সোনারগাঁওয়ের বীর মুক্তিযোদ্ধা নজরুল ইসলাম খন্দকার (৭৫) মারা গেছেন। (ইন্নানিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। সোমবার (৬ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৮টার দিকে রাতের খাবার খাওয়ার সময় খাদ্যনালীতে খাদ্য আটকে গিয়ে তার মৃত্যু হয়। আজ (২৭ এপ্রিল) মঙ্গলবার সকালে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ও উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদা প্রদর্শনের পর নামাজে জানাজা শেষে তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। প্রয়াত নজরুল ইসলাম খন্দকার উপজেলার আনন্দবাজার খন্দকার বাড়ির বড় সন্তান এবং ঢাকা থেকে প্রকাশিত জাতীয় পত্রিকা দৈনিক ডেসটিনি ও নারায়ণগঞ্জ থেকে প্রকাশিত সকাল বার্তা প্রতিদিন পত্রিকার সোনারগাঁও উপজেলার সাবেক প্রতিনিধি ও পরিবার পরিকল্পনা বৈদ্যের বাজার শাখার পরিদর্শক খন্দকার মাজেদুল ইসলাম সম্রাটের বাবা।
সম্রাট সোনারগাঁও দর্পণকে জানান, তার বাবা ‘জীবন বীমা করপোরেশন’ চিটাগাং রোড শাখার ম্যানেজার হিসেবে কর্মরত থাকাবস্থায় বেশ ক’বছর আগেই অবসরে যান। বেশ কয়েক বছর ধরে তিনি ডায়াবেটিক ও শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যায় ভুগছিলেন। গতকাল সোমবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে রাতের খাবারের সময় হঠাৎ খাদ্য আটকে গেলে তাকে দ্রুত হাসপাতাল নিয়ে যাওয়ার সময় পথেই তার মৃত্যু হয়।
আজ (২৭ এপ্রিল) মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সোনারগাঁও উপজেলা সহকারী কর্মকর্তা (ভূমি) গোলাম মোস্তফা মুন্না, উপজেলা কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা সোহেল প্রধান, ডেপুটি মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ওসমান গণিসহ অন্যান্য মুক্তিযোদ্ধাদের উপস্থিতিতে রাষ্ট্রীয় মর্যাদা প্রদর্শণ শেষে বেলা ১১টায় নামাজে জানাযা শেষে আনন্দবাজার খন্দকার বাড়ির পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
জানাজায় বৈদ্যের বাজার ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মাহবুব আলম সরকার, ইউপি সদস্য আবুল মেম্বারসহ মরহুমের পরিবার,স্বজন, সাংবাদিক ও স্থানীয় এলাকাবাসীসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন। প্রয়াত নজরুল ইসলাম খন্দকার মৃত্যুকালে স্ত্রী, দুই ছেলে, দুই মেয়ে, নাতিসহ অসংখ্য গুণগ্রাহি রেখে গেছেন।