জন্যে মনিরকে বলে। মনিরের মেয়ের বিয়ের পর রোকসানা ও মনিরের বিয়ে হবে বলে রোকসানাকে আশ্বাস দেয় মনির। গত ১৫ জুলাই মনিরের মেয়ের বিয়ে হলে রোকাসানা মনিরকে আবারও বিয়ের কথা বললে টালবাহানা শুরু করে মনির।
১৮ জুলাই বিয়ের দাবিতে রোকসানা মনিরের বাড়িতে অবস্থান নিলে মনির, তার ভাই গোলজার, খোকন, ছেলে রানা ও মনিরের স্ত্রীসহ ৭/৮ জন দেশিয় অস্ত্র দিয়ে পিটিয়ে মারাত্মক আহত করে। পরে তাকে মুমূর্ষ অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক রোকসানাকে মৃত বলে ঘোষণা করে।
এ ঘটনার পর মনির ও তার বাড়ির সকলে পালিয়ে যায়। অপরদিকে, মনিরকে প্রধান আসামী করে মনিরের ভাইসহ ৭/৮ জনকে আসামী করে রোকসানার ভাই এনামুল বাদি হয়ে একটি হত্যা মামলা করে।